![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'জানেন ভাবী, ছেলেটা খেতেই চায় না। সকালে নাশতা দিয়েছি। খাবে না, না। ঠাটিয়ে একটা চড় দিলাম। কাঁদতে কাঁদতে খেলো। কী যে করি। মেরে মেরে খাওয়াতে হয়।' এভাবেই পরম আদরের সন্তানকে মায়েরা মেরে থাকেন।
এর বিকল্প কী?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারিরীক শাস্তি প্রদান আইনত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাসা বাড়ীতে কি পরিবর্তন এসেছে?
প্রথমেই বলে নিচ্ছি আমি সন্তানকে কেবল আদর করার পক্ষপাতী নই। 'কেবল আদর' এবং শাসনহীনতা সন্তানকে স্বেচ্ছাচারী করে তোলে। সন্তান তখন বাস্তবতাবিমূখ হয়। নিজেকে সারাজীবন ননীর পুতুল এবং আদরের শিরোমণি ভাবতেই পছন্দ করে। ঐশীর মত বিপথগামী হয় তখন। এ ধরণের পরিস্থিতি মূলত এখনকার ব্যস্ত এবং নব্যধনী পরিবারগুলোতে। তবে অন্যান্য পরিবারগুলোতে বাবা মায়ের শাসন থাকে পর্যাপ্ত এবং কখনো মাত্রাতিরিক্ত।
এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, শাসন এবং 'মারামারি' আলাদা জিনিস। বাবা মায়েরা শাসন বলতেই বুঝে নেন যে, তিনি কতটা মারেন। মারামারি হলো পারস্পরিক শক্তি পরীক্ষার মতো। আর শাসন হলো অপরাধের নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগ যাতে করে সে সংশোধিত হয়। সন্তানকে শাসন বিষয়ে বাবা মায়ের উক্তি হয় অনেকটা এমন- 'জিদ না মেটা পর্যন্ত পিটাইছি', কিংবা 'রাগ পানি না হওয়া পর্যন্ত মারছি' অথবা 'এমন রাগ উঠছে যে চামচটা দিয়াই বারি মারছি'। আসলে এগুলো শাস্তি হয়না। এগুলো রাগের প্রতিক্রিয়া মাত্র। হযরত আলী রা. এক উক্তিতে বলেছেন- রাগের মাথায় শাস্তি না দিতে। বরং ফলাফল হয়: পেটানোর পর মায়েরা নিজেরাই কাঁদতে থাকেন (বাবারা কাঁদেন না, তাদের অনুভূতির প্রকাশমাত্রা ভিন্ন)। কারণ, আদরের সন্তান। তার গায়ে আঘাত করা নিজের গায়ে আঘাত করার চাইতে বেশি কষ্টের। কিন্তু সন্তান এটা বোঝে না। বোঝার বয়স তার হয়নি। সে 'মারামারি'র পর মা/ বাবাকে তার প্রতিপক্ষ ভাবতে থাকে। এর কারণ হলো তাকে তার অপরাধ বোঝার পরিবেশ এবং সময় দেয়া হয়নি।
সন্তানের যে কোন আচরণ কিংবা কর্মকাণ্ডের শাস্তি দিতে হলে আগে তাকে তার অপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো দরকার (বাচ্চা কথা বোঝার বয়সী না হলেও বাবা/ মায়ের মুখভঙ্গি দেখে রাগ/ অভিমান বুঝতে পারে)। তাকে অনুতপ্ত হবার সময় ও সুযোগ দেয়া দরকার এবং সে আচরণের জন্য তার প্রাপ্য শাস্তি তাকে দেয়া দরকার। আর শাস্তি অনেক রকম (শারিরীক/মানসিক) হতে পারে। এ ব্যপারে মনে রাখা দরকার- হাদীসে জন্তু জানোয়ারকেও মুখে আঘাত করতে নিষেধ করা হয়েছে। অপরাধ বোঝার পর বাবা মায়ের কষ্টকর মুখভঙ্গিই অনেক সন্তানের জন্য 'পর্যাপ্ত শাস্তি' হয়ে যায়। যেসব সন্তানের উপলব্ধি ও অনুভূতি দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনায় শারিরীক শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
শেষ কথা হলো, আমাদের ঐতিহ্যগত পরিবার ব্যবস্থা একটি অসাধারণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। সন্তানকে জীবনধর্মী, সামাজিক এবং আত্মমর্যাদা সম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য এখানে ধাপে ধাপে যে পদক্ষেপগুলো রয়েছে তার সুষ্ঠু প্রয়োগ দরকার। বাবা-মা, ভাই-বোনের সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ পেলেই একটি ছেলে/ মেয়ে মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কথা তো ঠিকই বলেছেন তারপরও মাঝে মাঝে পিটানি আমিও দেই।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
ধমনী বলেছেন: পিটানিটা যাতে রাগের মাথায় না হয়। ভালো থাকুক আপনার সন্তান।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সত্য কথাই বলেছেন। শাসনটা মার দেওয়া ছাড়াও করা যায়। কিন্তু এটাতো প্রচলিত ধারা। শাসনের দরকার আসলেই হাত-পা নাড়ানো একটা ফ্যাশন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭
ধমনী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোষ্ট। বাবা-মায়েদের জন্য অবশ্যই শিক্ষণীয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৪
পপি সরকার বলেছেন: আমাপ কক্ষে সম্ভব হয় না রাগ কে কন্টল করা।
তবে আমি চেষ্টা করব।
পোষ্ট টা অনেক ভালো লেগেছে মানালে অনেকেই উপক্রত হবে আসা করি।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
ধমনী বলেছেন: আপনার চেষ্টা যাতে সফল হয়।
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৪
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সে 'মারামারি'র পর মা/ বাবাকে তার প্রতিপক্ষ ভাবতে থাকে। এর কারণ হলো তাকে তার অপরাধ বোঝার পরিবেশ এবং সময় দেয়া হয়নি।
আসলেই তাই,আমার নিজের ছোটবেলায়ই একি অনুভূতি হতো।তবে কি আমার সন্তানও আমাকে............
ভালো লাগার পোষ্ট।
ভাবনাকে নাড়িয়ে দিয়ে গেলো.........
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
ধমনী বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৩
রোষানল বলেছেন: দারুন লাগলো । অনেক কিছু শিখলাম
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
ধমনী বলেছেন: আপনার রোষানলে যাতে দগ্ধ না হয় কেউ (!)। ধন্যবাদ ভাই।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
রাবার বলেছেন: ভালো লাগলো
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
স্পর্শিয়া বলেছেন: প্রথমত মেয়ে সন্তান আর ছেলে সন্তানের আচার আচরণে এবং শাসনেও কিছু পার্থক্য রয়েছে বলে আমার মনে হয়। মেয়েরা প্রকৃতিগতভাবে শান্ত ও লাজুক এবং সহজে শাসন বারণ মেনে নেওয়া জাঁত। যদিও কিছু ব্যাতিক্রম আছে। তবে ছেলে সন্তানকে শাসন বারণ করার ক্ষেত্রে দেখা যায় বাবা মায়ের যে কড়া শাসন বা মার ধোরের মনোভাব তা পরিবর্তন হওয়া উচিৎ। একটা কথা আমি সব সময় মনে করি যতক্ষন মানুষ নিজে থেকে উপলদ্ধ না করে যে সে ভুল করছে ততক্ষন মেরে ধরে ফাঁসি দিয়েও সমাজ ও সংসার থেকে কোনো অন্যায় দূর করা যাবেনা।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
ধমনী বলেছেন: আপনার মন্তব্যে স্পৃষ্ট হলাম। ধন্যবাদ।
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
সুমন কর বলেছেন: শাসন হলো অপরাধের নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগ, যাতে করে সে সংশোধিত হয়। --
ভালো বলেছেন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ভাল বলেছেন । ভাল লেগেছে ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
ধমনী বলেছেন: জেনে আমারও ভালো লাগলো।
১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোষ্ট। বাবা-মায়েদের জন্য অবশ্যই শিক্ষণীয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
ধমনী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
বাসার বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
ধমনী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
১৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কথা তো ভাইলই কইতাছেন। সমিস্যা হৈলো মোরা বাঙালী। জাতের দোষ আছে। তাই না বুইঝ্যাই রাগ করি, মারি, ধরি। ভাল হৈতো যদি চিন্তার জায়গাটায় হাত দেয়া যাইতো।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ধমনী বলেছেন: ভাল হৈতো যদি চিন্তার জায়গাটায় হাত দেয়া যাইতো
- তাহলে গেমটা চেঞ্জ হতো।
১৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
শরতের ছবি বলেছেন: মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হৈলে খিয়তি।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ধমনী বলেছেন: আপনার যেনো খিয়তি না হয়। ধন্যবাদ।
১৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭
খোলা মনের কথা বলেছেন: আসলে অনেক উপকারী একটা পোষ্ট, অনেক ধন্যবাদ ধমনী ভাই
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য।
১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: উপস্থাপনের ধরনে বিশেষ ভালো লাগা থাকছে। ভালো থাকবেন সবসময়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
ধমনী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সন্তানকে জীবনধর্মী, সামাজিক এবং আত্মমর্যাদা সম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য এখানে ধাপে ধাপে যে পদক্ষেপগুলো রয়েছে তার সুষ্ঠু প্রয়োগ দরকার।
খুব ভাল লাগলো , খুব !!!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।
১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০
মোস্তফা শওকাত ইমরান শাহীন বলেছেন: আমি আমার সাড়ে তিন বছরের মামুনিতাকে কয়েকবার মেরেছি। যততুকু মেরেছি তার চেয়েও বেশি কেদেছি। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্ট করার জন্য
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫
ধমনী বলেছেন: সন্তানের জন্য কাঁদতে পারছেন, আপনি অসাধারণ বাবা।
২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
সাাজ্জাাদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। শাসন আর মারামারি যে এক নই তা অনেকে বুঝেন না।
ধন্যবাদ পোস্ট এর জন্য।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৮
ধমনী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: স্পর্শিয়া বলেছেন: প্রথমত
মেয়ে সন্তান আর ছেলে
সন্তানের আচার আচরণে এবং
শাসনেও কিছু পার্থক্য রয়েছে
বলে আমার মনে হয়। মেয়েরা
প্রকৃতিগতভাবে শান্ত ও লাজুক এবং সহজে
শাসন বারণ মেনে নেওয়া জাঁত। যদিও কিছু
ব্যাতিক্রম আছে। তবে ছেলে সন্তানকে শাসন
বারণ করার ক্ষেত্রে দেখা যায় বাবা মায়ের
যে কড়া শাসন বা মার ধোরের মনোভাব তা
পরিবর্তন হওয়া উচিৎ। একটা কথা আমি সব সময়
মনে করি যতক্ষন মানুষ নিজে থেকে উপলদ্ধ না
করে যে সে ভুল করছে ততক্ষন মেরে ধরে
ফাঁসি দিয়েও সমাজ ও সংসার থেকে কোনো
অন্যায় দূর করা যাবেনা।
সুন্দর পোস্ট।সবার এভাবে ভাবা উচিত
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০
ধমনী বলেছেন: স্পর্শিয়া আপুর ভাবনা উচু মাত্রার।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, ঐশীর বেলায় অনেক ফেক্টর কাজ করেছে; বাংলাদেশের এসব পরিবার ভয়ানক বর্ণচোরা জীবন যাপন করে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৩
ধমনী বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ অনেক গভীরের।
ব্লগ ভ্রমণের জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০
অগ্নি সারথি বলেছেন: সদ্য পিতা হওয়া আমার জন্য বেশ কাজের পোস্ট। ধন্যবাদ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
ধমনী বলেছেন: বাবুর নামটা জানা হলো না। শেষ পর্যন্ত কোন নামটা টিকলো?
২৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
অগ্নি সারথি বলেছেন: মুস্তায়িন রহমান। ডাক নাম শ্রেয়ান। নাম আমি রাখি নাই আর। তার দাদা দাদী রেখেছে।
২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বাবা হব হয়তো আগামী ১৫/২০ বছরের মধ্যে| তখন এগুলো মাথায় রাখবো!
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
ধমনী বলেছেন: কী বলছেন রাখাল ভাই? রাত পোহাবার এত দেরী!!!!
২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: খুব ভাল লেখনী অনেক ভাল লেগেছে ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২০
ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: রেগে গেলে সে মাও বুঝতে পারেনা। তবে মা তো সন্তানের ভালোটাই চায়।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
ধমনী বলেছেন: ঠিক তাই।
২৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৯
বাঘ মামা বলেছেন: খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে বলেছেন, এটা অনেক গুরুত্বপুর্ণ মানব জীবনে, কারণ একটা শিশু মানে হলো আগামীর বাহক। তাকে নিয়ে আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ হবার কথা সেখানে আমরা অনেকেই যেন এই বিষয়ে উদাসীন,একটা কথা সবাইকে বলতে শুনি যে বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে,থাকনা এতসব।কিন্তু না,সুন্দর আগামীর দিকে নজর দিতে হলে নজর দিন কোলের শিশুটির প্রতি। তার পিছনে নিবিড় ভাবে লেগে থাকুন, তাকে পর্যবেক্ষণ করুন সে কি করে কি পছন্দ করে, ছোট হলেও তার ভাবনা মনযোগ কিসে।এবং সেই অনুপাতেই আপনাকে এগুতে হবে।তার দুর্বল দিক গুলো আপনাকে আগে বের করতে হবে। বাচ্চা খায়না এবং তাকে মেরে খাওয়ানোর বিষয়টা আমাদের সমাজে অতিপরিচিত ঘটনা,বিশেষ করে অর্থের অভাব নেই এমন পরিবারেই শোনা যায়, যেসব পরিবারে খাবারের অভাব নেই সেসব পরিবারে বাচ্চাদের খাবার স্বাদের গুনাগুন বিশ্লেষণ করিয়ে তাকে বুঝানো যাবেনা।খাবার দিয়ে তার কোন স্বপ্ন পুরণের আশ্বাস দিতে হবে।
একটা ঘটনা বলি- আমার এক বড় ভাইএর ছেলে গুলশান স্কালষ্টিকার ছাত্র।মেধায় ভালো হলেও মেদের দিক দিয়ে সে একেবারেই শূন্য। এই নিয়ে সেই বড়ভাই আর ভাবির চিন্তার শেষ নেই, ছেলে শুকনো এই চিন্তার থেকে বড় চিন্তা হলো মান সন্মানের ,কারণ সন্তান শুকনো মানে হলো মা বাবা খাবারে কৃপণ এমন ভাব প্রকাশে ইতস্ত হয়েই সন্তানের না খাওয়ার রুচির কথা সবার আগে উঠে আসে আড্ডায়। সে যাইহোক আমার সাথে দেখা হয়ে গেলো সেই বড় ভাইয়ের, আমার অফিস ঐ স্কুলের আশে পাশেই ছিলো, কেমন আছেন ভাইয়া জানতে চাইলে দীর্ঘশ্বাস - আর বলিসনা বাঘ ছেলেটারে নিয়ে পারিনা, একদমি খেতে চায়না, মায়ের হাতে মার খেয়ে আরো অবস্থা শেষ। বড় ভাইটা বেশ লম্বাচওড়া। আমি হুট করেই বললাম সাজিদ কে, তুমি কি তোমার বাবার মত বা আমার মত লম্বা হতে চাও, সে নেচে উঠেই উত্তর- হ্যা আন্কেল আমি হতে চাই, বল কি করতে হবে,আমি বললাম বেশি কিছুনা বাবা তোমাকে শুধু প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করতে হবে আর কিছু ফল,সাথে তোমাদের বাসায় তোমার আম্মু যা দিয়ে থাকেন যতটা পারো তবে দুধ আর ফল অবশ্যই, তখন সাজিদ আমাকে বললো -ওকে আন্কেল আজকে তুমি যা যা বললে আমি খাবো, কালকে যদি আমি লম্বা না হই,তাহলে আর খাবোনা, আমি তখন বললাম আমি তোমার এই শর্তে রাজি, তখন আমি আমার কোমড়ের বেল্ট কিছুটা উঠিয়ে দিয়ে বললাম তুমি আমার পাশে দাড়াও, আজকে মেপে রাখি তুমি কতটুকু, তারপর কাল আমি এসে দেখবো তুমি আমার বেল্টের উচ্চতা ছাড়িয়ে গেছো,
পরদিন ক্লাস থেকে বের হয়েই আমার জন্য ওয়েট করছে,সে মেপে দেখবে সে লম্বা হয়েছে কিনা, আমি তার সামনে যাওয়ার আগে আমার বেল্ট স্বাভাবিক থেকে কিছুটা নামিয়ে দিলাম, সে আমার পাশে দাড়িয়ে দেখলো সত্যি আজকে সে আমার বেল্ট ছাড়িয়ে গেছে, বড়ভাই বললো এতাট হ্যাপি তাকে আর কখনো দেখা যায়নি। সেই থেকে সাজিদের খাওয়া শুরু। বছর তিন পর একদিন সেই বড়ভাই এর ফোন,বাঘ এবার উল্টো কিছু কর,সাজিদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে।
শিশুদের প্রতি মনযোগী হতে হবে।তাদের সাথে যুক্তি আর প্রমাণ নিয়ে দাড়ান, তারা প্রমাণে বিশ্বাসী।
আরেক বড় ভাইয়ের বাসায় গিয়ে দেখি তিন সন্তানের হাতে ৩টা আপেল, কিন্তু ছোট জনের আবদার হলো তার দুটো লাগবে,কিন্তু বড়রা দিবেনা,এই দিকে ঐ ভাবিটা খুব ধমক দিচ্ছে,মারতে যাচ্ছে। ঘরে আর আপেল নেই, তিনটাই ছিলো, আমি ছোট জনের হাত থেকে আপেলটা নিয়ে কেটে দুই ভাগ করে দুটো করে দিলাম,ছোট জন মেনে নিলো,তার আবদার ছিলো তাকে দুটো দিতে হবে,সেটা ভাবির মাথায় ধরেনি, তিনি ছোট জনকে শান্ত করতে একবার বড় জনের কাছে যায় আবার মেজ জনের কাছে যায় আপেল নিতে,না পেয়ে ছোট বাচ্চার গায়ে হাত তুলে বসলো,
আমার ভাগিনা,গেম ছাড়া আর কিছুতেই তার মনযোগ নেই, এই নিয়ে সবার বকাঝকা মার লেগেই থাকে, সে মার খেয়ে না কেঁদে গেম নিয়েই মেতে থাকে, আপুর রীতিমত কান্না করে, আমি ব্যস্ত থাকি বলে আমাকে বলেনা, আর সে জানে যে আমি কখনোই ওদের ধমক দিয়ে কিছু বলতে পারবোনা,সুতরাং বলে লাভ নেই, একদিন বললো বাঘ আমাকে একটা বুদ্ধি দে আমি কিভাবে ওদের গেম থেকে সরাই, আমি বললাম তোমাকে কিছু করতে হবেনা, আমি করছি, আমি উল্টো তাকে নিয়ে গেম খেলতে বসে যেতাম, বিশেষ করে ছুটির দিন,সে টায়ার্ড হয়ে উঠে যেতে চাইতো, আমি দিতামনা, আপুতো আফসোস করে বলেই ফেললেযে বাঘকে কি করতে বললাম আর সে কি করছে, আগে দিনে ১০ ঘন্টা খেলতো এখহন সে আরো ৫ ঘন্টা যোগ করে দিয়েছে,আমি তাকে পড়তে দিতামনা, পড়া থেকে তুলে এনে গেমে বসিয়ে দিতাম,পরিস্থিতি এমন করে ফেলেছি যে সে আমাকে আর গেমকে দুটোকেই ভয় পেতে শুরু করলো, গেমসের প্রতি চরম বিরক্তি এনে আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি।
এইভাবেই আমাদেরকে শিশুদের নিয়ে ভাবতে হবে, আঘাৎ কিংবা শাষণ কোন ভাবেই শিশুদের জন্য মঙ্গল জনক নয়।
সবার জন্য শুভ কামনা
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০১
ধমনী বলেছেন: এটা একটা পোস্ট হিসেবে দিলে সবাই উপকৃত হতো। ধন্যবাদ বাঘ মামা।
২৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৯
বাঘ মামা বলেছেন: পোস্ট দেয়ার মত এমন কিছু আমি লিখতে পারিনা,তাছাড়া আমার কাছে পোস্টের চেয়ে মন্তব্য বেশি কার্যকর মনে হয়, আমি যদি একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট দেই সেখানে নানা ধরণের পাঠক আসবে, আমার পোস্ট সকলের জন্য হয়ে উঠবেনা,কিন্তু কোন শিরোনামে যদি আমি মন্তব্য করি তাহলে ঐ শিরোনামের বিষয় বস্তুর পাঠক এবং লেখক সেখানে মিলিত হবে, আমার কথা গুলো তার জন্যই যে এই বিষয়ের উপর জানতে বলতে বুঝতা বোঝাতে আগ্রহী।
যেমন ধরুন আপনার এই পোষ্টএর বিষয় বস্তু আমার ভালো লেগেছে আমি আসছি, এবং এখানে যারা আসছে তারা এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েই এখানে মন্তব্য করেছে,আর আমিও আমার জানা থেকে দুটো কথা তুলে ধরেছি তাদের জন্যই যারা এই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী।
আপনার পরের পোষ্ট পড়েছি বাসায় আসার পথে,সেখানেও কিছু বলতে ইচ্ছে করছে,যতটুকু আমার বোধের মধ্যে ভেসে উঠবে।
শুভ কামনা সব সময়
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
ধমনী বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি যে শিরোনামের পোস্ট দিবেন সে শিরোনামের বিষয়ে আগ্রহী পাঠক আপনার পোস্ট অবশ্যই পড়ার কথা।
আপনার এ মন্তব্য পূর্বের পাঠক/ মন্তব্যকারীরা দেখবে না। পরবর্তীরা হয়তো দেখবে।
আপনার পোস্ট পেলে সামু আরো সমৃদ্ধ হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০
প্রামানিক বলেছেন: এ ব্যপারে মনে রাখা দরকার- হাদীসে জন্তু জানোয়ারকেও মুখে আঘাত করতে নিষেধ করা হয়েছে। অপরাধ বোঝার পর বাবা মায়ের কষ্টকর মুখভঙ্গিই অনেক সন্তানের জন্য 'পর্যাপ্ত শাস্তি' হয়ে যায়। যেসব সন্তানের উপলব্ধি ও অনুভূতি দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনায় শারিরীক শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ