![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিয়ে করতে এসে যেইসব ফকির বাবারা আমার বাবার কাছে হাত পাতবে তাদের হাত ঘ্যাচ ঘ্যাচাং করে কেটে দেয়া হবে এবং মুরা বারুন (ঝাঁটা ) দিয়ে পিটানো হবে কইলাম। হাহহা!গত বছর একটারে বারুন দিয়া পিটাইতে চাইছিলাম, শেষে ভাগছে।
ফকির বাবারা ভিক্ষা কইরবার চাইলে রাস্তাত যাইয়া খারাই থাকো ... হামার বাড়িত ক্যানে বাহে?
কৌতুক ছলে বললাম কিন্তু কাজটা করবো যদি সেরকম পাবলিক আসে!
এ কথা শুনে আমার এক বন্ধুও কৌতুক করে বলেছিলো -
কন্যার সুখের জন্য, কন্যাকে আরামে ঘুমানোর জন্য কন্যার বাপ যদি একটা খাট দেয়, ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য ফ্রিজ দেয়, গরমে যেন কষ্ট না হয় সেজন্য এসি দেয়, টাইম পাসের জন্য টিভি দেয়, খাবার গরম করতে ওভেন দেয়, এত সব জিনিস সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার জন্য যদি একটা আলিশান ফ্ল্যাট দেয়, তাহলে আমি আর না করমুনা। হাজার হলেও শ্বশুড় আমার আপন মানুষ। মুরুব্বিরা দিলে নিতে হয়।
সেক্ষেত্রে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা-মাতাকে বলবো - কন্যাদায়গ্রস্ত শব্দটা থেকে মুক্তি পেতে কাড়ি কাড়ি টাকা কিংবা জিনিসপত্র দিয়ে কন্যার জন্য বিলাই মার্কা জামাই আনবেন না ।
যে পুরুষেরা সর্ব দিক দিয়ে নিজেদেরকে মেয়েদের থেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে তারা কেনই বা ফকিরের মত মেয়ের বাপ-মায়ের কাছে হাত পাতে? কেনই বা তারা নারীর উপর নির্যাতন চালায়? তা কি শুধু পুরুষত্ব প্রমানের জন্য না কি নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে ...?
ভিক্ষা চাওয়া বা করার জন্য রাস্তা আছে সেখানে গিয়ে দাঁড়ান -- তবুও লাজ-লজ্জা ধুয়ে মেয়ের বাপ-মায়ের কাছে হাত পাতবেন না। আর যেসব ছেলের বাবা-মায়েরা ছেলের জন্য মেয়ের বাপ-মায়ের কাছে ভিক্ষা চান তাদের ও বলবো - রাস্তা এন মানুষের দরজা তো খোলা আছে - ছেলে সহ একটা থালা নিয়ে রাস্তায় নেমে যান ...।।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: বিয়ে নিয়ে এইসব রীতি- নীতির কথা আমি জানি ভাই।কারন বাবা-মা’র চাকরির সুবাদে উত্তর/দক্ষিন/ পূর্ব /পশ্চিমের বেশ কিছু জেলাতে আমরা থেকে এসেছি এন আমি নিজেই উত্তরের মেয়ে। উত্তরের মেয়ের বাবা-মা সম্পর্কে দেয়া তথ্যটা ভুল । এখন কথা হল- মেয়ের বাবা-মা রীতি থেকেই দেক আর ছেলের বাবা- মা জোর জবরদস্তি করে নিক , নেয় তো ? এখন বলেন এইভাবে নেয়াটা কি ঠিক ? বাকি কথা রাকি ২০০১ বলেছেন!
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
রাকি২০১১ বলেছেন: @আঁধার রাত,
ভাই আপনি যদি সঠিক পথে না হাটেন তাহলে আপনি যেই পথেই হাটেন না কেন, আপনার মনে খুত-খুতি থেকেই যাবে- এমনকি পথটা যদি সঠিকটা হয়ও। কারন আপনি সঠিক পথটা জানেন না।
রীতি হোক আর রেওয়াজ হোক - যৌতুককে না বলুন। কোন মেয়ের বাপ যদি কোনো মেয়েকে বিয়েতে উপহার কিংবা সংসারের তৈজসপত্র দেয়ও সেটাকে রীতি/কিংবা যৌতুক বলবেন না বরং গড়ে তুলুন সচেতনতা। আর এটা বরের/ বরের ফ্যামিলির কোন অধিকার নয়- এ সচেতনতা গড়ে তুলুন। সর্বোপরী ইসলামে যে বরপক্ষের কোন অধিকার নেই কনে পক্ষের নিকট কিছু চাওয়া তা বুঝিয়ে বলুন।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! সবাই যদি এভাবে সচেতন হত তাহলে এসব নিয়ে এত ভোগান্তি থাকতো না!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
আঁধার রাত বলেছেন: আমার কাছে যৌতুক ব্যাপারটা পুরোটাই আপেক্ষিক মনে হয়। এলাকা ভেদে এর এক এক রুপ। চট্রগ্রামে মেয়ের বাপ জানে বিয়ের সময় মেয়েকে সংসারে এই এই জিনিস দিতে হয়। তারা এটাকে যৌতুক বলে মনে করেনা। মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় এগুলো দিয়ে থাকে আবার ছেলে বিয়ে দিলে এ গুলো আসে। এগুলো নিয়ে কোন আলোচনাও হয় না। যৌতুক বলেও মনে করে না বরং ঐতিহ্য হিসাবেই দেখে। আবার আপনি যদি উত্তর বঙ্গের দিকে যান, দেখবেন একটা ঘড়িও মেয়ে পক্ষের কাছে দেন দরবার করে নিতে হয়। এলাকার মানুষরা এটাকে যৌতুক বলে মনে করে। মেয়ে বিয়ে দিলাম তো বাঁচলাম আপদ বিদায় হল, চেষ্টা করে কত কম খরচে আপদ বিদায় করা যায়। আবার আপনি নওগাঁতে যান, সেখানে দেখবেন বিয়ের অনুষ্ঠানে যত রকম উপহার, টাকা পয়সা আসবাব যাবতীয় যা কিছু পাওয়া যায় তার লিষ্ট সহ মেয়ের সাথে দিয়ে দেয়, আবার ছেলের বিয়েতে মেয়ে পক্ষের বাড়ি থেকে আসে। ঐতিহ্য হয়ে গেছে। কেউ যৌতুক বলে মনে করে না। আসলে এক গরীব মানুষ যখন অন্য গরীব মানুষের উপর সওয়ার হয় বিয়ে করে গরীবানা হাল দুর করতে তখন তাকে যৌতুক বলে।