নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবন ও জ্যামের ভোগান্তি

১০ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

বিচিত্র এই পৃথিবী আরও বিচিত্র এই ঢাকা শহর। প্রতিদিন জীবনের তাগিদে আমরা ছুটে বেড়াই, অক্লান্ত পরিশ্রম করি। ঢাকা শহরে সবসময় জ্যাম থাকেই, জ্যামে আটাকানো এখন বাধ্যতামুলক বিষয়বস্তু হয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে। প্রতিদিন ভীর ঠেলে বাসে ওঠা কিংবা ট্রেনে চড়া, এগুলো এখন জীবনের অংশ হয়ে যাচ্ছে আমরা যারা ব্যস্ত, চাকুরীজীবি নাগরিক আছি সবার। এর মাঝে প্রতিনিয়ত অনেক মজার আবার খুব দুখের ঘটানাও ঘটে। ভীর ঠেলে বাসে বা ট্রেনে উঠতে গেলে দেখা যায় কারো শরীরে ধাক্কা লাগে কিংবা বেশির ভাগ সময় পায়ের উপর পায়ের খাড়া চাপ পরেই হরহামেশাই, এ নিয়ে অনেক সময় বাতবিতন্ডা হয়ই। এরকম ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছে বহুবার, একবার আমার পায়ের কোনার আঙ্গুলের নখ ভেঙে গিয়েছিল। মিথ্যা বলবনা আমার প্রচন্ড রাগ উঠেছিলো সেদিন, লোক টা সরি বলে খুব দুঃখ প্রকাশ করেছিল তাই আর কোন প্রতিক্রিয়া দেখাইনি। তবে দেশে অনেক মানুষ এই সব পরিস্থিতে অনেক রাগারাগি সহ খুবই অভদ্রতা দেখায়। আমি সহ আরও অনেকে ট্রেনে চড়ে অফিসে যাই। এখানেও ওই একই অবস্থা হয়; তবে এখানে কিছু লোক আছে যারা এইসব বিষয় মাথায় নেয় না। তারা খুবই হেল্পফুল, তারা একদম সাফ বলে দেয় ভাই মানিয়ে নিন সবাই এখানে চাকুরীজীবি, সবারই সময়মত অফিসে যেতে হবে। আর এখন বর্তমান সময়ে ঢাকা শহরে জ্যামের আধিক্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুন। যানবাহনে চলাফেরা করাটা খুব কষ্টকর। ঢাকার রাস্তাঘাট আর জ্যামের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। ভয়াবহ শব্দটা কেমন যেন সয়ে যাচ্ছে সবার শরীরে। আমাদের এইসকল বিষয় গুলো প্রতিনিয়ত সহ্য করতে করতে কেমন যেন একটা অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা শহরের জ্যামের কথা নতুন করে বলার মত কিছু নেই। এমন রাস্তা বা সড়ক নেই যেখানে জ্যাম না বাধে। এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রির কার্যালয়ের সামনেও ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয়। কোন ফ্লাইওভারও এখন আর কাজে দেয় না, কারন ফ্লাইওভারেও যানযট দেখা যায়। এভাবে জীবন থেকে অনেক সময় কেটে যাচ্ছে অনর্থক।
তারপরও আমরা ছুটে চলি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে, যে যেভাবে পারি যত দ্রুত সম্ভব। কি করার আছে আর সবারই তো দায়বদ্ধতা আছেই।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

বিজন রয় বলেছেন: ঢাকায় জ্যামরে কথা আর নতুন করে কি বলবো!!

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হা ভাই সইহ্য করা ছাড়া আর কি বলা যায়

২| ১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঢাকার পু.. পৃথিবীর নিকৃস্ট পু...। এরা নিজেরা আইন কানুন সম্পর্কে জানেনা মানেনা, আর 'ওটা'র লোভে আইনের কথা প্রায়ই ভুলে যায়! রাস্তায় আইন না থাকলে জ্যাম দুর্ঘটনা সব হবেই। পাশের রাস্ট্রের একটা শহর কোলকাতাতে গাড়ি মানুষ প্রায় সমান কিন্তু ওখানে কোন জ্যাম নেই, কেন? কারণ ওখানকার পুলিশ ..ষ খেলেও আইনটা মিনিমাম বজায় রাখে। চালক পুলিশকে ভয় পায়, দারুণ ভয় পায় যা এদেশে নেই, বিন্দু মাত্র নেই!

১০ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঠিকই বলছেন পু..গুলা ..ষ খাইয়া রাস্তা ঘাট তো খাইছে দেশটারেও খাইছে। ভাই আমরা পাশের দেশের নাচ গানই ফলো করলাম আইন কানুন কিভাবে মেনে চলে তা লক্ষ্যই করলাম না।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:০০

প্রবাসী একজন বলেছেন: ফার্মগেট থেকে প্রাধনমন্ত্রীর ভবন পার হইতে লাগে ৪০-৫০ মিনিট! আর মাঝখানে বিরাট একটা সাইনবোড লাগানো...দেশের উন্নয়নে বিশার ভুমিকা রাখতেছেন আমাগো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী...এর আগে আবুল সাহেব একটা কলেজের বিজ্ঞাপন লাগাইছিলেন।..জ্যামের মধ্যে বইসা / দারাইড়া এগুলান দেখলে মেজাজ টা কেমন লাগে! কন তো...

মনে মনে একটা কথায় বাইর হই....আল্লাহ কেন যে আমাদের এই দেশে ফালাইছে..!

১১ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মেজাজ গরম কইরা লাভ নাইরে ভাই শুধু শরীর আর মনকে কষ্ট দেয়। জ্যাম নিরসনে সব সরকারের পদক্ষেপ শুন্য ফলাফল। তবে এই সরকারের ফলাফল ডাবল বা ত্রিপল জিরো। সাইনবোর্ডেই উন্নয়নের জোয়ার ভাসায়া ফেলাইতেছে।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকায় যানজটের প্রকোপ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা ক্রমেই সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। প্রশাসনের এ বিষয়ে আশু নজর দেয়া প্রয়োজন। জনগণও এ নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ঢাকার যানজট আরও বৃদ্ধি পাবে ভবিষ্যতে, কারন এই শহরে কোন বিকল্প রাস্তা নেই, কাজের জন্য মানুষ সবাই ঢাকাতেই ভিড় করছে, ইন্ডাষ্টিজ সমূহ এই ঢাকাতেই, শহরের পথ গুলোও খুব প্রসশ্ত না, আর আছে ভিআইপি মুভমেন্ট ঘন্টার পর ঘন্টা রোড অফ!!!! এই শহরের কোন মাষ্টার প্লান নেই, থাকলে কিছু অবৈধ দখল হতোনা যার দরুনও এই জ্যাম সৃষ্টি। প্রশাসনেরর আশু দৃষ্টি কবে পরবে কে জানে।
এই শহরর জনসংখ্যাও বেশি একটা শহর আর কত টুকু ধারন করবে!!
আপনি সুন্দর কথা বলেছেন, জনগন এ নিয়ে শান্তিপূর্ন কর্মসূচী পালন করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারে। তবে সরকার চাইলেই নিজের উদ্যোগেও দেখতে পারে কারন উনার কার্যালয়ের সামনেই অনেক জ্যাম পরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.