![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারী অধিকার প্রসঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়নের সুযোগ নিয়ে বিবিধ আলোচনা হয়। কিন্তু এ বিষয়টি কেন যেন চোখ এড়িয়ে যায়। নারীদের ধর্ম চর্চার অধিকার থেকে যুগে যুগে পুরুষশাসিত সমাজ বঞ্চিত করেছে। বলা হয়- নারীদের অধিকার বঞ্চিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার হলো ধর্ম। বাস্তবতা হচ্ছে , ধর্ম নয় বরং ধর্মের কর্তারুপী অধার্মিকরাই নারীদের বঞ্চিত রেখেছে। কারণ তাদের মনে এক ধরণের আশংকা কাজ করে- ধর্মচর্চায় নারীদের সুযোগ করে দিলে ধর্মের উপর এসব ধর্মবাজদের মাতব্বরি থাকবে না। যা খুশি তা বোঝানো যাবে না।
-রাসুল সা. এর সময়ে মদীনার মসজিদে মহিলারা নিয়মিত মসজিদে যেতেন। এমনকি বাচ্চা সহ। ফযর এবং এশার নামাজেও।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত। নবী সা. বলেছেন তোমাদের স্ত্রীরা রাতের বেলায় মসজিদে যেতে চাইলে তাদের বাধা দিওনা (বুখারী ও মুসলিম)। তাদের কথা বিবেচনা করে রাসুল সা. এশার নামাজ দীর্ঘায়িত করা থেকেও বিরত থেকেছেন (হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী)।
- রাসুল সা. এর পর খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মহিলারা মসজিদে যেতেন। হযরত উমার রা. ছিলেন নারীদের ব্যপারে কঠোর। তার স্ত্রী নিয়মিত মসজিদে যেতেন। উমার রা. তা পছন্দ করতেন না। তিনি একবার ধমকের সুরে তাকে বললেন 'উমার তোমার এ কাজ (মসজিদে যাওয়া) অপছন্দ করে কারণ এতে তার মর্যাদাবোধে আঘাত লাগে। তার পরেও তুমি মসজিদে যাও কেন?' তার স্ত্রী বললেন ' আপনি আমাকে কেন নিষেধ করবেন যেখানে রাসুল সা. বলেছেন - "তোমরা আল্লাহর দাসীদের মসজিদে যেতে বাঁধা দিও না"।' একথা শুনে উমার রা. চুপ হয়ে গেলেন।
- পরবর্তী যুগেও মুসলিম শাসিত জনপদে মুসলিম মহিলারা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেন। ঈদ ও জুমার খুতবা শুনতেন। জ্ঞানচর্চা করতেন।
- বর্তমান সময়ে আরব দেশগুলোতে এবং কিছু পশ্চিমা দেশে মুসলিম মহিলারা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। অথচ এই উপমহাদেশে তাদেরকে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেত্রী, স্পিকার সবাই নারী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে এখনো মসজিদগুলো নারী বান্ধব হয়নি।
আমাদের দেশের আলেমবৃন্দ এক কথায় বলে উঠবেন- গেল, গেল, এবার মসজিদের পবিত্রতাও গেল! অথচ রাসুল সা. এর সময়ে উম্মে মিহযান নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ দাসী মসজিদ ঝাড়ু দিতো, পবিত্রতার কাজ করতো।
আলেমবৃন্দ আবার বলবেন হাদীস ঠিক আছে। রাসুলের যুগে পরিবেশ ভালো ছিল। কিন্তু বর্তমান জাহেলী যুগে, নৈতিকতার অবক্ষয়ের যুগে মহিলাদের মসজিদে যাওয়া অনিরাপদ। প্রশ্ন হচ্ছে তাদের স্ত্রী/ মেয়েরা কি শপিং করতে যান না? বাসে চড়েন না? বেড়াতে যান না? মাদ্রাসা বা স্কুলে যান না? শুধু মসজিদে যাওয়াটাই নিষেধ হয়ে গেল! এমন হয় প্রায়ই যে শপিংএ গিয়ে স্বামী-সন্তান মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ছে আর বেচারীরা বাইরে অসহায় অবস্থায় দাড়িয়ে আছেন। কারণ মসজিদের বাইরে তো বসার ব্যবস্থা নেই। তো এই নারীর নামাজ কাযার দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে? তাকে কেন নামাজ পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হলো। এখনকার স্কুল, অফিস, অডিটোরিয়াম বা অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানে পুরুষদের জন্য একটু জায়গা থাকে নামাজ পড়ার। মহিলারা কী অপরাধ করলো যে তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা রাখা যাবে না!
তবে হ্যা, ব্যবস্থাটা ঠিক নিয়মে হতে হবে। মসজিদে যাবার কিছু নিয়ম আছে। পুরুষদের জন্যও আছে। যেমন- দুর্গন্ধ যুক্ত খাবার খেয়ে মসজিদে না যাওয়া, পোশাক ঠিক মত হওয়া ইত্যাদি। মহিলাদের মসজিদে যাবার যেসব নিয়ম আছে সেগুলো তাদের জানতে দেয়া হোক। মসজিদগুলোতে সেসব সুযোগ চালু করা হোক। মোটকথা, আল্লাহর ঘর মসজিদের যে অবারিত রহমত, যে প্রশান্তিময় পরিবেশ তা পাবার অধিকার তাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
ধমনী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাংলাদেশের অনেক মসজিদেই মহিলাদের জামাতের ব্যবস্থা আছে ।
সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
ধমনী বলেছেন: অনেক মসজিদের পরিমানটা অনেক কম। ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মোটকথা, আল্লাহর ঘর মসজিদের যে অবারিত রহমত, যে প্রশান্তিময় পরিবেশ তা পাবার অধিকার তাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক।
+++
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২১
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
হানিফঢাকা বলেছেন: বলা হয়- নারীদের অধিকার বঞ্চিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার হলো ধর্ম। বাস্তবতা হচ্ছে , ধর্ম নয় বরং ধর্মের কর্তারুপী অধার্মিকরাই নারীদের বঞ্চিত রেখেছে। - সহমত
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২২
ধমনী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দরকারী পোষ্ট। শেয়ার দিচ্ছি ফেসবুকে। অনেক ধন্যবাদ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৪
ধমনী বলেছেন: ওমা। এত দরকারী! ধন্যবাদ আপু।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
না পারভীন বলেছেন: এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি যদি আজ আমার পাড়ার মসজিদে যেতে চাই এটা কিভাবে সম্ভব পর হবে? হুজুর রা এই কথাই বেশি প্রচার করেন, মহিলাদের জন্য উত্তম গৃহে নামাজ পড়া। যেটা উমর (রা বা অন্যকারো সময় বলা হয়েছিল, মহানবী (সা
এর আমলে নয়। মহিলারা আজ শুধু মসজিদের ই বাহিরে আর সবখানে আছে। তাই যে প্রযন্ম আসছে তারাও মসজিদের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেনা, কিন্তু সেটার ই দরকার ছিল বেশি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৭
ধমনী বলেছেন: মহিলারা আজ শুধু মসজিদের ই বাহিরে আর সবখানে আছে।
এই উপলব্ধিটা সবার হও্য়া দরকার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: খুব আশার সংবাদ, এখন বাংলাদেশের মেয়েরাও জামাতে নামাজে শরিক হতে পারছেন!!
আমি সব এলাকার খবর জানি না, আমার আশেপাশের কিছু নামাজের জায়গার খবর দিতে পারব, যেখানে আমি নামাজ পড়েছি।
সোবহানবাগ মসজিদে যুম্মা পড়েছি, মহাখালি DOHS - এ মেয়েদের নামাজের ব্যবস্থা আছে!
এ ছাড়াও ইউনাইটেড হসপিটাল, এপোলো হসপিটাল, মেডিনোভা হসপিটাল (ধানমন্ডি), বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে জামাতে নামাজ পড়েছি।
মেয়েদের জন্য ভিন্ন কামরায় স্পিকারের ব্যবস্থা আছে!!
অনেক ধন্যবাদ আপনার এই পোষ্টের জন্য!
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৫
ধমনী বলেছেন: হ্যা এগুলো আশার দিক। তবে আমার চাওয়া হলো -সব জায়গায় পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের নামাজের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
প্রামানিক বলেছেন: - রাসুল সা. এর পর খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মহিলারা মসজিদে যেতেন। হযরত উমার রা. ছিলেন নারীদের ব্যপারে কঠোর। তার স্ত্রী নিয়মিত মসজিদে যেতেন। উমার রা. তা পছন্দ করতেন না। তিনি একবার ধমকের সুরে তাকে বললেন 'উমার তোমার এ কাজ (মসজিদে যাওয়া) অপছন্দ করে কারণ এতে তার মর্যাদাবোধে আঘাত লাগে। তার পরেও তুমি মসজিদে যাও কেন?' তার স্ত্রী বললেন ' আপনি আমাকে কেন নিষেধ করবেন যেখানে রাসুল সা. বলেছেন - "তোমরা আল্লাহর দাসীদের মসজিদে যেতে বাঁধা দিও না"।' একথা শুনে উমার রা. চুপ হয়ে গেলেন।
হাদিসটি জানা ছিল না। ধন্যবাদ