![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী পথিক চলেছি পথের সন্ধানে, পথের শুরু জানি শেষটা জানিনা। শুধু জানি হাটতে হবে অনেকদুর। দুর্গম আমার পথ বেছে নিয়েছি স্বেচ্ছায় তাই এর দা্যও আমার
পর্ব এক
পর্ব দুই
মুল আলোচনা আগের দুই পর্বেই করা হলেও এ পর্বে একটু ভিন্ন ডাইমেনশনে ঘটনাটি দেখার চেষ্টা করবো। এর আগে আমরা ধরে নিয়েছিলাম কোন ঘটনা ঘটেনি, আর তারপরে একের পর এক অসংগতি'র সূত্র ধরে মূল ঘটনার বিশ্লেষন করেছিলাম। কিন্তু এ পর্বে ভিন্নভাবে বিশ্লেষনের সুবিধার্থে আমরা ধরে নিচ্ছি যদি আসলেই এরকম একটি ভয়ংকরা ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে কি কি হতে পারতো?
ক) প্রথম কথা, সরকার ঘটনাটি তার সর্বশক্তি দিয়ে জাষ্টিফাইড করার চেষ্টা করতো। সরকারী ভাষ্যে এদেরকে বিশৃংখলাকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী এবং রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরুপ এইভাবে চিহ্নিত করে অভিযানের যৌক্তিকতা প্রমানের চেষ্টা করত।
খ) রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হত এই অভিযানের সব ধরনের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এবং মিডিয়া যেনো কোনভাবেই ঘটনার নৃশংস দিক'টি প্রচার করতে না পারে। আর তারপরেও কোনো মিডিয়া যদি বাড়া-বাড়ির কোন চেষ্টা চালাতো তাদের উপর সর্বোচ্চ আঘাত করা হত।
গ) অভিযানের পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় এরকম দৃশ্য সম্প্রচার, যা দেখলে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে সরকার এখানে গতানুগতিক ভাবেই অভিযান চালিয়েছে এবং বিক্ষোভকারীদের কমিটমেন্টের অভাব ছিলো বলেই তারা রণে ভঙ্গ দিয়েছে।
ঘ) পরিশেষে অভিযান শেষে সরকারী ভাষ্যমতে কোন হত্যাকান্ড ঘটে নাই এবং সরকার নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন কারীদের দমন করেছে। এবং কারো কাছে যদি কোন প্রমান থাকে তাহলে সরকার তা বিবেচনা করে দেখবে।
এখন আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন উপরে উল্লেখিত পয়েন্টগুলো বাস্তবে যা হয়েছে তার সাথে মিলে কিনা। আর হ্যাঁ সরকার আরেকটা কাজ করতে পারতো এই ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি ডাইভার্ট করতে নতুন কোন ভয়াবহ ঘটনার (ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, কিছু সুশিল হত্যা, অথবা বিশাল লঞ্চডুবি) সুত্রপাত করতে পারতো এবং তাতেও এই ঘটনাকে আড়াল করতে পারতো। যদিও সরকার এইবার আর ঐ পথে যায় নি বলে সরকার'কে ধন্যবাদ দিতেই হচ্ছে।
আর হ্যাঁ সরকারের এই আচরন দেখে একটা জিনিষ অন্তত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এই সরকার স্বাভাবিক গনতন্ত্রের পথে হাটার কথা আর চিন্তাই করছেনা। তারা কোনভাবেই তত্ত্বাবধায়ক দেওয়া তো দুরের কথা, কোন ভাবেই এমন কোন নির্বাচনী ব্যাবস্থায় যাবেনা যেখানে আলীগ এর হারার কোনরকম সম্ভাবনা আছে। কারন একটা কথা খুবই স্পষ্ট যদি তারা হেরেই যায় এই ভয়াবহ হত্যাকান্ডের দায়ভার বড় বেশি ভারি হয়ে যাবে। এমনিতেই ২৫'শে ফেব্রুয়ারী হত্যাকান্ডের দাগ লেগে আছে আর তার সাথে যোগ হয়েছে আবার ৬'ই মে। বাংলাদেশের কোন সরকারের কি সাহস হবে এই অবস্থায় ইলেকশনে হেরে বিরোধি দলে যাওয়ার ? না তা সম্ভব নয়। আর সম্ভব নয় বলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাচ্ছে ঘন কালো মেঘ আর ভয়াবহ দুর্যোগের ঘনঘটা। হয়তো আবার কবর থেকে জীবিত হয়ে ফিরে আসবে আসবে বাকশাল ৩৯ বৎসর পরে এই বাংলার মাটিতে, অন্য নামে অন্য বেশে। আর আমরা তাকে গোলাপ আর গাঁদার মালা হাতে শাহবাগ থেকে স্বাগত জানাবো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিস্ফোরিত হয়ে শুধু রাজাকারের বিচার হবে বলে।
০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: হুমম আপনি এর আগেও আমার লেখায় এই লিংকটি সহ দিয়েছিলেন এবং আমি তার জবাব দিয়েছিলাম কিন্তু কোন উত্তর পাইনি। শুধু নিজে যা বলবেন তা শুনলেই তো হবেনা। মানুষের কথাও শুনতে হয় তাই না??
২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভাল লাগল।
তবে সরকার এবং সরকার সমর্থকরা এটা কখনও মানবে না। এদেরকে বলেও লাভ নাই। এরা হচ্ছে মগজ ধোলাই হওয়া সমর্থক। এদের বিপক্ষের কিছু এরা কখনও মেনে নেয়না এবং মেনে নিবে না।
০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আমার এই লেখা মগজ ধোলাই হওয়া সমর্থকদের জন্য নয়। সেটা শুধু হাম্বা না যে কোন দলের'ই হোক না কেন। মগজ ধোলাই হওয়া সমর্থকদের জন্য এত কষ্ট করে লেখার দরকার পড়েনা। শুধু গলাবাজি বক্তৃতা দিলেই চলে, তাতেই ওরা খুশী হয়ে যায়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য। আর শুধু কি এই একটা পর্বই পড়লেন নাকি আগের গুলোও পড়েছেন
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
আলতামাশ বলেছেন: Click This Link
০৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: ভালো লাগলো দেখে আপনিও কষ্ট করে অনেক বড় একটা লেখা দিয়েছেন। বিএনপিও এই ইস্যুতে কথা বলছেনা। কিন্তু আমি ৬'ই মে আর ২৫'শে ফেব্রুয়ারী এই দুই ঘটনা ভুলবোনা। কারন এই দুটোই এই আম্লীগ সরকারের মাইল ফলক
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জ্বী ভাই ঠিক বলেছেন।
বাকী পর্বগুলোও পড়েছি।
০৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত বড় লেখা পড়ার জন্য। আমি ছোট রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু আওয়ামি পা চাটা বুদ্ধিজীবিদের ভন্ডামির প্রতিবাদে লেখা দিতে গেলে একটু বড়ই হয়ে যায়
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩
ভুং ভাং বলেছেন: হেফাজত বলে ২৫০০ সরকার বলে ৬ কোনটাই সত্যি না বলে আমার ধারনা।সত্যি একসময় প্রকাশিত হবেই ।
০৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আমার পুরো লেখাটা পড়লে আপনি হয়তো জবাব'টা পেতেন। আমি দুটোর কোনটাই সত্যি বলে মনে করিনা। আর সত্যি একসময় প্রকাশিত হবে, ব্যাপারটা আসলে আপেক্ষিক।
৬| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২২
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: হেফাজতি লিনক সমগ্র ( শুধু আমার পোষ্ট থেকে )
Click This Link
৭| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩০
নিষ্কর্মা বলেছেন: কোণ এক সূত্রে জানা গেছে ঢাকা মেডিক্যালে ৬ মে মধ্যরাত থেকে ভোরের ভেতরে ১১টি মৃতদেহ আনা হয়েছিল। সেইগুলো কি আপনারা একবার খোঁজ করে দেখেছেন?
০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: হ্যা ঢাকা মেডিকেল কলেজের বরাত দিয়ে এই খবর প্রচার হয়েছে। কিন্তু আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন সেইটা বুঝতে পারছিনা।
৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: আমি খালি একটা জিনিসিই বুঝি না ... মরাগো আত্মীয় স্বজনরা কই
০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৮
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আপনি কি আমার পুরো লেখাটি পড়েছেন? যদি পরে থাকেন তবে সরকারী বুদ্ধিজীবিদের বহুবার আউরানো এই বুলি'র জবাব পেয়ে থাকবেন আশা করি। আর যদি আপনি সরকারী সমর্থক হয়ে থাকেন মনে প্রানে কালবৈশাখী ভাইয়ের মত তাহলে আর বলার কিছু নাই
৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৪
নিষ্কর্মা বলেছেন: @লেখকঃ আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম ঐ মৃতদেহগুলোর মালিকানা হেফাজত দাবী করে নাই, ফলে তথাকথিত ইসলামি বিপ্লবের স্বপ্নদ্রষ্টা বিম্পির পক্ষ থেকেও তেমন জোরালো কোন দাবী উচ্চারিত হয় নাই। ১১টা কি কম না কি? না বাকি থাকুক মাত্র ২৪৮৯ টা মিথ্যা মৃতদেহ!
খুব সম্ভবতঃ ঐ মৃতদেহগুলোর তাদের শেষ যাত্রার আগে ক্লিন শেভ করে যাওয়ায় হিসাবে গন্ডোগোল হয় যায় হেফাজতের!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
৬ই মে ক্রাকডাউনে ব্যাপক হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে আমি মনে করি না।
কারন ঘন্টাখানেক পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমার লেখাটি পড়ুন।
কমেন্টের উত্তরগুলো সহ পড়বেন-
Click This Link