নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধমনীর মাধ্যমে হৃৎপিন্ড থেকে বিশুদ্ধ ( অক্সিজেনসমৃদ্ধ) রক্ত সারা দেহে প্রবাহিত হয়।

ধমনী

ধমনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিকে গালাগাল করে নিজেকে মহৎ প্রমাণ করা যায় না

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭


কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলেই- "আরে ভাই, আমরা বাঙালি জাতি না! সব ২ নাম্বার, চোরের জাত! কোন কাজটা ভালো করেছে দেখান!" কিংবা কেনা কাটা করতে গেলে- 'এইটা তো দেশী প্রোডাক্ট, ভরসা নাই। বিদেশী কী আছে দেখান'। এভাবেই আমরা প্রতিনিয়ত নিজেকে ছোট করছি, অপমান করছি। দেশকে বা জাতিকে অপমান করে নিজেকে বড় মনে করছি। এক ধরণের নোংরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি নিজের শেকড়ের অবমাননা করে। এ মানসিকতা আমাদের ছিল না। যুগে যুগে বিদেশীরা আমাদের শাসন করেছে, শোষণ করেছে, লুট করেছে। তাদের প্রতি আমাদের ভক্তি-শ্রদ্ধা তৈরী করার চেষ্টা করেছে। অনেক জাতির প্রতি, দেশের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জন্মেছেও। কিন্তু ইংরেজরা সর্বশেষে আমাদের মনে নিজেদের সম্পর্কে হীনম্মন্যতা জাগানোর চেষ্টায় সফল হয়েছে। আমাদের কেরানিগিরির শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে স্যার বলার মাধ্যমে মেকী শ্রদ্ধা করতে শিখিয়েছে। সব ক্ষেত্রে আমাদের জাতিকে শোষণ করে নিজেদের মধ্যে আত্মবিদ্বেষী মনোভাব তৈরী করে রেখে গেছে। তার ফলাফল এখনো আমরা পাচ্ছি। অথচ আমরা সত্যিকারার্থে হীন/ সংকীর্ণ/অসভ্য/দরিদ্র জাতি ছিলাম না কোন কালে। যুগে যুগে খ্যাতনামা পর্যটকবৃন্দ এ দেশের মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন নি। বরং তাদের মন্তব্য পড়লে এখনো আনন্দে বুক ভরে যায়। চলুন আবহমান বাঙালি জাতির কিছু বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করা যাক-
. নৈতিকতা- আমাদের নৈতিক অবস্থান সর্বকালেই ভালো ছিল। অনেক ব্যখ্যায় না গিয়ে সহজ উদাহরণ হলো বাঙলায় আগমনকারী নবী/ প্রেরিত পুরুষের সংখ্যা খুবই কম বা অজ্ঞাত। কেউ কেউ বুদ্ধ এবং শ্রীকৃষ্ণকে নবী/অবতার বলতে চান। তবে সে ব্যপারেও সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। অথচ আমরা যাদের ধর্মের দিক থেকে শ্রদ্ধা করি সে আরবরা বহু নবীকে হত্যা করেছে। স্রষ্টা তো অসভ্যদের সভ্য করার জন্যই নবী বা অবতার পাঠান! সুতরাং বলা যেতে পারে সৃষ্টিকর্তা বাঙালির নৈতিক চরিত্রকে পছন্দ করেই বেশি নবী পাঠানোর প্রয়োজন বোধ করেননি।
২. কৌতুহলী- মাটি কাটুক আর দালানে রঙ করুক, লক্ষ্য করলে দেখবেন কিছু মানুষ খুব আগ্রহ ভরে তাকিয়ে আছে। কীভাবে কাজ করছে ওরা; এটাই তাদের কৌতুহল। আর কৌতুহলী মানুষ মাত্রই মনোযোগী। আর তাই দেখা যায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই সাধারণ মানুষ অনেক ধরণের কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলে। সে কৌতুহলকে সুবিন্যাস্ত করতে পারলে যোগ্যতা নিপুণ দক্ষতায় পরিণত করা সম্ভব।
. পরিবার সংস্কৃতি- পরিবার ব্যবস্থা সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে একটি অনন্য নেয়ামত। পশ্চিমা তথাকথিত সভ্যতা পরিবারকে অস্বীকার করে পাশবিক সমাজে পরিণত হচ্ছে। কে কার বাবা, কে কার মা, কার ভাই বোন কয়জন এটা জানার জন্য এখন ডিএনএ টেস্টের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য মানবিক, সহানভূতিশীল পরিবেশ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে তারা। কিন্তু এখনো বাঙালিরা দেশে হোক আর বিদেশেই হোক ঝগড়া ঝাটি আর খুনসুটির পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ফলে সন্তানের সামাজিক বেড়ে ওঠা এখনো অনেকাংশে অব্যাহত আছে।
৪. সহানুভূতি- আমরা পরস্পরের প্রতি অনেকটাই সহানুভূতিশীল। আত্মীয় স্বজন মারা গেলে কান্না করার জন্য জাপানীদের মত ভাড়া করা লোক আনতে হয় না। পরস্পরের সহযোগিতার হাত বাড়াতে এখনো আমরা বিশ্বাসকেই মূল্য দেই, নিজের লাভ-ক্ষতিকে নয়।
৫. মেধা- আমাদের মেধার প্রমাণ দেখতে গিয়াস লিটন ভাইয়ের পোস্টগুলো পড়লেই হবে। তবে অনেকাংশে বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন দেশে না হওয়ায় বিদেশে এর প্রয়োগ এবং বিকাশ বেশি হচ্ছে।
৬. পরিশ্রমী- সূর্যোদয়ের সাথে ঘুম থেকে উঠে চাষবাসের জন্য পান্তা খেয়ে বেরিয়ে যাওয়া আমাদের দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য। বাঙলা দিনপঞ্জিতেও তারিখ শুরু হয় সূর্যোদয় থেকে। কাজকে ভালো বাসতে পারলে আমরা দীর্ঘ সময় পরিশ্রম করতে পারি। বিদেশে আমাদের শ্রমিকদের চাহিদার একটি বড় কারণ পরিশ্রমপ্রিয়তা।
৭. প্রকৃতির সাথে অন্তরঙ্গ- ষড়ঋতুর পরিবর্তনের সাথে প্রাকৃতির দূর্যোগের নিয়মিত শিকার আমাদের এ আবাসভূমি। যুগে যুগে বাঙালিরা তাই প্রকৃতির বিরুপ আচরণের সাথে যুদ্ধ করে নিজেদের সক্ষমতাকে সমৃদ্ধ করেছে। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় যাই আসুক আমাদের প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর নবীনদের উদ্যমের কাছে হার মেনে যায়। সাময়িক ক্ষতি হয় ঠিকই কিন্তু তাতে করে আমাদের জীবন প্রবাহ থেমে থাকেনি কখনো।
. উদার অতিথিপরায়ন- আমরা সব যুগেই অতিথিকে সম্মান দিয়ে এসেছি। সভ্যতা আর অনন্য ব্যক্তিত্ববোধের পরিচয় অতিথিপরায়ণতা। এখনো আমরা সে উদারতাকে ধরে রেখেছি। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাথে আত্মীয়তার বন্ধন তৈরী করতেও আমরা অনেক অগ্রসর।
৯. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি- বাঙালি জাতিসত্ত্বায় হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম যা-ই থাকুক সবার মধ্যে সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক বজায় ছিল। সেকারণে কবি নজরুলও বলেছিলেন-
মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান
মুসলিম তার নয়ন মণি হিন্দু তাহার প্রাণ
কিন্তু ডিভাইড এন্ড রুল পলিসির মাধ্যমে দাঙ্গা-রায়ট লাগানো শুরু হয়। এখনো সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উসকানি দিয়ে যায় দাঙ্গাবাজ গোষ্ঠী।
১০. সাহসী- যেকোন মহৎ কাজ করতে গেলে সাহসের প্রয়োজন হয়। আমাদের জাতি সাহসী জাতি। প্রমাণ চান? বিশাল মুঘল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বারো ভূঁইয়ার ঈসা খাঁর যুদ্ধ, কামানের সামনে বাঁশের কেল্লার তিতুমীরের যুদ্ধ ইত্যাদি। অবাক বিষয় হচ্ছে পুরো ভারতবর্ষ ইংরেজদের শোষণের শিকার হলেও ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল এই বাঙলা। ইংরেজদের নির্মম নির্যাতন আর চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে নির্ভীক বাঙালি প্রতিবাদ করে গেছে অবলীলায়।


এই লেখার উদ্দেশ্য অতীত স্মৃতি রোমন্থন করে অযৌক্তিক আত্মতৃপ্তিতে ভোগা নয়। বরং নিজের জাতি সম্পর্কে হীনম্মন্যতা ঝেড়ে ফেলে নিঃসঙ্কোচে নিজেদের কর্মপর্যালোচনা করার মানসিকতা তৈরী করা। আমাদের জাতির উত্থানের দাবি এখন বৈশ্বিক বাস্তবতা। শুধু জাতির দোষারোপ না করে নিজের করণীয়ের দিকে মনোযোগী হলে আমরা আবারো গর্বিত জাতিসত্ত্বার ধারক হতে পারবো। সেজন্য আমাদের প্রয়োজন সত্যিকারের জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ উদার রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নির্মোহ প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব।
( সপ্তম বাংলা ব্লগ দিবস সাময়িকীর জন্য তাড়াহুড়ো করে তৈরী তাৎক্ষণিক পোস্ট)

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

মাকড়সাঁ বলেছেন: তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
শুভেচ্ছা। ভাল লাগা রইল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ঠিক বলেছেন| হীনমন্মতায় ভুগেই জাতি আধমরা হয়ে গেল

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

ধমনী বলেছেন: খাসা কথা বলেছেন।

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সব কথার আসল কথা এটাই

শুধু জাতির দোষারোপ না করে নিজের করণীয়ের দিকে মনোযোগী হলে আমরা আবারো গর্বিত জাতিসত্ত্বার ধারক হতে পারবো।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১

ধমনী বলেছেন: আপনি মনোযোগী পাঠক। ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। কিছু কথা জানা ছিলো না। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

ধমনী বলেছেন: উল্টা দূরবীনে পোস্টটি ধরা পড়ায় আনন্দিত। ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট , অনেক কিছু জানা হল ।
ইদারনিং অনেকেই দেখছি লিখায় প্যারা করছেন না । নতুন কোন ধারা কিনা বুঝতেছিনা !

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। আমি তো প্যারা করেই লিখি। এটা পয়েন্টভিত্তিক হওয়ায় এভাবে লিখেছি।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালো পোস্ট। নিজে নিজেদের সম্মান না দিলে অনরা দিবে কি? নানা ব্যাপার বেশ ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন, যা আমাদের গর্বের ব্যাপার। অন্যদেরও আমাদের সম্মান দিয়েই কথা বলা উচিত। নাহলে আমরা রেন্ডিয়া বলবো, ইন্ডিয়ানরা বলবে কাংলাদেশ, এইসব কোন সুস্থ্য চর্চা না।

শুভকামনা রইলো। :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

ধমনী বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

বাংলার জামিনদার বলেছেন: ভাই একটা গুনের কথা কিন্তু লিখেন নাই। আমরা প্রচন্ড লোভি, বেশি কিছু না করেই সর্টকাটে বড়লোক হবার চেষ্টা বা স্বপ্ন চলে দিনরাত। এবং প্রচন্ড হিংসুটে, কেউ খাবে কেউ খাবেনা, তা হবেনা, আমাদের অতি প্রিয় জাতীয় স্লোগান।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

ধমনী বলেছেন: এ ধরণের গুণ(!) শুধু আমাদেরই না, অনেক জাতিরই অাছে। তবে এসব গুণ(!) বর্জন করা আবশ্যক। ধন্যবাদ জমিদার সাহেব।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দিয়েছন মাত্র। পর্যালোচনা কোথায় ? হুম। তাড়াহুড়ো করে/ তাৎক্ষণিকভাবে এত গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে নেই, ধমনী। আমার ভাল লেগেছে আপনার লিখার নামটি- “জাতিকে গালাগাল করে নিজেকে মহৎ প্রমাণ করা যায় না” খুব সত্যি কথা।

শুভ কামনা রইলো।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

ধমনী বলেছেন: আসলে বড় পোস্ট লেখার ধৈর্য্য এখনো তৈরী হয়নি। এ পোস্টটি তাড়াহুড়ো করেই লেখা। যদিও প্রতিটি পয়েন্টই আলাদা পোস্টের দাবি রাখে। নতুন ব্লগার তো!
দোয়া করবেন। মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমি অন্ধবিন্দু ভাইয়ের মতামতের সাথে একমত।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

ধমনী বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত কান্ডারি ভাই।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: শুধু জাতির দোষারোপ না করে নিজের করণীয়ের দিকে মনোযোগী হলে আমরা আবারো গর্বিত জাতিসত্ত্বার ধারক হতে পারবো। সেজন্য আমাদের প্রয়োজন সত্যিকারের জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ উদার রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নির্মোহ প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব। -- ঠিক তাই , চমৎকার লিখেছেন আপনি!!!
অসংখ্য ধন্যবাদ!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৪

ধমনী বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাল পোষ্ট! লেখাটায় অবশ্য তাড়াহুরোর ছাপ ছিল - বুঝাই যায়, তাড়াহুড়তে ছিলেন। :)

বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন আমাদের। কিছু কিছু বেশ কৌতুককর মাধ্যমে। সব মিলিয়ে ভাল লেগেছে।
৬ষ্ঠ প্লাস।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৫

ধমনী বলেছেন: কৌতুক করলাম কোথায়? পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: জাতিকে গালাগালি করে কেউ মহৎ হতে পারে না - সহমত এই কথাটিতে , তবে জাতির ভালো এবং খারাপ দুই দিকই তুলে ধরতে হবে । কারণ ভালো দিক গুলো শুনে জাতি উৎসাহ পাবে এবং আত্মবিশ্বাসী হবে । অপর দিকে খারাপ দিক গুলো জেনে জাতি নিজ নিজ খারাপ দিক গুলো শুধরে নেবে ।

আপনার লেখার পসিটিভ দিকটা ভালো লেগেছে । কিন্তু এটাও খেয়াল রাখতে হবে বেশী বেশী ইতিবাচক হলে জাতি ওভার কনফিডেন্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেটা কিনা উন্নতির চাবিকাঠি নয় । আমি আসলে যেকোনো জিনিস খুব ক্রিটিকালি এনালাইসিস করতে পছন্দ করি , তাই কথা গুলো বললাম ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকুন ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

ধমনী বলেছেন: শেষের প্যরায় লেখা আছে- এই লেখার উদ্দেশ্য অতীত স্মৃতি রোমন্থন করে অযৌক্তিক আত্মতৃপ্তিতে ভোগা নয়। বরং নিজের জাতি সম্পর্কে হীনম্মন্যতা ঝেড়ে ফেলে নিঃসঙ্কোচে নিজেদের কর্মপর্যালোচনা করার মানসিকতা তৈরী করা
মনোযোগী পাঠক হওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯

সুলতানা রহমান বলেছেন: অনেক দিন রচনা পড়িনি। ছোটবেলায় ভূমিকা, ……
উপসংহার ……
বাঙালির বৈশিষ্ট্য উঠে আসছে। খারাপ দিক, ভাল দিক।
ভাল লেগেছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সেই পর্যালোচনাটাই আরও একটু আশা করেছিলাম , তবেই পাঠক হিসেবে আরও একটু তৃপ্তি পেতেম । সে যাই হোক আপনার পজেটিভ স্টেমিনা পছন্দ হয়েছে । তাই পোস্টে + রেখে গিয়েছিলাম আগেই ।

অনেক ধন্যবাদ প্রতিউত্তরের জন্য ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

ধমনী বলেছেন: আমি B +ve গ্রুপের তো, তাই!

১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখার অ্যাপ্রোচটা ভালই। তবে জাতির মানসিক উন্নয়ন না আনলে কোনভাবেই চলছে না। অন্ধবিন্দু ও গুলশান আপুর সাথে সহমত।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪

ধমনী বলেছেন: তবে জাতির মানসিক উন্নয়ন না আনলে কোনভাবেই চলছে না।
- সেজন্যই অ্যাপ্রোচে পরিবর্তন আসা দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২

নিমগ্ন বলেছেন: পোস্টের অনেকাংশে সহমত...........

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৭

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার উপড়ে উল্লেখিত বিশেষ গ্রুপটি সম্পর্কে আমি অবশ্য জানি না , তবে মনে হচ্ছে , আপনি যেহেতু ঐ গ্রুপের , নিশ্চয়ই পজেটিভ কিছুই হবে হয়তো । অথবা ব্রেভ জাতিয় কিছু একটা । :)

আর , আমি মনে হয় P+ve আর N+ve এর মাঝামাঝি কিছু একটা হবো হয়তোবা ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১০

ধমনী বলেছেন: অবশ্যই জানেন। আমি রক্তের গ্রুপের কথা বলেছি আপু। :)

১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

অনিক০০৭ বলেছেন: সহমত। আমাদের হীনমন্যতাই আমাদের সবচাইতে বড় শত্রু।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

সম্পূর্ণ একমত। সংক্ষেপে বললেও এবিষয়ে যা বলার আপনিই বলে দিয়েছেন।

নিজের জাতি সম্পর্কে আপনার দৃঢ় অবস্থানকে সাধুবাদ জানাই।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

ধমনী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা। নিজের জাতি সম্পর্কে ভালো কথা বলতে ও শুনতে কার না মন চায়?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

ধমনী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো পোস্ট।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

ধমনী বলেছেন: আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ।

২২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন: বাঙ্গালিরা আবেগ দিয়েই জয় করে স্বাধীনতা, ভালোবাসা, পরিবার, বিশ্ব ও সমাজ। বাঙ্গালরা ব্যতিক্রম। সহমত।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

ধমনী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: Make sure you don't start seeing yourself through the eyes of those who don't value you. Know your worth even if they don't.
Excellent saying,

লেখা চমৎকার হয়েছে।নিজেদের উজ্জ্বল অতীত বা গৌরবোজ্জ্বল দিক জানতে কার না ভালো লাগে।সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সুন্দরভাবে আলোচিত হয়েছে

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.