![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টাকা দিয়ে পুলিশের এসআই হওয়া যায় (টাকা দিয়ে পুলিশ হলেই সে খারাপ তা অবশ্য নয়) এবং তারাই কিন্তু ফিল্ড অফিসার এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সমাজে চোর ডাকাত গুণ্ডা বদমাশ আছে। পুলিশ এবং অন্যান্য চাকরিজীবীদের মধ্যেও তা আছে।
ডাকাতের একটা অস্ত্র লাগে, এবং পুলিশের সেটি আছে, তাই অনেক পুলিশ সদস্য শুধু চোর নয়, ডাকাতও। অন্যান্যা চাকরিতে যারা দুবৃত্ত্ব তারা ডাকাত হয়ে উঠতে পারে না, চোর হয়েই থাকতে হয়। কিন্তু পুলিশ চাইলে ভয়ঙ্কর ডাকাত হয়ে উঠতে পারে, কারণ, তার কাছে অস্ত্র এবং ছদ্মবেশ (পোশাক) আছে।
এই পুলিশ রাষ্ট্রের কাছ থেকে এতটাই আস্কারা পেয়েছে যে, এখন কেউ-ই পুলিশের কাছ থেকে নিরাপাদ নয়। ভাল পুলিশ তো আছেই, কিন্তু ডাকাত পুলিশদের আটকাবে কে? এমন ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে- রাব্বী ছাড়া পেলেও অনেকেরই সেই ভাগ্য হয়নি এবং শেষ পর্যন্ত হয়ত অপরাধীর অপবাদ নিয়ে অনেককে ক্রসফায়ারে পড়তে হয়েছে!
আমাদের দেশের সাংবাদিকতার একটা বড় সমস্যা হচ্ছে- এরা ফলো-আপ নিউজ করে না। ফলে রাষ্ট্রব্যবস্থার সমস্যাগুলোর উপর তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি করতে পারলেও আসলে কাজের কাজ কিছু হয় না।
কমলাপুরে বোরহোল পাইপে পড়ে যখন শিশু জিহাদ মারা গেল তখন কতই না মাতামাতি হল! মিডিয়া লাইভ টেলিকাস্ট করল, কিন্তু ফলো-আপ কই? সচেতনতা কই? আবার একই ধরনের ঘটনা ঘটল- কদমতলীতে খোলা ম্যানহোলে পড়ে আরেক শিশু মারা গেল!!
তাই বলা যায় রাব্বীর ঘটনা নিয়ে এখন যে মাতামাতিটা হচ্ছে সেখানেও সাবকনসাচনেস বেশি বলে মনে হয়, অচিরেই আমাদের মাথা থেকে বিষয়টি হারিয়ে যাবে। পুলিশ রাষ্ট্র সবই আবার একই নিয়মে চলবে। এসআই মাসুদের কিছু টাকা হয়ত গচ্ছা যাবে এবং সে পরবর্তীতে আরো বেশি অপকর্ম করে তা পুষিয়েও নেবে।
আরেকটি বিষয়ও বিবেচ্য- এই মাসুদ কিন্তু একজন প্রমোটি অর্থাৎ কনস্টেবল থেকে প্রমোশন পেয়ে পেয়ে সে এখন এএসআই। অর্থাৎ ধরা রে সরা জ্ঞান করার একটা মানুসিকতা তার হতে পারে। এর বিরুদ্ধে আগেও বড় বড় অভিযোগ ছিল। এক সিএনজি চালককে আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আছে। (খবরে প্রকাশ)
এবার না হয় ‘শক্তিশালী’ রাব্বীর কারণে এত আওয়াজ। আমাদের সমস্যা হচ্ছে- সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হলে আমরা নির্লিপ্ত থাকি, যতক্ষণ না নিজে আক্রান্ত হচ্ছি ততক্ষণ আমাদের টনক নড়ে না।
“বাংলাদেশ প্রতিদিন” পত্রিকায় ৯ জানুয়ারি (মাত্র পরশুদিনের খবর) - খুলনার খানজাহান আলী আদর্শ অনার্স মহাবিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্র ইমরান হোসেনর (২২) উপর মারাত্মক পুলিশি নির্যাতনের খবর ছিল। রাব্বীর চেয়েও মারাত্মকভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু সে খবর কই? প্রতিবাদ কই? ব্যবস্থা কই? পুলিশ ইমরানকেও ধরেছিল একই কারণে, টাকা আদায়ের জন্য।
এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। তাই রাব্বীর ঘটনাকে আলাদা করে নিয়ে প্রতিবাদ করলে ওরাও বাঁছাই পদ্ধতিতে এগোবে। পরিচয়হীনদের বিপদ বাড়বে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩২
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়, এটা অনেক বড় একটা সমস্যা।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২০
রাফা বলেছেন: একেবার মোক্ষম প্রশ্ন করেছেন/পুলিশের অস্র এবং ছদ্মবেশ দু'টোই আছে।সে যদি রাক্ষসের ভুমিকায় অবতির্ণ হয় তাহলে আমাদের আর রক্ষা নেই।ব্যাতিক্রম,ব্যাতিক্রম বলে এরিয়ে যাওয়ার আর কোন সুযোগ নেই।সাধারণ মানুষ পুলিশের ভয়ে অপরাধ করতে ভয় পায় কারন ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই।কিন্তু পুলিশ একই অপরাধ নির্ভয়ে করে।কাজেই তার সাস্তিটা হওয়া উচিত দৃষ্টান্ত মূলক যাতে সামান্য অপরাধ করতেও ১০০বার ভাবতে হয়।
আর ফলোআপ অত্যাবশ্যক।সাংবাদিকরা যদি নিয়মিত ফলোআপ করতে থাকে সেটাও অপরাধ প্রবনতা বন্ধ করতে একটি বিরাট ভুমিকা রাখতে পারে।
ভালো লিখেছেন,কিন্তু একটু প্যারা করে লিখলে মনে হয় পড়তে ও বুঝতে বেশি সুবিধা হতো।
ধন্যবাদ,দিব্যন্দু দ্বীপ।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩১
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। প্যারা করার পরামর্শটি ভালো পরামর্শ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯
এইচ তালুকদার বলেছেন: পুলিশ এবং আতঙ্ক সমার্থক শব্দ