![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
'চিঠি দিও না। আমি পাবো না কিছুই। না গামছা, না চিড়া, না ছবি।'
লিখতে লিখতে চিরকুট ভিজে যায় মুক্তিযোদ্ধা আরশ আলীর।
কমাণ্ডার হাঁক দেন- 'অপারেশন কয়টায় আরশ ?'
রাত দুইটায় স্যার। বলে থমকে দাঁড়ান বীর এই সংগ্রামী।
আজ জোসনার জন্মদিন। যে প্রিয়তমা জোসনা 'ফিরে এসো'—
বলে পুকুর পাড় পর্যন্ত এগিয়ে দিয়েছিল, তার কথা আজ বার বার
মনে পড়ে। একটি হায়েনা যুদ্ধ বিমান খুব নীচু দিয়ে উড়ে যায়।
এই দেশ একদিন আমাদের হবে। এই পতাকার নীচে দাঁড়িয়ে
একদিন আমরা শুনবো জাতীয় সঙ্গীত। ভাবতে ভাবতে আরশ আলীর
চোখ আবারও ভিজে উঠে। জোসনার পুরনো ছবিটির দিকে তাকিয়ে
বলে উঠেন— 'তোমাকে খুব ভালোবাসি জোসনা'।
ষোলই ডিসেম্বর গড়িয়ে আসে বিশ ডিসেম্বর। মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে
আসছেন ! পথ চেয়ে আছেন জোসনা।
না, আরশ আলীর আর ফিরে আসা হয় না। খবর আসে—
সুনামগঞ্জে একটি নতুন বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে।
ছুটে যান শত পিতা,মা,ভাই-বোন। ছুটে যান জোসনা।
একটি লালশার্ট, সেই গামছা— দেখেই আর্তনাদ করে উঠেন
জোসনা। 'আরশ- আরশ' বলে কেঁদে উঠেন একজন বৃদ্ধা মা।
খোদার আরশ কি কেঁপেছিল সেদিন !
কেঁপে উঠে স্বাধীন বাংলাদেশ ! নুয়ে আসে পতাকার লালসবুজ ছায়া ।
॥ নিউইয়র্ক/ ২ ডিসেম্বর ২০১৪ ॥
ছবি- কাইয়ুম চৌধুরী
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫০
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
নাহিদ হাকিম বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে। আপনি অনুমতি দিলে আমার সম্পাদিত কিশোর শিখা ছাপাতে পারি।
০১৮৪০৬৭৫৪২৭
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫০
ফকির ইলিয়াস বলেছেন: হ্যাঁ- ছাপতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অসাধারণ!
পাঠক হিসেবে ভাগ্যবান যে আপনার মতো অনেককে অল্প হলেও পাচ্ছি।