![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
>আমি এমন একটি দিনের শুরু চাই যেদিন আমি ফেবুতে অনেক ছবি লোড দিবো- কিন্তু আমার মনে কোন ভয় থাকবে না এই ভেবে যে- কোন বদমাশ ছেলে এই ছবি নিয়ে আমাকে বিপদে ফেলবে কিংবা ব্লাক মেইল করবে।
>আমি এমন একটি দিনের শুরু চাই- যেদিন রাস্তা দিয়ে আমি ফুরফুরে মেজাজে হেঁটে যাবো - থাকবে না কোন অস্বস্তি মনে এই ভেবে যে- কোন ছেলে আমার দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে নেই/ কেউ আমার দিকে তাকিয়ে কু - মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছে না, কিংবা করছে না কেউ টিজ!
>আমি এমন একটি দিনের শুরু চাই- যেদিন পথে-ঘাটে আমি নিঃসঙ্কোচে চলতে পারবো- থাকবে না মনে কোন ভয় এই ভেবে যে- কেউ ইচ্ছে করে আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে তার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে।
> আমি এমন একটি দিনের শুরু চাই- যেদিন আমি পরম নির্ভয়ে আমার প্রেমিকের বুকে মাথা রাখতে পারবো- থাকবে না মনে কোন ভয় এই ভেবে যে- সে আমার বিশ্বাস বা আস্থার সাথে খেলে আমাকে প্রতারনার সাগরে ডুবিয়ে রেখে যাবে! কিংবা- ভালবাসা মানেই সেক্স এই কু- থিওরী তে বিশ্বাসী হয়ে ভালবাসার নামে আমার পবিত্রতাকে নষ্ট করে দিবে!
>আমি এমন একটি দিনের শুরু চাই- যেদিন আমার পাশের বাসায় কন্যা সন্তান জন্ম নিবে- কিন্তু তাদের মনে আফসোস থাকবে না এই ভেবে যে- তাদের বংশ প্রদীপ জ্বালাতে কেন ছেলে সন্তান হয়নি!
>আমি এমন একটি দিনের শুরু চাই- যেদিন কথায় কথায় কোন মেয়েকে অপয়া/ কুৎসিত বলে কেউ ডেকে ঊঠবে না।
>> সর্বোপরি আমি এমন একটি দিনের শুরু চাই- যেদিন আমাকে নারী হিসেবে নয় একজন মানুষ হিসেবে সবাই দেখবে! যেদিন আমার মন থেকে সব সংশয় চলে গিয়ে প্রশান্তি ধরা দিবে!
** পাবো কি সে রকম দিনের শুরু এই ঘুনেধরা সমাজে?
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই সহমত আপনার কথার সাথে! কিন্তু শুধু শিক্ষা দিলেই কি হবে, সেই শিক্ষাকে গ্রহণ করার মত মানসিকতা ছেলেদের থাকতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে যে আপনি আপনার মায়ের শিক্ষা মেনে নিয়ে সেই ভাবে চলছেন। শুভ কামনা ভাইয়া!
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সহমত রইল। আপনার ইচ্ছাগুলো মানুষ বলতেই চাওয়া।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু! ধন্যবাদ ভাই!
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এ আশা পূরণ হবে সেদিন, যেদিন সমাজের পুরুষ এবং নারী উভয়েই আল্লাহর দেয়া পর্দার বিধান পরিপূর্ণভাবে মেনে চলবেন... বাবা-মা তাদের সন্তানদের সঠিক ইসলামী মূল্যবোধ দিয়ে বড় করবেন, আর সেজন্য বাবা-মাকেও হতে হবে সঠিক মুসলিম/মুসলিমা।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: অবশ্যই সহমত ভাইয়া! কিন্তু সেই সাথে সন্তানদের ও সেই শিক্ষাকে গ্রহন করার মানসিকতা থাকতে হবে!
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কিন্তু সেই সাথে সন্তানদের ও সেই শিক্ষাকে গ্রহন করার মানসিকতা থাকতে হবে!
সন্তানরা কাদা মাটির মত। বাবা মা এবং পারিপার্শ্বিক সমাজ তাকে যে শিক্ষা দেবে, সে সেভাবেই বেড়ে উঠবে। আবার এই সমাজের মানুষগুলো কোন না কোন বাবা মায়ের সন্তান। বুঝতে পারছেন, আমাদের গোড়াতে হাত দিতে হবে?
১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ঠিক আছে ভাইয়া এটাও মানি! আমার শুধু সংশয় - সবাই সেই শিক্ষাটা গ্রহন করবে কি না এই ভেবে!
৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দুনিয়াতে ন্যায় অন্যায় থাকবেই, দুনিয়ার সব মানুষ হয়ত কখনোই ভাল হয়ে যাবে না।
কিন্তু আমরা যদি নিজেরা ভাল হই এবং দায়িত্বশীলভাবে আমাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষাগুলো দিয়ে বড় করার চেষ্টা করি, তাহলে মোটের ওপর সমাজে দৃশ্যমান অসভ্যতাগুলো কমে যাবে, কিছু সমস্যা থাকবেই, সেটাকে আপনি কখনোই শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারবেন না হয়ত।
গতকালকের প্রথম আলোর একটা খবর শেয়ার করি।
ইইউর প্রতি ২০ নারীর একজন ধর্ষণের শিকার
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর প্রতি ২০ জন নারীর মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সঙ্গীর হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন পাঁচজনে একজন। শুধু যুক্তরাজ্যেই ১৫ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে ৬৮ শতাংশই কোনো না কোনো সময় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে নারীর প্রতি সহিংসতা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইইউর এজেন্সি ফর ফান্ডামেন্টাল রাইটস। প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ইইউভুক্ত ২৮টি দেশের ৪২ হাজার নারীর ওপর জরিপ করা হয়।
জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ৪৪ ভাগ নারী জীবনের কোনো না কোনো সময়ে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান
দেখুন, যাদের আমরা উন্নতির মাপকাঠি হিসেবে মনে করি, তারা পেরেছে সমাজে নারীদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে? ইন্টারনেট ঘেটে দেখেন, উন্নত প্রতিটি দেশের মেয়েদের কি পরিমাণ যৌন নির্যাতন, সহিংসতার শিকার হতে হচ্ছে ! অবস্থাটা আমাদের সমাজের চেয়েও অনেক করুণ !!
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু আমরা যদি নিজেরা ভাল হই এবং দায়িত্বশীলভাবে আমাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষাগুলো দিয়ে বড় করার চেষ্টা করি, তাহলে মোটের ওপর সমাজে দৃশ্যমান অসভ্যতাগুলো কমে যাবে, কিছু সমস্যা থাকবেই, সেটাকে আপনি কখনোই শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারবেন না হয়ত। -- সহমত ভাইয়া- আপনার কথার সাথে। আর বাকি যে অবস্থার কথা বলেছেন- তাও অস্বীকার করার উপায় নেই!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
নতুন বলেছেন: সমাজের দৃস্টিভঙ্গী পাল্টাতে হবে.....
আর মায়েরা এই ব্যপারে একটা কাজ শুরু করতে পারে.... যদি প্রতিটি মা তার ছেলেকে নারীদের শ্রদ্ধা করতে...তাদের নিরাপত্তার বিষয়টুকু ছোট বেলা থেকেই শেখায় তবে বড় হয়েও সেই ছেলে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে....
আমার মা সবসময়েই নারী, শিক্ষক, মুরুব্বিদের সন্মানের বিষয়টি শেখাতেন....(এবং সব সময় তা মেনে চলি)
সকল নারীরাই যদি এইভাবে তাদের ছেলেদের সেখায় তবে এটা খু্বই সহজেই একটা জেনারেসনেই পাল্টে ফেলা সম্ভব....