নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Epshi007

ঈপ্সিতা চৌধুরী

I wanna know the wonders around me

ঈপ্সিতা চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা-মা’রা শুধু মেয়েদের শেখায়... (এবং একটা আহ্বান )

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

কি করতে হবে , কি না... !! একটু বড় হলেই বলে- বাইরে বেশি যাবা না, ছেলেদের সাথে মিশবা না, এমন পোশাক পড়বে না, এইভাবে চলবে না, আর কত কি...? কত বাধা- কত নিষেধ, কত উপদেশ, কত শাসন!! অথচ বাবা- মায়েরা নিজ ছেলেকে ( ৯৯%) কখনোই এমন শিক্ষা দেয় না--
মেয়েদের সম্মান করতে শিখবা, রাস্তায় কোন মেয়েকে দেখে শিস বাজাবা না, রাস্তায় কোন মেয়েকে বাজে টোনে ডাকবা না, ইভটিজার হবে না! রাস্তায় কোন মেয়ের জামার পেছনে লালচে কিছু দেখলে হাসবা না, কিংবা ক্লাসে তোমার সহপাঠীর কারো জামার পেছনে লালচে কিছু দেখলে হাসবা না, কোন বাজে কথা বলবা না! রাস্তায় বা স্কুল/কলেজে কোন মেয়ের গায়ে ওড়না না থাকলে, কিংবা কেউ অশ্লীল পোশাক পড়ে আছে দেখলে বাজে কিছু বলবা না, বরং তুমি তোমার ঈমান ঠিক রেখে নিজের চোখ কে নামিয়ে নিও! রাস্তায় কিংবা স্কুল/কলেজে, মার্কেটে যেখানেই হোক না কেন, যদি কোন মেয়ের জামার কাঁধের কাছে বের হওয়া কোন ফিতা দেখতে পাও তবে তা নিয়ে রসিয়ে কিছু বলবা না... কোন মেয়েকে যা তা ভাষায় গালি গালাজ করবা না!
নিজের বোন -মা কে যে চোখে দেখো সেই চোখে এক ই ভাবে অন্য কোন মেয়েকে যদি দেখতে না পারো ঠিক আছে কিন্তু তাদের অসম্মান করবে না...
নিজ স্ত্রীর প্রতি অত্যাচার করিও না... বাবা তুমি ধর্ষক, খুনী লুইচ্চা হইও না!
হু যা বলতে চেয়েছিলাম- আহ্বানটা আসলে এটাই ছিলো, শুধু মেয়েদের না নিজ ছেলেকে ছোটবেলা থেকে কিছু শিক্ষা দিন... যেন বড় হয়ে আপনার ছেলে ইভটিজার কিংবা ধর্ষক কিংবা অত্যাচারী কেউ না হয়... তারা যেন মেয়েদের সম্মান দিতে শিখে! আসুন আমরা যে যার জায়গা থেকে নিজ ছেলে/ ভাই/ ভাতিজা/ভাগিনা তাদের এই শিক্ষাগুলো দেই!!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

পথহারা মানব বলেছেন: হমত পোষন করতে পারলাম না।
অধিকাংশ বাবা-মাই ছেলেদেরকে এরুপ শিক্ষা দেয়। হতে পারে সবক্ষেত্রে সরাসরি এভাবে বলে না, রাস্তায় বা স্কুল/কলেজে কোন মেয়ের গায়ে ওড়না না থাকলে, কিংবা কেউ অশ্লীল পোশাক পড়ে আছে দেখলে বাজে কিছু বলবা না, যদি কোন মেয়ের জামার কাঁধের কাছে বের হওয়া কোন ফিতা দেখতে পাও তবে তা নিয়ে রসিয়ে কিছু বলবা না...বাবা তুমি ধর্ষক, খুনী লুইচ্চা হইও না! কিন্তুু বলে এবং বুঝায় যে এগুলো করা যাবে না, এগুলো ভাল কাজ না।আপনার ভাই নেই দেখে হয়ত আপনার কাছে এরকম মনে হয়েছে।
বরং বলতে পারেন অতি আদরে অথবা প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারনে ভাল ছেলেটা খারাপ হয়ে যায়। আর আমাদের সমাজের এই অবস্থার জন্য কি শুধু বাবা-মাই দায়ী? আপনার কি মনে হয় বদরুলের মা তাকে বলে নি কখনও যে বাবা এভাবে চলবে না, ওভাবে চলবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডিতে বদরুলকে কে শিক্ষা দিবে? বলেনতো আপনি আপনার স্কুলের বাচ্চাদেরকে কি কি শিক্ষা দেন?
শুধু একতরফা ভাবে বাবা-মা কে দোষারপ করলে হবে না যে বোন? হ্যাঁ আমিও স্বীকার করি সবচেয়ে অগ্রনী ভূমিকা বাবা-মা কেই পালন করতে হবে.তাই বলে বাকিদের দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে চলবে না।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

অবনি মণি বলেছেন: অসাধারণ !!

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পথহারা মানবের কথার সূত্র ধরে বলতে চাই, ব্যাপারগুলোকে এতটা জেনারেলাইজড করা যাবে না।

কোন বাবা-মা ই তাদের ছেলে-মেয়েদের খারাপ হতে বলেন না। আবার বাবা-মা কিভাবে তাদের ছেলে-মেয়েদের বড় করছেন, সেটার অবশ্যই একটা বড় প্রভাব আছে তাদের ভবিষ্যতের ওপর। পরিবেশ একটা বড় প্রভাব রাখে ছেলে-মেয়েদের চারিত্রিক বৈশিষ্টের ওপর।

এবার আপনার পোস্টটাকে মুদ্রার উলটা পিঠ থেকে দেখি। অধিকাংশ বাবা-মা ই নিশ্চয় তাদের মেয়েকে বলেন, শালীন পোষাক পড়ে বের হবে, বুকে কাপড় রাখবে, যৌন উত্তেজক পোষাক পড়ে বের হবে না। কিন্তু তারপরেও দেখুন, দিন্ দিন মেয়েদের পোষাক উগ্র থেকে উগ্রতর হচ্ছে। বিশেষ করে বিজাতীয় আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে সেটা আরো ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। তালি যেমন এক হাতে বাজে না, তেমনি মেয়েদের খোলামেলা দেহ প্রদর্শনী ছেলেদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। অনেক সময়ই আর নীতি কথাতে কাজ হয় নি, যেমন কাজ হয় নি ঐ মেয়েগুলোকে নীতি কথা শুনিয়ে। মিডিয়াতে আজকাল মেয়েদের কিভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে দেখেছেন? আমাদের নাটক-চলচ্চিত্রের নায়িকারা কি নীতি কথার বাইরে? ইদানিং তো নাটকে অবলীলায় জড়াজড়ি শুরু হয়েছে, কিছু দিন পর নিশ্চিত বেড সিন শুরু হয়ে যাবে।

সুতরাং, ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই সমন্বিতভাবে ভাবুন। নইলে এ সমস্যার সমাধান কখনোই হবে না।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঈপ্সিতা চৌধুরী ,




একটি সচেতনতার কথা বললেও লেখাটি খুব একটা গভীর চিন্তার ফসল নয় । তবুও ধন্যবাদ ।
খুব ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে "মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম" এবং "পথহারা মানব " যা বলেছেন সেরকমটাই মনে হবে আপনার ।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
আপনি খুব ভেবে-চিন্তে বা জেনে লেখাটা লিখেননি।

বাবা-মায়েরা মেয়েদেরকে সরাসরি অনেক কিছু সম্পর্কেই শেখায় বা একটা সতর্কতা দিয়ে দেয়। ছেলেদের অতটা সরাসরি বলে না। তবে শাসন বা শিক্ষা দেওয়ার অভাব থাকেনা।

ম্যাচুরিটির একটা ব্যাপার আছে। একটা ছেলের অনেক আগেই একটা মেয়ের ম্যাচুরিটি এসে যায়। ঠিক যে বয়সটায় একটা মেয়ের সাথে সরাসরি সব বিষয়ে কথা বলা যায়, ঐ বয়সে ছেলেদের সাথে ঐ কথাগুলো বললে তাতে ছেলেদের বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, নিষিদ্ধ ব্যাপারে আগ্রহ সবসময়ই বেশি থাকে। বিশেষ করে নিজে থেকে গভীর ভাবে চিন্তা করার উপযুক্ত বয়স হওয়ার আগে যদি ওসব নিয়ে আগ্রহ বেড়ে যায় তাহলে কোন উপকার হবে না।

তবে, সুষ্ঠুভাবে থাকার শিক্ষাটা ঠিকই দেওয়া হয়। যেমন বেয়াদবি করা যাবে না কারো সাথে, শার্টের বোতাম একটা খোলা রাখলে উচ্চস্বরে ধমক, উড়নচন্ডির মত চুল, কাপড়চোপড় এলোমেলো করে চলা যাবে না - এসব দিয়েই থাকে। একটা সময় নিজের প্রাইভেসী সম্পর্কেও ধারণা দেয়। ঐ প্রাইভেসী সম্পর্কে ধারণা আসার পর ছেলেরাও মেয়েদেরটা বুঝতে শুরু করে। তবে পুরোপুরি ভাবে বুঝতে একটু সময়ও লাগে। সেটা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়েই চলতে হবে।

জোর করে অনেক কিছুই চাপিয়ে দেওয়া যায় না। প্রকৃতিই এরকম।

আর যারা খারাপ হবার - তাদেরকে শিখালেও তারা খারাপই হয়। সব জেনে বুঝেই হয়।

এটাকে আসলে শিক্ষার অভাব বলবো না, এটাকে বলবো - নিজেদের মাঝে শিক্ষাটা নিতে পারার ক্ষমতার অভাব।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

হাবিব বলেছেন: আসলে কি বলব,আল্লাহ্‌ আমাদের ভাল মন্দ বুজার ক্ষমতা দিয়েছে। আগুন এ হাত দিলে যে হাত পুড়বে তা সবাই জানে।আমি কি করছি দেখছি এটা আমার থেকে ভাল কেও জানে,এটা খারাপ না ভাল আমি ই জানি।এইসকল বেসিক জ্ঞান বাবা, মা,শিক্ষক, স্কুল,কলেজ থেকে শিখা লাগে না আমি মনে করি।এক কথায় বলতে চাই যে মানুষ এর বিবেকবোধ থেকেও কেও খারাপ কাজে করে, আবার ভাল কাজও করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.