নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩১







মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব

ফকির ইলিয়াস

______________________________________________



কোনো রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রাজনৈতিক দুরদর্শিতা ছাড়া সাধিত হয়নি। সৈনিকরা যুদ্ধ করেন। পলিসি তৈরি করেন রাজনীতিকরা। ডিসিশন দেন রাজনীতিকরা। বিশ্বের ইতিহাস সেটাই বলে। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও তেমনটি দেখেছি।

একটি বিতর্ক শুরু হয়েছে। একটি বইকে কেন্দ্র করে। বইটি লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের উপ-সেনাপতি আব্দুল করিম খন্দকার ওরফে এ কে খন্দকার। বলা দরকার তিনি রাজনীতিক নন। আগেও ছিলেন না। এখনো নন। তিনি কি ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিলেন? এমন কোনো প্রমাণও নেই। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যা বলে ভাষণ শেষ করেছিলেন তা এ দেশের মানুষ ইউটিউবে এখনো শুনছেন। তারপরও এ কে খন্দকার এমন বিতর্ক তুলতে চাইছেন কেন?

অতীতের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি আগেও ছড়ানো হয়েছে। মরহুম আবুল মনসুর আহমদের বিখ্যাত ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইয়ের ৫৫৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেনÑ “শেখ মুজিব আরো দুইটা কাজ করিলেন। প্রথমত, উপসংহারে তিনি বলিলেন : আজিকার সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। দ্বিতীয়ত, কিছুদিন ধরিয়া তিনি সব বক্তৃতা শেষ করিতেন এক সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় পাকিস্তান’ বলিয়া। এই দিনকার সভায় প্রথম ব্যতিক্রম করিলেন। শুধু ‘জয় বাংলা’ বলিয়া বক্তৃতা শেষ করিলেন।”

এখানেও দেখা যাচ্ছে জাতির জনক ৭ মার্চে জয় পাকিস্তান বলেননি। এরপরে আসা যাক ৭ মার্চের ভাষণ যারা কভার করেছিলেন তেমন কিছু সাংবাদিকদের বক্তব্যে। সাংবাদিক মনজুর আহমদ এখন নিউইয়র্কে থাকেন। ১৯৭১ সালের দৈনিক পাকিস্তান-এর তৎকালীন রিপোর্টার ছিলেন তিনি। তিনি সাপ্তাহিক ২০০০-এ একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন ৭ মার্চের ভাষণের সময় রেসকোর্স ময়দানেই উপস্থিত ছিলেন। অফিশিয়াল দায়িত্ব হিসেবে রিপোটিংয়ের জন্যই সেদিন তিনি সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি লিখছেন- “জয় পাকিস্তান” বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তবে সেটা ৭ মার্চ নয় সেটা ছিল ৩ জানুয়ারি ১৯৭০। মনজুর আহমদ লিখেছেন, সারা দেশজুড়ে যখন আগুন জ্বলছে তখন রাজনীতিকদের ‘জয় পাকিস্তান’ বলার মতো আহাম্মকি করার সুযোগ ছিল না।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, এ কে খন্দকার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। জেনারেল ওসমানীরও সঙ্গী ছিলেন। এ বইয়ে দুটি অংশ রয়েছে। একটি অংশে ২৫ মার্চের আগের পরিস্থিতি এবং অন্য অংশে পরবর্তী সময় সম্পর্কে বলা হয়েছে। ২৫ মার্চের আগের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার কিছু কিছু মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দেবে। এ বিষয়ে এ কে খন্দকারের মন্তব্য আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। যেমন তিনি লিখেছেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেছেন। কিন্তু আমরা যেসব তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি তাতে বঙ্গবন্ধু এ ধরনের কথা বলেছেন বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে নানা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ কে খন্দকারের মতো মানুষের বক্তব্য তাদের হাতে হাতিয়ার তুলে দিতে পারে। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ৭ মার্চের ভাষণকে আমরা যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে থাকি এ কে খন্দকার তার থেকে কিছুটা ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখেছেন। তিনি সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ ভাষণকে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেছেন বলে তার বর্ণনাও বিতর্ক তৈরি করেছে। তিনি আরো বলেন, ২৬ মার্চ সকাল থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারিত হয়েছে। অন্তত তিনটি সূত্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা জানা যায়। বঙ্গবন্ধু যদি বার্তা না দিয়েও থাকেন কেউ না কেউ তার নামে বার্তা দিয়েছেন এবং তা বঙ্গবন্ধুর নামেই প্রচারিত হয়েছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, এ কে খন্দকার জাতির জনককে খাটো করার জন্যই খুব পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করেছেন। তিনি সমতা রক্ষা করতে গিয়ে একজন তৎকালীন মেজরের নামও টেনে এনেছেন প্রায় বিনা কারণে। এ কে খন্দকার লিখেছেন- ‘মেজর জিয়ার ঘোষণাটিকে কোনোভাবেই স্বাধীনতার ঘোষণা বলা চলে না। মেজর জিয়া রাজনৈতিক নেতাও ছিলেন না বা স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিও ছিলেন না (পৃ. ৬০)’।

এ কে খন্দকারের বিতর্কিত এই বই নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এক বিবৃতিতে এ কে খন্দকারের বইয়ের ভুল তথ্য সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার তার বইতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। বিষয়টিকে আমরা চরম দুর্ভাগ্যজনক এবং বস্তুনিষ্ঠ নয় বলে মনে করি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে এ কে খন্দকারের দাবিটিকে বাস্তবতা বিবর্জিত।

সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতারা আরো বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা একটি প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক সত্য যা সারাবিশ্বে সংরক্ষিত আছে। সেক্টর কমান্ডার ফোরাম এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারের লেখা বই অবিলম্বে সংশোধন ও পরিমার্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘এ কে খন্দকার তার বইতে যে মতামত দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণই তার নিজস্ব। এসব মতের সঙ্গে ফোরামের নীতি, আদর্শ ও ঐতিহাসিক সত্য উপলব্ধির কোনো মিল নেই। এ বই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিতে লিপ্ত দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীদের হাতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা যেতেই পারে।

দেখা যাচ্ছে, এই লেখক কাজটি করেছেন কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে। বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকায় তিনি উল্লেখ করেছেন ‘বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম “এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল জয় পাকিস্তান।” আসলে তা হবে, “এই ভাষণের শেষ শব্দগুলো ছিল জয় বাংলা জয় পাকিস্তান।”

এ কে খন্দকার ওই ভূমিকায় আরো লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় সংস্করণের সুযোগে এই সংশোধন করা সম্ভব হলো। সহৃদয় পাঠক এই বইয়ে অন্য কোনো ধরনের ত্রুটি আমার নজরে আনলে বাধিত হবো।’ কে এই এ কে খন্দকার? কি বিস্তারিত পরিচয় তার? এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ড. হাছান মাহমুদ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রসঙ্গ নিয়ে বলেছেন, এ কে খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলেয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যায় যেমন জড়িত ছিলেন, জিয়ার সঙ্গে আঁতাত করে রাষ্ট্রদূতের চাকরি জুটিয়েছিলেন। অন্যদিকে এরশাদের আমলে রাষ্ট্রদূতের চাকরি এবং মন্ত্রিত্ব উপহার পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতা হয়ে আওয়ামী লীগের এমপি ও মন্ত্রিত্ব লাভ করেন তিনি। তিনি সর্বদলীয় সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন। যদি তিনি এতোই সত্য কথা লিখবেন তাহলে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কেন লিখলেন না? কথাগুলো একেবারে উড়িয়ে দেয়ার নয়। এই সময়ে এসে তিনি ক্ষমতা হারিয়ে কিছু সমাজতন্ত্রের লেবাসধারী বুর্জোয়াদের সিঁড়ি হতে গেলেন কেন? এর নেপথ্য মতলবই বা কি?

সদ্য প্রকাশিত বই ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ তে মুক্তিযুদ্ধের উপ-সেনাপতি এ কে খন্দকার তথ্য বিকৃত করেছেন অভিযোগ করে মুক্তিযুদ্ধে তার সহযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম সন্দেহ করছেন, এতে কারো না কারো প্ররোচনা রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, “ইচ্ছাকৃত ভুল হচ্ছে। এই বইয়ের বক্তব্য অসত্য ও ভুল। কোনো মহলের প্ররোচনা থাকতে পারে।” রফিকুল বলেন, “কেউ না কেউ তাকে প্ররোচনা দিয়েছেন। অন্য কোনো ইচ্ছায় তিনি জাতির পিতাকে ছোট করার জন্য এটা করেছেন। তিনি বলেছেন- “এ কে খন্দকারের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তিনি নানাভাবে কাজকর্ম করেন। তিনি সব সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। এই সরকারের কাছ থেকেও সুবিধা নিয়ে তারপর তিনি এই বই লেখেন।” তিনি আরো বলেন- “এই বই লেখা নিয়ে তার সঙ্গে আমি দুই-তিনবার বসেছি। তখন তিনি কখনো এই কথা বলেননি। আমরা যুদ্ধ করেছি। খন্দকার সাহেব কলকাতায় হেডকোয়ার্টারে ছিলেন। সামরিক নেতৃত্বে নয়, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও উপপ্রধান সেনাপতি এ কে খন্দকারকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবেদ খান। তিনি বলেন, ‘আপনার লেখা বই প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান, বয়স বিবেচনায় জনগণ আপনাকে ক্ষমা করবেন।’ আবেদ খান বলেন, ‘গত মাস পর্যন্ত জানতাম সেক্টর কমান্ডার ফোরামের নেতা হিসেবে এ কে খন্দকার দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু আকস্মিকভাবে ঘটনা চিত্র উল্টো দেখি। আমি মনে করি এই বয়োবৃদ্ধ সেক্টর কমান্ডার কোনোভাবে বিভ্রান্ত হয়েছেন, কোনোভাবে প্রতারিত হয়েছেন, কোনোভাবে প্ররোচিত হয়েছেন।’ অতএব বর্তমান প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আশা করবো, পরিষ্কারভাবে বক্তব্য দিয়ে তিনি পত্রিকায় তা প্রকাশ করবেন এবং প্রকাশিত এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করবেন। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের যে শক্তি আছে তা যেন কোনোভাবেই বিভাজিত না হয়। আবেদ খান আরো বলেন, আমরা জাওয়াহিরির বক্তব্য থেকে জানি যে কী হচ্ছে। আমরা খবর পাচ্ছি হায়দ্রাবাদ থেকে চার তরুণ বাংলাদেশে আসতে গিয়ে ধরা পড়েছে। এই চার তরুণ আইএস-এ যোগদান করার জন্য ঢাকায় আসার চেষ্টা করছিল। ঢাকায় কোনো না কোনো জায়গায় আইএস-এর লোকজন আছে। তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে, চোখ বন্ধ করে থাকলে চলবে না এবং এ কথাও মনে রাখতে হবে শুধু এখানে নয়, বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হচ্ছে ১৯৭১’র শত্রুরা। আর তার বাতাস দেয়া হচ্ছে লন্ডনে।

আবেদ খান বলেছেন, বিশেষ একটি গোষ্ঠী আকস্মিকভাবে এই পুস্তকটি কেন প্রকাশ করলেন, সে ব্যাপারটি বিবেচনা করার দরকার আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে এই প্রকাশনা সংস্থা থেকে। বাংলাদেশের মানুষের ভেতরে, তরুণ প্রজন্মের ভেতরে তারা বিভ্রান্তির সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ভেতরের শত্রু এবং বাইরের শত্রু মোকাবেলা করতে হবে। আর সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি অংশকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিটি মানুষকে সংঘবদ্ধ হতে হবে ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে এবং একটি বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য।

কথাগুলো মিথ্যে নয়। আল-কায়েদা ভারত বাংলাদেশে আধিপত্য চাইছে। এই সময়ে এ কে খন্দকার কেন আরেক খন্দকার মোশতাকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন? মতলব কি? এটা খুবই সত্য, আওয়ামী লীগের ভেতরের নিমকহারামদের ওপর ভর করেই ’৭৫-এর হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল খুনিরা। ওদের প্রেতাত্মা এখনো। এদের বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। এদেরকে চিহ্নিত করা দরকার। তা না হলে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগকে বড় খেসারত দিতে হতে পারে।

-----------------------------------------------------

দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ : ১৩/সেপ্টেম্বর/২০১৪ শনিবার প্রকাশিত

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:


খোন্দকার যুদ্ধ করেছেন।

আপনি কি যুদ্ধ করেছিলেন? না করলে সাট-আপ!

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

সরদার হারুন বলেছেন: বাস্তব লেখা । যাদের সন্দেহ আছে তারা তাদের বৃদ্ধ বাপ দাদাদের কাছ
থেকে জেনেনিতে পারেন ।

নতুন প্রজন্মের ভাইরা মনে রাখবেন রাজনীতিতে আর প্রেমে কোন নীতি
মানা হয়না ।

তেমনি " রণে আর প্রনয়ে" কোনদোষ ধরা হয়না
তাই আগামীতে খন্দকারে মন্তী হওয়ার একটা পথ খোলা রাখা দরকা।

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পেপার পড়ি না কতদিন ধরে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.