![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
>আমি দিনাজপুর শহরের একদম মেইন এলাকা বালুবাড়িতে থাকি! এই শহরের সবচেয়ে বড় এলাকা বালুবাড়ী যা উত্তর বালুবাড়ী/ দক্ষিন বালুবাড়ি/ নিমনগর বালুবাড়ি নামে পরিচিত! আমি উত্তর বালুবাড়িতে থাকি! এখনো শহরে কোথাও বাচ্চা হলে হিজড়ারা কিভাবে টের পায় জানি না... কিন্তু তারা আসেই... বাড়ি বাড়ি! যদি বাচ্চা দেয়া নেয়া হয় তাহলে করবে চিল্লা চিল্লি! আর এলাকার কিছু বদমাশ মানুষ তো থাকেই যারা বাড়ী চিনিয়ে দেয় মজা লুটতে...!
>যাক আমার বোনের টুইন বেবি হয়েছে! আমরা ভয়ে ভয়ে ছিলাম না জানি কখন পাড়াতে হিজড়া আসে! এর মধ্যে একদিন এসে ঘুরে গেছে যখন আমার আম্মিরা (বোনের বাচ্চু) হাসপাতালে ছিলো! কিন্তু আজ ঠিক এসে হাজির!
>>যাক আমরা কোন ক্যাচালে না গিয়ে বললাম, দেখেন বাচ্চুরা অসুস্থ, ওদের একটু দোয়া করেন আর কিছু করিয়েন না! ওরা শুনলো! এবং বাচ্চা কোলে নিয়ে একটু হাল্কা নেচে গান, দোয়া করলো! পুরো পাড়ার মানুষ তখন আমাদের বাড়ীর বাউন্ডারীতে!এরপর ওদের চাহিদা মত টাকা দিয়ে বিদেই করা হলো!
## হিজড়া নাচানী! নাচের মধ্যে ছবি ভালোভাবে তোলা যায় না তবু যেটুকু পারা যায়!
## আমার আম্মিরা-- মারিয়া/ মালিহা!
>>এরপর ওদের কাছে শুনলাম ওদের কষ্টের কাহিনী! দিনাজপুরে বেশ বড় সড় এলাকা নিয়ে যা বাঙ্গিবাজার চর নামে পরিচিত সেখানে হিজড়াদের পুনর্বাসন কেন্দ্র করা হয়েছে! কিন্তু ভাতা দেয় যা তাতে ওদের একদিন ও যায় না! ঈদে না কি ৫০০০০/- টাকা অনুদান ছিলো! ওরা বলে- মানুষ ৬ হাজার ভাতা দেয় অল্প! এরপর ঠিক ঠাক মত স্থায়ী কোন ব্যাবস্থা নেই ... ! জীবন বাঁচাতে এভাবে বাড়ী বাড়ী না ঘুরে ওদের কন উপায় নেই! ওরা বলল- শহরের মানুষ তাও চাপে পড়ে কিছু দেয় কিন্তু গ্রামে গেলে তাড়া খেতে হয়!
>>> এদেশে শুধু নামে নামে বহুত কিছুই হয় কিন্তু সঠিক ব্যাবস্থাপনায় কোন কিছু হয় না... ! একদিন সময় করে পুরো হিজড়ে পল্লীর ছবি এন কাহিনী তুলে ধরবো!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: প্রশাসন +সরকারী ব্যাবস্থাপনায় এদের এমন ভাবে থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করা দরকার যাতে তারা এসব কিছু থেকে বের হতে পারে! আর আমাদের ও কিছু করা দরকার!
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
আহলান বলেছেন: এসব ভন্ডামি কবে যে বন্ধ হবে ... !!
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কি জানি ভাই! কিন্তু একটা ব্যাপার হলো- এদের আয় রোজগারের কোন পথ সৃষ্টি করে না দিলে এরাই বা চলবে কি করে?
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
আমি যে এলাকয় থাকি, সেখানে হিজড়াদের কিছু জব অফার করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা তা করতে নারাজ। সমাজকে যেমন তাদের গ্রহণ করতে হবে, তাদেরও গাবিয়ে খাওয়া বাদ দিয়ে কিছু একটা পরিশ্রমের কাজ করে খাবার মানসিকতা তৈরী করতে হবে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু কিছু হিজড়া আছে যারা কাজ করতে চায় না... আসলে সমস্যার সমাধান একদিনে হবে না... এসব সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার!
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
ধমনী বলেছেন: আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে এই বাচ্চা নাচিয়ে টাকা উপার্জনের ধান্দা কিভাবে শুরু হলো? আর এই প্রজাতির মানুষদের সমাজে আত্মীকৃত না করে ভিন্ন সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্ণিত করলে সমস্যা কমার কোন সম্ভাবনা আছে কি?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সেটা আমরা নিজেরাও জানি না ভাই! তবে সেই ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি...! আসলে এদের নিয়ে পুরো সমাজের মানুষ এবং সরকারের কিছু পরিকল্পনা করা দরকার!
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
আহলান বলেছেন: এভাবে আয় রোজগারের পথ ওদেরকে কে সৃষ্টি করে দিয়েছে? নিজেরাই ...... সুতরাং সঠিক পথে আসতে সাহায্য নয় চেষ্টা লাগে ...তখন সাহায্য পাওয়াই যায় ....
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
ঢাকাবাসী বলেছেন: বিষয়টা জটিল। এরা আমাদের সমাজে কাজ করতে গেলে গ্রহনযোগ্যতা পায়না, তাচ্ছিল্যের স্বীকার হয়। অন্যরা এদের গ্রহন করেনা। সামাজিক অবস্হানের কারণে এরা অন্য ভাল কোন কাজ শিখতেও পারেনা। তাহলে কি করার? এদের যারা খানিকটা ভালবাসে তারা দরিদ্র ফলে সামর্থ্যের অভাব। সুতরাং সমস্যা জটিলই থাকছে!
৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমি একবার মিরপুরে এদের হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। বাপরে বাপ এরা যে কি জিনিশ! ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
আকাশ১৩ বলেছেন: আমার নানীবাড়ি দিনাজপুর-চারুবাবর মোড়
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, খুব দুঃখজনক একটা ব্যাপার। এই ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত এগিয়ে আসা দরকার।