নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেওয়ান তানভীর আহমেদ

দেওয়ান তানভীর আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন পরীমনি, একদল "বাঙালি নারীবাদী" এবং হায় সত্যিকারের নারীবাদ!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৮

আসলে পরীমনির ধূমপান করাটা কোনো সমস্যা না। ধূমপানরত অবস্থার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করাটাও কোনো সমস্যা না। এমনকি তার হাতের তালুতে "Fuck Me More" লিখে সেটা দেখিয়ে বেড়ানোটাও কোনো সমস্যা না। এসব একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি সেলিব্রিটি হয়েছেন তারমানেই এই না যে তার ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকতে পারবে না এবং সেই ব্যক্তিগত জীবনের কিছুই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারবেন না। অবশ্যই পারবেন। আমরা যেমন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকি, তেমনি তিনিও ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কিছুই শেয়ার করতেই পারেন। যার ভালো লাগবে না, সে এড়িয়ে যাবে। যেমন আমার এসব ভালো লাগে না, তাই আমি এড়িয়ে যাই।
কিন্তু সমস্যা তো একটা আছেই! এইযে কতিপয় বাঙালি নারীবাদীরা পরীমনির এসব কর্মকাণ্ডকে বিরাট সাহসিকতার দৃষ্টান্ত বলে দাবি করছেন, এখানেই সমস্যাটা। বেশ কয়েকজন তো আবার তার এসব কর্মকাণ্ডকে বেশ শিক্ষণীয় বলেও দাবি করছেন!
অথচ এই "বাঙালি নারীবাদী"দের কখনোই দেখলাম না দিন-রাত এক করে সিগন্যালে দাড়িয়ে নিজের কর্তব্য পালন করে যাওয়া মহিলা সার্জেন্ট কিংবা গভীর রাতে রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়ানো মহিলা পুলিশ সদস্য কিংবা নিজেদের পরিবার-পরিজন থেকে দিনের পর দিন দূরে থাকা মহিলা সেনাসদস্যদের সাহসিকতা নিয়ে কিছু বলতে। আচ্ছা, নারী পুলিশসদস্য আর সেনাসদস্যদের কথা নাহয় বাদ-ই দিলাম। বাংলাদেশের একটা রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম নিয়েও অ্যাথলেট হয়ে অলিম্পিকে গিয়ে স্বর্ণপদক জেতার স্বপ্ন দেখা একটা মেয়ের সাহসিকতাকে আমাদের দেশের কতজন নারীবাদী বাহবা দিয়েছেন?? কিংবা সেই নারী ড্রামার, যে কিনা বেড়ে উঠেছে "গান-বাজনা হারাম" জাতীয় ধ্যান-ধারণার অধিকারী একটি ধর্মভীরু পরিবারে, এবং সেই পরিবারের সদস্যদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সে একটা ব্যান্ডে ড্রামার হিসেবে যোগ দিয়েছে, সে তার সাহসিকতার জন্য কতটুকু প্রশংসা পেয়েছে এদেশের নারীবাদীদের কাছ থেকে??? প্রকাশ্যে ধূমপান করতে কি এসবের চাইতেও বেশি সাহসের প্রয়োজন হয়?!
আচ্ছা "বাঙালি নারীবাদী"রা, আপনারা ডক্টর ফেরদৌসী কাদরীকে চেনেন তো? এবছর ম্যাগসেসে এওয়ার্ড পেলেন যিনি?? তাকে নিয়ে আপনাদের দুই-একজনের বাদে আর কারো টাইমলাইনেই তেমন কোনো পোস্ট দেখলাম না, যেখানে কিনা পরীমনির ধূমপানের ছবি আর তার হাতের মেহেদী নিয়ে আপনারা একেকজন উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার ২০ মার্কের রচনা লিখে ফেলছেন! পরীমনির হাতের " Fuck Me More" লেখাটা আসলে ডক্টর ফেরদৌসী কাদরীর ম্যাগসেসে এওয়ার্ড পাওয়া থেকেও বেশি শিক্ষণীয়, তাই না??

আসলে বেশিরভাগ "বাঙলি নারীবাদী"দের মধ্যেই যেই জিনিসটার প্রচণ্ড অভাব, সেটা হচ্ছে নারীবাদের সঠিক শিক্ষা এবং জ্ঞান। সঠিক শিক্ষা আর জ্ঞান ছাড়া সাহসের কোনো মূল্য নেই। আকাশচুম্বী সাহস তো ক্ষ্যাপা ষাড়েরও থাকে! আর এদেশের নারীবাদীদের সাহস-ও যে খুব বেশি, তাও না। সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে এদের সাহস কেবল প্রকাশ্যে সিগারেট জ্বালানো পর্যন্তই, এর বেশি কিছুই না!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

সেজুতি_শিপু বলেছেন: সহমত। আমি এভাবেই দেখি। ধন্যবাদ।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি পরীমনির পক্ষে।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: হা হা হা !!!

আপনার জ্ঞ্যানগর্ভ প্রবন্দে হাসি পেলো বল মাফ করবেন।

কিছুকিছু আধা উন্মাদ আছেন যারা সকাল বিকেল ফলো করেন সেলিব্রিটিদের তার পর বসে যান বিশ্লেষানে। এতই যদি ঘৃনা তাহলে আলোচ্য সেলিব্রিটি নিয়ে মাতামাতি না করে এড়িয়ে যান, না তা যাবেন না, কেনো যাবেন না কারন হলো দিন শেষে তাদের এমন একজন কে দরকার যাকে দেখে মানুষিক অস্থিরতা শান্ত হবে এবং নতুন কিছু জ্ঞ্যানের কথা নিয়ে তারা ব্যাস্ত হতে পারবেন কারন এই অপার বিশ্বে তাদের কাছে করার মত কিছুই নাই শ্রেফ মেয়ে সেলিব্রিটিকে স্টক করা ছাড়া।

পরিমনি বিড়ি খেলে তাদের চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়, তার আধা খোলা ঠ্যাং দেখলে ইমান আমোল ধ্বংসের কিনারে ঝুলে থাকে ঝুনঝুনির মতো। দেখেন কেনো কে বলেছে তাদের দেখতে। উর্ধে প্রকাশিত ছবিতে বিভাজন দেখানো হচ্ছে এটা ফেমিনিজম ওটা নয়। মুশকিল কি জানেন মুশকিল হলো মাদামকুরি, ভেলেন্তিনা তেরস্কভা লাখ পুরুষের পর তারা বিকশিত হতে পারেন তাও লাখ পুরুষের পৌরষের ফাক গলে তাদের অসচেতন মনের সুজুগে। নারীকে যখন বিচার করা হয় দেহ সর্বস্য বিচারে তখনি উপরের ছবিখানা আমাদের সমাজের চোখের উপর এসে ঝামা ঘসে দেয়ার জন্য আসে।

এই দুনিয়ার কেউই বলেনাই উলংগতা নারী স্বাধীনতার মুল বিষয় কিন্তু আফসস সেই তারা যারা যাদের ঈমান নিয়ে খুবি চিন্তিত্ত নারী স্বাধীনতা শুনলেই তাদের উলংগতাই নজরে আসে। নারী স্বাধীনতা বলতে তারা বোঝে নারী ইচ্ছা মতো উলঙ্গ হবে। আর তাই যখন কোন পুরুষ তলপেট অবাধি প্রদর্শন করে তার কিলবিল শরির দেখায় তখন ওটা উলংগতা হয় না হয় বডি বিল্ডিং।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: এরা নারীবাদের আসল সংগাই জানে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.