নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও একজন জর্জ হ্যারিসন

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩



মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও একজন জর্জ হ্যারিসন
ফকির ইলিয়াস
=========================================
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী ছিল তা কারো অজানা নয়। সেদেশের তৎকালীন সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। কিন্তু মার্কিনি মানুষেরা চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন সেদেশের শিল্পী, সাহিত্যিক, সংবাদিকরা।

স্বাধীন স্বদেশ অর্জনে আমাদের অনন্ত গৌরব, মহান মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অজস্র ঘটনাবলী।

BANGLADESH, BANGLADESH

WHERE SO MANY PEOPLE ARE DYING FAST AND IT SURE LOOKS LIKE A MESS

I’VE NEVER SEEN SUCH DISTRESS

NOW WON’T YOU LEND YOUR HAND AND UNDERSTAND

RELIVE THE PEOPLE OF BANGLADESH.
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্কের প্রখ্যাত ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর উপরোক্ত গানের বাণীগুলো জাগিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। আর এই গানের অমর শিল্পী ছিলেন জর্জ হ্যারিসন। যাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সেদিন দাঁড়াতে হয়েছিল অনেক প্রতিক‚লতার মধ্য দিয়ে। জর্জ হ্যারিসন তার বিবেকী শিল্পী সত্তাকে মানবতার কল্যাণে, মুক্তিসংগ্রামের স্বপক্ষে নিবেদিত করেছিলেন সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে। স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন সেদিন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের বিপক্ষে ছিল, সেখানে বিশ্ববরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত রবিশংকরের পৃষ্ঠপোষকতায় জর্জ হ্যারিসন এগিয়ে এসেছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সাহায্যার্থে। শুধু তাই নয়, মার্কিনি জনমতও সেদিন এই কনসার্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিল সে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কথা।

একটি দেশকে না দেখেই সে দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার যে হাত প্রশস্ত করেছিলেন জর্জ হ্যারিসন তা একটি বিরল ঘটনা। সেই গণশিল্পী জর্জ হ্যারিসন ২৯ নভেম্বর ২০০১ চলে যান পরপারে। তিনি মিশে গেছেন পরম সত্তার সঙ্গে। তার মৃত্যু সংবাদ যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বারবার এসেছিল ‘বাংলাদেশ’-এর কথা। টিভির সংবাদ পাঠকরা সেই ঐতিহাসিক ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর কথা উল্লেখ করেছেন। আবারো মার্কিনি টিভির পর্দায় দেখানো হয়েছে কনসার্টের অংশবিশেষ।

মর্মান্তিক কথা হচ্ছে, যে জর্জ হ্যারিসন একটি দেশ, একটি জাতির অভ্যুদয়ের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন, সেই জর্জ হ্যারিসনের বাংলাদেশ সফরের সৌভাগ্যটুকু হয়নি। অন্যদিকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেস ও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা দিয়েছিল শুরুতেই। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সহায়তা করবে কিনা এ নিয়ে দ্বিমত দেখা দেয়। কারণ এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়লে সোভিয়েত ইউনিয়নও জড়িয়ে পড়বে- এ ভয় ছিল। ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধিকার আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সিআইএ এর সমন্বয়ে গঠিত সিনিয়র রিভিউ কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সম্ভাব্য ভাষণ, ২৫ মার্চের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান, পূর্ব-পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলন ও সামরিক উপায়ে সংঘাত মোকাবিলা এবং ভারতের ভূমিকা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। অর্থাৎ বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন যখন স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নিতে শুরু করল, তখন থেকে ঘটে যাওয়া সবকিছুতে কলকাঠি নেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সব ঘটনাই সংঘটিত হয়েছে আমেরিকার জ্ঞাতসারে। ২৫ মার্চ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সময়কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধে না জড়িয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে। জুলাই- সেপ্টেম্বর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার গোপনে পাকিস্তানের সহায়তায় চীন সফর করেন। ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মৈত্রী চুক্তির প্রতিপক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সমস্যার ক‚টনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানায়।

এর পরের ঘটনাগুলো আরো জটিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে ডিসেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত ভারতীয় সেনা সদস্যরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সামরিক সরকার ও বাংলাদেশের জাতীয় নেতাদের (যারা ভারতে অবস্থান করেছিলেন) মধ্যে গঠনমূলক একটি রাজনৈতিক সংলাপ আয়োজনের চেষ্টা করে। কিন্তু তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সময়ে বাংলাদেশের যুদ্ধ উপমহাদেশে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত লাভ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে উপমহাদেশের সংঘাতের জন্য মুখ্যত ভারতকে দায়ী করে। ৪ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে হেনরি কিসিঞ্জার নিরাপত্তা পরিষদের আহ‚ত অধিবেশনে যুদ্ধবিরতি ও সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি সম্বলিত মার্কিন প্রস্তাব পেশ করার প্রস্তুতি নেন। নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর মার্কিন প্রতিনিধি জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা, ভারত ও পাকিস্তানের সৈন্য স্ব-স্ব সীমান্তের ভেতরে ফিরিয়ে নেয়া এবং সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ক্ষমতা প্রদান করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

মোটামুটি এই ছিল একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা। একটি বিষয় বলা দরকার, কোনো রাষ্ট্রের নীতি কারো বিপক্ষে থাকলেও সেই দেশের মানুষের সহমত ভিন্ন হতে পারে। আমেরিকার মানুষ যে বাংলাদেশের সঙ্গেই ছিলেন- তা পরবর্তী সময়ে বারবার প্রমাণিত হয়েছে।

দুই.

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জাতির সম্মান কিছুটা হলেও বাঁচিয়েছে। বিদেশি বন্ধুদের সম্মান জানিয়েছে। এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। বিশ্বসভায় শির উঁচু করে দাঁড়াবার কাজে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশে এই যে উদ্যোগ নেয়ার অভাব, সেটাই উন্নয়নের বিভিন্ন ধাপকে পিছিয়ে দিয়েছে নানা পর্যায়ে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা, চোরাকারবারিদের দাপট, দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য, দলীয় স্বার্থরক্ষার নামে সন্ত্রাস, অবিচার নিষ্পেষণ। যে চেতনা নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, তা এক ধরনের সামন্তবাদী শক্তির হাতে বারবারই হয়েছে প্রতারিত, লাঞ্ছিত। সবচেয়ে দুঃখজনক অধ্যায় হচ্ছে, বাংলাদেশের একশ্রেণীর রাজনীতিক মিথ্যাশ্রয়ী। তারা মহান স্বাধীনতার অনেক অধ্যায়কে স্বীকার করতে এখনো নানাভাবে নারাজ। এরা ব্যস্ত খলনায়কদের নায়ক বানাতে। অথচ কে খলনায়ক আর কে মহানায়ক তা ইতিহাসের সত্য স্তম্ভগুলোর দিকে তাকালেই কারো না বুঝার কথা নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য জীবন বাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছিলেন, তারা কী চেয়েছিলেন? এ প্রশ্নটির উত্তর বাংলদেশে সব দলের রাজনীতিকের (শুধু আলবদর, রাজাকারচক্র বাদে) না জানার কথা নয়। শোষিত, নিষ্পেষিত মানুষের অধিকারের জন্যই ছিল সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। কিন্তু তারপর কী হলো? সেই অধিকার কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে না পেয়েই দিন গুজরান করতে হচ্ছে আপামর মানুষকে। বাংলাদেশের রাজনীতিকদের মাঝে যে প্রবণতাটি প্রকট তা হচ্ছে- ব্যর্থতার দায় না নেয়ার মানসিকতা। ব্যর্থতা স্বীকার করলেই কোনো রাজনীতিক যে জীবন থেকে খারিজ হয়ে গেলেন, এমন কোনো কথা নেই। তারপরও জুড়ে বসে থাকার রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশের মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করে তুলছে। চলমান সময়ে প্রজন্মের জন্য সুযোগ সৃষ্টির প্রত্যয়, বিশ্ব মানবতার কল্যাণের জন্য তা খুবই অপরিহার্য বিষয়। তা না থাকলে একটি রাষ্ট্র কখনোই শক্ত মেরুদণ্ড নিয়ে দাঁড়াতে পারে না। বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন মুখপাত্রের সঙ্গে আমার মাঝে মধ্যে ফোনালাপ হয়। জানতে চাই বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব। এসব মুখপাত্রের প্রায় সবাই একটি কথা বেশ জোর দিয়ে বলেন। আর তা হচ্ছে- সমস্যাটি যে ভূখণ্ডের সেই ভূখণ্ডের মানুষকেই এর সমাধান করতে হবে। কিন্তু আমি বিষয়টিকে ভাবি ভিন্নভাবে। ক‚টনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধের এ চলমান সময়ে যারা পরাক্রমশালী তারা এখন স্বার্থরক্ষা করতে চায় বিশ্বের সর্বত্র। সর্বভুক এ মানসিকতা যারা ধারণ করেন, তাদের লক্ষ্য একটিই সেই দেশের মানুষের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থরক্ষা করা। একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষও তো পশ্চিমা হায়েনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল নিজেদের স্বাধীনতার জন্য। মুক্তি সংগ্রাম করেছিল। সেই মুক্তি সংগ্রামকে নিক্সন-কিসিঞ্জার শাসকগোষ্ঠী সমর্থন করেনি কেন? বাংলাদেশ নামক ভূখন্ড থেকে তাদের কোনো স্বার্থ রক্ষা হবে না বলে?

যে পাকিস্তানিদের, সেদিন তারা যাদের সমর্থন দিয়েছিল, এরা ছিল মূলত অসভ্য। গাদ্দার। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস কখনোই করেনি। যদি করত তবে তাদের নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী জাতি বাঙালির ভাষাকে উপেক্ষা করে বলতে পারতেন না- ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’। মার্কিনি ইতিহাসবেত্তারা যাই বলুন না কেন, আমি খুব দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি মার্কিনি শাসকগোষ্ঠী একাত্তরে পাক হায়েনাচক্রকে সমর্থন করে ভুল করেছিল। কারণ এই সেই পাকিস্তান, এই সেই পাকিস্তানিরা, যারা গণতন্ত্রের নামে এখনো মূলত মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, কট্টরবাদীকেই পৃষ্ঠপোষকতা করছে। পাকিস্তান এখন মাকির্নিদের দ্বারাই জঙ্গিবাদীদের স্বীকৃত চারণভূমি।

অথচ বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি একটি সভ্য জাতি হিসেবে উঠে দাঁড়ানোর নিরন্তন চেষ্টা করছে। পাক তমদ্দুনপন্থি বিএনপি-জামায়াতিদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে একটি মননশীল জাতি হিসেবে দাঁড়ানোর নিরন্তর চেষ্টা করছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মাঝে বর্তমান পার্থক্য কী, সেটাও মার্কিনি নীতি-নির্ধারকদের এখন আর অজানা নয়। ৪৫ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ এখন পশ্চিমা অনেক শক্তিধরের পরিচিত, প্রিয় ভূমিতে পরিণত হয়েছে। হ্যাঁ, বলতে দ্বিধা নেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দখলদারির মনোভাবও দেখাচ্ছে মাঝে মধ্যে। এই যে দখলদারিত্বের রক্তচক্ষু, তা কেন দেখাচ্ছে ওরা? তার কারণও আমাদের দেশের রাজনীতিকদের অদূরদর্শিতা। বুর্জয়ারা সব সময়ই শোষকশ্রেণির স্বার্থরক্ষা করে। তা নিজ দেশেই হোক আর প্রতিবেশী দেশেই হোক। এটা কে না জানে, হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রায় গোটা বিশ্বকেই তাদের সর্বগ্রাসী ফিতা দিয়ে বেঁধে ফেলেছে। এ বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রজন্মকে সমকালীন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

বাংলাদেশের একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা কথায় কথায় একাত্তরে মার্কিনি শাসকগোষ্ঠীর বিরোধিতার ধুয়া তুলে বাংলাদেশে এখন মার্কিনবিরোধী জিগির তোলেন। অথচ দেখেছি এরা নিজেরা অথবা তাদের পোষ্যরা নানাভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের মদত নিচ্ছেন। রসদ খাচ্ছেন। তাদের এসব আচরণ নেহায়েতই ভণ্ডামির মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে মার্কিনি জনগণের সিংহভাগেরই বাঙালি জাতির প্রতি ‘মর‌্যাল সাপোর্ট’ ছিল। সমর্থন ছিল মিডিয়ারও। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর বিরোধিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আটকাতে পারেনি। একাত্তরের সেই চেতনা নিয়ে বাংলাদেশকে এখনো দাঁড়াতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন ক‚টনৈতিক বিচক্ষণতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা।
---------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১২ মার্চ ২০১৬

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০২

বর্ণহীণ বলেছেন: Informative post.
Thank you.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.