নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিভক্তি চাই না

দেখা হবে ব্লগে.....।

চেতনায় তুমি

লেখতে লেখতে বলব.....

চেতনায় তুমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাচেলর NON ব্যাচেলর বনাম বাড়ীর মালিক

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

বাড়িওয়ালাকে টার্গেট করেছিলাম পাক্কা দুই বছর আগে। মামা-চাচা-খালু-আংকেল কী-ই না ডেকেছি। উদ্দেশ্য একটাই—ওনার বাড়ির চিলেকোঠাটা। একগাদা শর্ত মেনে অবশেষে পেলাম। ছয় মাস পর পর ভাড়া বাড়ায়, পানি কিন্তু দেয় না। গোসলের আগে চিত্কার করে পানি চাইতে হয়। আর মালিকের তো আমার হাঁটা-চলা-ওঠা-বসা সবকিছুতেই আপত্তি! যা বলেই ডাকি, এখন আর ব্যাটার মুখ দেখতে ইচ্ছে হয় না…।’

এ তো গেল আমার এক পরিচিত ব্যাচেলরের (অবিবাহিত) কথা। রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়ার পর্বতা এলাকায় থাকেন তিনি। পড়েন তেজগাঁও কলেজে, ফিন্যান্স বিভাগে। বাড়িওয়ালাদেরও ব্যাচেলরদের ব্যাপারে ঘোর আপত্তি। শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ভবনের মালিক শাহনাজ ইউসুফ বলেন, ‘ব্যাচেলররা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। কীভাবে বাসা ভাড়া দেব ওদের।’ কেউ কেউ বলেছেন, ব্যাচেলররা বাড়িভাড়া নেওয়ার সময় বানিয়ে বানিয়ে কথা বলেন। তাই তাঁদের বিশ্বাস করা যায় না। ব্যাচেলরদের দাবি, তাঁরা যতই বোঝান দেশে আইন-কানুন আছে, সবাই এক রকম নয়, তবু বাড়িওয়ালার মন গলে না।

ব্যাচেলর আর বাড়িওয়ালাদের এই বিরোধ চলে আসছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু মুক্তির যেন উপায় নেই। বাড়ির মালিক কাকে ভাড়া দেবেন আর কাকে দেবেন না, সে বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো আইনগত সুযোগ নেই। ভাড়াটের অধিকার রক্ষার প্রশ্ন আসবে তখনই, যখন বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটে একটা চুক্তিতে পৌঁছাবেন।

প্রত্যেক মানুষকে কোনো না কোনো সময় ব্যাচেলর হিসেবে বসবাস করতে হয়। বিশ্বের কোনো দেশে ব্যাচেলররা এই সমস্যায় পড়েন না।সাধানত ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে যাঁরা বিয়ে করেননি, তাঁদের ব্যাচেলর বলা হয়। কিন্তু ঢাকায় এমন অনেকেই আছেন যাঁরা বিয়ে করেছেন, অথচ পরিবারের সঙ্গে থাকেন না। অনেকে সদ্য পরিবার ছেড়ে নানা কাজে ঢাকা শহরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তাঁদেরও ব্যাচেলর হিসেবে গণ্য করা হয়। এর বাইরে আছেন বিপুলসংখ্যক অবিবাহিত শিক্ষার্থী।আমার জানা মতে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১০টি সরকারি কলেজ আছে এই মহানগরে। এতে অধ্যয়নরত আছেন প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বেসরকারি ৩৮টি মেডিকেল কলেজের ৩২টি আর বেসরকারি ৭০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫২টির অবস্থান ঢাকায়। এগুলোর কোনোটিরই পর্যাপ্ত আবাসন-সুবিধা নেই। আছে এইচএসসির পর মেডিকেল আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু প্রায় এক লাখ ছাত্রের চাপ। এর একটি বড় অংশকে বাড়ি খুঁজতে গিয়ে নাকাল হতে হয় প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে।এই সমস্যাটি দেখার যেন কেউ নেয়...!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.