নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল\" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।

আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ (বি এম কলেজ) , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - ২০০১৫ খৃস্টাব্দের মার্চ থেকে ২০০১৮ খৃস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট উইনভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পি এইচ ডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি লাভ করি। আমার গবেষণার বিষয় : গুড গভারনেস, ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট : বাংলাদেশ পারসপেকটিভ - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের বাড়ি) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি (চৌধুরীবাড়ি) তে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ \" নামে ্একটি সংগঠন গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/ অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮ -১২- ১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরির সুবিধা পাবে - মাসিক ভাতা পাবে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি শিক্ষার ও চাকুরির সুবিধা পাবে হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা - গণহারে সুবিধা দেয়াতে সনদধারিদের সংখ্যায় প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে - সনদ পাবে - সুবিদা পাবে এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - জাতির পিতার ডাকে ও দেশ প্রেমের আবেগে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও তাদের সহযোগিদের দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র অক্ষম অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে -

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুজিব শতবর্ষে ও স্বাধিনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে বাঙালি সন্তানদের ‘বিশ্বমানের আবিষ্কারের’ (Global Standard Invention) রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যাবস্থা করা | ব্যাপক উতপাদন, বিপনন ও বাজারজাত করণ এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ও লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের জন্যে প্রয়োজনে বিনা সুদে ও নামমাত্র সুদে ব্যাংক ঋণ ও অনুদান প্রদানের উদ্যোগ নিতে গণভবনে মাননিয় প্রধানমন্ত্রির একান্ত সান্নিধ্য নির্দেশনায় ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে একটি “গবেষণা কর্মসুচি (Research Program) গ্রহণের আবেদন ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

বিষয় : মুজিব শতবর্ষে ও স্বাধিনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে বাঙালি সন্তানদের ‘বিশ্বমানের আবিষ্কারের’ (Global Standard Invention) রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যাবস্থা করা | ব্যাপক উতপাদন, বিপনন ও বাজারজাত করণ এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ও লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের জন্যে প্রয়োজনে বিনা সুদে ও নামমাত্র সুদে ব্যাংক ঋণ ও অনুদান প্রদানের উদ্যোগ নিতে গণভবনে মাননিয় প্রধানমন্ত্রির একান্ত সান্নিধ্য নির্দেশনায় ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে একটি “গবেষণা কর্মসুচি (Research Program) গ্রহণের আবেদন ।

মুজিব শতবর্ষের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিনয়ের সাথে বলতে চাচ্ছি যে, বাংলাদেশ এমন একটি বিশ্বশ্রেষ্ঠ উর্বর মাটির দেশ, যে দেশে কোনো রোপন ছাড়া - কোনো সার ছাড়া - কোনো পানি ছাড়া - কোনো প্রকার যত্ন ছাড়া - সারা বাংলাদেশে “দুর্বা ঘাস” (দুলফা ঘাস) অযত্নে অবহেলায় জন্ম হয় বা হোতে পারে - সে দেশের মাটিতে যত্ন নিলে কি না ফলানো যায় ? শুধুমাত্র “দেশপ্রেম থাকলেই সব কিছু ফলানো সম্ভব ।
০১. (ক) ফ্রান্সের কিংবা শীতপ্রধান দেশের ‘স্ট্রবেরি’ ফল আমাদের দেশে হবে ? আমরা কোনো দিন ভেবেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ?
(খ) ‘মালটা” আমাদের দেশে জন্মাতে পারে ? আমরা কোনো দিন ভেবেছি ? কল্পনা করেছি ? চিন্তা করেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ?
(গ) আজ বিভিন্ন জাতের ও বিভিন্ন দেশের “কমলা” আমাদের দেশের কৃষক ফলাচ্ছেন ।
(ঘ) বারো মাস আম পাওয়া যেতে পারে ? আমরা কি কোনো দিন এমনটি ভেবেছি ? কল্পনা করেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ? যা আজ বাস্তব ।
(ঙ) বারো মাস কাঁঠাল বারি-১,২,৩, হেক্টর প্রতি ফলন ১৩৩ মেট্রিক টন : কাঁঠাল মৌসুমী ফল, কাঠাল প্রিয় মানুষরা এই ফলটির অপেক্ষায় একটি বছর অপেক্ষায় থাকেন । কিন্তু এখন আর অপেক্ষায় থাকতে হবেনা । এখন কাঁঠাল পাওয়া যাবে সারা বছর । এমনি একটি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) র একদল বিজ্ঞানি । দীর্ঘদিন ধরে বারি’র বিজ্ঞানিরা নিরলস পরিশ্রম আর গবেষণার মাধ্যমে বারো মাসি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করে তা অবমুক্ত করেছেন । এই কাঁঠালের আরো বিস্তর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিজ্ঞানিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । ইতোমধ্যেই গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানিরা তিনটি নতুন কাঁঠালের জাত বারি-১, বারি-২ ও বারি-৩ উদ্ভাবন করেছেন । এখন উদ্ভাবিত জাত গুলোর সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে । এই নতুন তিনটি কাঁঠালের জাতের সম্প্রসারণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান।
(চ) এ ছাড়া বিভিন্নজনে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে, আবার কেউ কেউ সখের বসে আম, কাঠাল, জাম, আপেল, আতা, কলা, আমড়া, জাম্বুরা, জামরুল, কতবেল, ডাব, ডুমুর, তাল, চেরি, নারকেল, খেজুর, তেতুল, শরিফা, করমচা, চালতা, আঙ্গুর, পেয়ারা, লেবু, লিচু, তরমুজ, সফেদা, লটকন, বাদাম, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, অড়বড়ই(নঈল), পিচ, নাশপাতি, আনারশ, বাঙ্গি, কামরাঙা, বেল, ডেউয়া, জলপাই, বড়ই, পেপে, প্রভৃতি ফলের চাষ করে থাকেন।

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিনে ফল বিক্রেতাদের কাছে বারো মাস আম সহ নানা জাতের বিদেশি ফল বারো মাস পাওয়া যায়। অথচ তাদের স্থায়ি ভাবে বিক্রির জন্যে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাদের দৌড়ের উপর থাকতে হয় সর্বক্ষণ ।

#৥ # ৥ # আমাদের দেশের সন্তানেরা নিত্য নতুন বিশ্বমানের আবিষ্কার (Global Standard Invention) করে যা পৃথিবিতে প্রথম-

০২. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ছিলেন মেধাবি মেহেদি হাসান খান। তিনি চান এমন একটা সফটওয়্যার, যার সাহায্যে ইংরেজি অক্ষরে টাইপ করেই বাংলা লেখা সম্ভব। বাংলা ভাষার জন্য তাঁর দেশের মানুষ প্রাণ দিতে পারেন, আর সেই বাংলাকে লেখার দিক থেকে সহজ করতে কেরিয়ার বিসর্জন দিতে পারবেন না ! ২৬ মার্চ, ২০০৩ খৃস্টাব্দ, মেহেদির জিবনে শুধু নয়, লক্ষ লক্ষ বাঙালির জিবনের একটি বিশেষ দিন । সেই দিন মেহেদি বিশ্বের সামনে আনলেন ‘“অভ্র”(AVRO) সফটওয়ার। যা আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের সব চেয়ে পছন্দের বাংলা রাইটিং সফটওয়ার ) । AVRO ty বাঙালির কম্পিউটার, ল্যাপটপ খুললেই স্ক্রিনে একটি স্লোগান ভেসে ওঠে , ‘“ভাষা হোক উন্মুক্ত”। এটিই ডাক্তার মেহেদি হাসান খানের তৈরি করা স্লোগান । তাঁর স্বপ্ন ছিলো, ‘ভাষাকে উন্মুক্ত ” করতে হবে সবার জন্য, বেঁধে রাখা যাবে না জটিলতার নাগপাশে’। আজ কিন্তু তিনি ডাক্তার মেহেদি হাসান খান । হাজার তাচ্ছিল্য সত্ত্বেও তিনি ‘“অভ্র’(AVRO) আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেছেন ডাক্তারিও। আজ ভারত ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘অভ্র কি প্যাড’ ‘“অভ্র (AVRO) । লেখা হচ্ছে সরকারি ফাইল থেকে পরিচয়পত্র । মেহেদির এই আবিষ্কার বাঁচিয়ে দিয়েছে দুই দেশের কোটি-কোটি টাকা । যার জন্য এতো কিছু, সেই মানুষটাকে আমরা চিনিই না । চিরকাল প্রচার বিমুখ, ৩২ বছরের এই বিনয়ি তরুণ বাংলা ভাষার জন্য এতো বড় অবদান রেখে গেলেও, রয়ে গেলেন প্রচারের আলোর বাইরেই।
০৩. মায়ের নামে অ্যাপ তৈরি করে বিস্ময় সৃষ্টি করল বাংলাদেশি শিশু - অ্যাপ তৈরি করে বিস্ময় সৃষ্টি করল ১০ বছরের বাংলাদেশি খুঁদে বিজ্ঞানী আয়মান আল আনাম। ফ্রি ভিডিও কল ও চ্যাটের অ্যাপ বানিয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করল এক বাংলাদেশি শিশু। এই খুঁদে বিজ্ঞানীর নাম আয়মান আল আনাম। তার বয়স মাত্র ১০ বছর। চট্টগ্রামের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি আপলোড করে আনাম। আপলোডের পর এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন। আয়মান তার মায়ের নামে এ অ্যাপটির নাম রেখেছে - লিটা। এই বয়সে অ্যাপ তৈরির বিষয়ে আরব নিউজকে আয়মান আল আনাম জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশে মানুষ বেশি অ্যাপ নির্ভর হয়ে পড়েছেন। কথা বলার জন্য হোয়াটসআপ, ইমো, ভাইবার ব্যবহার করছেন। এমনকি স্বাস্থ্য সচেতনার জন্যেও অ্যাপের ওপর নির্ভর করছে অনেকে। তাই আমি এই বিষয়টির দিকে বেশি নজর দিয়েছি। আয়মান বলে, বার্তা আদান-প্রদানের জন্য আমরা বিদেশি সব অ্যাপ ব্যবহার করছি। এতে আমাদের গোপনিয়তা আর থাকছে না। তাই আমার ভাবনায় এলো, যোগাযোগ রক্ষার্থে কেনো আমরা নিজেদের কোনো অ্যাপ ব্যবহার করছি না ? সেই চিন্তা থেকেই অ্যাপটি তৈরি করেছি আমি। আরব নিউজ জানিয়েছে, ১০ বছরের আয়মানের এই অ্যাপটি তৈরিতে ১০ মাস সময় লেগেছে। আর কোনো বিশেষজ্ঞের সাহায্য ছাড়াই সফল হয়েছে সে। সংবাদ মাধ্যমটিকে আয়মান জানায়, শুধু ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে দেখেই অ্যাপটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে সে। আয়মানের দাবি, তার অ্যাপ ব্যবহারে অন্য সব যোগাযোগের অ্যাপের চাইতে ভালো মানের ভিডিও ও শব্দ পাওয়া যাবে। অন্য সব অ্যাপের তুলনায় এটি দিয়ে বড় আকারের ফাইল আদান-প্রদান সম্ভব। আয়মানের এই সফলতার বিষয়ে তার বাবা সালাম নিশাদ বলেন, জ্ঞান হবার পর থেকেই প্রযুক্তির প্রতি বেশ আগ্রহি দেখা গেছে আয়মানের। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন নিয়েই পড়ে থাকত সে। আজ সে সফল হয়েছে । আমরা তার জন্য গর্বিত । তিনি বলেন, বড়ো হয়ে সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গুগল হেড কোয়ার্টারে চাকরি করতে স্বপ্ন দেখছে আয়মান । সে লক্ষ্যেই আমরা তাকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি । আয়মানের এই অ্যাপ তৈরির বিষয়ে বুয়েটের প্রফেসর ড. মো. কায়কোবাদ আরব নিউজকে বলেন, প্রযুক্তি বিষয়ে ছেলেটির জ্ঞান আল্লাহ প্রদত্ত । আমাদের উচিত তার প্রতিভাবে বিকষিত করতে তাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া।
০৪. বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বি.এ.এফ) শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্ষুদে বিজ্ঞানী ৭ম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত নিলয়।আরাফাতের উদ্ভাবনের নাম ‘ফ্রি এনার্জি প্রজেক্ট’। বাংলাদেশের অনেক গ্রামে এখনো ‘বিদ্যুত’ পৌঁছেনি ।এ প্রজেক্টের মাধ্যমে গ্রামের গরিব মানুষদের বিনা খরচে ‘বিদ্যুত’ পৌঁছে দিবে।
০৫. এছাড়া খাঁটি দুধ চেনার খুব সহজ পদ্ধতি আবিস্কার করেছে আরাফাত । সে জানায়, খুব সহজেই জানতে পারবেন আপনার ক্রয়কৃত দুধ খাঁটি কি না ? গ্লাসের মধ্যে যে পরিমাণ কোকাকোলা দিবেন তার চার ভাগের একভাগ দুধ দেবেন । তারপর দশ মিনিট রেখে দেবেন । দেখবেন গ্লাসের নীচে (দইয়ের মতো জমবে) তলানি জমতে থাকবে । যদি তলানির পরিমাণ বেশি হয় তাহলে সেই দুধ খাঁটি।
০৬. `আলু’ থেকে `পলিথিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন এই বাংলাদেশি - এবার `আলু’ থেকে দেশেই তৈরি হলো `পলিথিন’। `পলিথিন’ ও `প্লাস্টিকের দূষণ’ কমানোর পাশাপাশি এই ব্যাগ দেশের আলু চাষি ও কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের জন্যও সুফল বয়ে আনতে পারে। আলু থেকে পরিবেশ বান্ধব এই ব্যাগ তৈরি করেছেন মাহবুব সুমন। তিনি তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতিয় কমিটির নবায়নযোগ্য শক্তি বিশেষজ্ঞ এবং বিকল্প জ্বা'লানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা গবেষক দলের সদস্য । তিনি জানান, দ্রুতই ‘শালবৃক্ষর’ পক্ষ থেকে ‘আলু থেকে তৈরি পলিথিনের ব্যাগের’ বাণিজ্যিক উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই ‘আলু থেকে এক্সপেরিমেন্টাল পলিথিনের শিট তৈরি করে তা থেকে ব্যাগ ব্যাগ বানিয়ে ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করেও দেখেছেন সংশ্লিষ্টরা । বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে প্রতিটি ব্যাগের বিক্রয় মূল্য হবে আনুমানিক ৩ টাকা। এটি ৩০ দিনের মধ্যে মাটিতে মিশে যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি গতানুগতিক সাইজের ব্যাগগু'লোর ওজন ধারণ ক্ষমতা ৫/৬ কেজি । আলু দিয়ে একদমই স্থানিয় যন্ত্রপাতি ও কমনসেন্সের ব্যবহার করে আমরা যে পলিথিন বানালাম তার নামই ‘পলকা’ (POLKA)। কোন ধরনের ক্ষ'তিকর রাসায়নিক এর মধ্যে নেই ।

০৭. ‘আলু থেকে “বিদ্যুত উৎপাদন করে বাতি জ্বালিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ক্ষুদে এই বিজ্ঞানিরা । আলু থেকে বিদ্যুত আবিষ্কারক চট্টগ্রাম জেলার মিরশরাই উপজেলার মঘাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানি ইমন, আসিফ বিশ্বনাথ, সাকিব ও প্রসেনজিত জানিয়েছেন, ‘আলু’র ভেতরে থাকে প্রচুর পরিমানে ‘সৌরশক্তি’ যেটি কাজে লাগিয়ে অনায়াসে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপাদন করা সম্ভব । ‘আলু’ থেকে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপাদনে একটি এল.ই.ডি. বাল্ব জ্বালাতে ১০টি আলু, জিংকের পাত, ১০টি তামার পাত ও সামান্য তার ও দুটি আলাদা ধাতব দণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ধাতব দণ্ডের মধ্যে রয়েছে একটি ‘অ্যানোড’ বা ‘নেগেটিভ’ এবং অন্যটি ‘ক্যাথোড’ বা ‘পজেটিভ’ । এরপর দণ্ড আলুর দুই প্রান্তে গেথে আর দণ্ডের অপর প্রান্তের সাথে দুইটি পরিবাহী লাগানো হয়েছে। পরবর্তীতে অ্যাসিডিক পদার্থকে সংশ্লেষণের মাধ্যমে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপন্ন করা হয়েছে । যা এর আগে কেউ ভাবেনি, আবিষ্কারও করেনি।
(খ) প্রজেক্টের মধ্যে পাইলটবিহিন হেলিকপ্টার, হাইড্রোলিক ব্রিজ ও সৌর পাম্প, খাবার লবণ থেকে গৌন ‘বিদ্যুত’ কোষ, হোম মেড ‘সোলার এসি, সোলার গাড়ি, সলিনয়েড, ফেলনা জিনিস থেকে চার্জলাইট তৈরি অন্যতম।
(গ) সংযোগ ছাড়াই চলবে সব বাড়িতে বা বহুতল ভবনে অথবা কলকারখানাসহ সব জায়গাতেই কোন রকম ইলেকট্রিক তার সংযোগ ছাড়াই চলবে এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ফ্যান’ ‘কম্পিউটার’ সহ যাবতিয় ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য। বৈদ্যুতিক তার সংযোগ ছাড়াই নির্দিষ্ট জায়গায় ফ্রিজ, এসি, ফ্যান, লাইট চালানো বিষয়টি অবাক করারই ব্যাপার।

০৮. নতুন এক উদ্ভাবনের কথা জানালেন যশোর শার্শা বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থি উম্মে হাবিবা জামান শ্রাবনী। হাবিবা জামান শ্রাবনীর উদ্ভাবিত ‘ওয়ারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম’প্রজেক্ট। প্রজেক্টটি কিভাবে কাজ করে জানতে চাইলে এ খুদে বিজ্ঞানি জানান, ওয়ারিং ছাড়াই ঘরের সব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য চালানো সম্ভাব এ প্রজেক্টের মাধ্যমে। তাছাড়া এ প্রজেক্টের মাধ্যমে জানা যাবে পুরাতন ঘরে ওয়ারিং এর ত্রুটি-বিচ্যুতি । একটি বারো ভোল্টের পাওয়ার সাফলাইয়ার, একটি প্রাইমারি ও একটি সেকেন্ডারি বিদ্যুতের কয়েল, একটি পাওয়ার টেনজেজটার দিয়ে মাত্র ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকার মাধ্যমে ছোঁট আকারে এ প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে মাত্র এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা খরচ করে ফ্লাটে বা কলকারখানায় এ প্রজেক্ট চালু করা সম্ভব বলে জানান এই খুদে বিজ্ঞানি। খুদে বিজ্ঞানি উম্মে হাবিবা জামান শ্রাবনীর কাছে ‘ওয়ারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম’ আবিস্কারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রায় সময় টেলিভিশনে ও সংবাদ পত্রে দেখি ওয়ারিং এর ক্যাবেল থেকে সর্টসার্কিট (Short Surcuit) হয়ে ভবনে আগুন লেগে ব্যাপক যানমালের ক্ষতি হয়। এ নিয়ে আমি ভাবতে থাকি কিভাবে এ শর্টসার্কিট (Short Surcuit) থেকে এবং যানমালের ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আমার এই ভাবনা থেকেই কাজ শুরু হয়। এক সময়ে আমি ডিজিটাল এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ যন্ত্রটি তৈরি করতে সক্ষম হই। কোন রকম বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ ছাড়াই আমি এক সময়ে ফ্যান, লাইটসহ যাবতিয় ছোঁট আকারের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য চালাতে সক্ষম হই। এখনো যন্ত্রটির ব্যবহার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা সম্ভব বলে জানান এ খুদে বিজ্ঞানি।

০৯. কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ক্ষুদে বিজ্ঞানি মীর শাহরিয়া ইসলাম সাকিব। ক্ষুদে এই বিজ্ঞানি তাক লাগিয়ে দিয়েছে ‘বড়ো আবিষ্কার’ করে। ‘‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর এন্ড অটোসিকিউরিটি’’ নামে একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে সাকিব। নেশা করলেই সতর্ক দেবে এই যন্ত্র ! সাকিবের তৈরি করা যন্ত্রটি এয়ারপোর্ট, হাসপাতাল, যাত্রিবাহি গাড়ি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারখানা, অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো স্থানে স্থাপন করা যাবে। কেউ যদি নেশা জাতিয় দ্রব্য গ্রহণ করে তবে আগাম বার্তা দিয়ে সর্তক করে দেবে এ যন্ত্র। এতে সহজেই শনাক্ত করা যাবে, মাদক গ্রহণকারি, এড়ানো যাবে বড়ো ধরণের বিপদ।
১০. অটোমেটিক সিকিউরিটি এলার্ম। এটি এমন একটি যন্ত্র, যা ‘চুরি প্রতিরোধে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অ্যালার্মটি সেট করার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ আলোর সংস্পর্শ পেলেই অটোমেটিক বাজতে থাকবে। যার ফলে চুরির ঘটনা ঘটছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে চোরকে ধরাও সম্ভব হতে পারে। ‘সিকিউরিটি অ্যালার্ম’ নামক একটি যন্ত্র আবিস্কার করেছেন এডুকেশন স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থি যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছে। শ্রেণি শিক্ষকের সহযোগিতায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থিরা এই ‘অটোমেটিক সিকিউরিটি অ্যালার্ম’ তৈরি করেছে। অ্যালার্মটি প্রদর্শনি করা হয় একটি আলমারির মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, আলমারিটির ভিতরে রয়েছে ‘সিকিউরিটি অ্যালার্ম’। যেই মুহূর্তে অ্যালার্মটির উপরে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.