![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি স্বতস্ফুর্ত একটা বিষয়। এটা স্কুলের সিলেবাস নয়, বরং সিলেবাস না পড়া মানুষগুলোই লেখালেখি করে। প্রত্যেকের লেখালেখির একটা নির্দিষ্ট ক্ষেত্র থাকে। টাকার জন্য, জীবিকার জন্য লিখলে ভিন্ন কথা, সেখানে ফরমায়েশি লেখা লিখতে হয়। কিন্তু ব্লগে তো তেমনটি হওয়ার কথা নয়। ব্যক্তি তার কথাটি যাতে নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারে, সেজন্যই তো ‘বিকল্প গণমাধ্যম’ হিসেবে ব্লগের আত্মপ্রকাশ। কিন্তু বাংলা ব্লগগুলো এখন প্রচলিত গণমাধ্যমের মত আচরণ করতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থাৎ তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে- কোন লেখাটি প্রকাশ করবে এবং কোন লেখাটি প্রকাশ করবে না, কাকে রাখবে কাকে রাখবে না। ব্যক্তিও নিজেকে স্বাধীন ভাবছে না, খুব রেখেঢেকে তাকে লিখতে হচ্ছে। কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে। এতকিছু করেও যখন হচ্ছে না, তখন লেখালেখি বাদ দেওয়া ছাড়া আর কি করার আছে? বিভিন্ন জন বিভিন্ন কারণে লিখতে পারে, তবে ব্লগারদের মধ্যে একটা বড় অংশ নিশ্চয়ই বিবেক তাড়িত মানুষ, যারা সমাজের অসংগতি নিয়ে লিখতে চায়, কিন্তু মূল ধারার গণমাধ্যমে তা লেখার সুযোগ নেই। ব্লগ তাদের জন্য একটা বড় সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু ক্রমেই আমাদের দেশে সে সুযোগ সংকুচিত হয়েছে। অলিখিতভাবে বলা হচ্ছে- লিখতে হবে একটা ফ্রেমের মধ্যে থেকে। দুইশো মিটার বাউন্ডারির মধ্যে হাজার হাজার কিলোমিটার দৌঁড়াতে হবে, তা আপনি দৌঁড়াতে পারবেন, দৌঁড় প্রতিযোগিতায় তাতে কোন অসুবিধা নেই, কিন্তু এভাবে আজকের আমেরিকা আবিস্কার হত না, এভাবে তো নিউটন জন্মাত না। অবশ্য এ দেশে তা জন্মায়ও না। যাইহোক আমি নিজে স্বস্তিতে নেই। অনুভব করছি- লেখালেখির সুযোগ নেই। সমাজের অসংগতি এবং মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে আমি লিখি। প্রসঙ্গক্রমে ধর্ম সেখানে আসবেই। সমাজের অসংগতি ধর্ম বাদ দিয়ে লেখা সম্ভব নয়। অালু ছাড়া পেয়াজ মরিচ দিয়ে আলু ভর্তা হয় না। কিন্তু ধর্মদুষ্ট এবং ধর্মদ্রোহীরা এটা প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে যে, পরোক্ষভাবেও ধর্ম টানা যাবে না। খুন খারাবির মত কিছু সফলতার মধ্য দিয়ে তারা সুস্পষ্টভাবে বার্তাটি দিতে পেরেছে। এখন তো সবাই ওদের হুমকি পাত্তা দেয়, দিতে বাধ্য হতে হয়। ভয় না পেয়ে উপায় কি? আমার এক বন্ধু খুব ভালো লিখত, ও আমার সামনে একদিন নোটবুকটা হঠাৎ আছাড় মারে। ও লেখালেখি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় মন দেয়, এবং তখন ঘোষণা করে- ধর্ম যত বাজেভাবে ব্যবহার করা যায় আমি করব, এবং দশ বছরের মধ্যে শত কোটি টাকা ইনকাম করে তারপর প্রয়োজনে দেশ ছাড়ব। এটা পাঁচ বছর আগের কথা। ও লাইনে আছে, আমি বিশ্বাস করি ও দশ বছরে শতকোটি টাকা ইনকাম করতে পারবে। ওর একটা কথা খুব মনে পড়ছে- “দোস্ত, দেশ মাতাকে আমরা বেশ্যারও নিচে নামিয়েছি, এ দেশকে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করা যায়, দিনের পর দিনে এক সাথে তুমি আমি মিলে, শুধু মুখোশটা ধরে রাখতে হয়।” আমিও ওর পথে চলতে চাইছি, চাইছি কি?
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৬
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। লেখা পাঠাবো।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: দিব্যেন্দু দ্বীপ ,
নিরেট একটি সত্য লিখেছেন----- এ দেশকে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করা যায়, দিনের পর দিনে এক সাথে তুমি আমি মিলে, শুধু মুখোশটা ধরে রাখতে হয়।” আমিও ওর পথে চলতে চাইছি, চাইছি কি?
আপনি না চাইলেও চাওয়ার মতো মানুষের অভাব নেই সংসারে ।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭
মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: নিজের মতো করে লিখতে গিয়েই ধরাখেয়ে গেছি।এখন নিজের কাছে নিজেকেই অপরাধি মনে হচ্ছে।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন বোঝা গেল না
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২২
হারুনর রশিদ কায়সার বলেছেন:
শ্রদ্ধেয়
এই পোষ্টটি অনেক ভালো লেগেছে । অনেক ধন্যবাদ । আশা করি এই রকম পোস্ট আপনার কাছ থেকে আরো পাবো । জনপ্রিয় নিউজ সাইট http://www.onn24.com এ আমি চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্বরত । আমাকে আপনার লিখাগুলো পাঠাবেন । আমি তা প্রকাশনার ব্যাবস্থা করবো । [email protected]