নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্যের নোবেলটাকেও রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করে ফেলল পশ্চিমা বিশ্ব!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০২

শান্তির নোবেলের রাজনীতিকরণ হয়েছে অনেক আগে। বেলারুশের লেখক এবং সাংবাদিক সেভেলেৎসা আলেক্সেভিচ কে এবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের নোবেলও এখন থেকে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক কায়দা এবং ফায়দার বিষয় হয়ে গেল। আলেক্সেভিচ মূলত একজন নন-ফিকশনাল রাইটার। যে বইটির (monument to suffering and courage in our time) জন্য তিনি এই পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন, সে বইটিতে তিনি মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের সমালোচনা করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন এবং তৎপরবর্তী সময়ে সোভেয়েত ইউনিয়নের জীবন-যাপন কতটা কঠিন ছিল, তা তিনি তুলে ধরেছেন বইটিতে। পাশাপাশি তিনি নিকট অতীতে ইউক্রেনে সোভিয়েত সেনাবাহিনী অবস্থান করার বিষয়টিতে আগ্রাসন বলেছেন। তবে নোবেল পুরস্কারের বিষয়টিতে লেখিক স্বয়ং সম্ভবত বিব্রত হয়েছেন।
পুরস্কারের বিষয়টি ফোনে তাকে জানানোর পর আলেক্সেভিচের মন্তব্য ছিল- “আমার অনুভূতি এক্ষেত্রে খুব জটিল। আমি ভাবতে পারছি না যে আমি এ পুরস্কারটা পেয়েছি এবং বুনিন এবং পাস্তেরনাকের মত রুশ সাহিত্যেকের পাশে আমার নাম থাকবে বলে আমি অস্বস্তিও অনুভব করছি। বিষয়টি আমার জন্য বিরক্তিকর হয়েছে।” সূত্র : গাডিয়ান।
আলেক্সেভিচের জন্ম মূলত ইউক্রেনে, পিতা বেলারুশিয়ান হওয়ায় তিনি বেলারুশের নাগরিক হয়েছেন এবং সবসময় তিনি বেলারুশ সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং পশ্চিমের প্রভাব বজায় থাকা ইউক্রেনের পাশে থেকেছেন। এজন্য তিনি বেলারুশ থেকে নির্বাসিতও হয়েছেন। অন্যদিকে বেলারুশ সবসময় রাশিয়ার প্রভাব বলয়ের মধ্যেই থেকেছে। ১৯১৯ সালে যে চারটি দেশ নিয়ে রাশিয়া প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছিল, তার মধ্যে বেলারুশ ছিল একটি। ১৯৯৬ সাল থেকে বেলারুশের সাথে রাশিয়ার পুনঃএকত্রীকরণের বিষয়টি আলোচিত হয়ে আসছে, যার ঘোর বিরোধিতা করে থাকেন সাভেলিৎনা আলেক্সেভিচ বা ২০১৫ সালের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লেখক। সাবিক বিবেচনায় এ ধরনের একটি উপসংহারে সহজেই আসা যায়- রাশিয়া বিরোধী কণ্ঠস্বর যাতে ভেতর থেকে আরো জোরদার হতে পারে তার জন্যই সেভেলিৎনা আলেক্সেভিচ কে এবার সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এবং যেহেতু রাজনৈতিক কারণেই শান্তির নোবেলটা দিতে হয়েছে ‘Tunisian National Dialogue Quartet’ নামক তিউনিশিয়ার একটি গোষ্ঠীকে। তাই হাতে অপশন আর না থাকায় সাহিত্যের নোবেলে খড়গ চড়িয়ে বেলারুশ প্রতিনিধিকে শক্তিশালী করে নিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বইটা পড়ে দেখিনি| তাই কিছু বলতে পারছি না| যদি রাজনৈতিক কারণেই দেয়া হয়, খুব খারাপ হবে| তার সাক্ষাতকার পড়েছি| সেখানেও তিনি বেলারুশের বিপরীতেই ছিলেন| অবশ্য যেখানে টলস্টয় নোবেল পাননি, সেখানে আলেক্সেভিচকে নিয়ে না চিন্তা করলেও চলবে

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

প্রতিবিম্ব প্রতিচ্ছায়া বলেছেন: প্রকৃত সাহিত্য-শিল্পীদের জন্য দুঃসময়

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১০

নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: রাজনীতির প্রভাবমুক্ত আদৌ কিছু নেই এখন।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

বর্নিল বলেছেন: উনার লেখার মান অত্যন্ত চমৎকার।রাজনৈতিক কারন ছাড়াও উনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.