নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবীকার সাতকাহন (পর্ব-১)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩


এরা দুইজন স্বামী স্ত্রী। তাদের পেশা হচ্ছে- সুপারি ফোড়া। সুপারি ফুড়ে তারা জীবীকা নির্বাহ করে।

একসময়, এমনকি আমাদের ছোটবেলায়ও আমরা এভাবে চুল কাটিয়েছি। এখনো কোথাও কোথাও গ্রামের বাজারে খোলা জায়গায় এভাবে খৌরকাজ করতে দেখা যায়।

এই ছবিটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট হচ্ছে এখানে যারা সবজি বিক্রী করছে, তারা সবাই তাদের বাড়ির সবজি নিয়ে এসেছে, কেউই কিনে এনে বিক্রি করছে না।

গ্রামে ছোট্ট একটি দোকান চালয়া সে, এবং ও দিয়েই মূলত তাদের সংসারটা চলে।

ছবিটি তোলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশ থেকে। ছবিতে দৃশ্যমান নারীরা ঢাকার অদূরের গ্রাম থেকে দেশি শাক কুড়িয়ে এনে বিকালবেলা এখানে বিক্রী করে আবার চলে যায়। এরা ঢাকায় থাকে না।

লঞ্চে বাড়ি যাওয়ার পথে ছবিটি তুলেছিলাম।

এভাবে বড়া বিক্রী কেরে বারো বছর ধরে সংসার চালাচ্ছে সে।

মূলত সে একজন চা বিক্রেতা, তবে আমের সিজনে আমও বিক্রী করে বলে জানাল সে।

তার নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। সিজনালি চয়েজ করে। রস পচিয়ে বিক্রী করাও তার একটি পেশা।

ছবিটি পুরনো ঢাকার লক্ষ্মীবাজার থেকে তোলা। ওখানে স্কুল অনেক, মূলত মায়েরাই তার ক্রেতা।

সুন্দর করে ছাচামাঠা করে চকচকে করে রাখতে পারলে ক্রেতা সহজে আকৃষ্ট হয়, শুধু তাই নয়, এভাবে সময় কাটানো হয়।

বিভিন্ন পেশায় ব্যর্থ হয়ে বাংলাবাজের এক কোণায় বসে চা বিক্রী করে সে। সবসময়ই তাকে নির্জীব দেখা যায়।

মনে হল সে একজন গর্বিত রিক্সালা, অথবা খুবই পজেটিভ। ছবি তোলার সময় রিক্সাটা আঁড়ে ধরে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থিাপিত করেছে সে।

গলিতে গলিতে তিলের খাজা বিক্রী করে সে। ছোটবেলা থেকে ঢাকায় আছে। এভাবে কিছু একটা করে চলছে সে, চলছে মানে বেঁচে আছে শুধু ।

কাগজ বয় সে। এটাই তার পেশা এখন।

এই একই জায়গায় বারো মাস চাচাকে দেখা যায়। কখনো আনারস, কখনো বাতবি, আমের সিজনে আম নিয়ে না বসে আনারস কেন জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমে পুঁজি বেশি লাগে।

যুবক খুব খুশি হতে পারল না, না পারারই কথা। আমিও তার মনের ভাবটা ছবিতে ধরার চেষ্টা করেছি।

ঢাকা শহরের মধ্যেই কয়েকটি গরুর ফার্ম আছে। সেসব জায়গা থেকে দুধ এনে বিভিন্ন বাসায় বিক্রী করা তার পেশা। কথায় কথায় সে বলল- বান্দা কাস্টমার না থাকলে এ ব্যবসা করা যায় না। পাশ থেকে একজন বলল- পানি দিয়ে ডাবল করা যায়। তাকে অবশ্য গালি দিতে সে ছাড়েনি।

অল্পদিন হল সে ঢাকায় এসেছে, আপাতত বাসায় বাসায় ‘ইয়াড়ু’ (ঝাড়ু) বিক্রী করার চেষ্টা করছে।

এটা খুবই পরিচিত দৃশ্য, তবে একটু শক্ত লোক ছাড়া এই ব্যবসা করতে পারে না। মুরগী কেটে দিতে হয়। হাফ দেশি মুরগী দেশি বলে চালাতে হয়, ঝামেলা আছে, তবে কথা বলে জানতে পারলাম তারা অায় করে ভালো। এক বেলায় এক হাজার টাকাও আয় করে।

ফুটপথে জায়গা পাওয়া কঠিন। বসতে গেলে চাঁদা দিতে হয়। ফলে এ পন্থা।

মূলত তারা স্কুলের সামনে বিক্রী করে, স্কুল শেষে কখনো কখনো গলিতে।

নষ্ট টায়ার কেটে নানান ধরনের জিনিস বানানো তাদের পেশা।

ওয়েলডিং করছে সে চশমা ছাড়া!

বলে- বউ নাই তাই সমস্যাও নাই। বোঝা গেল- বউ না থাকা নিয়ে সে বর্তমানে চিন্তিত।


ময়লা ঘেটে তারা খুঁজে বের করছে জীবীকার কোনো অবলম্বন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

জুনজুন বলেছেন: ভালো লাগলো...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

এইচ তালুকদার বলেছেন: সুন্দর হয়েছে,আশা করি সিরিজটা চালিয়ে যাবেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: আশা করি।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার সব ছবি।

চলুক.........

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুর্দান্ত! খুব ভালো লাগলো। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: দারুন কিছু ছবি দেখলাম। খুবই ভাল লাগলো!! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ছবি গুলো শেয়ার করার জন্য!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২২

ডি মুন বলেছেন: জীবিকার জন্যে মানুষকে কতো কিছুই না করতে হয়।

ছবিগুলো দেখে ভালো লাগল। সবগুলো ছবি সোজা করে আপলোড দিলে ভালো হত।

++++

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ঠিক। ছবিগুলোর এঙ্গেল ঠিক নাই। ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার যতসব ছবি। ধন্যবাদ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: চমৎকার সব ছবি।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

প্রামানিক বলেছেন: ছবি গুলো ভাল, তবে কাতচিৎ করা ছবি দেখে কি মজা পাওয়া যায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.