নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ কেমন আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া!

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৪

এ কেমন আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া!

ফকির ইলিয়াস

_____________________________________



এটা কোনো যুদ্ধ নয়। এটা স্পষ্টত গণহত্যা। যা চলছে, তা মেনে নেয়ার কথা নয়। তারপরও বিশ্বের বড় বড় শাসকরা যেন নির্বাক। গণহত্যার প্রতিবাদ যে হচ্ছে না, তা নয়। কিন্তু তাতে তারা কর্ণপাত করছে না, যারা এই যুদ্ধ থামাতে পারে। সম্প্রতি নিউইয়র্কে আমরা একটি কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। আগ্রাসনবিরোধী কবিতা। এই কঠিন সময়ে বিশ্বের অনেক দেশেই শিল্পী, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, কবি, লেখক সবাই প্রতিবাদী। তাদের চোখে-মুখে তীব্র ক্ষোভ।

নিউইয়র্কেও কবিদের এই প্রতিবাদী পঙ্ক্তিমালা আবারও জানিয়ে দিয়েছে, এই বিশ্বে আগ্রাসনের স্থান নেই। এই বিশ্ব হবে আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তির নিবাস। গত ৩১ জুলাই বিকালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয় আগ্রাসনবিরোধী কবিতা পাঠ। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে কবি-আবৃত্তিকাররা অংশ নেন এ অনুষ্ঠানে।

সৃজনশীল মানুষ মাত্রেই সব আগ্রাসনের প্রতিবাদ করেন। সব মানুষই শান্তি-সম্প্রীতি চান। বিশ্বে যারা ক্ষমতাবান, তাদের উচিত যুদ্ধ বন্ধে শিগগিরই উদ্যোগ নেয়া। কারণ গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল। কবিতা পাঠপূর্ব আলোচনায় এমন কথাই ব্যক্ত করেন কবিরা। তারা বলেন, আরব মুল্লুকের নেতাদের নীরবতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে শংকা।

দুই.

গাজার গণহত্যা বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যাবে, এমন প্রশ্ন অনেকের। একটি খবর আমাদের নজরে পড়ছে। ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসসহ সেখানকার অন্যসব প্রতিরোধ আন্দোলনকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করতে প্রস্তুত ইরান। ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফারি এ কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোকে ইরান বিভিন্ন দিক দিয়ে সহায়তা করতে চায়। মুসলমানদের রক্ষার ক্ষেত্রে তেহরান শিয়া-সুন্নির বিষয়টি কখনও আলাদা করে দেখে না।

গাজার চলমান সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে ইরানের এ কমান্ডার বলেন, বর্তমান ঘটনাবলী ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শক্তি সীমাহীন এবং দিন দিন তা বাড়ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, অবরুদ্ধ গাজা থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ রকেট ছোড়া হয়েছে এবং ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যেভাবে স্থল অভিযানের সময় লড়াই করেছে, তাতে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর শক্তি বেড়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

জেনারেল জাফারি বলেন, গাজা ও ইরাকের চলমান ঘটনাবলী আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ প্রকল্প। তবে শিয়া-সুন্নির ঐক্যের মুখে শিগগিরই দখলদার ইসরাইল সরকারের পতন হবে এবং ইরান সেদিনের জন্য প্রস্তুত।

বিষয়টি ভাবার তো বটেই। কোথায় চলেছে বিশ্ব? কেন বিশ্বের নীতিনির্ধারকরা চোখ বুজে আছেন?

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফা এলাকায় জাতিসংঘের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্কুলে ইসরাইলি হামলাকে অনৈতিক ও অপরাধমূলক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের মানসিক ভারসাম্যহীন কর্মকাণ্ড অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ইসরাইলের এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লংঘনের শামিল বলেও জানান তিনি। বান কি মুন বলেন, জাতিসংঘের স্কুলে ইসরাইলের হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লংঘন। তিনি আরও বলেন, স্কুলের অবস্থান সম্পর্কে ইসরাইলকে নিয়মিত অবহিত করা হয়েছে।

প্রিয় পাঠক, আরও কিছু মিনমিনে ভাষার প্রতিবাদ এখানে পড়ুন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মহিলা মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের এ ধরনের লজ্জাজনক গোলাবর্ষণে মর্মাহত। তিনি এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ ও ত্বরিত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। সাকি বলেন, ইসরাইলিদের অবশ্যই তাদের মান বজায় রাখতে ও বেসামরিক প্রাণহানি এড়াতে আরও অনেক কিছু করতে হবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বলেছেন, জাতিসংঘের স্কুলে হামলা অগ্রহণযোগ্য। তিনি জানিয়েছেন, ইসরাইল বলেছে স্কুলে হামলার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর অনিচ্ছাকৃত যে কোনো হামলার জন্য তেলআবিব দুঃখিত। তবে তিনি হামাসের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোকে সন্ত্রাসী আখড়ায় পরিণত করার অভিযোগ করেছেন।

কী এক ভয়ানক পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে ফিলিস্তিন আর সে দেশের সাধারণ মানুষেরা! জুলুমেরও তো একটা সীমা আছে। ইসরাইলি জালেমরা আর কত শিশু-নারী-অসহায় মানুষের রক্তে তাদের হাত রাঙাবে?

--------------------------------------------------------------

দৈনিক যুগান্তর ॥ ঢাকা ॥ প্রকাশ : ০৭ আগস্ট, ২০১৪ বৃহস্পতিবার

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০০

ইউরো-বাংলা বলেছেন: যতদিন আরববিশ্বে সৈরতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও রাজতন্ত্র থাকবে ততদিন ইসরাইল তার অগ্রাসন চালিয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.