নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধমনীর মাধ্যমে হৃৎপিন্ড থেকে বিশুদ্ধ ( অক্সিজেনসমৃদ্ধ) রক্ত সারা দেহে প্রবাহিত হয়।

ধমনী

ধমনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃজনশীল মানেই কি মুখস্থ করা নিষেধ?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৬

আজ ৭ম- ৮ম শ্রেণীর কয়েকজন ভালো ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলাম তার ক্লাসের পাঠ্যবইয়ের যে কোন একটি কবিতার কয়েক লাইন বলতে। একজনও পারলোনা। তারা জবাব দিলো - এখনতো কবিতা মুখস্থ করার দিন শেষ। এখন সৃজনশীল পদ্ধতি। কবিতার অর্থ বুঝে উত্তর দিলেই হয়। সৃজনশীল পূর্ব প্রজন্মের যারা তারা অবশ্যই গর্বের সাথে বলতে পারেন যে তখনকার কোন থার্ড ক্লাস ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেও সে কয়েকটি কবিতা মুখস্ত বলতে পারবে। কিন্তু বর্তমান সৃজনশীল প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তাহলে কি কবিতার মর্মে প্রবেশ করবে না? কবিতা শুনবে না? কবিতা চর্চা করবে না? কবিতা মুখস্থ বলতে পারবে না?
বহুদিন আগে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বলে গেছেন-
যে কবিতা শুনতে জানেনা
সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে
যে কবিতা শুনতে জানেনা
সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।

এখনকার ছেলেমেয়েরা প্রয়োজন পড়ছেনা ( জিপিএ ফাইভ পাওয়ার জন্য) বলে কবিতা মুখস্ত করছে না। এভাবে কি তাদের সাহিত্যের রস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে না? একজন মানুষ ভালো মানুষ, সভ্য মানুষ হয়ে ওঠার জন্য সাহিত্য আবশ্যিক উপাদান। শুধু জিপিএ ফাইভ পাওয়ানোই কি শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য?
আমি সৃজনশীল ব্যবস্থার বিপক্ষে নই। বরং কথা হচ্ছে যা মনে রাখা আবশ্যিক, তা তো মুখস্থ করতেই হবে। সাহিত্যের রস, প্রাণসঞ্জীবনী উপাদানগুলো মনে রাখার চেষ্টা না থাকলে একটা সময় বক্তাদের বক্তব্য হয়ে যাবে যান্ত্রিক প্রযোজনা। সেখানে শব্দগুলো কলকারখানার বিয়ারিংএর মত কোলাহল তৈরী করবে, বক্তব্য না হয়ে সেটা হবে নির্ঘাত শব্দ দূষণ। লেখালেখি বা সাহিত্য চর্চার কী হবে সেটা কি ভাবা যায়?
অনেকে বলতে পারেন কবিতা মুখস্থ করাটা বাচ্চাদের জন্য ব্রেইনের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাচ্চাদের ব্রেইনের উপর গেমস, অ্যাপস আর হরর ফিল্মের যে প্রেশার চলছে তাতে তার মানসিক রোগ হওয়ার উপক্রম। বাচ্চা কবিতা বলতে না পারলেও কার্টুন চরিত্রের বা মুভির দীর্ঘ সংলাপ ইংরেজী, হিন্দি যে ভাষায়ই হোক অনর্গল বলে দিচ্ছে। বড় বড় হিন্দি গান মুখস্থ আওড়াচ্ছে। সুতরাং কোনটা আপনি মুখস্থ করতে দিবেন সেটা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সৃজনশীলতার কয়েকটা দিক যেমন আছে তেমনি মেধারও কয়েকটি দিক আছে। মেধার অন্যতম দিক হল মুখস্থ করে ধরে রাখাটা।

মেধার আরো দু একটি দিকের মধ্যে অন্যতম হল- বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা, বিকল্প ব্যাখ্যার চেষ্টা, বাস্তবতার নিরীখে বিচার ও যথার্থতা নিরপনসহ কতকি।

আর সৃজনশীলতার বিকাশ হতে হলে মেধার যেকোন একটি দিককে বাদ দিয়ে হবে না।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৪

সজিব হাওলাদার বলেছেন: আমরা এখন জগা খিচুরি মার্কা শিক্ষানীতির মধ্যে আছি।আজব দেশ,আজব তার গণতন্ত্র,আরো আজব তার শিক্ষা ব্যবস্থা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

ধমনী বলেছেন: সত্যিই আজব

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: ১০০% খাটি লেখা লিখেছেন। ধন্যবাদ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা বলেছেন: আপনার কথাগুলোর মধ্যে চিন্তার বিষয় আছে। একটি ভালো কবিতা মুখস্ত রাখা মানে একটি অমূল্য সম্পদ হৃদয়ে ধারণ করে রাখা।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: গত ১৫/২০ বছর ধরে খালি এক্সপেরিমেন্ট চলছে। গত ১৫ বছরে এমন কোন ব্যাচ কি আছে যে আগের বছরের সাথে হুবহু একই নিয়মে একই সিলেবাসে বা একই বই এ পরীক্ষা দিয়েছে? মনে হয় না। এত লম্বা সময় ধরে কোন মাস্টার প্ল্যান ছাড়া এভাবে মন চাইল আর দিয়ে দিলাম নতুন একটা কিছু ঠুকে, এভাবেই চলেছ। আর কত? যতসব মাথামোটার দল!!!!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

ধমনী বলেছেন: যেমন খুশি তেমন সাজো' পরিক্ষণ চলছে

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

সুমন কর বলেছেন: সৃজনশীল পদ্ধতিটা যে কারণে আনা হয়েছিল, তা কখনো বাস্তবে রূপ পাবে বলে, মনে হয় না !!!

সহমত।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু কবিতা মুখস্হা করতে পারলে মগজের ধারণ ক্ষমতা বাড়ে

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

ধমনী বলেছেন: স্মৃতি, বুদ্ধি, সৃজনশীলতা তিনটির বিকাশের জন্যও মুখস্থ রাখার বিষয় আছে। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.