নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্ম এবং বিজ্ঞানের দ্বন্দ ও সমর্থন

ডাঃ সাইদুল ইসলাম

ডাক্তার

ডাঃ সাইদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআন ও বিজ্ঞান (আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কার কী কোরআন হাদিসের সাথে সাংঘরষিক ?)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯



বিষ্ময়কর বিশ্বের কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য :-
বিংশ ও একবিংশ শতকে জোতির্বিজ্ঞান মহাকাশ গবেষনার ফলে মহাবিশ্বের অভাবনীয় এবং বিষ্ময়কর সব আবিষ্কার মানুষের কল্পনাকেও হার মানিয়ে দিচ্ছে। হাদিস কোরানে মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক বর্ণনা দেওয়া আছে, যার ভাষা আমাদের কাছে বোধগম্য ছিল না। আমরা যদি বর্তমানে আবিষ্কৃত তথ্য সমুহ কোরান হাদিসের সাথে মিলাই তা হলে দেখব সৃষ্টি জগতের অনেক তথ্যই বিজ্ঞানীরা এখন আবিষ্কার করছে যা চৌদ্দ শত বছর পুর্বে কোরান হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে আমি এর কিছু উদাহরন পেশ করব। আল্লাহ কত বড় ? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন । কারন আল্লাহকে আমরা দেখতে পাইনা, তিনি আমাদের দৃষ্টির আড়ালে আছেন এবং আমাদের ধরা ছোয়ার বাইরে। যার ফলে তিনি কত বড় তা ধারনা করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে জানতে বা বুঝতে হলে তার সৃষ্টি মহাবিশ্ব কত বড় তা জানতে বা বুঝতে হবে, যা আমরা দেখতে পাই। এজন্য আমাদেরকে বিজ্ঞানের আশ্রয় নিতে হবে।
মহাবিশ্ব কত বড় (আমি এখানে বিশ্ব বলতে (World) এবং মহাবিশ্ব বলতে (Universe) বুঝাচ্ছি) ? বিশ্ব এত বড় যে আমাদের ধারনার অতীত। আমরা বিশ্বের সামান্য অংশই দেখতে পাই। দিনের বেলায় দেখতে পাওয়া সুয্য ও নীল বা লাল বায়ুমন্ডল- যার বিস্তৃতি কয়েক শত কিলোমিটার মাত্র। রাতের বেলায় দুরের গ্রহ, চন্দ্র ও কয়েক হাজার নক্ষত্র, যা আমাদের ছায়াপথের সামান্য অংশ। মহাকাশের ব্যাপ্তি বুঝতে হলে কোন কিছুর সাথে এর তুলনা করতে হবে। আমাদের সুরযটাকে নমুনা বা প্রমান হিসাবে নিয়ে বিশ্বের তুলনা করব। সুরয্য পৃথিবীর তুলনায় বড় -১৩ লক্ষ গুন এবং এর ব্যাস ৮,৬৪,০০০ মাইল। পৃথিবীর ব্যাস ৮,৬৪০ মাইল। সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি পৃথিবীর তুলনায় ১,৩০০ গুন বড়। আর শনি গ্রহ ৭৫০ গুন বড়। সুরযের নয়টি গ্রহের সমগ্র বস্তুর পরিমান সুরযের বস্তুর তুলনায় মাত্র ০.২ শতাংশ মাত্র। তাহলে সুর্য কত বড় তা ভেবে দেখুন। পৃথিবীকে একটি টেনিস বলের সমান ধরলে সুরযের ব্যাস হবে ১০ মাইল। আমাদের গ্যালাক্সিতে সুরযের তুলনায় হাজার হাজার গুন বড় তারকা আছে। ’বিটেলগিজ’ নামের একটি লাল তারা সুরযের চেয়ে ১,০০০ গুন বড় এবং ১৪,০০০ গুন বেশী উজ্জল। সুরযের জায়গায় একে রাখলে এটা দুরবর্তী বৃহস্পতি গ্রহকে গ্রাস করবে। এমন একটি তারা যা ৩,৫০০ আলোকবর্ষ দুরে অবস্থিত, সুরযের চেয়ে ১,৫৩০ গুন বড়। এ পর্য্ন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় তারা হচ্ছে ’ইউওয়াই স্কুটি’ - ইহা সুরযের চেয়ে ১,৭০৮ গুন বড় এবং ৯,৫০০ আলোকবর্ষ দুরে অবস্থিত। সুরযের বামুন আকৃতির তারাদের মধ্যে গননা করা হয়। সুরযের আয়তন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কয়েক শত কোটি বছর পরে সুর্য এত বড় হবে যে তা প্রথিবীকে গ্রাস করবে। তাহলে বুঝুন আপনি কে এবং কতটুকু! অহংকারে আকাশ ভেদ করতে চান। কি ভাবছেন ? কোন ধারনা করতে পারছেন ?

আর এই রকম ১০০ বিলয়ণ (১০,০০০ কোটি) তারা নিয়ে আমাদের গ্যালক্সি ’মিল্কিওয়ে’ গঠিত। একটি নক্ষত্র আর একটি থেকে কোটি কোটি মাইল দুরে অবস্থিত (কাছের নক্ষত্র ’সেন্টুরি’ মাত্র ৪ আলোক বর্ষ দুরে)। আলোর গতিতে ’মিল্কিওয়ে’ গ্যালাক্সির এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে পৌছুতে ১ লক্ষ বছর সময় লাগবে । আপনি কি ধারনা করতে পারছেন এর বিস্তৃতি কত ? সম্ভবতঃ না। দাড়ান ! এখনি ভ্যাবাচেকা খাবেন না। আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ের মত এরকম আরও ১০০ বিলিয়ন (১০,০০০ কোটি) গ্যালাক্সি আবিস্কৃত হয়েছে, তাতেও বিলিয়ন / ট্রিলিয়ন তারা আছে। একটি গ্যালাক্সি আর একটি গ্যালাক্সি থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন আলোক বর্ষ দুরে অবস্থিত । আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্যালাক্সি ’এন্ড্রোমেডা’ ২.৫ লক্ষ অলোকবর্ষ দুরে। ’এম৮৭’ নামক গ্যালাক্সির ব্যাস ৯,৮০,০০০ আলোকবর্ষ ; ’হারকিউলিস-এ’ নামক গ্যালাক্সির ব্যাস ১৫,০০,০০০ আলোকবর্ষ। ১ বিলিয়ন আলোক বর্ষ দুরে ’আইসি- ১১০১’ নামের সবচেয়ে বড় গ্যালাক্সি আবিষকৃত হয়েছে- যার ব্যাস ৫.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ , যাতে ১ ট্রিলিয়ন তারা আছে ; এর মধ্যে ৫০ টি ছায়াপথ স্থান পাবে। এ ছাড়াও মধ্যে মধ্যে বিশাল বিশাল ফাকা জায়গা আছে, যাতে কোন গ্যালাক্সি নাই- এমন একটি জায়গার দুরত্ব ১ বিলিয়ণ আলোকবর্ষ। তাহলে এবার বলুন মহাবিশ্বের বিস্তার কত ? বিষ্ময়ে আপনার মুখ হা হয়ে যাবে। কোরানের ভায়ায় ”আপনার দৃষ্টি বিস্ফোরীত ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে - সুরা মুলক”। আবার হিসাব করুন বিশ্বে কত তারা আছে ? সমুদ্র সৈকতে যত বালু কনা আছে বা সমুদ্রের পানিতে যত ফোটা পানি আছে , তার চেয়েও বেশী। বৈজ্ঞানিকরা এ পর্য্যন্ত ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দুরের গ্যালাক্সি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। যত সময় যাবে আরো দুরবর্তী গ্যালাক্সির আলো এসে পৌছুবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

আহা রুবন বলেছেন: চিন্তার ব্যাপার হল যারা সব থেকে বেশি হাদিস-কোরান পড়ে তারা কেন প্রথমে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারে না।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিজ্ঞানে ধর্ম নেই, ধর্মে বিজ্ঞান নেই; ধর্মে যেইসব বৈজ্ঞানিক শব্দ পাওয়া যায় , সেগুলো ধর্মীয় বই লেখকদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানেের প্রতিফলন।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Jazakallahu Khairan ডাঃ সাইদুল ইসলাম

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

সজীব মোহন্ত বলেছেন: রাতের বেলা সূর্য পঙ্কিল জলাশয়ে বিশ্রাম নেয়! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.