![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
সন্ত্রাসের জনপদ, জনপ্রতিনিধিরাও নিরাপদ নয়
ফকির ইলিয়াস
----------------------------------------------------------
একটি এলাকায় যদি জনপ্রতিনিধিরাও নিরাপদ না থাকেন তাহলে আর বাকি সাধারণ পাবলিক যাবে কোথায় ? ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ২০ মে ফেনী শহরে প্রকাশ্যে ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুলকে গুলি চালানোর পর গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা জিহাদের পরিকল্পনায় তারা একরামকে হত্যা করেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে, বিএনপি নেতা মিনার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক একরাম ও বিএনপি নেতা শিল্পপতি মাহতাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মিনারের কোন্দল অর্ধযুগের। ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের পর ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে একরামের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মিনার। নির্বাচনীয় ট্রাইব্যুনাল মিনারের পক্ষে রায় দিলেও উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রায় তিন বছর একরাম চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকেন। চলতি বছরের উপজেলা নির্বাচনে নিজাম হাজারী ও হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদ হোসেন মিনারের পক্ষে নির্বাচনী কাজ করেন। তবে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটের দিন সকালেই কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে একরাম জয়লাভ করেন বলে মিনার অভিযোগ তোলেন। এ নির্বাচনের পরই একরাম-মিনার বিরোধ আরো চরমে ওঠে। নির্বাচনের আগে ও পরে তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিজাম হাজারীর সঙ্গেও একরামের সম্পর্ক ছিল দা-কুমড়া। এসব বিরোধের জেরেই একরাম হত্যাকা- ঘটেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।
ফেনীর আলোচিত একরামুল হত্যাকা-ের সন্দেহভাজন অন্যতম পরিকল্পনাকারী আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ ওরফে শিবলু অবশেষে আত্মসর্মপণ করেছে। পুলিশ সূত্র বলছে, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে নৃশংসভাবে খুন হন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক। আর এই হত্যাকা-ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ৪০ থেকে ৫০ জন কিলার অংশ নেয়। ঘটনার আগের রাতে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে হত্যাকা-ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ২ কোটি টাকায় কেনা হয় অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং গাড়িসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি। অবশিষ্ট ২ কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয় হত্যাকারীরা।
লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নারায়ণগঞ্জÑ এই তিনটি জনপদ এখন গডফাদারদের অভয়ারণ্য। এটা সবাই জানে। তারপরও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর হত্যাকা- ঘটিয়েছে। তিনি বলেছেনÑ নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর হত্যাকা- সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। এরা এদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে চায়। এ সব হত্যাকা-ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সত্য কথা বললে অনেকে ভুল বুঝে দাবি করে সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ সভাপতি বলেন, আমি কথা বললে ভুল বুঝে। আমি এখনো বলতে চাই। ফেনীতে এই পৈচাশিক হত্যাকা- ঘটলো। ফেনীতে প্রশাসন, র্যাব, সিআইডি ইত্যাদি ছিল না? প্রশাসনিক তৎপরতায় এ পৈশাচিক খুন বন্ধ করা গেলে আমরা তাদের প্রশংসা করতাম। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসন কী করেছে? আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কাকে কী বলছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত? তিনি কি সরকারে নেই? তিনি এসব কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন না কেন? দেশের মানুষ চরমভাবে হতাশ। এই হতাশা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন তারা।
সাংসদ নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ-৫ শূন্য আসনের উপনির্বাচনে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি প্রার্থী হচ্ছেন। রফিউর রাব্বী সাংবাদিকদের জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া নাগরিক ঐক্যের নেতা ও এ আসনের সাবেক এমপি এস এম আকরাম ও নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমানও প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। হয়তো আরো অনেকেই প্রার্থী হবেন। নারায়ণগঞ্জে হত্যাকা-ের শিকার মেধাবী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বীর নির্বাচনে দাঁড়ানোকে চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি রাজধানীর গুলশানের বাসায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শামীম ওসমান বলেন, রফিউর রাব্বী একজন ঋণখেলাপি। একটি ব্যাংক তার কাছে ১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পায়। এছাড়া একটা গার্মেন্টস কোম্পানির নামে তিনি ঋণ নিয়েছেন। অথচ ওই গার্মেন্টে কোনো মেশিনই নেই।
তিনি বলেন, একজন ঋণখেলাপি হয়েও তিনি নির্বাচন করার জন্য মনোয়নয়নপত্র কিনেছেন। এটি একটি চক্রান্ত। হয়তো কোনো মহল তাকে দিয়ে এই চক্রান্ত করাচ্ছেন। ওই মহল আমার বিরুদ্ধে সব সময়ই সক্রিয়। তারা হয়তো বলেছে নির্বাচন করেন আমরা আপনার ঋণ শোধ করে দেবো। আমার আশঙ্কা আজ হয়তো তিনি নির্বাচন করছেন। দেখা গেলো কাল তিনি আর ‘নেই’। এই যে ‘নাই’Ñ এর অর্থ কী? এ বিষয়ে কী বলবেন দেশের উচ্চপদস্থ ক্ষমতাসীনরা? আমরা জানি, দুর্বলরাই সব সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়। তারা নিজেদের ঘৃণ্যতম মতবাদ মানুষের ওপর চাপাতে না পারলে, শেষ পর্যন্ত মারমুখো হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে ভাড়াটে পেটোয়া বাহিনী আমদানি করে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করার এমন ঘটনাবলী দীর্ঘদিন থেকেই চলে আসছে। মনে রাখা দরকার রাজনৈতিক মতের প্রতিপক্ষ থাকে। কিন্তু প্রকৃত রাজনীতির কোনো প্রতিপক্ষ নেই। কারণ রাজনীতির মূল আদর্শ হচ্ছে মানুষের কল্যাণের জন্য। এখন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে এই যে খুন-গুমের খেলা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তা গোটা জাতিকে জিম্মি করতে চাইছে ক্রমশ।
দলকে নয়, রাষ্ট্রকে ভালোবাসা একজন প্রকৃত রাজনীতিকের দর্শন হওয়া উচিত। বাংলাদেশে সেই সংস্কৃতি গড়ে ওঠা এখনো থেকে গেছে অনেকটা সুদূর স্বপ্নকল্পনার মতো। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, সৃজনশীল অনেক রাজনীতিক বারবারই ভোটের রাজনীতিতে পরাজিত হয়েছেন কালো টাকার মালিক, পেশিবাজ, দুর্নীতিপরায়ণ রাজনীতিবিদদের কাছে। পুরো জীবন গণমানুষের রাজনীতি করেও এমপি হতে পারেননি, এমন রাজনীতিকও খুঁজে পাওয়া যাবে এই দেশে অনেক। এর কারণ কী? কারণ হচ্ছে এই দেশে রাজনীতির প্রতিপক্ষ হয়েই দাঁড়িয়েছে অসাধুতা, কপটতা, লাম্পট্য, নীতিহীনতা। ফলে মানুষের স্বপ্নের বাংলাদেশ সব সময়ই থেকে গেছে একটি গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি। এই জিম্মিকারীরা এখন আরো বলীয়ান হয়েছে। তাদের হাতে নতুনভাবে এসেছে ঢাল হিসেবে ইলেকট্রনিক মিডিয়া কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ার কৃপায় এখন তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসীনের আনুকূল্য পেতে উৎসাহী হচ্ছে। দীর্ঘতর হচ্ছে মানুষের পরাজয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দূর করতে হলে রাষ্ট্রের মানুষকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতির বলি এভাবে হতে পারে না সাধারণ মানুষ।
যে ভয়াবহ সংবাদটি মানুষকে আরো বিচলিত করেছে, তা হলো একরামের ব্যক্তিগত ড্রাইভার ফিরোজ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের ৩০০ গজ দূরে দাঁড়ানো ছিল পুলিশের একটি গাড়ি। তিনি বলেন, ‘বসের গাড়িটি ছিল আগে। ওই গাড়ির ড্রাইভার ছিল মামুন। মামুন সরকারি ড্রাইভার। ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নিয়োগপ্রাপ্ত। আর পেছনের গাড়িটির ড্রাইভার ছিলাম আমি। মাত্র তিন-চার হাত পেছনে ছিল আমার গাড়িটি।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একাডেমি এলাকায় যাওয়ার পরে রাস্তায় তারা ব্যারিকেড দেখতে পান। ময়লাবাহী ট্রলি, গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি দিয়ে এই ব্যারিকেড দেয়া হয়। পাশেই কয়েকটি গাড়ির গ্যারেজ রয়েছে। ওই সব গ্যারেজ থেকেই এসব গ্যাস সিলিন্ডার নেয়া হয়। ফিরোজ জানান, প্রথম ব্যারিকেড পার হয়ে দ্বিতীয় ব্যারিকেড অতিক্রম করার সময় গাড়ির সামনের চাকা রোড ডিভাইডারের ওপর উঠে যায়। আর তখনই সন্ত্রাসীরা আশপাশ থেকে ঘিরে ধরে প্রথমে গাড়ির সামনের বাম দিকের গ্লাস ভেঙে ফেলে। গাড়ির ওই সিটে বসা ছিলেন একরাম চেয়ারম্যান। ফিরোজ বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা যখন বসকে গুলি করে ও কোপাতে থাকে তখন আমি দৌড়ে যাই। তখন অস্ত্র দিয়ে আমাকে ধাওয়া দিলে আমি দৌড়ে পেছনে সরে আসি’। তিনি বলেন, ‘আমার গাড়ি দিয়ে বসের গাড়িটি ধাক্কিয়ে সরানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। ফিরোজ জানান, কিছু দূরে গিয়ে দেখি পুলিশের একটি গাড়ি। তখন ওই পুলিশের পায়ে ধরে বলি, ‘আমার স্যাররে বাঁচান’।
‘পুলিশকে বাপ বোলাইছি স্যাররে বাঁচানোর জন্য।’ পুলিশ একটু এগিয়ে বাঁশি ফুঁকলেই খুনিরা চলে যেতো বলে ধারণা ফিরোজের। তিনি বলেন, পুলিশ তখন জানতে চায় কোন চেয়ারম্যান। যখন জানতে পারে একরাম চেয়ারম্যান তখন পুলিশ জানায়, তারা ফেনী সদরের পুলিশ নয়, তারা ছাগলনাইয়ার পুলিশ। এই বলে তারা গাড়ি নিয়ে চলে যায়। ততোক্ষণে পুরো গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, পুলিশের ওই টিমটি রাখা হয়েছিল যাতে হামলাকারীদের ওপর পাল্টা আক্রমণ হলে বাঁচানো যায়। আর সেটি যখন হয়নি এবং চেয়ারম্যানের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে বলে ধরে নিয়েছে, তখনই পুলিশের ওই গাড়ি স্থান ত্যাগ করে।
এই ঘটনা যদি সত্য হয় তাহলে কী বলবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? কে নেবে এর দায়? বাংলাদেশের সামনে খুব কঠিন সংকট। এই সংকট যদি সরকার উত্তরণ ঘটাতে না পারে- তাহলে ভবিষ্যৎ খুবই খারাপ হতে পারে। মরিয়া হয়ে উঠতে পারে রাজনৈতিক মৌলবাদী শক্তি। দেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার মাধ্যমে এই সংবাদটিই মূলত পৌঁছে দেয়া হচ্ছে!
-----------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ : ৩১/মে/২০১৪ শনিবার
২| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
পংবাড়ী বলেছেন: ৫০০ উপজেলায় ৫০০ ডাকাত নির্বাচন করা হয়েছে; এদের ২০ জন নিহত হবে; ১২০ জন জেলে যাবে।
নাহিদ ও মতিয়া ব্যতিত প্রতিটি এমপি গড়ে ৫০জন সন্ত্রাসী পোষে।
৩| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৩
দেশিনুর বলেছেন: u should write a letter to pm.sk.hasina beside blogging
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১৪
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: পুলিশের ওই টিমটি রাখা হয়েছিল যাতে হামলাকারীদের ওপর পাল্টা আক্রমণ হলে বাঁচানো যায়। আর সেটি যখন হয়নি এবং চেয়ারম্যানের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে বলে ধরে নিয়েছে, তখনই পুলিশের ওই গাড়ি স্থান ত্যাগ করে।
জয় বাংলা ।