![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেনী নদীর গ্রাসে নিঃস্ব ছাগলনাইয়ার ২শ' পরিবার
ফেনী নদীর ভাঙনে ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়া গ্রামটির অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে। এতে বদলে যাচ্ছে ছাগলনাইয়ার মানচিত্র। ছোট হয়ে গেছে ঘোপাল ইউনিয়নটি। প্রতি বছর বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, গবাদিপশু, বসতভিটা, সৃজিত ফলদ-বনজ বাগান। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ২০০ পরিবার। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, গত দুই বছরে প্রাণ গেছে শিশু, গৃহকর্তা, গৃহিণীসহ তিনজনের। চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে প্রায় ২০০ একর ফসলি জমি ও বসতভিটা। চলতি বর্ষা মৌসুমে নতুন করে নিঃস্ব হয়েছেন আয়েশা আক্তার, মো. সেলিম, মহিউদ্দিন, ছালে আহম্মদ, তোফাজ্জল হোসেন, মো. মোস্তফা, ফয়েজ আহাম্মদসহ অনেকে। অনেকে যাযাবর হয়ে অন্যত্র চলে গেলেও দুই একটি পরিবারকে পাড়া-পড়শি জায়গা দিয়েছেন। দিনমজুর লোকদের গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি স্রোতে ভেসে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। কয়েকজন জায়গার অভাবে সস্তায় বিক্রি করে দিয়েছেন গৃহপালিত জীবজন্তুগুলো। বন্ধ হয়ে গেছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। অপর প্রান্তে মিরসরাই উপজেলা হাবিলদার বাসা নামকস্থানে চর জাগলেও চর দখলকারীরা যেতে দেয় না এই পারের ক্ষতিগ্রস্তদের। অনেকের জায়গা না থাকার কারষে জীবনবাজি রেখে নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে দিনাতিপাত করছেন। নদী ভাঙনে শুধু বসতভিটা নয়, স্কুল, মাদ্রাসা, মক্তবসহ অসংখ্য স্মৃতিচিহ্ন মুছে গেছে। নদীভাঙন রোধ করতে এলাকাবাসী ভাঙন কবলিত এলাকায় মানববন্ধন করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ জানান, নদীভাঙনে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে তিনি বাঁশ দিয়ে বসতভিটাসহ মিজান বেড়িবাঁধ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। শেষ রক্ষা হয়নি। মিজান বাঁধেরও প্রায় এক কিলোমিটার নদীতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি চালাচালি করলেও তারা ১৫ বছরেও সাড়া দেননি বলেও চেয়ারম্যান জানান। স্থানীয় সাংসদ শিরীন আখতার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ছাগলনাইয়া ইউএনও কাজী শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনাসহ বাঁকা নদী সোজা করতে হলে ৫০ কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেছেন বলে জানান তিনি।
©somewhere in net ltd.