নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওরা আয়ের পাপের প্রায়শ্চিত্য করে যথেচ্ছ ব্যয়ের মধ্য দিয়ে

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৮



আজকে ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি খবর রয়েছে। ঢাকা শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় এবং কানাডার মন্ট্রিল শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় একই। কিন্তু জীবনমানে রয়েছে যোজন যোজন ফারাক। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্যা ইকোনোমিস্ট-এর তথ্য মতে ঢাকা এবং মন্ট্রিল খরচের দিক থেকে রয়েছে ৭১নম্বরে, অন্যদিকে কানাডার টরেন্টো রয়েছে ৮৮নম্বরে। অর্থাৎ, টরেন্টো শহরের জীবনযাত্রার ব্যয় ঢাকার চেয়ে কম! আমেরিকার অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এবং দূর্নীতির দেশ মেক্সিকের রাজধানী মেক্সিকো সিটর অবস্থানও ঢাকার পরে।
জীবনের সকল ঘটনার সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক তৈরি করা যায়। এখানেও আচমকা অর্থনীতির একটি সরলীকরণ করা যায়। জীবনযাত্রার মানের তুলনায় কেন ঢাকায় জ্যবনযাত্রার ব্যয় এত বেশি? সহজ ভাষায়- বৈষম্য ও দুর্নীতি।
আয়ের মাধ্যমে যদি পাপ হয়, তাহলে ব্যয়ের মাধ্যমে সে পাপের প্রায়শ্চিত্য করা হয়। সকালে আপনি ঠাঠারি বাজার বা ছোটখাট কোন বাজারে গিয়ে দেখবেন পাঁচ/সাতশো/এক হাজার টাকা কেজি দরের মাছ দশ/বিশ কেজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। ওখানে আপনি পাত্তাই পাবেন না। এর বিপরীত চিত্র হচ্ছে, হাফ কেজ/এক কেজি তেলাপিয়া বা নলামাছ কেনার জন্য ঘুরছে একই বাজারে শত শত মানুষ।
ঐ বেঘারে খানেওয়ালারা কিন্তু খেয়ে নিশ্চিন্ত থাকে না। এরপর আসে হজমের প্রশ্ন। যেহেতু গাড়িতে চলে তাই সময় বের করে হাঁটতে হয়, তাতেও নিস্কৃতি মেলে না। মনের জুজু এবং পকেটের টাকা তাকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় স্কয়ার/ল্যাবএইডে, এভাবে প্রায়শ্চিত্যের প্রথম পর্ব শুরু হয়। তার আগে থেকেই সন্তানদের নষ্ট করা শুরু করে দেয়। নষ্টের প্রথম ধাপ বেশি খাইয়ে স্থুল বানিয়ে ফেলা, দ্বিতীয় ধাপ ইংলিশ মিডিয়াম/বাংলিশ মিডিয়াম এবং ডজন খানেক টিচার দিয়ে সন্তানের লাইফ হেল করে দেওয়া। এভাবে তারা অবৈধ উপায়ে আয়ের প্রায়শ্চিত্য ব্যয়ের মাধ্যমে করছে এবং দেশটাকেও ঠেলে দিচ্ছে চরম বৈষম্য এবং দূর্নীতির মধ্যে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

বিজন রয় বলেছেন: দারুন ব্যাপার তো!!

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

বিদেশ পাগলা বলেছেন: সব সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ ! শুধু রাজনীতিবিদ ও সরকারের শীর্ষ স্থানীয়রা সৎ,যোগ্য ও দেশপ্রেমিক হলে এ অবস্থা হতে অনেকটা নিস্কৃতি পাওয়া যেত । সব দুর্নীতি কখনও মুক্ত করা সম্ভব নয় । বিশ্বে কোন দেশই সম্পুর্ন দুর্নীতি মুক্ত নয় । তবে বাংলাদেশ শীর্ষে এটাই বড় দুঃখ জনক । যার প্রভাব প্রতিটি সেক্টরে পড়ছে ও সব চাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনগন ।
তবে জনগন যে ধুয়া তুলসি তা কিন্তু বলছি না । জনগন সতর্ক ও সচেতন হতে পারতো । যেমন ---- ভারতের জনগন ।

খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখাটি ।
ধন্যবাদ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.