নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেওয়ান মাহিদ রাজা চৌধুরি

আমি একজন নিরপেক্ষ সত্যের সৈনিক

দেওয়ান মাহিদ রাজা চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যদি লক্ষ আর কর্ম পদ্ধতি হয় আলাদা তবে সফলতা কি অর্জন করা সম্ভব???কোন বিবেকবান মানুষই হয়ত বলবেন না সম্ভব।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০০

প্রতিটা কর্মের পিছনে একটা লক্ষ থাকে।

তা মানুষ করলেও আর একটা বন্য প্রাণী করলেও।

আমরা যখন রাস্তা দিয়ে হাটি তখন একটা গন্ত্যব্বের

উদ্দেশে চলি আবার পিপিলিকার দল যখন চলে

তারাও একটা লক্ষ নিয়ে আগায়।



যদি লক্ষ আর কর্ম পদ্ধতি হয় আলাদা তবে সফলতা

কি অর্জন করা সম্ভব???কোন বিবেকবান মানুষই হয়ত

বলবেন না সম্ভব।



আমাদের এই পথচলার পার্থক্য মূলত দুই ভাবে দৃশ্যত

হয়।১>একেক জনের উদ্দেশ্য একেক রকম,কেউ ব্যাক্তি

স্বার্থের ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে পারে আর কারও দ্বারা সম্ভব

হয়না।২>প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন চলার ধরন,কারও চলা

দৃষ্টিকটু তো কারও অতীব সুন্দর।



আধিম যুগ হতে আজ অবধি পৃথিবীতে দুই ধরনের

মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে।একদল সরল পথে চলছে

আর আরেক দল বক্র পথে আনন্দ খুঁজে হয়রান।



বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এই চিরসত্যটা যেন

আরও বেশি দৃশ্যমান।আমি যদি একটু স্পষ্ট করে

বলি তবে আজ আমাদের তরুন সমাজ দুভাগে বিভক্ত।



কি জন্য আজ আমরা একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।

কেন আজ প্রতিবেশী কিংবা সহপাঠী দুই তরুন একই

জাতীয় ইস্যুতে দ্বিমত পূষন করছে????



কিছু তরুণ বলছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর আমাদের তরুন

সমাজের নব জাগরণ আবার অনেকের দৃষ্টিতে এটা একটা

দুষ্ট চক্রের পরিকল্পিত লক্ষ বাস্তবায়নের অত্যাধুনিক অশ্লীল

উপায় মাত্র।



যারা এর পক্ষে কথা বলছেন,তাদের দাবি তারা তাদের

লক্ষ এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল।আর

বাকীদের কথা এই আবেগি তরুণ-তরুণীরা নিজেরাও

জানেনা কেন এই আন্দোলন।



যারা দেশকে ভালবাসেন কথায় এবং কাজে,তারা যুদ্ধ

অপরাধীর বিচার চান......বিশ্বজিৎ,সাগর-রুনি,ফেলানিদের

হত্যার বিচার চান।৪২ বছর পূর্বে বাংলাদেশের জন্মের

আগে যারা দেশের ক্ষতি করেছে,তাদের বিচার চান......

কিন্তু সবার আগে ৪২ বছর বয়স্ক আমাদের এই মায়ের

বীর এবং শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান সন্তানদের যারা দরবার হলে

নৃশংসভাবে খুন করেছে তার বিচার চান।সবাই বিচার

চায়......অবিচার নয়......সুবিচার......নিরপেক্ষ বিচার

চায়।



যদি কুনো ব্যক্তি রাস্তায় একা দাঁড়িয়ে এই দাবি গুলো

করে...তবুও আমি তার সাথেই আছি।কারন আমার কাছে

প্রত্যেকটা অন্যায়ই অন্নায়...দেশের প্রত্যেকটি প্রান হারানো

বিশাল ক্ষতি......প্রয়োজনের ভিত্তিতে জাতীয় সমস্যাগুলোর

সমাধান করা সর্বদা জরুরী।তাই পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে

দুর্নীতি......শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে লাখো মানুষকে

নিঃস্ব করার বিচার চাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।কারন

এই দুর্নীতির কারনেই আমরা ৪২ বছর পরেও স্বাধীনতাটা

খুজছি।আর এর সুবিচার নাহলে হয়ত ৮৪ বছর পরেও

স্বাধীনতাকে খুঁজে বেড়াতে হবে পদ্মা সেতুর ভিত্তি-প্রস্তরে।



আমি আইনের ছাত্র নয় বা আইনের লোকদের সাথে

তেমন কোন উঠা-বসাও নেই...তবে আমার স্থূল বিবেক

বুদ্ধি দিয়ে একটা বেপারে প্রজন্ম চত্বরের ভাইবোনদের

সাথে একমত হতে পারলাম না।কুনো মানুষকে অপরাধ

করতে সচক্ষে না দেখে......শুধুমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি

করে ... কুনো সঠিক বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত ......

অপবাদ দেয়া মনে হয়না পৃথিবীর কুনো আইন মেনে

নিবে।তবে আপনারা কোন আইনে দেশের এই সুনামধন্য

ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছেন।



আপনারা বলছেন,সবাই বলছে এমনকি সারাবিশ্ব জানে

যে যুদ্ধ অপরাধীদের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল অবৈধ এবং

একনিষ্ঠ ভাবে সরকার দলীয়।সেই ট্রাইব্যুনাল এখন

পর্যন্ত বহাল তবিয়তে আছে।আপনি যদি সত্যিকারের

যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চান তবে এই অবৈধ ট্রাইব্যুনাল

ভেঙে নতুন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ন্যায়

বিচারের মাধ্যমে সকল প্রকৃত যুদ্ধ অপরাধীদের

ফাঁসির দাবি করুন...প্রতিবাদ করুন।



যখনই আমার এই দেশপ্রেমিক ভাইবোনেরা সহজ পথে

দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে আর দেশে

সুশাসন আর সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য উপরের দাবিগুলো

নিয়ে রাজপথে নামবেন সেদিন আমি প্রথম আপনাদের

আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করব।তখন আমার মত

আর হাজার হাজার তরুণকে আহ্বান জানাতে

আপনাদেরকে বিভিন্ন দিক থেকে অল্প জায়গায় সমবেত

হওয়া কিছু লোকের ছবি তুলে উপস্থিতি বুঝাতে হবে না।

তখন জনস্রুত সৃষ্টি হবে...কেউ ঘরে বসে থাকবেনা।



আর নাহয় উদ্দেশ্যহীন ভাবে পথ চলতে চলতে গন্থব্যে

তো পৌছাবেনিনা বরং পথ হারিয়ে অন্ধকার অলিগলিতে

ঢুঁকে যাবেন।তখন আবার বাচার জন্য দৌড়াতে গিয়ে একে

অন্যকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবেন।যেভাবে লাকি আক্তারকে

কেউ একজন ফেলে দিয়েছিল!!!!!!



আপনারা নিজেকে সুশীল আর শিক্ষিত ভাবতেই বেশি পছন্দ

করেন।আপনারা দাবি করেন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন।

শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর কি আপনাদের সুশীল হওার নমুনা।

আপনাদের ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।তবে ধিক আপনাদের

এই সুশীল সমাজকে।আমি একজন মুমিন...আর তাই আমি

পারব না কুনো ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাসে আঘাত হানতে।

আমি পারব না ইসলাম বর্হিবুত উলঙ্গ আর উম্মাদ নৃত্যে

অংশগ্রহণ করতে।আমি পারবনা কুনো দেবতাকে কটাক্ষ

করে বেঙ্গচিত্র আঁকতে।



আর তাই আবারো বলছি হে তরুণ সমাজ দিকভ্রষ্ট হয়ও না।

তুমাদের সামনে সরল পথের হাতছানি...হয় এই সহজ পথে

পা বাড়াও নাহয় আপন স্তানে আসন পেতে নতুন দিনের

অপেক্ষা কর...তবু এই বাঁকা রাস্তায় নেমনা।কারন এই

রাস্তায় যারাই নেমেছে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে

নীলনদে অথবা মহাপ্লাবনে..

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

পাতি মাস্তান বলেছেন: আসাধারন লিখেছেন আপনি আপনাকে সেলুট আপনার মতো আজ যদি সবাই বুঝতো তাহলে দেশটা এতো অস্থির হতো না

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

দেওয়ান মাহিদ রাজা চৌধুরি বলেছেন: ভাই আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করব না...তবে আশা করি সবাই আপনার মত সত্যকে এভাবেই সাধুবাদ জানাবে.....আমার জন্য দুয়া করবেন যাতে সত্যের পথে থাকি সবসময়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.