![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
আত্মঘাতী রাজনীতি ও বিরুদ্ধাচারণের কূটকৌশল
ফকির ইলিয়াস
_________________________________________________
রাজনীতি কিছু বিষয়কে সুনির্দিষ্ট করে দেয়। মানবতার বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। রাজনৈতিক ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলা যাবে না। গণমানুষের স্বার্থ কুক্ষিগত করা যাবে না। জাতিসত্তার বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। এমন অনেক কিছুই। রাজনীতি মানেই সৃজনশীলতা। রাজনীতি মানেই গণমানুষের অধিকারকে মর্যাদা দেয়ার সংগ্রাম।
বাংলাদেশে কি এমনটি হচ্ছে? না- খুব বেশি হচ্ছে না। হলে দেশের অবস্থা অন্যরকম হতো। বর্তমান সরকারি দলের কিছু শীর্ষস্থানীয় নেতা লাগামহীনভাবে কথাবার্তা বলে আমাদের আস্থায় বারবার ফাটল ধরাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম কী বলেছেন- তা ইউটিউবে আছে। তারপরও তিনি তা অস্বীকার করছেন! কেন করছেন? সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী যা বলেছিলেন- তা মারাত্মক গর্হিত কাজ। তিনি তার শাস্তি পেয়েছেন। জীবনে আরো পাবেন। হঠাৎ করেই ‘শুনে’ লেখা ইতিহাসবেত্তা হয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী এ কে খন্দকার। তিনিও ছিটকে পড়েছেন রিং থেকে। এর কারণ হলো- মিথ্যা বলে একদল মূর্খ, অর্ধমূর্খের সাপোর্ট পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু আপামর মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় না।
অতি সম্প্রতি নিউইয়র্কে একটি সমাবেশে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখিকা শারমিন আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কারো কথা পছন্দ না হলেই বা কেউ সত্য উচ্চারণ করলেই তাকে রাজাকার আলবদর কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করার এক ভয়ঙ্কর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এটা দেশকে মারাত্মক বিপদের জায়গায় নিয়ে যাবে।’ তার এসব কথার জবাব দেয়া দরকার। কী বলতে চাইছেন তিনি। বলে রাখি- শারমিন আহমদ আজ যা বলতে চাইছেন, তাজউদ্দীন আহমদ আজ বেঁচে থাকলে এমন ‘তথাকথিত ইতিহাস’ লিখতেন না। শারমিন আহমদ নিজে কিছুটা লেখালেখি করেন। সেই সুবাদে লাইমলাইটে আসতে চাইছেন। এ জন্য তিনি বানিয়ে বানিয়ে মনগড়া ইতিহাস লিখছেন। এবং ‘পাবলিক খাবে’ এই লোভে বাজারে ছাড়ছেন। তিনি কি ভেবেছেন তিনি রাজাকার-আলবদর-স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাতে কোদাল তুলে দিচ্ছেন। যেমন কোদাল শাহ আজিজ-খান এ সবুরদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
শারমিন আহমদ বলেছেন, ‘অজ্ঞাত এক ভীতির কারণে বাংলাদেশে সত্য উচ্চারণ করতে না দেয়ার একটা সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থে খণ্ডিত ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে সত্যিকার ইতিহাস জানতে দেয়া হয়নি। অথচ একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অখণ্ড ইতিহাস জানার সুযোগ সৃষ্টি করাটা সবচেয়ে জরুরি। সত্য প্রশ্ন উচ্চারণের সুযোগ থাকতে হবে।’ আমার প্রশ্ন হচ্ছে, একাত্তরে শারমিনের বয়স কত ছিল? তিনি কোন বিবেক দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিচার করছেন? শারমিন বলেছেন, ‘কোনো দেশে যদি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার অবাধ সুযোগ না থাকে, তাহলে কেবলমাত্র অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কখনো টেকসই হয় না। টেকসই উন্নয়নের জন্য অবশ্যই মুক্তিবুদ্ধি চর্চার অবারিত সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।’ আমরা জানি আজ রাজাকার পোষ্যরা বলছে, এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হননি। ২ লাখ (মতান্তরে আরো বেশি) নারী সম্ভ্রম হারাননি। এটাকেও আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলব? মৌলবাদী রাজাকাররা তো প্রতিদিনই নতুন নতুন পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে। এগুলো আমরা ইতিহাস বলে মেনে নেব?
জেলহত্যার বিচার নিয়ে নিজের অসন্তোষ ও হতাশা ব্যক্ত করে শারমিন আহমদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় একই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। অথচ জেলহত্যার কথিত বিচারে এমন কয়েক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো, যারা কেউই দেশে নেই। এ ছাড়া তারা খুবই অপরিচিত এবং সেনাবাহিনীর নিম্ন পর্যায়ের সদস্য। এই হত্যার সঠিক বিচার করতে হলে তৎকালীন আইজি প্রিজন ও ডিআইজি প্রিজনকেও আসামি করা উচিত ছিল। কারণ কারাগারের প্রত্যেক বাসিন্দার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পিত ছিল।’
একটি কথা বলা দরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সোহেল তাজ নানা অজুহাত দেখিয়ে বিদেশে চলে আসেন। তিনি দেশে থেকে অনেক কিছুই করতে পারতেন। কেন করেননি? এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
শারমিন আহমদ তার বইয়ে যা লিখেছেন তা কিছুটা পাঠ করা যাক। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তাজউদ্দীন-কন্যা লিখেছেন: ‘পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ শে মার্চের ভয়াল কালোরাতে আব্বু গেলেন মুজিব কাকুকে নিতে। মুজিব কাকু আব্বুর সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন সেই ব্যাপারে আব্বু মুজিব কাকুর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। মুজিব কাকু সে ব্যাপারে সম্মতিও দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী আত্মগোপনের জন্য পুরান ঢাকায় একটি বাসাও ঠিক করে রাখা হয়েছিল। বড় কোনো সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আব্বুর উপদেশ গ্রহণে মুজিব কাকু এর আগে দ্বিধা করেননি। আব্বুর সে কারণে বিশ্বাস ছিল যে, ইতিহাসের এই যুগসন্ধিক্ষণে মুজিব কাকু কথা রাখবেন। মুজিব কাকু আব্বুর সাথেই যাবেন। অথচ শেষমুহূর্তে মুজিব কাকু অনড় রয়ে গেলেন। তিনি আব্বুকে বললেন, বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো, পরশুদিন (২৭ মার্চ) হরতাল ডেকেছি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আব্বু স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে নিয়ে এসেছিলেন এবং টেপ রেকর্ডারও নিয়ে এসেছিলেন। টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান। কথা ছিল যে, মুজিব কাকুর স্বাক্ষরকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (পরবর্তীতে ঢাকা শেরাটন, বর্তমানে রূপসী বাংলা) অবস্থিত বিদেশী সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে এবং তারা গিয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধ পরিচালনা করবেন।’
এ প্রসঙ্গে শারমিন আহমদ আরো লিখেছেন : ‘মুজিব কাকুর তাৎক্ষণিক এই উক্তিতে (বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা প্রসঙ্গে) আব্বু বিস্ময় ও বেদনায় বিমূঢ় হয়ে পড়লেন। এদিকে বেগম মুজিব ওই শোবার ঘরেই স্যুটকেসে মুজিব কাকুর জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে শুরু করলেন। পাকিস্তানি সেনার হাতে মুজিব কাকুর স্বেচ্ছাবন্দি হওয়ার এইসব প্রস্তুতি দেখার পরও আব্বু হাল না ছেড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে মুজিব কাকুকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। তিনি কিংবদন্তি সমতুল্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাহরণ তুলে ধরলেন, যারা আত্মগোপন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু মুজিব কাকু তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় হয়ে রইলেন।’
স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে শেখ মুজিবুর রহমানের অস্বীকৃতি প্রসঙ্গে তাজউদ্দীন-কন্যা আরো লিখেছেন: ‘আব্বু বললেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য হলো, পূর্ববাংলাকে সম্পূর্ণরূপেই নেতৃত্বশূন্য করে দেয়া। এই অবস্থায় মুজিব কাকুর ধরা দেয়ার অর্থ হলো আত্মহত্যার শামিল। তিনি বললেন, মুজিব ভাই, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হলেন আপনি। আপনার নেতৃত্বের ওপরই তারা সম্পূর্ণ ভরসা করে রয়েছে। মুজিব কাকু বললেন, তোমরা যা করার কর। আমি কোথাও যাবো না। আব্বু বললেন, আপনার অবর্তমানে দ্বিতীয় কে নেতৃত্ব দেবে- এমন ঘোষণা তো আপনি দিয়ে যাননি। নেতার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় ব্যক্তি কে হবে, দলকে তো তা জানানো হয়নি। ফলে দ্বিতীয় কারো নেতৃত্ব প্রদান দুরূহ হবে এবং মুক্তিযুদ্ধকে এক অনিশ্চিত ও জটিল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে পরবর্তী সময়ে বিশ্ব নেতারা কী বলেছিলেন, তা আমাদের জানা দরকার। মুজিব ঐ সময়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা যে সঠিক ছিল, তা বলেছেন ইন্দিরা গান্ধী, ইয়াসির আরাফাতের মতো বিশ্ব নেতারা। ইতিহাসবেত্তা ও পর্যবেক্ষক সাংবাদিকরাও মনে করেছিলেন মুজিব কৌশলগত কারণেই সে সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মনে রাখা দরকার ঐ সময়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক আহমদ কিংবা আব্দুস সামাদ আজাদের মতো নেতারা ছিলেন সহযোগী শক্তি। মূল সিদ্ধান্ত শেখ মুজিবকেই নিতে হয়েছিল। তিনি নিয়েছিলেনও। মুজিব আত্মগোপন করে ভারতে যেতে পারতেন। তিনি যাননি। তিনি বিশ্বকে দেখিয়েই পাক হানাদারদের হাতে বন্দিত্ব বরণ করেছিলেন। যা বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছিল। এবং বীরের বেশেই পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ী শেখ মুজিব। এ রকম তথ্যপ্রমাণ আর্কাইভে অনেক আছে। কথা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের যারা এখন নব্য ইতিহাস লিখতে বসেছেন- তার কি ওগুলো পড়ছেন না?
এ বিষয়ে কিছু দরকারি কথা বলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন- বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা অপপ্রচার, মিথ্যাচার চলছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকেই ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। স্কুলের বইকে পর্যন্ত বিকৃত করা হয়েছে। এটা অনেক বড় পরিকল্পনার অংশ। এটা তারা করেছে, যারা মিথ্যা দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। একে মোকাবেলা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এ দেশে হবে। যারা রাজাকার, ’৭১-এ খুন, হত্যা, নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। যারা তাদের সমর্থক তারা কি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করতে পারে? বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম না উল্লেখ না করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘এরা কি পাগল হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোয়েবলস ছিল হিটলারের প্রচারমন্ত্রী। তার নীতি ছিল একটা মিথ্যা কথা যদি বারবার বলতে থাকা হয়, তাহলে এক সময় মানুষ ওটাই বিশ্বাস করবে। তাদের উদ্দেশেও এটাই। মিথ্যাচার চলতে থাকলে মানুষ এক সময় বিশ্বাস করবে।
দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন তরুণ তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে অনেক কালো দিন গেছে, অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা এ পর্যন্ত এসেছি। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা স্বাধীন হয়েছি। একাত্তর সালে বিশ্বের মহান একটি দেশ সেই পাকিস্তানিদের অস্ত্র দিয়ে, প্লেন দিয়ে, ট্যাংক দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে দাবানোর চেষ্টা করেছিল। আমাদের ঠেকাতে পারেনি।’
তিনি বলেছেন, ‘এখন আমাদের কোনো দেশকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়েছি, নিজেদের উন্নয়ন আমরা নিজেরা করছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। আমরা বাঙালি, আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আর অন্যান্য দেশ কি বলে না বলে তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না।’ জয় বলেছেন, ‘যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল তখন হতাশ হয়ে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করত, এই যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এগিয়ে গেছে আমরা কেন পারি না? কারণ সে সব দেশে যে দল স্বাধীনতা দিয়েছে, যে দল আসলেই সেই দেশের ওপর বিশ্বাস রাখে, সেই দেশের মানুষ সেই দলকে ক্ষমতায় রেখেছে ২০ বছর, ৩০ বছর, ৪০ বছর। সেই দল দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে।’
এসব কথা তুলনামূলক আলোচনা দরকার। মানুষকে বিষয়গুলো বুঝানো দরকার। এ কাজটি করতে হবে সরকারের লোকজন, সরকারের সমর্থকগোষ্ঠীকে। তা না করে নিজেদের মাঝে হানাহানি, ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি করে মিথ্যাচার করলে কারা উপকৃত হবে সে কথা কি সরকারের নীতিনির্ধারকরা ভুলে যাচ্ছেন?
----------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৪ প্রকাশিত
©somewhere in net ltd.