নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল\" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।

আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ (বি এম কলেজ) , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - ২০০১৫ খৃস্টাব্দের মার্চ থেকে ২০০১৮ খৃস্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমি আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট উইনভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পি এইচ ডি (ডক্টরেট) ডিগ্রি লাভ করি। আমার গবেষণার বিষয় : গুড গভারনেস, ডেমোক্রেসি এন্ড ডেভলপমেন্ট : বাংলাদেশ পারসপেকটিভ - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের বাড়ি) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়ি (চৌধুরীবাড়ি) তে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ \" নামে ্একটি সংগঠন গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/ অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮ -১২- ১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ে রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরির সুবিধা পাবে - মাসিক ভাতা পাবে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি শিক্ষার ও চাকুরির সুবিধা পাবে হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা - গণহারে সুবিধা দেয়াতে সনদধারিদের সংখ্যায় প্রকৃতরা বঞ্চিত হচ্ছে - সনদ পাবে - সুবিদা পাবে এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - জাতির পিতার ডাকে ও দেশ প্রেমের আবেগে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ও তাদের সহযোগিদের দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র অক্ষম অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে -

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের একক নেতা জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান :

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:০০

বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের একক নেতা জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান :

১৯৭৫ খৃস্টাব্দের পরে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারিরা ও ১৯৭১ খৃস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা, পিকিংপন্থিসহ সকল স্বাধিনতা বিরোধিরা ও এ দেশিয় পাকিস্তানি ভাবধারার মানুষরা এ প্রচারে সক্রিয় হয় যে কোনো একক ব্যাক্তির দ্বারা একটি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়না – তারা জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমান্তরাল নেতা “স্বাধিনতার ঘোষক” নামে জেনারেল জিয়াউর রহমানকে – “স্বাধিনতার স্বপ্নদ্রষ্টা “ নামে সিরাজুল আলম খানকে ও মওলানা ভাসানিকে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট ও সক্রিয় ছিলো ও আছে দুর্জনেরা –
প্রকৃত অর্থে বাস্তবতা এটাই যে, জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একক নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধিন রাষ্টের জন্ম ও বাস্তব রূপ লাভ করে – জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ষাটের দশকের শুরুতে বাংলাদেশ স্বাধিন করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন - তিনি উপলব্ধি করেন, বাংলাদেশ স্বাধিন করতে হলে ভারতের সমর্থন ও সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন – তখোনকার আগরতলার পুলিশের আই. জি; পি. ফনিন্দ্র নাথ ব্যানার্জি – যিনি সকলের কছে ‘নাথ বাবু’ নামে পরিচিত - ফনিন্দ্র নাথ ব্যানার্জি (নাথ বাবু) উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধুকে আগরতলায় নিয়ে ত্রিপুরার তৎকালিন মুখ্যমন্ত্রি শচিন্দ্র নাথ সিংহের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে – কিন্তু দিল্লির অনুমতি ছাড়া এটি করা সম্ভব নয় - ফনিন্দ্র নাথ ব্যানার্জি (নাথ বাবু) মুখ্যমন্ত্রি শচিন্দ্র নাথ সিংহকে নিয়ে যান দিল্লি – সিদ্ধান্ত হয় জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ভারতের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক করানোর – সে সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রি ছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রি ও ইন্দিরা গানি্‌ধ ছিলেন তথ্য ও প্রচার মন্ত্রি – ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে জুন মাসে কমনওয়েলথ সম্মেলনে লন্ডনে এই বৈঠকের স্থান ও সময় নির্ধারণ করা হয় – লন্ডনের সাউদাম্পট রোডে ড. তারাপদ বসুর বাসায় বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধির বৈঠকের ব্যবস্থা করেন - সেই বৈঠকে স্থির হয় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান থেকে পুর্ব পপাকিস্তানকে আলাদা স্বাধিন রাষ্ট্রে রূপ দেবেন ও ইন্দিরা গান্ধি ভারতের সকল প্রকার সহায়তার ব্যবস্থা করবেন – ১৯৬৬ খৃস্টাব্দে তাসখন্দে লাল বাহাদুর শাস্ত্রি মারা গেলে ইন্দিরা গান্ধি ভারতের প্রধানমিন্ত্র হন –
জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জিবনব্যাপি একটি সাধনাই করেছেন -বাঙালির মুক্তির জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করা – ১৯৪৭ খৃস্টাব্দে বৃটিশ শাসনে অবসানের পরে তিনি যখন উপলদ্ধি করলেন এই স্বাধিনতা বাঙালির মুক্তি দেবে না – তিনি ধাপে ধাপে প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন – ১৯৪৮ খৃ: থেকে ১৯৫২ খৃ: পর্যন্ত বাঙলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার আন্দোলন -১৯৫০ খৃ: থেকে ১৯৫৪ খৃ: জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের আন্দোলন -১৯৫৪ খৃ: থেকে ১৯৫৬ খৃ: পর্যন্ত সাংবিধানিক সায়ত্বশাসনের আন্দোলন -১৯৬৪ খৃ: সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন -১৯৬৬স খৃ: জাতিয় আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার তথা ০৬ দফা আন্দোলন -১৯৬৯ – ৭০ খৃ: সার্বজনিন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ভুমিধস বিজয় অর্জন এবং পরিশেষে ১৯৭১ খৃ: স্বাধিনতার ডাক দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধিন ও সার্বভোৗম গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা – ঐতিহাসিক এ পর্বগুলো সংঘটনে জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জিবনের প্রায় ১৩ বছর কারারান্তরালে কাটাতে হয়েছে -
০৬ দফাকে জাতির পিতা বলতে বাংলাদেশের স্বাধিনতার সিড়ি ও শাকো- কেউ বলেন ম্যাগনাকার্টা – ১৯৬৬ খৃস্টাব্দে ০৬ দফা আওয়ামী লীগের ম্যানুফেস্টোতে গ্রহণ করতে গিয়ে জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেকটা নিঃসঙ্গ হোয়ে পরতে হয়- আওয়ামী লীগের তৎকালিন সভাপতি মওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ, সহ সভাপতি আতাউর রহমান খান, আবুল ম,নসুর আহমেদ,সহ অনেক সিনিয়র নেতা আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেন - পুর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতাগণ ০৬ দফার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন – তাদের মতে এটা বিচ্ছিন্নতাবাদি ও রাষ্ট্রদ্রোহি কাজ – সকলকে ফাসিতে ঝোলাবে আইউব খান - জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০৬ দফার প্রশ্নে অনড় ও দৃঢ় চিত্ত থাকেন- কেউ না এলে তিনি একলা চলার নিতি গ্রহণ করেন – ০৬ দফার প্রশ্নে জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদ ও অন্যান্য অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করেন – ছাত্র লীগকে দায়িত্ব দেন ০৬ দফা সারা দেশে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে – ছাত্র লীগ প্রগতিশিল সকল ছাত্র সংগঠনসমুহকে নিয়ে সর্বদলিয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে- ০৬ দফাকে অক্ষুন্ন রেখে, ছাত্র ও শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ০৫ দফা যোগ করে ১১ দফা প্রনয়ন করে, সারা দেশে ব্যাপক গণআন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে- জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল রাজবন্দিদরে মুক্ত করে - ১৯৭১ খৃস্টাব্দে জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০৬ দফার প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নেবার কারণেই ইয়াহিয়া খান ব্যর্থমনোরথ হয়ে পাকিস্তানে ফিরে যান – শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ - জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০৬ দফা অ্যামোনভাবে তৈরি করেন যে, এটাকে সরাসরি বিচ্ছিন্নতাবাদি দলিল বলা যাবেনা – অন্যদিকে পাকিস্তান এটাকে মেনে নিলে তার পথ ধরেই বাংলাদেশ স্বাধিন হোয়ে যায় - জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও কৌশলের কারণে সেদিন পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ ও সামরিক শাসককুল পরাজিত হতে বাধ্য হয় -তাই এটি এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য যে ০৬ দফাই বাংলাদেশের স্বাধিনতার জন্য একমাত্র অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে - নেতৃত্বের বিচারে যার সম্পুর্ণ কৃতিত্ব জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের - তার একক ও একার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সফল হয় ও স্বাধিন বাংলাদেশের জন্ম নেয় –

১৯৬৬ খৃস্টাব্দে ০৬ দফা উত্থাপনের পরে আইউব খান বঙ্গবন্ধু দিকে বন্দুক তাক করে ধরলেও হাজারো লোভনিয় প্রস্তাব নিয়ে দেনদরবার করার চেষ্টা করেন আইউব খান –আইউব খান প্রস্তাব করেন (০১) মোনায়েম খানের পরিবর্তে শেখ মুজিবকে পুর্ব পাকিস্তানের গভর্নর করা হবে – (০২) আইউব খানের ছেলে গওহর আইউবের মালিকানাধিন গাড়ি তৈরির কারখানা গান্ধারা ইন্ডাস্ট্রিজের (বর্তমানে বাংলাদেশের প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ) ৪৯ শতাংশ মালিকানা বঙ্গবন্ধুকে দেয়া হবে – (০৩) এই ৪৯ শতাংশ শেয়ার কেনার টাকার ব্যবস্থাও আইউব খান করে দেবেন – এ সকল প্রস্তাব বঙ্গবন্ধু ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা নয় – বঙ্গমাতা বেগম মুজিব ফজিলাতুন নেছা প্রস্তাবকারিকে বলেছেন, শেখ মুজিবকে মোনায়েম খান বানানোর চেষ্টা করবেন না –
ভেবে দেখুন জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি পাকিস্তানি শাসকদের লোভনিয় প্রস্তাবে পরে যদি (০১) পুর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মন্ত্রি, প্রধানমন্ত্রি হতেন তাহলে কি ১৯৭১ খৃস্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধিন হোতো ? (০২) ০৬ দফা নিয়ে জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি দৃঢ় চিত্তে এককভাবে এগিয়ে না যেতেন ? কিংবা ইয়াহিয়ার সঙ্গে আপস করতেন ? তা হলে কি বাংলাদেশ স্বাধিন হোতো ?
বঙ্গবন্ধুর একক সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্বে এবং ভুমিকায় বাংলাদেশ স্বাধিন হোয়েছে – বঙ্গবন্ধুর সিমাহিন ত্যাগ, আদর্শ, চিন্তা, দর্শন ও দুরদর্শিতার কাছে ১৯৭১ খৃস্টাব্দের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি পরাজিত হোয়ে যায় – সশস্র মুক্তিযুদ্ধ ছিলো পাকিস্তানের শেষ যবনিকা টানার উপলক্ষ মাত্র –
১৯৭১ খৃ: ২৫ মার্চ কালোরাতে গণহত্যা শুরুর পর বাঙালির প্রতিরোধ সংগ্রামে শামিল হোয়েছে সর্বস্তরের ও সব শ্রেনি পেশার মানুষ – গণহত্যার শিকারও হোয়েছে সব শ্রেনি পেশার মানুষ – প্রতিরোধ যুদ্ধ তথা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ – সেনা বিমান ও নৌ বাহিনির অফিসার থেকে সাধারণ সৈনিক – বেসামরিক প্রশাসনের সচিব থেকে কেরানি পর্যন্ত যার যা আছে তাই নিয়ে চলে গ্যাছে মুজিবনগর – একটি গোটা জাতির বিকল্প প্রশাসন গড়তে যেসব উপাদান প্রয়োজন তার সবই প্রায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে – প্রায় অ্যাক কোটি মানুষের দেশত্যাগ করে শ্মরণার্থি হওয়ার ঘটনা বিশ্বে বিরল ঘটনা – শ্মরণার্থি বা পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চলে অবরুদ্ধ ৯০ শতাশ মানুষের তথা সমগ্র জাতির নেতা জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – অন্যান্য দেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পার্থক্য এখানেই – আর এই ব্যতিক্রমি মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – যদিও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গ্যাছে কিন্তু তার ‘‘ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম – এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধিনতার সংগ্রাম”” - এই বজ্রকন্ঠ স্বাধিন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হোয়েছে বার বার একাধিকবার প্রতিদিন – অনুপ্রানিত কোরেছে গোটা জাতিকে - অ্যামোনকি পাকিস্তানে আটকে পরা বাঙালিরাও প্রতিক্ষায় থেকেছে বজ্রকন্ঠ শোনার জন্যে – এখানেই জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট -
তাই বঙ্গবন্ধুর জিবন, কর্ম, আদর্শ, চিন্তা, দর্শন, দুরদর্শিতার এবং ত্যাগের দৃষ্টান্ত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রোথিত করার সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম অব্যহতভাবে পরিচালনা করা একান্ত জরুরি – বর্তমান সময়ের বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বঙ্গবন্ধুকে শুধুমাত্র পোস্টার, ব্যানার, সাইন বোর্ড, সুরম্য গেট, ফেস্টুন, স্লোগান, বক্তৃতা, দিনব্যাপি কোরআনখানি, কাঙালি ভোজের নামে নেতা কর্মিদের বিরিয়ানি ভোজ, প্রভৃতির মধ্যে সিমিত রাখলে তার থেকে নতুন প্রজন্ম কিছুই জানতে ও শিখতে পাবেনা জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে – মৌলবাদিদের সাথে পার্থক্য ও জাতির পিতার আওয়ামী লীগের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্খা নতুন প্রজন্ম খুজে পায়না - জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্পুর্ণরূপে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে - জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানলে ও বুঝলে দেশ, জাতি, সাধারণ মানুষ, তরুণ প্রজন্ম কিভাবে উপকৃত হবে তার পক্ষে তথ্য সমৃদ্ধ যুক্তি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া একান্ত প্রয়োজন – একই সঙ্গে জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বাধিনতা বিরোধিদের (পিকিংপন্থি সহ) ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিতদের এবং পাকিস্তানি মানসিকতার ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, মিথ্যাচার,ও ইতিহাস বিকৃতি থেকে নতুন প্রজন্মকে বাচাতে হবে - জাতির পিতা ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তা দর্শন আমরা নতুন প্রজন্মকে জানাতে ও শেখাতে পারিনি বলেই আজ সমাজ রাজনিতি ও রাষ্ট্রনিতিতে ভয়াবহ অবক্ষয় ঘটেছে - এটা আমাদের জাতিয় ব্যর্থতা -

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৩

দংশন বলেছেন: ব্ঙ্গবন্ধু ছিল প্রকৃত লিডার। ১৫ই আগষ্ট এই জাতির জন্য কলঙ্কের একটি দিন। কোনদিন এই পাপ থেকে মুক্ত হতে পারব কিনা তা একমাত্র উপরওয়ালাই জানেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.