নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাহ্‌ আর কত? আমি সত্যি পুরুষ নির্যাতন নিয়ে লিখতে চাই!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২২

>> আবারো যৌতুকের আগুনে বারবি কিউ এর মত ঝলসে মেরে ফেলা হল- কুমিল্লার তাছলিমাকে! একটা মানুষের গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে ঝলসে মেরে ফেললে কি রকম অনুভূতি হয় তা কি অই অমানুষ/ জানোয়ারগুলা জানে?

>>আমি সত্যি এবার পুরুষদের নিয়ে লিখতে চাই- না কোন উস্কানী নয়, ক্ষোভ/ ঘৃণা কষ্ট থেকে বলছি, লিখতে চাই, ভরপোষন দিতে পারেনি বলে স্ত্রী তার স্বামীকে ঠেঙ্গিয়ে হাত/ পা ভেঙ্গে ফেলেছে! মোহরানার টাকা শোধ দেয়নি বলে- রাতের আঁধারে স্বামীর গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে বারবি কিউ এর মত ঝলসে দিয়েছে, রাতের পর রাত যা স্বামী বউকে ভোগের নামের ধর্ষণ করেছে , সেই স্ত্রী এবার ধর্ষণ করুক স্বামীকে ! যে মেয়েরা পথে-ঘাটে নির্যাতিত / ধর্ষিত হচ্ছে, যাদের মুখে এসিড ছুড়ে মারা হচ্ছে, সেইসব মেয়েদের দ্বারা সে সব ছেলেরা এবার নির্যাতিত/ ধর্ষিত হোক, তাদের মুখে মেয়েরা এসিড ছুড়ে মারুক... এরপর সেই সব মেয়েদের নিয়ে আমি লিখবো... লিখবো দেখো- ছেলেরাও মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে!

>>কিন্তু নাহ্‌! এসব কিছুই ঘটবে না, যা ঘটার তা অই অবলা/ বোকা-সোকা মেয়েদের সাথেই ঘটবে! আর আইন? আইন বলে কি কিছু আছে? দেশের ৩ নেত্রী মহিলা হয়েও কি নারীদের জন্য কিছু করতে পেরেছে? তাহলে আর কি? চলুক এভাবেই ঝলসানো/ পোড়ানো...

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

কাজী রায়হান বলেছেন: আমি সত্যি পুরুষ নির্যাতন নিয়ে লিখতে চাই!..........আপনি যেগুলো লিখেছেন এগুলোতো নারী নির্যাতনের আওতায় পরে

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু জানি, যাতে লিখার পর পুরুষরা বলতে পারে- এইতো সামান্য ভরণপোষণ / মোহ রানা/ আর স্বামীসঙ্গের কারনে স্ত্রী - স্বামীকে নির্যাতিত করেছে! এছাড়া আর কি বলতে পারি! অনেকেই বলে- পুরুষরাও নির্যাতিত হয় কিন্তু মিডিয়া বা সবার সামনে তা আসে না, কিন্তু বলেন তো- নারীদের সাথে যা ঘটছে তার একটা ঘটনাও কি পুরুষের সাথে ঘটছে? রোজ রোজ নারীদের এই করুন কাহিনী আর পড়তে/ লিখতে ইচ্ছে হয় না, তাই চেয়েছি পুরুষদের কাহিনী উঠে আসুক, দেখি- সত্যি তারা কতটুকু নির্যাতিত হয়?

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

সোহানী বলেছেন: কি ক্ষোভ থেকে এ লিখাটি লিখেছেন তা উপলব্ধি করতে পারছি। হাঁ আমি ও আপনার সাথে একাত্বতা জানাচ্ছি।

দেশের ৩ নেত্রী মহিলা হয়েও নারীদের জন্য কিছুই করতে পারেনি এং কখনই করবে না কারন পুরুষতান্ত্রীক সমাজে আমরা নারীরাই যে তাদের তোষন করে চলি.... আইন করে তাদের ক্ষেপাবো.... পাগল হয়েছেন!!! সবাই যে তলে তলে একটি পুরুষ মানুষ, কখনই মানুষ হতে পারবে না। আর আমরা তো তাদের তোষন করেই চলি যতই বড় পদে থাকি না কেন ..........

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! হু ঠিক-ই বলেছেন! যেন যুগ যুগ ধরে এভাবেই নারীরা নির্যাতিত হবে এই নিয়মটাই থেকে যাবে চিরকাল!

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: পুরুষদের (এক অর্থে সকল মানুষদের) চরম ভোগবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নারী নির্যাতনের প্রধান কারণ। নারীকে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্র ভাবার পরিবর্তে ভোগের সামগ্রী বানাবার সকল অমানবিক অপচেষ্টা আমাদের চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: দেনমোহর নারীর সম্মান। নারীর অধিকার। একটা সময় ছিল যখন পণ দিয়ে পুরুষ নারীকে বিয়ে করতো। এ পণ ছিল নারীর সম্ভ্রম। উচুঁবংশের নারীদের পণ ছিল বেশি। সৈয়দ বংশের, তালুকদার বংশের, চৌধুরী বংশের, খান বংশের এটা একটা গর্বের বিষয় ছিল। এখনো আরবে এ নিয়ম প্রচলিত আছে। সেখানে একজন পুরুষ বিয়ে করার আগে তাকে টাকা রোজগার করতে হয়। ইসলাম ধর্মে দেনমোহর সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ করা পুরুষের কর্তব্য। তা না হলে বিয়ে শুদ্ধ হয় না। অনেকে দেনমোহরের গুরুত্ব না বুঝে স্ত্রীকে বলে, আমার এখন সামর্থ্য নেই। আমার সবকিছুই তো তোমার। পওে তোমাকে জমি-বাড়ি কিনে দিবো। স্ত্রীরাও রাজি হয়ে যায়। এটা ঠিক নয়; নারী ঠকানোর বুদ্ধি মাত্র। ইসলামিক নীতি হলো, ‘যে স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ দিতে অক্ষম এবং দেনমোহর পরিশোধের সামর্থ্য নেই। তার ওপর বিয়ে ফরজ নয়। সে যেন রোজা রাখে।’ দেনমোহর সম্পর্কে পূত-পবিত্র স্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগেই দেনমোহর দিয়ে স্ত্রীসহবাসে যাবার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজ এর পুরোপুরি উল্টো। মোহরের প্রতি নেই বিন্দুমাত্র জোর। অথচ যৌতুকের বেলায় ওঠে নারী নিলামের অবৈধ প্রথা। আমাদেও সমাজে যদি মোহর জোরদার হতো, তাহলে তালাকের হুমকি দিতে পারতো না। মোহর সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধ হলে তালাকের প্রবণতাও কমে আসবে। সংসারও ভাঙবে কম। বরপক্ষ যৌতুকের জন্য পীড়াপীড়ি না করে লেজ গুটিয়ে নিবে।

ইসলাম যেমন নারীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছে বাবার বাড়ির সম্পত্তির; তেমনি স্বামীর সম্পত্তির ওপরও তার রয়েছে পূর্ণ অধিকার। আর সে জন্য দরকার কাবিন। বিয়ের কাবিন না থাকলে আদালতে গেলেও কোনো লাভ হবে না। কাবিন হাতিয়ার বা প্রমাণ। এছাড়া বিচার নিস্ক্রিয়। এ কাবিন না থাকায় মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। যৌতুক প্রথা বন্ধের ও মোহর সঙ্গে সঙ্গে পরিশোধের প্রতিই উদাত্ত্ব আহ্বান কবি রিদওয়ান হাসানের। এদিকেই ছিল কবির নেপথ্য ইঙ্গিত। বিধাতার করুণাধারায় যেন আমরা ফিরে পাই চৌদ্দশ’ বছর আগের যুগ। ফিরে পাই সোনায় মোড়া সভ্যতা। হে মহীয়ান! তুমি কবুল করো।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যর সাথে একমত! এরপর যা বলেছেন তাও ঠিক! শুধু প্রতিকার নেই এইসব অন্যায়ের !

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

ভিটামিন সি বলেছেন: চালিয়ে যান। আমিও আছি আপনার পাশে। শুধু ৩ নেত্রীই নন। স্পিকার, মন্ত্রীসহ অনেকই মহিলা আছেন। কিন্তু তারা এই অত্যাচার বন্ধ্রের কোন উদ্যোগ নেন না। কারণ তাহলে ভোট কমে যাবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু সি ভাইয়া! এইটাই সবচেয়ে দুঃখের যে তারা নারী হয়ে নারীদের জন্য কিছু করতে পারলো না... কেমন আছেন আপনি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.