নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধমনীর মাধ্যমে হৃৎপিন্ড থেকে বিশুদ্ধ ( অক্সিজেনসমৃদ্ধ) রক্ত সারা দেহে প্রবাহিত হয়।

ধমনী

ধমনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজে না হয় ফেল করেছি, কষ্ট তেমন হয়না X(( বন্ধুটা যে ফার্স্ট হয়েছে সেই জ্বালা যে সয় না

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৩


হাকিম সাহেব অফিসে পৌছে একটি চিঠি পেলেন। তাতে ছিলো তার বেতন বৃদ্ধির সুসংবাদ। তিনি পরম আনন্দে অফিস করতে থাকলেন। একে ওকে ফোন করে জানাতে লাগলেন। দুপুরে খাবার টেবিলে দেখা হলো কলিগদের সাথে। সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু হাফিজকে জানালেন তার আনন্দের সংবাদটি। হাফিজ সাহেব খুশি হয়ে জানালেন যে তারও বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। সেই সাথে তার পদোন্নতিও হয়েছে। ক্ষণিকের মধ্যে হাকিম সাহেবের মনের গভীরে চিন চিন কষ্ট দেখা দিলো। কথাবার্তার শুরুতে যতটা হাসিখুশি ছিলেন শেষের দিকে এসে তা চুপসে গেল। হাকিম সাহেবের সফলতার উচ্ছল আনন্দ হারিয়ে গেলো তার বন্ধুর অধিক সফলতার খবরে। এরই নাম পরশ্রীকাতরতা
এটি বিভিন্ন পর্যায়ে হয়। যেমন- ছেলে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে শুনে বাসায় মিষ্টি খাওয়ালেন। পরে ফোনে জানতে পারলেন যে বন্ধুর ছেলে গোল্ডেন ফাইভ পেয়েছে। খুশির স্রোত মূহুর্তে থমকে যায়। আবার যেমন, নিজের মেয়ে হয়েছে। বন্ধুরও মেয়ে হয়েছে। যখন তুলনা হয় যে বন্ধুর মেয়েটি একটু বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে তখনই অন্তর্দহন শুরু। আমাদের স্বাভাবিক আনন্দ এবং সুখের বড় শত্রু এই পরশ্রীকাতরতা।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আমাদের সম্পর্কে বলা আছে- আমাদের বাঙালির মধ্যে দুইটা দিক আছে। একটা হলো আমরা মুসলমান, আর একটা হলো আমরা বাঙাালি। পরশ্রীকাতরতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধ হয় দুনিয়ার আর কোন ভাষায়ই এই কথাটা পাওয়া যাবে না ‘পরশ্রীকাতরতা’। পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয়, তাকে ‘পরশ্রীকাতর’ বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষায়ই পাবেন, সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয় না। এজন্যই বাঙালির সকল রকম গুণ থাকা সত্ত্বেও সারা জীবন অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। সুজলা সুফলা বাংলাদেশ সম্পর্দে ভর্তি। এমন উর্বর জমি দুনিয়ায় খুব অল্প দেশেই আছে। তবুও এরা গরিব। কারণ যুগ যুগ ধরে এরা শোষিত হয়েছে নিজেদের দোষে। নিজকে এরা চেনে না, আর যতদিন চিনবে না এবং বুঝবে না ততদিন এদের মুক্তি আসবে না।
বাঙালির বড় দোষ পরশ্রীকাতরতা। এটা নিয়ে কৌতুক আছে যে, এক লোক নরকে ভ্রমণ করতে গেছে। সে দেখলো নরকের অধিবাসীরা বিভিন্ন গর্তে পড়ে আগুনে দগ্ধ হচ্ছে। তাদের গর্তের মুখে বড় বড় ঢাকনা দেয়া যাতে কেউ বের হতে না পারে। কিন্তু বাঙালীদের গর্তে কোন ঢাকনা নেই। সে আশ্চর্য হয়ে নরকের প্রহরীকে জিজ্ঞেস করলো যে কী ব্যপার? বাঙালীরা তো বের হয়ে পালিয়ে যাবে! নরকের প্রহরী বললেন- দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এদের কেউ উপরে উঠতে চাইলে অন্যরা তাকে নিশ্চিত টেনে নামাবে।
পরশ্রীকাতরতা আমাদের কী দেয়? এটি প্রথমত, আমাদের শান্তি নষ্ট করে। নিজের কাজে মনোযোগ নষ্ট করে। অস্থিরতার জন্ম দেয়। এর ধারাবাহিকতায় অনেক ক্ষেত্রে কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়েন। কিন্তু যার ব্যপারে আমি কাতর, সে ঠিকই শান্তিতে আছে। তার প্রমোশনে আমার ঘুম নেই, কিন্তু সে হয়তো নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে। আমার এই কষ্ট তাকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করছে না।
দ্বিতীয়ত, সম্পর্কে দূরত্ব তৈরী করে। সেই বন্ধু বা নিকটজনকে পরবর্তীতে দেখা হলে টিকা টিপ্পনী- আরে ভাই, আপনি তো এখন বড় অফিসার। এখন কি আপনার দেখা পাওয়া যাবে সহজে? এ কথাটা তাকে শ্রদ্ধা করার জন্য নয়, নিজের কষ্টটাকে তির্যক মন্তব্যে প্রকাশ করা হলো মাত্র। মনের দূরত্ব হয়ে গেছে আপনার পক্ষ থেকে। তার পক্ষ থেকে আচরণের পরিবর্তন না হলেও, পরশ্রীকাতরতার কারণে আপনিই অস্বস্তি অনুভব করবেন তার সাথে মিশতে গেলে।
তৃতীয়ত, শত্রুতার মানসিকতা সৃষ্টি করে। টিকা টিপ্পনী দিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে তার কী কী খারাপ স্বভাব আছে সেটির আলোচনা হয়। তারপর, তার পরবর্তী উন্নতি ঠেকাতে কোন ধরনের চাল চালতে হবে তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
অবশ্য আমরা নিজের স্বভাবে যতটা না পরশ্রীকাতর হই, তার চেয়ে বেশি হই পরিবেশের প্রভাবে। অর্থাৎ বাসায় স্ত্রী যখন টিটকারি দেয়- অমুক ভাইয়ের পদোন্নতি হয়, তোমারটাই শুধু হয় না। কিংবা সন্তানকে যখন বলা হয়- করিম সাহেবের ছেলে ফার্স্ট হলো, তুমি সারাদিন কী লেখাপড়া করো? ফার্স্ট হতে পারো না! অনেক ক্ষেত্রে বন্ধুমহল এমনকি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী যেমন ড্রাইভার/পিয়নও টিটকারী করে বা সেই স্যারের সুনাম গেয়ে আপনাকে পরশ্রীকাতর করে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত- প্রশংসা বা পরনিন্দায় প্রভাবিত না হওয়াটা ব্যক্তিত্বের পরিচয়।
আমাদের উচিত পরশ্রীকাতরতার পরিবর্তে কাজের মান ও গুণের প্রতিযোাগিতায় লিপ্ত হওয়া। পরশ্রীকাতরতা এবং প্রতিযোগিতার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে একটি ইতিবাচক এবং অন্যটি নেতিবাচক। রেসে একজন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলার দু ধরণের পদ্ধতি আছে। একটি, নিজের দৌড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। অন্যটি, কোনরুপ ষড়যন্ত্র করে তাকে পেছনে ফেলা। একটি ইতিবাচক প্রক্রিয়া, অন্যটি নেতিবাচক।
এক্ষেত্রে চক ডাস্টার পরীক্ষাটি উল্লেখ করা যায়। শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে একটি লম্বা দাগ টানলেন। তারপর একজন ছাত্রকে ডেকে চক এবং ডাস্টার তার হাতে দিয়ে বললেন- দাগটাকে ছোট করো। ছাত্রটি নিশ্চিন্ত মনে ডাস্টার দিয়ে দাগটির কিছু অংশ মুছে দিলো। শিক্ষক তখন বললেন- এটিকে ছোট করার অন্য কোন উপায় কি নেই? তিনি দাগটির পাশে আরেকটি বড় দাগ দিলেন। তারপর আগের দাগটি দেখিয়ে বললেন ‘এখন এটা কি বড় নাকি ছোট’? ছাত্ররা বললো- ‘ছোট’। তখন তিনি সে ছাত্রকে বললেন- ‘আমিতো তোমাকে চক ডাস্টার দুটোই দিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি গঠনমূলক চিন্তা করতে পারোনি’।
স্রষ্টা আমাদেরকেও চক এবং ডাস্টার দুটোই দিয়েছেন। আমরা কোনটা প্রয়োগ করবো সেটা আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে।

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্রষ্টা আমাদেরকেও চক এবং ডাস্টার দুটোই দিয়েছেন। আমরা কোনটা প্রয়োগ করবো সেটা আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে।

সুন্দর বলেছেন।

সকলেই হোক পরশ্রীকাতরতা মুক্ত।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

ধমনী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভৃগু ভাই। কেন অকারণ পরের সুখে নিজের সুখ নষ্ট করা!

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

এযুগেরকবি বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। আপনার কবিতা চোখে পড়ে কম। বেশি লিখলে ভালো হয়।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

কল্লোল পথিক বলেছেন: স্রষ্টা আমাদেরকেও চক এবং ডাস্টার দুটোই দিয়েছেন। আমরা কোনটা প্রয়োগ করবো সেটা আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে।
চমৎকার বলেছেন।ধন্যবাদ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩০

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: নিজে না হয় ফেল করেছি, কষ্ট তেমন হয়না, বন্ধুটা যে ফার্স্ট হয়েছে সেই জ্বালা যে সয় না

হা হা......... যার নিজের কোন ক্ষমতা নেই সেই-ই শুধু ওটা বল।

লেখায় ++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয়।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

সুমন কর বলেছেন: উদাহরণ দিয়ে, ইতিহাস থেকে আর বাস্তব জীবনের বেশ কিছু ভালো কথা বলেছেন পরশ্রীকাতরতা নিয়ে। এর জন্যই আমরা আজ এতো পিছিয়ে আছি !!! বন্ধু, আত্মীয় কিংবা কলিগদের কাছ থেকেই এ বিষয়ে তিত্ত অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।

নরকের প্রহরী বললেন- দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এদের কেউ উপরে উঠতে চাইলে অন্যরা তাকে নিশ্চিত টেনে নামাবে।


+।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

বনমহুয়া বলেছেন: হাকিম সাহেব অফিসে পৌছে একটি চিঠি পেলেন। তাতে ছিলো তার বেতন বৃদ্ধির সুসংবাদ। তিনি পরম আনন্দে অফিস করতে থাকলেন। একে ওকে ফোন করে জানাতে লাগলেন। দুপুরে খাবার টেবিলে দেখা হলো কলিগদের সাথে। সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু হাফিজকে জানালেন তার আনন্দের সংবাদটি। হাফিজ সাহেব খুশি হয়ে জানালেন যে তারও বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। সেই সাথে তার পদোন্নতিও হয়েছে। ক্ষণিকের মধ্যে হাকিম সাহেবের মনের গভীরে চিন চিন কষ্ট দেখা দিলো। কথাবার্তার শুরুতে যতটা হাসিখুশি ছিলেন শেষের দিকে এসে তা চুপসে গেল। হাকিম সাহেবের সফলতার উচ্ছল আনন্দ হারিয়ে গেলো তার বন্ধুর অধিক সফলতার খবরে। এরই নাম পরশ্রীকাতরতা।


এই পরশ্রীকাতরতা সকল ধ্বংসের মূল।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

ধমনী বলেছেন: হুমম..
পড়ার জন্য ধন্যবাদ কবি।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পরশ্রীকাতরতার মূলোৎপাটন বোধহয় সম্ভব না । এটা অামাদের শিরা-উপশিরায় জড়িয়ে অাছে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

ধমনী বলেছেন: মূলোৎপাটন না হোক ডাল পালা তো ছেটে ফেলা যায়।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের বাঙালির মধ্যে দুইটা দিক আছে। একটা হলো আমরা মুসলমান, আর একটা হলো আমরা বাঙাালি। পরশ্রীকাতরতা এবং বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে। বোধ হয় দুনিয়ার আর কোন ভাষায়ই এই কথাটা পাওয়া যাবে না ‘পরশ্রীকাতরতা’। পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয়, তাকে ‘পরশ্রীকাতর’ বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সকল ভাষায়ই পাবেন, সকল জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয় না। এজন্যই বাঙালির সকল রকম গুণ থাকা সত্ত্বেও সারা জীবন অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। সুজলা সুফলা বাংলাদেশ সম্পর্দে ভর্তি। এমন উর্বর জমি দুনিয়ায় খুব অল্প দেশেই আছে। তবুও এরা গরিব। কারণ যুগ যুগ ধরে এরা শোষিত হয়েছে নিজেদের দোষে। নিজকে এরা চেনে না, আর যতদিন চিনবে না এবং বুঝবে না ততদিন এদের মুক্তি আসবে না।

এই কথার সাথে শতভাগ সহমত।
তাদের জন্য করুণা হয়। নিজের জীবনের কথা বাদ দিয়ে অন্যের পিছনে লেগে থাকে, আর নিজের জীবনে চিরকাল মস্তবড় একটা জিরো লেগে থাকে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ রুহী আপা।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: পরশ্রীকাতরতা আমাদের দেশের জন্য এক প্রকার দূরারোগ্য ব্যাধির মত, যার আরোগ্য লাভ হয় শুধুমাত্র নিজস্ব চিন্তাধারাকে ইতিবাচকে পরিবর্তন করার মাধ্যমে । এই ব্যাধি স্বাধীনতার মধ্যেও মানুষকে পরাধীন করে রাখে ।

লেখাটা ভাল লেগেছে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০

ধমনী বলেছেন: দারুণ বলেছেন আপনি।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

আরজু পনি বলেছেন:

পরশ্রীকাতরতা ব্লগে বেশি দেখা যায় :P

সৃষ্টিকর্তা যেনো পরের শ্রী দেখে আমাকে কাতর না করেন...আমিন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩৮

ধমনী বলেছেন: পরশ্রীকাতরতা পরিবেশ পেলেই জেগে ওঠে।
করুণাময় আমাদের বাজে স্বভাবগুলো দূর করে দিন। আমীন।

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
লেখাটা পড়ে মজাও পেলাম। চমৎকার উপস্থাপনা

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৭

ধমনী বলেছেন: একান্ত ধন্যবাদ রাখাল ভাই।

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: পরশ্রীকাতরতা নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী একটা পোস্ট! তবে আমার যতটুকু মনে হয় বর্তমান সময়ে আমাদের পরশ্রীকাতরতার চেয়ে হিংসাটাই বেশি! আমরা একজনের উন্নতি আর একজন সহ্য করতে পরিনা। কেউ আমার থেকে বেশি উন্নতি করছে বলে আমরা আফসোস করে মরি, কিন্তু চেষ্টা করলে যে আমি তার থেকেও বেশি উন্নতি করতে পারবো এই বিষয়টা আমাদের মাথায় একদমই আসে না।

চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা রইলো! শুভ কামনা জানবেন!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৮

ধমনী বলেছেন: কিন্তু চেষ্টা করলে যে আমি তার থেকেও বেশি উন্নতি করতে পারবো এই বিষয়টা আমাদের মাথায় একদমই আসে না।
--একদম খাসা কথা।

১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১১

তার আর পর নেই… বলেছেন: হিংসা আর পরশ্রীকাতরতা কি খুব বেশি আলাদা?
ভাল লাগছে আমার লেখা।
আমার নিজেরও অনেক হিংসা লাগে, যখন কেউ আমার চেয়ে বেশি জানে, যখন কেউ বেড়াতে যায় …
কিন্তু পরশ্রীকাতরতা!!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৩

ধমনী বলেছেন: কাছাকাছি। পরশ্রীকাতরতা সুনির্দিষ্ট হিংসা।
ঈর্ষা ইতিবাচক। কারো ভালো গুণের সাথে আপনি ঈর্ষান্বিত হতেই পারেন।

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

জুন বলেছেন: পরশ্রীকাতরতার মত এত নীচুতা মনে হয় মানুষের আর কোন আচরনে নাই । আমি আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ যে জীবনে কখনো কারো প্রতি হিংসা অনুভব করি নি । এটা আমি গর্ব সহকারেই বলতে পারি।
আপনার লেখাটি ভালোলাগলো ধমনী ।
+

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪

ধমনী বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা। এ মনোভাব যেন আমরাও ধারণ করতে পারি।

১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সকল বিচারে, পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্টতম জাতি হচ্ছে বাঙ্গালী-মুসলমান!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

ধমনী বলেছেন: আপনার সাথে সহমত নই।

১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: পরশ্রীকাতর ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের প্রতিবেশীর সাথে প্রতিবেশীর ঝগড়া বাধিয়ে সমাজে শান্তি নষ্ট করে ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১

ধমনী বলেছেন: হুমম।

১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

কঙ্কাল দ্বীপ বলেছেন: এই " পরশ্রীকাতরতা" মানুষের স্বাভাবিক চরিত্রেরই অংশ, অযথা শুধু বাঙালীদের উপর এই দোষ টেনে নেয়ার কোন যুক্তি দেখিনা। এমনকি আপনার লেখার হেডিংটা কিন্তু একটি বিদেশী, অবাঙালী সিনেমার ঘটনা এবং ডায়লগ থেকেই নেয়া।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

ধমনী বলেছেন: অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধুই এটা বলেছেন।
আপনি কোন সিনেমার কথা বলছেন, জানিনা।

১৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চক-ডাস্টার দিলেও লাভ নেই।

বাংলাদেশ একমাত্র হতভাগ্য দেশ।
যে দেশবাসী নিজেদের দেশকে অসম্মান করে, স্বজাতীকে নীচ করে কৌতুক বানায়।
শত্রু দেশকে খুসি করতে নিজদের শহিদের সংখ্যা কমিয়ে বলে...

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

ধমনী বলেছেন: হাসান ভাই, বাকীদের কথা বাদ দিন। আসুন আপনি, আমি, আমরা মিলে চেষ্টা করি-ভালো হতে, ভালো থাকতে।

২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ধমনী ,



আমাদের প্রায় প্রত্যেকের ধমনীতে যে পঁচা রক্তের স্রোত বহমান তা তুলে ধরেছেন কথার ছলে। এ জাতীয় "খাসলত" থেকে মনে হয় প্রায় কেউই মুক্ত নই আমরা । চক, ডাস্টার হাতে থাকলেও মনে হয় ডাস্টারটাই আমাদের খুব পসন্দ ।

সুন্দর বিশ্লেষণ ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

ধমনী বলেছেন: নাম সম্বোধন করে দু লাইন ফাকা রেখে মন্তব্য করাটা আপনার স্বাতন্ত্র্য। ভালো লাগে।

২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২২

উল্টা দূরবীন বলেছেন: আপনার উপস্থাপনা বেশ লেগেছে। সাথে লেখাটাও।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২০

কঙ্কাল দ্বীপ বলেছেন: "আপনি কোন সিনেমার কথা বলছেন, জানিনা।"
উত্তর- সিনেমা টা হিন্দি, নাম- "থ্রি ইডিয়টস"

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

প্রামানিক বলেছেন: দ্বিতীয়ত, সম্পর্কে দূরত্ব তৈরী করে। সেই বন্ধু বা নিকটজনকে পরবর্তীতে দেখা হলে টিকা টিপ্পনী- আরে ভাই, আপনি তো এখন বড় অফিসার। এখন কি আপনার দেখা পাওয়া যাবে সহজে? এ কথাটা তাকে শ্রদ্ধা করার জন্য নয়, নিজের কষ্টটাকে তির্যক মন্তব্যে প্রকাশ করা হলো মাত্র।

হিংসার কারণেই অনেক দুরুত্ব বেড়ে যায়। আপনার লেখা ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

২৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমাদের উচিত পরশ্রীকাতরতার পরিবর্তে কাজের মান ও গুণের প্রতিযোাগিতায় লিপ্ত হওয়া। পরশ্রীকাতরতা এবং প্রতিযোগিতার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে একটি ইতিবাচক এবং অন্যটি নেতিবাচক। রেসে একজন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলার দু ধরণের পদ্ধতি আছে। একটি, নিজের দৌড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। অন্যটি, কোনরুপ ষড়যন্ত্র করে তাকে পেছনে ফেলা। একটি ইতিবাচক প্রক্রিয়া, অন্যটি নেতিবাচক।

কি সুন্দর বলেছেন। ++

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৮

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।

২৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২

ত্রিশোনকু বলেছেন: বাবা বলতেন, অন্য জা্তির কেউ যখন ওপরে উঠতে থাকে তখন বাকি সবাই তাকে ঠেলে তুলে দেয় আর বাংগালীরা টেনে ধরে রাখে যাতে সে ঊঠতে না পারে।

বক্তব্যের সাথে শতভাগ সহমত।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

ধমনী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

আবু শাকিল বলেছেন: খুব ভাল ভাল কথা লিখেছেন।
অপ্রিয় বাস্তব কথা।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

ধমনী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: সেক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত- প্রশংসা বা পরনিন্দায় প্রভাবিত না হওয়াটা ব্যক্তিত্বের পরিচয়।[/si

ভাল লেগেছে। :)

তৎপর্যময় পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

ধমনী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: গৈ-গেরামের একজন সাধারণ মানুষ- এজন্যই লেখা পোস্ট করতে ভয় পাচ্ছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

ধমনী বলেছেন: কী সমস্যা?

২৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: আপনার লেখাটি বাস্তবধর্মী একটা উদহারণ। আমাদের আসে পাশের অবস্থা এরকমই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪

ধমনী বলেছেন: আপনার কাছ থেকেও লেখা চাই।

৩০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

সঠিক পথের সন্ধানী বলেছেন: ইনশাল্লাহ একটু সময় পেলেই লিখবো। কিছুদিন পর পরীক্ষা তাই লেখালেখিতে এখন একটু কম সময় দিতে চাচ্ছি। তারপরও সময় পেলে অবশ্যই লিখবো।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

ধমনী বলেছেন: সামনে পরীক্ষা থাকলে ধুমায়ে পড়েন। ব্লগিং পরীক্ষার পরে...

৩১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: আপনার বাস্তবিক লিখাটা পড়ে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

ধমনী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

ধমনী বলেছেন: স্মরণ করার জন্য ধন্যবাদ। খুব ব্যস্ততার মধ্যে আছি। সুযোগ তৈরী করতে পারলেই দিবো।

৩৩| ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: খুব সুন্দর গোছানো লেখা। বিষয়বস্তু চমৎকার।

শুভকামনা প্রিয় লেখক :)

২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

ধমনী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩৪| ২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৩৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে এরই নাম হচ্ছে পরশ্রীকাতরতা।
এটা সব মানুষের মধ্যেই কম বেশী সুপ্ত অথবা অসুপ্ত অবস্থায় থাকে। ভাল এবং খারাপ এর দুটি দিকই রয়েছে।
কেন এমন হয়,তা হয়ত সমাজ বিজ্ঞানী এবং মনোবিজ্ঞানীরা ভাল ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

ধমনী বলেছেন: ভালো হলে সেটা প্রতিযোগিতা। খারাপ হলে পরশ্রীকাতরতা।

৩৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: জানুয়ারি মাসের পরে এখন সেপ্টেম্বর! আপনার পোস্ট নাই!!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ধমনী বলেছেন: সামু পড়েছি প্রায় নিয়মিত। কিন্তু পোস্ট দেয়া হয়নি। আর মাঝখানে পাসওয়ার্ড জটিলতায় ছিলাম। কিছুদিন আগে উদ্ধার করেছি।

৩৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৮

অযুত২ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.