![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিধ্বনি না হয়ে কণ্ঠস্বর হও.....
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতের আদানি গ্রুপকে দেওয়া ৯০০ একর জমি নিয়ে বর্তমানে এক জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। এই জমি শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, কৌশলগতভাবেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার যাতায়াতের জন্য পরিচিত ‘চিকেন নেক’ এলাকায় অবস্থিত।
চুক্তির পটভূমি
২০১৫ সালের জুন মাসে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে ভারত বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (SEZ) গঠনের প্রস্তাব দেয়। শেখ হাসিনা সরকার প্রথমে রামপালে ৩০০ একর জমি দেয়, কিন্তু পরে ভারতের অনুরোধে মিরসরাইয়ে ১,০৫৫ একর জমি বরাদ্দের আলোচনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালে দিল্লি বৈঠকে ৯০০ একর জমি দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
২০১৯ সালে বেজা (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) ও আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে, যা ২০২২ সালে যৌথ উদ্যোগে রূপ নেয়। শর্ত ছিল, প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬৫% যন্ত্রাংশ ভারত থেকে আমদানি করতে হবে এবং উন্নয়নকাজে কেবল ভারতীয় প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
স্থানীয়দের ক্ষোভ ও নিরাপত্তা উদ্বেগ
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকল্পে কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক বা প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি ইট, পাথর, বালু পর্যন্ত ভারত থেকে আনা হচ্ছিল। স্থানীয়রা মনে করেন, এটি শুধু অর্থনৈতিক বৈষম্য নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সামরিক বিশ্লেষক মেজর (অব.) মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, “এ প্রকল্পে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ নেই, সবই ভারতের একতরফা লাভের জন্য।” তাঁর মতে, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এই জমি ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের পথ খুলে দেয়।
অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ ও বিক্ষোভ
২০১৮ সালে বেজা মগাদিয়া মৌজায় আরও ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে, যা মূলত কৃষিজমি ছিল। এতে কৃষকদের মধ্যে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে জানা যায়, এই ৭০০ একরের জন্য কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি - এটি ছিল কেবল মৌখিক প্রতিশ্রুতি।
প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতীয় পক্ষ, প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে ৯০০ একরের চুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে, আর ৭০০ একর জমি অবমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ এই প্রকল্পকে “বাংলাদেশের পেটের মধ্যে একখণ্ড ভারত” বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, মিরসরাইয়ের অবস্থান কৌশলগতভাবে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বেজার কর্মকর্তারা মনে করেন, এ ধরনের প্রকল্প কোনো স্বাধীন দেশের জন্য আত্মঘাতী। তারা ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রকল্প বাতিলের সুপারিশ পাঠিয়েছে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
মিরসরাইয়ের ৯০০ একর জমি নিয়ে আদানি প্রকল্প এখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত বিতর্কের কেন্দ্রে। চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন ও সম্ভাব্য বাতিলের সিদ্ধান্ত শুধু এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নকেও সামনে নিয়ে এসেছে।
আর এভাবেই দেশটাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য আপা বলত, "ভারত কে যা দিয়েছি, সারাজীবন মনে রাখবে"। আহ কত গর্বের কথা। আমরা মীর জাফর ঘষেটিকে দেখিনি আমরা দেখেছি শেখ ও শেখের বেটিকে। অথচ একদল এখনো বলে আপার হাতেই দেশ নিরাপদ।
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪
বিজন রয় বলেছেন: ভারত নাই আমেরিকা আছে।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: এই জমি আমেরিকাকে দিয়েদেয়া হোক।সেভেন সিষ্টারকে টাইট দেয়ার জন্য এটাই উত্তম পন্থা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে। ধন্যবাদ।