নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
>গত ৩১ আগস্টে রংপুর বদরগঞ্জ উপজেলার খবর- সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা করছে মহিলা ওঝা ঝাড়ফুঁক দিয়ে, ছবি দিয়ে প্রকাশিত হয় তা পেপারে... আজকের ইত্তেফাক সম্পাদকীয়তে এসেছে সে সময় না কি দাক্তুর বিজি ছিলো ফেসবুকে... ঘটনা কতটা সত্য তা জানি না... কিন্তু আমার নিজের-ই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে দুইবার...
> প্রথমবার- দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে গলার ডাক্তার এর কাছে গেলে, দেখি তিনি বেশি ইয়াং, সামনে ল্যাপি ওপেন করা আছে... তিনি যখন আমাকে জিভ বের করে চামচ জাতীয় একটা যন্ত্র দিয়ে জিভ আটকে রেখেছিলেন গলা দেখবে বলে, তখন আমি ইয়াক ইয়াক করছিলাম, আর তিনি চোখ ল্যাপিতে রেখে এক আঙ্গুলের স্ক্রলে ফেবু কিংবা ব্রাউজিং এ বিজি ছিলেন, আর আমি ইয়াক ইয়াক করছিলাম বলে তিনি আগে গলা না দেখে আমাকে বকা দিচ্ছিলেন- এমন করছেন কেন, তেমন করছেন কেন...?
> এরপর যখন (এটাও দিনাজপুর মেডিকেল এ ) দাঁতের দাক্তুর এর কাছে গেলাম তখন দেখি দাক্তুর ( বিশেষজ্ঞ ) এর টেবিলে টাচ স্ক্রিন মোবাইল রাখা আর তিনি সেখানে স্ক্রল করে যাচ্ছেন, আমি তার পাশে বসার পর তিনি মোবাইলের দিকে তাকিয়েই বললেন, হা করেন, এরপর আমার যে দাঁতের সমস্যা সেটা ঠিকমত বের করতে না পেরে... (কারন তার চোখ ছিলো মোবাইলে...) তার সহকারী ইন্টার্নী ডাক্তারদের দেখতে বললেন... ওরা ৪জন এসে আমার ঠোঁট চাপাচাপি করে, টানাটানি করে ( পেছনের দাঁতে প্রব ছিলো) কোন দাঁতে প্রব সেটা দেখার চেষ্টা করলো...
>> তো এই হলো অবস্থা! দাক্তুরদের নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে, নতুন করে যোগ হচ্ছে ফেবু নেশা... !!!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হিহিহি ভাইয়া! আগে শোনেননি ?
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
উদ্ভট ভাবনাবিদ বলেছেন: ঐ হ্লা তো আমার চেয়েও বড় ফেবু অ্যাডিক্টেড!!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হহাহাহহা তাই না কি?
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১
বটপাকুড় বলেছেন: মাঝে মাঝে বুঝে পাই না, এ রকম একটা সিরিয়াস প্রফেশনে মানুষ কিভাবে এরকম কেয়ারলেস হয়। তবে কথা ঠিক, আজকাল কার জেনারেশনে যে প রিমান ফেবু এর আসক্তি বাড়ছে। তাতে অচিরে ভয়াবহ অবস্থা দেখার আলামাত দেখতে পাচ্ছি। আমার নিজের ফ্যামিলিতে সরকারি মেডিক্যালে পড়ুয়াকে দেখি সারা রাত ধরে মোবাইলে। না পারি কিছু বলতে, না পারি কিছু করতে
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সেটাই... এরা এমন কেন হচ্ছে... সেবার নামে... এসব কি দিচ্ছে!!!!!
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: মিসরের মুয়াজ্জিন সাহেবের চাকরি চলে গেছিল কারণ ফজরের আযানে 'ঘুম হইতে নামাজ উত্তম ' এর পরিবর্তে তিনি বলেছিলেন 'ফেসবুক হইতে নামায উত্তম '।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এটা কি সত্যি ঘটনা?
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬
বটপাকুড় বলেছেন: মাঝে মাঝে ডাক্তার যে মাইর খায়, অনেক ক্ষেত্রে নিজের দোষে। মানুষ অসুস্থ হয়ে গেলে এমনি অসহায় হয়ে যায়, ফ্যামিলি তে অনেক ডাক্তার দেখে টের পাই নাই। কিন্তু সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝি, আমার পরিবার থেকে ডাক্তারি করা হয় সেবার মানসিকতা নিয়ে। কিন্তু অনেকই এই জিনিসগুলো ভুলে যান, আর এই জিনিসটা কেমন লাগে ভেবে দেখে না ।
আমি অসহায় হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছি, আর আরেক জন ফেবু গুতাছে, তারপর অঘটন ঘটলে, মাইর না দিয়া যায় কোথায়?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহহহাআ ব্যাপুক বিনুদুন! আর আপনার পরিবারের দাক্তুরদের কথা শুনে ভালো লাগলো
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১০
বটপাকুড় বলেছেন: আমি মনে করি, এখানে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ এবং এথিক্সস একটা বড় ব্যাপার। যখন আমাদের বিয়ে হয়, আমার ওয়াইফ সলিমুল্লাহতে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ছিলেন গাইনি বিভাগে। সেখানেই এমনিতেই ডাক্তারের সঙ্কট, তাই আমরা আর হানিমুনে যেয়ে মানুষকে আর পেইন দেইনি। পরে একবারে দেশের বাইরে চলে আসার পর মধুচন্দ্রিমা আর সংসার এক সাথে বলতে পারেন
আর সত্যিকারের ডেডীকেটেড ডাক্তাররা কখনই কাজের মাঝে ফাকি দেয়া পছন্দ করেন না। যেটা আমি দেশে বিদেশে অনেক জায়গাতেই দেখেছি।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু সত্যিকার অর্থে চিত্রটা বড্ড খারাপ হচ্ছে দিন দিন... এই যে দেখুন না ডাক্তাররা রোগীর কথা এখন ঠিক মত শোনেন না (বেশির ভাগ-ই) ! এইত কাল আমার বাপি ডায়বেটিক এর ডাক্তার এর কাছে গেলো, তার ইনসুলিন ঠিক মত কাজ করছে না, বেশ কিছুদিন থেকেই, কিন্তু ডাক্তার ঠিক মত তা শোনেন-ই না, সল্যুশন কি হবে তাও বলেন না! কোনরকম দ্বায় সারা ভাবে জবাব দেন!!!
৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
বটপাকুড় বলেছেন: এখানে অবশ্য আমি শুধু ডাক্তারের দোষ দেই না। কারণ, আমাদের অনেকেই জানি না, রোগ কে কিভাবে বর্ণনা করতে হয়। আমরা শুরু করি বিশাল ইতিহাস। হয়তো আমার পা তে ব্যথা। আমি শুরু করলাম ডাক্তার সাহেব আমার গত মাসে ছিল ভীষণ জর। একে বারে আকাশ পাতাল অবস্থা, বিছানা থেকে উঠতে পারি না। এখানে ডাক্তারের মাথায় সাথে সাথে জর রিলেটড ডায়গনসিস কাজ শুরু করবে। তাপর বলবেন আমার বুক প্রায় ধড়ফড় করে। গ্যাস্ট্রিক এর ওষুধ খেলে ভালো হয়। বুঝতেছেন তো, ঘটনা কিভাবে গিট্টু লাগে। তারপর শেষ এ বলবো আমার পায়ে গতকাল থেকে অনেক ব্যথা। এরকম রোগী থাকে ১০ থেকে ১৫ জন। সবাই তো মানুষ। চিন্তা করে দেখেন তো, আপনি কতক্ষণ কন্ট্রোল করে রাখতে পারবেন, তারপর আর কি??
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দোষ তো সব আপনার, আপনি "ওওও দাক্তুর..." গানটা গেয়ে একটা ডাক দিলেই তারা স্ক্রল করা বন্ধ করে দিত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: দাক্তুর! মজার নাম হাহাহা!