![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টিন এজ বা বয়সন্ধির বয়সটা খুবই বিপর্যয়ের। নিজেকে জানা, জীবনকে জানা, পারিপার্শ্বিক সম্পর্ক ও সমাজকে জানার উৎসুক্য কাজ করে এ বয়সটায়। না বড়, না ছোট। না আদর, না সম্মান। না দায়িত্বশীলতা, না দায়িত্বহীনতা। এমন এক অদ্ভূত বোঝাপড়া চলতে থাকে নিজের সাথে, সময়ের সাথে এবং সমাজের সাথে। এদিক সেদিক ধাক্কা খেয়ে খেয়ে একটা সময় এ বিব্রতকর বয়সটি পেরিয়ে যায়। এ সময়টায় মন চায় খানিকটা সান্তনা, একটু আশ্রয়, একটু আশার বাণী, একটু কোমলতার পরশ। সে চায় কেউ একজন তাকে ছায়া প্রদান করুক। সামান্য একটু কোমল স্নেহের হাত যদি কেউ বাড়িয়ে দেয় এ বয়সটায়, আবেগের মন বিগলিত হয়। তাকেই পরম বন্ধু মনে হয়। তার প্রেক্ষাপট, অবস্থা, অবস্থান যাচাই করার কোন যুক্তি তখন কাজ করে না। বাস্তবতা হলো এ বয়সে এমন আশ্রয় বা কোমলতা প্রদান করার মানসিকতা বেশিরভাগ পরিবারেই থাকেনা। একটা সময় যারা এই বিব্রতকর টিনএজ বয়স অতিক্রম করেছেন তারাও সহজে ভুলে যান তাদের সে বয়সের অসহায়ত্বের কথা। বাবা মা কিংবা বড় ভাই-বোনও নিরাপদ নিশ্চিত আশ্রয় হয়ে পাশে দাড়াতে চান না, কিংবা পারেন না। টিনএজে প্রজন্ম যুগের ধারাবাহিকতায় অসহায়ত্ব বয়ে বেড়ায় প্রতি প্রজন্মে।
কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন কেউ না কেউ এ অসহায়ত্বের সময় আশ্রয় হয়ে দাড়াচ্ছে। তারা সেই টিনএজ বয়সীকে কোমল কথা বলে, সান্তনা দেয়, একাকীত্বের সঙ্গী হয়। তারা পরম অভিভাবকে পরিণত হয় তখন। টিনএজ ছেলেটি বা মেয়েটি তখন তাকে আইডল মানতে থাকে। তার মত হওয়ার চেষ্টা করে।
বর্তমান সময়ে আধুনিক ছেলেমেয়ের এই অভিভাবকের জায়গাটি অবচেতনে গ্রহণ করছে এফ এম রেডিওর আরজেবৃন্দ। এখনকার টিনএজার রা সারাদিন-প্রায় সারারাত এফএম রেডিও শুনছে। পছন্দনীয় আরজে ভাইয়া বা আপুর কাছে ভুড়ি ভুড়ি এসএমএস করছে, ফোন করছে। তাদের সমস্যা, অনুভূতি, অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে। শেয়ার করা ভালো জিনিস। কিন্তু বিষয় হচ্ছে যাদের সাথে শেয়ার করা হচ্ছে বা যারা আন্তরিক(!) পরামর্শ দিচ্ছেন তারা নিজেরাই ঠিক পথে আছেন তো!
এই ব্লগেই একদিন পড়েছিলাম। ব্লগার তার এফএম রেডিওর শো শোনার অভিজ্ঞতা লিখেছেন যে রাতের শোতে এক আরজে আপুকে এক মেয়ে প্রশ্ন করেছে আপু আমি কি আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করতে পারি? মহান আরজে আপু নাকি উত্তর দিয়েছিলেন- অবশ্যই পারো। তবে প্রটেকশন ব্যবহার করতে হবে। একটু ভাবুন। প্রশ্নকারী মেয়েটি আপনার বা আমার বোন/মেয়ে হতে পারে। আবেগধর্মীতার বয়সে তার এ ধরণের চিন্তাকে বাঁধ ভেঙে দাও স্লোগান দিয়ে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে যারা সে বিষয়ে আপনি কী দায়িত্ব পালন করছেন?
আগে একটা সময় পাড়ার ছেলে মেয়েদের সাথে মিশলে আপনি সহজেই বন্ধুবান্ধব চিহ্ণিত করতে পারতেন। কিন্তু এখন সে কোন আরজের শো শুনছে, কী শুনছে সেটা কি পাহাড়া দিতে পারবেন? অবশ্য সব শো বা সব আরজে যে খারাপ তা সঠিক নয়। কিন্তু কোন আরজের শো আপনার প্রিয় সন্তান/ ভাইবোন শুনছে, মন দিয়ে তার কথা গিলছে, তার কথাকেই অবশ্য পালনীয়, জীবনে প্রয়োজনীয় ভাবছে তা কি নিশ্চিত করতে পারছেন?
সেজন্য উদ্বিগ্নতা নয়। প্রয়োজন সচেতনতা। এখনকার বাবা মা, বড় ভাইবোনদের উচিত টিনএজারদের সাথে আরো সহজভাবে মেশা। তাদের একাকীত্ব অনুভব করার পরিস্থিতি তৈরী হতে না দেয়া। তাদের সমস্যা সম্ভাবনাগুলো আরো বিস্তারিত শেয়ার করা। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড হয়ে এখন দূরবর্তী বায়বীয় সম্পর্ক ঘনিষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঘরের আপন লোকজনের সাথে দূরত্ব বাড়ছে। এ দূরত্ব মোচনের জন্য আমাদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে। আন্তরিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে পরিবারকে টিনএজারদের পরম স্নেহের আশ্রয়ে পরিণত করতে হবে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: বর্তমান সময়ের অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন পোস্ট! অনেক ভাল লাগলো!
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৯
ধমনী বলেছেন: বাবা মা কেও সাহসী হতে হবে। ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৪
বিপরীত বাক বলেছেন: এক আরজে আপুকে এক মেয়ে
প্রশ্ন করেছে আপু আমি কি আমার
বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করতে
পারি? মহান আরজে আপু নাকি উত্তর
দিয়েছিলেন- অবশ্যই পারো। তবে
প্রটেকশন ব্যবহার করতে হবে।
হুমম্।। ঠিকই আছে।। কারণ ওই আরজে আপু তো এটা ঠেকাতে পারবে না।। তাই যখন ব্যাপারটা অবশ্যম্ভাবী তখন নিরাপদ পদ্ধতি বলে দেয়াই ভাল।।
নাকি আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, ওই সময় প্রচার বন্ধ করে মেয়েটারে আয়াতুল কুরসী পড়ে শোনানো উচিৎ ছিল?? মেয়ে কি থামতো তাতে না মেয়েটাকে থামানো যেতো তাতে??
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫
ধমনী বলেছেন: ১। 'যখন ব্যাপারটা অবশ্যম্ভাবী'- হলে প্রশ্নটি হতো- ব্য়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করলে কি সমস্যা হবে?
২। অনএ্য়ারে এ ব্যপারে সম্মতি দিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে অন্য শতশত শ্রোতাকে এ কাজে উৎসাহিত করলেন।
৩। আরজে কিবরিয়া কে কয়েকটি শোতে ছেলেমেয়েদের খুব সুন্দর যুক্তি দিয়ে নিরুৎসাহিত করতে শুনেছি। সুতরাং তিনিও পারতেন সেভাবে বলতে।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
সুমন কর বলেছেন: লেখায় যক্তি আছে। ভালো লাগা রইলো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
পাঠক মানব বলেছেন: কিন্তু বিষয় হচ্ছে যাদের সাথে শেয়ার করা হচ্ছে বা যারা আন্তরিক(!) পরামর্শ দিচ্ছেন তারা নিজেরাই ঠিক পথে আছেন তো![/sb
মূল কথা
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
ধমনী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আন্তরিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে পরিবারকে টিনএজারদের পরম স্নেহের আশ্রয়ে পরিণত করতে হবে।
সহমত ।
জনসচেতনতা মুলক পোস্টে প্লাস এন লাইক।