নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেওয়ান তানভীর আহমেদ

দেওয়ান তানভীর আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছমিরন বিবির বিচার

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

১.

সাল ১৯৮৬।
মুখ থেকে এক দলা থুতু ফেললো ছমিরন বিবি। থুতুর সাথে বেরিয়ে এল খানিকটা রক্ত। মাটিতে পা ছড়িয়ে মাথা নিচু করে বসে আছে ছমিরন, তার ঠিক বিপরীত দিকে তিনটি চেয়ারে বসা গ্রামের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ- গ্রামের এজলাসের হাকিম গজনফর মোল্লা, গ্রামের মাতব্বর রশিদ মিয়া এবং চেয়ারম্যান হেকমত আলী। আর তাদের ঘিরে গ্রামের সাধারণ মানুষদের একটা বিশাল জটলা। গ্রামের পন্ঞ্চায়েত বসেছে আজ। পন্ঞ্চায়েতে বিচার করা হচ্ছে একজন পতিতার।
“এই বেশ্যার মুখে চুনকালি দিয়া পুরা গেরাম ঘুরান দরকার!”
“কেউ মাইয়া মাইনষের ইজ্জত লুটলে মাইয়া মাইনষে ঘরের ভিত্তে মুখ লুকাইয়া থাকে। আর এই মাতারী দশজনের সামনে কইতে আইছে অরে নাকি ধর্ষণ করছে! নাইজুবিল্লাহ!!”
“ধর্ষণ আবার কী? মাইয়া মাইনষের ইচ্ছা না থাকলে কোনো পুরুষ লোকে কী হের গায়ে হাত দিতে পারে নি?”
“এক হাতে তালি বাঁজে না!”
“গোলমালের সময় পেরতেক(প্রত্যেক) রাইতেই তো অর ঘরে কত পর পুরুষ মানুষ আইত, হেই কাহিনী মনে হয় আমরা জানি না?!”
“ছি ছি ছি!”
চেয়ারম্যান হেকমত আলী একটু নড়ে চড়ে বসলেন। তারপর পাশ ফিরে ডাকলেন, “রশিদ মিয়া।”
“জ্বী চেয়ারম্যান সাব।” রশিদ মিয়া জবাব দিলেন।
“এত্ত দেরি করা লাগতাছে ক্যান সেইটাই তো বুঝতাছি না!” বিরক্ত মুখে বললেন চেয়ারম্যান।
“চেয়ারম্যান সাব,” বললেন রশিদ মিয়া, “আপনে অনুমতি দিলে আমি পুরা ব্যাপারটা হাকিম সাবরে একবার খোলসা কইরা বলতে পারি।”
“বলো বলো।” দাড়ি চুলকাতে চুলকাতে চেয়ারম্যান বললেন, “পুরাটা বলো হাকিম সাহেবরে। আমি চাই বিচারটা শরীয়াত মোতাবেক হোক।”
মাথা নেড়ে হাকিম গজনফর মোল্লার দিকে ঘুরে বসলেন মাতব্বর রশিদ মিয়া।
“হাকিম সাব,” হাকিম সাহেবের উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করলেন রশিদ মিয়া, “এই মহিলার নাম ছমিরন। আইজ থিকা পনেরো বছর আগে, মানে গণ্ডগোলের সময় অর স্বামী লাপাত্তা হইয়া গেছিলো, আর ফিরে নাই। অনেক মাইনষে কয় হে বলে মুক্তিবাহিনীতে গেছে।”
একটু থেমে আবার বলতে শুরু করলেন রশিদ মিয়া, “অর জামাই লাপাত্তা হওয়ার সুযুগে এমন কোনো নষ্টামী নাই যা অয় করে নাই। ছি ছি ছি! কইতেও মুখে আটকায়!”
“রশিদ মিয়া,” ধমকের সুরে বললেন হেকমত আলী, “ফালতু কথা ছাইড়া কামের কথায় আসো! অর নষ্টামীর কথা সবাই জানে। যা কেউ জানে না তা কও।”
“জ্বী চেয়ারম্যান সাব,” হেকমত আলীর ধমক খেয়ে যেন একটু মিইয়ে গেলেন রশিদ মিয়া। তারপর আবার হাকিম সাহেবের দিকে ফিরে বলতে লাগলেন, “প্রায় পেরতেক রাইতেই অর ঘরে পুরুষ মানুষ আইত। দেশের মধ্যে এই গণ্ডগোল, স্বামীর কোনো খবর নাই, আর তার মধ্যে কিনা....... ছি ছি ছি ছি!”
চুপচাপ মাটির দিকে তাকিয়ে আছে ছমিরন। কোনো কিছুতেই যেন কিছু আসে যায় না তার। সে আজ কিছুই বলবে না, কোনো প্রতিবাদ করবে না। আজ সে শুধুই শুনবে। সে শুনতে পেল রশিদ মিয়া বলছে, “যুদ্ধের কালে এই ছমিরন অচেনা পুরুষ মানুষের লগে রাত কাটাইত। আবার শুনছি, মেলেটারীগো লগে নাকি তাগো ক্যাম্পেও গেছিলো! সবকিছু জাইনাও গেরামের মানুষ অরে কিছু কয় নাই। কিন্তু আইজ হঠাৎ কইরা এই ছমিরনের কী হইলো কে জানে, অয় আমাগো নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান হেকমত আলী খান সাহেবের নামে উল্টা পাল্টা কথা কওয়া শুরু করলো! কয় কিনা একাত্তরে চেয়ারম্যান সাব নাকি মেজর সাবরে লগে লইয়া অরে..... ছি ছি ছি! নষ্টা মাইয়ার কথা শুনেন! আমাগো চেয়ারম্যান সাব ধার্মিক মানুষ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, একবার হজ্জ্বও কইরা আসছেন, সেই পাক পবিত্র মানুষের নামে কত্ত বড় একটা অপবাদ দিছে এই বেশ্যা!”
“হাকিম সাহেব,” হেকমত আলী বলতে শুরু করলেন, “আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিছে, সেইটা আমি গায়ে মাখলাম না। কিন্তু আপনেই চিন্তা করেন, নিজের আগের জীবনের পাপের কথা নিয়া গলাবাজি করলে কী পাপ কোনো অংশেই কমে? আর সেই পাপ যদি এই পুরা গ্রামে ছড়ায় পড়ে, তাইলে চেয়ারম্যান হিসাবে আমি মাইনা নেই কেমনে বলেন?”
হাকিম সাহেব এতক্ষণ গভীর মনোযোগে সবকিছু শুনছিলেন, এবারে একটু নড়ে চড়ে বসলেন। তারপর গম্ভীর মুখে বলতে শুরু করলেন, “এক হাতে কোনো দিনও তালি বাজে না। যে ধর্ষণ করে সে পাপী, কিন্তু যারে ধর্ষণ করে তার পাপ কী কম নাকি? কোনো মাইয়া মানুষের ইচ্ছা না থাকলে পুরুষ মানুষ তার গায়ে হাত লাগাইতে পারে না। ঠিক কিনা?” উপস্থিত গ্রামবাসীর মধ্যে গুন্ঞ্জন শোনা গেল, বেশিরভাগ লোকই সায় দিয়ে বলছে, “হ! ঠিক! ঠিক কথা।” হাকিম গজনফর মোল্লা আবারও বলতে শুরু করলেন, “আর তার উপর যদি কোনো মাইয়া মানুষ নিজের ধর্ষণের কথা নিয়া পুরা গেরামের মানুষজনের সামনে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে, ধর্ষণের কথা মাথা উচু কইরা বলতে থাকে, তাইলে তো সেইটা পাপের উপর আরো বড় পাপ। কারণ নোংরা জিনিস যত বাইরে আসে, গন্ধ ততই বাড়ে।”
“হক কথা হাকিম সাব।” হেকমত আলী বললেন, “এখন আপনেই বলেন, এই মহিলারে কী শাস্তি দিবেন?”
“আগের পাপের শাস্তি তো হইবই,” হাকিম সাহেব তার মুখের সেই গাম্ভীর্য ধরে রেখে দাড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে বললেন, “সেই সাথে ঐ পাপের দায় আরেকজনের ঘাড়ে চাপায় দেওয়ার অপরাধেরও শাস্তি হইব। ছমিরন বলছে তারে নাকি ধর্ষণ করছে, কিন্তু তার কোনো সাক্ষী নাই। আবার গেরামের বেবাক মানুষ ছমিরনরে মেলেটারীগো লগে তাগো ক্যাম্পে যাইতে দেখছে। তাতে প্রমাণ হয় যে আসল অপরাধী এই ছমিরন বিবি। শরীয়াহ মোতাবেক অর শাস্তি হিসাবে অরে ৮০ বার দোররা মারতে হইব।” শাস্তি ঘোষণার সাথে সাথেই গ্রামবাসীর মধ্যে গুঞ্জন শোনা গেল। শোনা গেল তাদের আনন্দ ধ্বনি। কীসের জন্যে এই আনন্দ, তা হয়ত তারা নিজেরাও জানে না।
“হাকিম চাচা,” হঠাৎ শোনা গেল ছমিরনের কণ্ঠ, তার এভাবে আচমকা কথা বলে ওঠায় সবাই কেমন যেন স্তব্ধ হয়ে গেল! অবাক হয়ে সবাই তাকালো ছমিরনের দিকে। ছমিরন ধীরে ধীরে বলতে লাগলো, “পেরায়ই শুনি ফতোয়া জারি করেন, পেরায়ই দেখি একেকজনের বিচার করেন। আর বলেন সেইটাই নাকি কোরআনের আইন। আজকে আমারে যেই শাস্তি দিলেন, সেইটা কোরআনের কোন সূরায় আছে?”
“নষ্টা মাইয়া মাইনষের কত বড় সাহস, দেখছেন হাকিম সাব?” রাগে হিসহিসিয়ে উঠলেন চেয়ারম্যান হেকমত আলী, “কোরআনের আইন নিয়া কথা বলে! নাউজুবিল্লাহ!”
হাকিম সাহেব বললেন, “কোরআনের আইন নিয়া প্রশ্ন করায় ছমিরনের শাস্তি আরো ২০ দোররা বাড়ায় দেওয়া হইলো।” গ্রামের লোকজন এবারে আর কোনো শব্দ করলো না, শুধু নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। আর হাকিম সাহেব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন, ছমিরন হাসছে। তার সেই হাসিতে কোনো প্রাণ নেই! ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে তার সেই হাসি। এক পর্যায়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল ছমিরন বিবি।

২.
দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতে শুরু করেছে। আর কিছুক্ষণের মাঝেই সূর্য পুরোপুরি অস্ত যাবে, নামবে অন্ধকার। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষেরা যার যার কাজ কর্ম সাঙ্গ করে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। পুরোপুরি অন্ধকার নামার আগেই ফিরতে হবে, নইলে আবার জ্বীন-পরীর খপ্পরে পড়তে হবে! গ্রামের প্রায় প্রতিটা ঘরের জানালায় ইতোমধ্যেই কুপিবাতির আলো দেখা যাচ্ছে। এটাই গ্রামের সন্ধ্যা হওয়ার স্বাভাবিক চিত্র। তবে আজকের সন্ধ্যাটা অবশ্য অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক না, একটু ভিন্ন। আজ প্রতিটা ঘরেই বসবে গল্পের আসর। গল্পের বিষয়- ছমিরন বিবির বিচার। বাড়ির কর্তার মুখে সেই গল্প শোনার আশায় অধীর আগ্রহে সবাই অপেক্ষা করছে, মানুষটা কখন ফিরবে!
আর ছমিরন বিবি? সে এখন পড়ে আছে স্কুল মাঠের পূর্ব দিকের বটগাছটার নিচে, যেখানে পঞ্চায়েত বসেছিল। তার গায়ের শাড়িটার রং ছিল সাদা; কিন্তু এখন সেটা আর সাদা নেই, রক্তে লাল হয়ে গেছে। তার রক্তাক্ত দেহটি ফেলে রাখা হয়েছে শেয়াল কুকুরের খাবার হিসেবে। ছমিরনের শ্বাস প্রশ্বাস এখনো চলছে। চোখ মেলে একবার তাকানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু কিছুই দেখতে পাচ্ছে না সে, সবকিছুই কেমন ঘোলাটে মনে হচ্ছে। নিঃশ্বাস ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে তার। হৃৎযন্ত্রের স্পন্দনও ধীরে ধীরে কমে আসছে।
একটা শব্দ ভেসে আসছে তার কানে। শব্দটা চিনতে পারল ছমিরন। বুটের শব্দ! সে শব্দ তো আর ছমিরন ভুলতে পারে না। সেই বুট পড়া পায়ের শব্দ, বেয়নেটের আঘাত, অট্টহাসি, নখের আচড়- কোনো কিছুই সে ভোলে নি। তার এখনো মনে আছে সেই ছেলেটির কথা, যাকে তার স্বামী তার কাছে পাঠিয়েছিলো মুক্তিবাহিনীর জন্য খাবার নিয়ে যেতে; যে পাকিস্তানী মিলিটারীদের হাতে ধরা পড়ে শত অত্যাচার সত্ত্বেও একটিবারের জন্যেও মুখ খোলে নি! মিলিটারীরা বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে চোখ উপড়ে ফেলেছিলো তার। ছমিরনের মনে আছে তার সেই ছয় মাসের বাচ্চাটার কথা, যার কান্নার শব্দে বিরক্ত হয়ে তাকে দেয়ালে আছড়ে মেরেছিলো মিলিটারীরা। সেই মেয়েগুলোকেও সে ভোলে নি, যাদের ক্ষত বিক্ষত নগ্ন দেহগুলো পড়ে ছিল মিলিটারীদের টর্চার সেলের মেঝেতে। সেই টর্চার সেলের কথাই বা সে ভোলে কী করে, যেখানে পাকিস্তানীরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছিল?! সেদিন তার গগনবিদারী আর্তনাদে কেঁপে উঠেছিলো পুরো পৃথিবী! ছমিরনের মনে আছে, ধর্ষণের পর তার নিস্তেজ হয়ে পড়া দেহটিকে যখন তারা টর্চার সেলে ফেলে রেখে চলে গেল পরে এসে ভোগ করবে বলে, তখন সেখানে এসে তাকে আবারও ধর্ষণ করে রাজাকার হেকমত আলী!
কিছুই ভোলে নি ছমিরন। একাত্তরের সেই খানসেনাদের চেহারা আজও তার চোখের সামনে ভাসে, তাদের সেই বুট পড়া পায়ের শব্দ আজও ভেসে আসে তার কানে! তাদের সেই অট্টহাসি আজও সে শুনতে পায়। এসব স্মৃতি যে ভোলার মত নয়!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩২

সাফিউল ইসলাম দিপ্ত বলেছেন: আহারে,আহারে....

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

ক্স বলেছেন: বাস্তবতার সাথে একেবারেই যায়না। রাজাকারদের তো স্বাধীনতার পর নিজেদের পিঠ বাঁচাতে এ গ্রাম সে গ্রাম পালিয়ে থাকার কথা। সে গ্রামের চেয়ারম্যানই বা হল কি করে, আবার ছমিরনের বিচারই বা করে কি করে?

আপনি শরিয়ত সম্পর্কে মানুষ ভুল জানে, অথবা শরিয়তের আইনের অপব্যবহার করে - এরকম একটা ধারণা দিলেন। কাজেই আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ধর্ষণের শাস্তি বা এ সংক্রান্ত শরিয়তের বিধান দলিল সহকারে পাঠকদের কাছে তুলে ধরা। শুধু শুধু একটা ভুল ঘটনা ধরে পাঠকের মধ্যে শরিয়ত বা দাড়ি-টুপি ওয়ালা হজ্জ করা লোকদের সম্পর্কে বিষোদগার করা ঠিক হয়নি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৩

দেওয়ান তানভীর আহমেদ বলেছেন: আপনি সম্ভবত খেয়াল করেন নি, একদম শুরুতেই বলে দেয়া আছে এটা ১৯৮৬ সাল। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই দেশে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির পুনরুত্থান শুরু হয়। বিশেষ করে ১৯৭৯ সালে যখন গোলাম আযমসহ সব বড় বড় রাজাকারদের পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়, তখন দেশের প্রায় সব জায়গায়ই এদেরই রাজত্ব শুরু হয়।
আর তাছাড়া এখানে যেই অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে, সেটা একেবারেই গণ্ড গ্রাম, যেখানকার মানুষেরা স্বাধীনতার মাত্র দু'বছর না যেতেই বলা শুরু করে- "একাত্তরে দ্যাশে গণ্ডগোল হইছিলো!" মুক্তিযুদ্ধ এদের কাছে গণ্ডগোল, আর একাত্তর এদের কাছে গণ্ডগোলের বছর। তাই এরকম একটা এলাকায়, যেখানে এধরনের মানুষ বোঝাই, সেখানে একজন রাজাকারের চেয়ারম্যান হয়ে যাওয়াটা কঠিন কিছুই না।
আর কী বললেন? শুধু শুধু একটা ভুল ঘটনা ধরে পাঠকের মধ্যে শরিয়ত বা দাড়ি-টুপি ওয়ালা হজ্জ করা লোকদের সম্পর্কে বিষোদগার করা ঠিক হয়নি?? তাহলে দাড়ি-টুপিওয়ালা হজ্জ করা লোকেরা অন্যায় করলে তা মুখ বুজে সহ্য করে যেতে হবে শুধুমাত্র তারা দাড়ি-টুপিওয়ালা হজ্জ করা লোক বলে???

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

মঈনুদ্দিন অারিফ মিরসরায়ী বলেছেন: যত্তসব

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:০৪

দেওয়ান তানভীর আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.