![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবশ্যেই মর্যাদার আসনে রাখা উচিৎ। অধ্যাপকদের বেতন সচিবদের সমান হওয়া উচিৎ। কিন্তু একটা কথা আছে- স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বা পে স্কেল সুষ্ঠু চাওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয়ের বিষয়ে শিক্ষদের উচিৎ হবে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করা। ওনারা যদি মনে করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উপার্জন থাকা উচিৎ, তাহলে তো পে-স্কেল নিয়ে খুব বেশি কিছু বলার সুযোগ থাকে না। সান্ধ্য কোর্সগুলো অবশ্যই শিক্ষকদের দাবীর সাথে সাংঘর্ষিক। সান্ধ্য কোর্সগুলো প্রকারন্তরে পাবলিক প্রপার্টি ব্যবহার করে ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়’ পরিচলানা করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন না। যে যেভাবে পারছেন সুবিধা করে নিচ্ছেন। অনেক বিভাগে বিদেশী টাকা আসে, সেগুলোর কি কোনো স্বচ্ছতা আছে? সান্ধ্য কোর্সগুলো কি আসলে স্বচ্ছভাবে চলছে? আসল কাজ কতটুকু হচ্ছে? নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি কি আসলে হচ্ছে, নাকি স্কুলের মত বই পড়ানো এবং বই পড়ে পরীক্ষা দেওয়ার মধ্যেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সীমাবদ্ধ থাকছে?
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু রাঘব বোয়াল শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ব্যবহার করে ব্যবসা করছেন না, তাতো নয়। পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ও আছে- এটি তো আর গুজব নয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক বিভিন্ন পদ পদবী এবং সুযোগ সুবিধার জন্য আমলা এবং রাজনীতিক, এমনকি ছাত্রলীগের দ্বারস্থও হন। রাজনীতি করে, সুপারিশ করে করে যিনি উপাচার্য হচ্ছেন, বা অন্য কোনো পদ পাচ্ছেন, তিনি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক। অধ্যাপক। একজন “দুস্কৃতকারী আমলা বা রাজনীতিকের” বা “ভালো কোনো আমলা বা রাজনীতিকের” কাছে পদের জন্য যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ধন্না দেন, তখনই কি ঐ আমলাদের বা রাজনীতিকদের বস মানা হয়ে যায় না? একজন শিক্ষক কেন এইসব প্রশাসনিক পদ পেতে চাইবেন? এতে তো তার আরো ডিস্টার্ব হওয়ার কথা। পদ তাকে ডেকে দেবে। শিক্ষকরা বরং না না করবে। চিন্তা ভাবনা করতে গেলে, পড়াতে গেলে, গবেষণা করতে গেলে, লিখতে গেলে এইসব প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকার সুযোগ কোথায়? বলছি- শিক্ষকরা তো পরামর্শ দিবে রাষ্ট্রকে। রাষ্ট্র প্রয়োজনে তাদের ডেকে নেবে। তারা কেন ধন্না দেবে? তারা আগ বাড়িয়ে না গেলে রাস্ট্র ডেকে নিতে বাধ্য হত।
আর রাজনৈতিক নিয়োগ তো আছেই। রাজনৈতিক নিয়োগের থেকে ভয়ংকর হচ্ছে- নিজের মুরিদকে নিয়োগ দেওয়া। এসবের কারণেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদাহানী হয়েছে বলে মনে হয়। প্রতিটা হলে প্রাধ্যক্ষ-এর চেয়ে এখন ছাত্রলীগ শক্তিশালী। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের সাথে মিউচুয়ালি চলতে ওনারা বাধ্য হন। কেন? ওনারা পদত্যাগ করেন না কেন? উল্টে বরং মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিসের জন্য? শিক্ষা-জ্ঞান চর্চা-গবেষণা এবং লেখলেখির চেয়ে যদি ওনাদের কাছে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করাটাই মুখ্য হয় তাহলে তো শিক্ষকদের স্বজন্ত্র মর্যাদার বিষয়টি বিবেচ্য বিষয় থাকে না।
এইসব কারণে প্রশ্ন থেকে যায়- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা আসলে কি কেউ কেড়ে নিয়েছে, নাকি দিনে দিনে ওনারা মর্যাদা বিকিয়ে দিয়েছেন? মর্যাদা কি কেড়ে নেওয়ার মত কোনো বিষয়? আরেকটা বিষয় হচ্ছে- এখনো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মনে হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখাপেক্ষী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েই সব বিবেচনা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি করছে, কিভাবে চলছে, তার উপর নির্ভর করে সবকিছু। তাই যুক্তিগুলো সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য না হলেও মূল্ বিষয় সম্ভবত এমনই।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: জানা নেই বলে আপনার বক্তব্যের সাথে একমত দ্বীমত হচ্ছি না। তবে এতটুকুই বুঝি- নগড় পুড়লে দেবালয় বাদ যায় না।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:১০
প্রলয়শিখা বলেছেন: পদ-পদবীর পেছনে দৌড়াতেই অনেক শিক্ষকের একটি কর্মদিবস পার হয়ে যায়। আবার অনেক শিক্ষক বিদেশে ডিগ্রি নিতে নিতেই বয়স পার করে দেই। নিজের ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়ার মত আর সময় থাকেনা তখন। এই দুইটা ব্যাপার খুব কাছে থেকে দেখেছি শিক্ষকের।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: হুম
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২২
বিপরীত বাক বলেছেন: প্রলয়শিখা বলেছেন: পদ-
পদবীর পেছনে দৌড়াতেই
অনেক শিক্ষকের একটি
কর্মদিবস পার হয়ে যায়।
আবার অনেক শিক্ষক
বিদেশে ডিগ্রি নিতে নিতেই বয়স
পার করে দেই। নিজের ছাত্র-
ছাত্রীদের দেওয়ার মত আর সময়
থাকেনা তখন। এই দুইটা ব্যাপার খুব
কাছে থেকে দেখেছি শিক্ষকের।
বুয়েটের ক্ষেত্রে নয়।।। বুয়েটে ছাত্র ছাত্রী যেমন সকাল ৮ টায় ঢোকে তেমনি সকল শিক্ষক কেও একই সময় ঢুকতে হয়।।। ক্লাস মিসের প্রশ্ন ই আসে না।। বরং ছাত্রছাত্রী রাই শিক্ষকদের হাতেপায়ে ধরে ক্লাস না নেয়ার জন্যে।।।।।।
এজন্যই তো বলে বুয়েটই সারা বিশ্বের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেটাতে ছাত্রছাত্রী রা নিজেরাই নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় ভেঙে চুরে ক্লাস বন্ধ করে।।। এর কারণ যেহেতু শিক্ষক রা ফাঁকি দেন না সেহেতু লোড থেকে বাঁচতে নিজের বিশ্ববিদ্যালয় নিজে বন্ধ করা ছাাড়া উপায় থাকে না।।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্ছৃঙ্খল বেয়াদপ গুলোরে দেখবেন কিছু হলেই রাস্তায় যাইয়া গাড়ী ভাঙে।।। কারণ নিজেদের ফকিন্যি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরা ভাঙার কিছু পায় না।
।
যেখানে বুয়েটের পোলাপান ক্লাস- পরীক্ষা বন্ধ করার জন্যে আন্দোলন করে কারণ শিক্ষক রা কোন ফাঁকিবাজি করে না সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য পাবলিক গুলোরে দেখবেন উল্টা মিছিল করে যে, " হামরা পড়ানেকা শিকবার চাই
। হামাগো ক্লাস নাও।।। কারণ ওদের শিক্ষক রা দলবাজি টেন্ডারবাজি তে ব্যস্ত থাকে।।। কেননা ওভাবেই যে তারা শিক্ষক হয়েছেন।।। বাইরের সভা সমিতি তে ব্যস্ত থাকে।।। ক্লাস নিবে কিভাবে।।।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: এটা কোনো ভাষা হতে পারে না। বুয়েট নিয়ে আপনার বিলাস থাকতে পারে, তাই বলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠোনকে ছোট করার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বুয়েট কত নম্বর আছে, সেটি একটু জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুণ, তাহলে আপনার এই অহংকার খুব বেশিক্ষণ থাকবে না।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০
বিপরীত বাক বলেছেন: থাকেন বাংলাদেশে
। রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করলেন পৃথিবী।।।
আপনি বাংলাদেশ কে রেফারেন্স লাইন হিসেবে ধরে খোলা মনে খেয়াল করেন তাহলে পরিস্কার দেখতে পাবেন।।। এটা বিলাস নয়।। এটা অস্তিত্বের প্রশ্ন।।।
বাঙালির একটা প্রচলিত স্বভাব হলো ভাল- খারাপ এরা নির্ধারণ করে নিজের স্বার্থের পক্ষ বিপক্ষ এর উপর ভিত্তি করে।।।
ওকে। সুস্থ আলোচনার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩২
বিপরীত বাক বলেছেন: শিক্ষক দের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষরা বেশি মর্যাদা র অধিকারী।। এটা মানতেই হবে।।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে বুয়েটের শিক্ষক রা অধিক ও অতুলনীয় মর্যাদা র দাবীদার।।
কেননা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মত এনারা চুরি চামারি দুর্ণীতি করে না।। বুয়েটে একটা প্যারাসিটামল ও এদিক ওদিক হবে না।।। আর তাছাড়া এনারা ছাত্রলীগ ছাত্রদল ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটেন না।। প্রশ্নপত্র ফাস তো দুরের কথা, এটা নিয়ে কেউ চিন্তারও সুযোগ পায় না।।।
আর যদি আভ্যান্তরীণ আয়ের কথা বলতে হয়,,, সরকার যদি এখুনি ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেয় বা বলে নিজেদের কামাই দিয়ে চলেন তাহলে বুয়েট ছাড়া বাকি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রাস্তায় বসে পড়বে আর ভিক্ষা করবে।।।
অনেকেই হয়ত জানেন না,, বা বোঝেন না যে বুয়েটের শিক্ষকরাই একমাত্র কনসালটেন্সির টাকা বুয়েট ফান্ডে জমা দেয় আনুপাতিক হারে।। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় হয়ত কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে।।। খুবই সামান্য।।
যাইহোক, নিষ্ঠা, সততা, বিচারবোধ, মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা, পরিচালনা, সৃষ্টিশীলতা, উদ্ভাবনী চিন্তাধারা,, নিরপেক্ষ মানসিকতা ইত্যাদি কোনদিক থেকেই বুয়েট টিচারদের সমকক্ষ বা ওনাদের সাথে তুলনীয় অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রা নন।
হবেও না।।
বুয়েট কে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান বলা হয়।। এর কারণ এর ছাত্রছাত্রী নয়,,, বরং বুয়েটের শিক্ষকরা।।।
বুয়েটের শিক্ষকরাই বুয়েট কে সেরা বানিয়ে রেখেছে এবং ওভাবেই চালাচ্ছেনন।।