নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদ্র আমানতকারীদের যক্ষের ধন লুটেপুটে খাচ্ছে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা এবং রাজনীতির নামে ওরা

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০০

সোজা কথায় দেশটা চলছে শ্রমের উপর। ব্যবসা বাণিজ্যের উপর নয়। বাংলাদেশ এমন কোন প্রডাক্ট বানায় না, যা বিশ্ববাজারে ব্রান্ড হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আমরা মূলত পরিশ্রম রপ্তানি করি। গার্মেন্টেসে পরিশ্রম করছে পঞ্চাশ লক্ষাধিক শ্রমিক, যা রপ্তানি হচ্ছে র পোশাক হিসেবে, অর্থাৎ ব্রান্ড আমাদের নয়। শুধু পরিশ্রমটা আমাদের শ্রমিকের। এছাড়া দেশের বাইরে নানান কঠিন পেশায় নিয়োজিত আছে এক কোটির উপরে শ্রমিক। মোদ্দা কথায় এটাই বর্তমান বাংলাদেশের মূল ফুয়েল, সরকারের নাচুনি এবং উন্নয়ন, দুর্বত্তের লুটপাট।
বর্তমানের হটটক হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে আটশো কোটি টাকা হ্যাক হয়ে গেছে। আপাতত না হয় এটাকে দুর্ঘটনা হিসেবেই ধরে নিলাম। তবে এর থেকে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর দুর্নীত ব্যাংকিং চ্যানেলে ঘটছে। আমি মাত্র এক বছর ব্যাংকে চাকরি করেছি। এটা ঠিক যে এক বছরে তেমন কিছুই বোঝা যায় না। তবে যে ব্রাঞ্চে চাকরি করতাম সেখানকার পুরনো লেজার উল্টোতে ভয়ঙ্কর সব দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা দৃষ্টিগোচর হয়েছিল, একটি মেইল পাঠিয়ে উপরে জানিয়েছিলামও, কিছুটা হয়ত কাজ হয়েছে, কিন্তু এতে তেমন কিছু হয় না। নিম্নের কর্মকর্তাদের কিছু টাকা খসে মাত্র। উপরের ইনকাম বাড়ে।
ঐ ব্রাঞ্চ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় রিপোর্ট করাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি, শুধু জনকণ্ঠ পত্রিকায় একটি ছোট্ট রিপোর্ট করাতে পেরেছিলাম মাত্র একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে। নিচে লিংক দিলাম। এটা আসলে কিছু না, একটা নমূনামাত্র। ভয়ঙ্কর সব বিষয় আছে। এগুলো তদন্তে বের করা কঠিন না।
ব্যাংকে তিন ধরনের অডিট হয়। নিজস্ব অডিট, বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট এবং কর্মার্শিয়াল অডিট। এর মধ্যে যে কোন একটি অডিট দূর্নীতিমুক্ত এবং যথাযথ হলেই সব বেরিয়ে আসার কথা। আমি থাকাকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি অডিট পেয়েছিলাম। দু’জন ডেপুটি ডিরেক্টর এসে কয়েকটি লেজার উল্টালো, বিনাইন কয়েকটি আপত্তি তুলল, মুরগী-মসল্লাম দিয়ে খেয়ে দেয়ে, ম্যানেজারের রুমে একান্তে কিছু সময় কাটিয়ে বিদেয়ে হল। অথচ আমার এক বছরের ব্যাংকের চাকরির অভিজ্ঞতা দিয়ে অডিট করলে ঐ ব্রাঞ্চে পদে পদে স্কাম ধরা পড়বে।
আজকে ৮০০ কোটি টাকা হ্যাক হয়েছে বলে খুব লাগছে, হ্যাকাররা বিদেশী বলে খুব লাগেছে, টাকাটা বাইরে চলে গেছে বলে খুব লাগছে। কিন্তু এরকম “হ্যাক” প্রতিদিন হচ্ছে। ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে কোটি কোটি টাকা দুবৃত্তের পকেটে চলে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র আমানতকারীদের যক্ষের ধন লুটেপুটে খাচ্ছে ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা এবং রাজনীতির নামে ওরা ।
ব্যাংকে সামান্য টাকা জমা করে কারা? খুব হিসেবী এবং ছা-পোষা মানুষেরা ব্যাংকে ছোট ছোট আমানত করে। ভাল না খেয়ে, ভাল না পরে এরা আমানত করে। একসময় ব্যাংকে কিছু টাকা রেখে মারাও যায়। ব্যাংকে টাকা রেখে আসলে কিন্তু লাভ হয় না, ব্যাংক যে মুনাফাটুকু দেয় ইনফ্লেসন হিসেব করলে তাতে বরং লসই হয়। উন্নয়নশীল দেশে মুদ্রাস্ফিতি যেহেতু বেশি, তাই ব্যাংকে টাকা রাখা লস। এরকম লক্ষ লক্ষ আমানকারীর টাকাই হচ্ছে ব্যাংকের টাকা, সেই টাকা নিয়ে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে এদেশে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৬

বিজন রয় বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.