![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
দায়িত্ব পালনে কেউ কি ব্যর্থ হচ্ছেন?
ফকির ইলিয়াস
================================
সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার সুরাহা এখনো হয়নি। আসামিও ধরা পড়েনি। এমন একটা পরিস্থিতি গোটা দেশবাসীকে কাঁপিয়ে তুলেছে। প্রশ্ন অনেক। সাগর-রুনি হত্যা মামলার কোনো সুরাহা হয়েছে কি? না হয় নি। যদি হতো তাহলে এমন অবস্থা হতো না। সে কথা কেউ শুনছে না। বরং খুনিদের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
প্রিয় পাঠক, একটি প্রতিবেদন আপনাদের পড়তে বিনীত অনুরোধ করি। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সিলেটটুডে২৪ ডট কম। প্রতিবেদনটির শিরোনাম- ‘বিপ্লব হত্যা : খুনিরা ধরা পড়েনি, ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ ভাতিজির’। ২৯ মার্চ ২০১৬ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, পলি রায় কিশোরী মোহন গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে ভালো চাকরির। ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে অভাব-অনটনের সংসারের হাল ধরার। কিন্তু বখাটেরা সেই স্বপ্ন নিমিষেই ধ্বংস করে দিয়েছে। কয়েক মাস আগে পলিদের বসবাস ছিল নগরীর মীরাবাজার এলাকায়। সেখান থেকেই প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়া। এরই মাঝে তার দিকে চোখ পড়ে স্থানীয় বখাটে সুমন দাশের।
পলি রায় সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে নগরীর মীরাবাজারে সানফেস্ট ফার্নিচারের কর্মচারী সুমন প্রায়ই তার পথ আটকে দিত। অশালীন আচরণের পাশাপাশি নানা ধরনের কু-প্রস্তাব দিত তাকে। সুমনের অত্যাচার সইতে না পেরে পলি একদিন কাকা বিপ্লব রায় বিকলকে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে বিপ্লব রায় একাধিকবার সুমনের এই আচরণের প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ করেন সানফেস্ট ফার্নিচারের মালিকের কাছে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বখাটেদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে প্রায় দু’মাস আগে মীরাবাজার থেকে পলির বাবা সপরিবারে চলে যান মেজরটিলা এলাকার নাথপাড়ায়। পলি জানান, একদিন তাকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেয়ারও চেষ্টা করে সুমন। তার বান্ধবীরা বাধা দেয়ায় এ যাত্রায় বেঁচে যায় সে। ঘটনা জানার পর গত বছরের ১৫ অক্টোবর সিলেটে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ জিডিভুক্ত করেন পলির বাবা বিশ্বজিৎ রায়। কিন্তু পুলিশ বখাটেদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সর্বশেষ, গত ১৫ মার্চ বিপ্লবকে মোবাইল ফোনে মীরাবাজার এলাকায় ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আসামিরা অনেকটা প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করলেও রাজনৈতিক চাপে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ করেছেন পলির বাবা। এমতাবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইছেন তিনি।
এদিকে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্তাধীন ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা। তবে তারা জানান, খুনিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। কত অমানবিক আজকের বাংলাদেশের চিত্র! কী এক দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ এই দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম মানবসমাজের জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছিল। চলুন আমরা পেছন ফিরে আরো কিছু সংবাদ পড়ি।
১। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কমলছড়িতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সবিতা চাকমা নামে এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামিদের নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকার জনমনে চরম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দেব রতন চাকমা তার স্ত্রী সবিতা চাকমাকে হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিদের নাম উল্লেখ না করে ‘অজ্ঞাত কে বা কারা’ লেখা হয়।
এলাকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মামলা দায়ের করার জন্য সন্দেহভাজন বাঙালি শ্রমিকদের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে সেদিন সন্ধ্যায় নিহতের স্বামী দেব রতন চাকমা, বালুমহলের মালিক বীর কুমার চাকমার ছেলে বঙ্গমিত্র চাকমা, কমলছড়ি ইউনিয়নের সদস্য বিনয় বাহু চাকমা, গ্রামের বাসিন্দা বীর বাহু চাকমাসহ কয়েকজন গ্রামবাসী খাগড়াছড়ি থানায় যান। কিন্তু সেদিন বিদ্যুৎ না থাকায় কম্পিউটারে এজাহারটি কম্পোজ করা সম্ভব হয়নি। পরে তারা সন্দেহভাজন বাঙালি শ্রমিকদের নামসহ প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পুলিশের হাতে দিয়ে পরদিন (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪) সকালে থানায় এসে মামলাটি দায়ের করা হবে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে থানা থেকে বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু রাতের মধ্যে থানা কর্তৃপক্ষ মামলার এজাহারটি লিখে রাখে এবং সকালে দেব রতন চাকমা থানায় গেলে তার থেকে দস্তখত নিয়ে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।
ওই এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘১৫/২/২০১৪ খ্রি. সকাল হইতে একটি ট্রাক্টর ওই এলাকা দিয়ে জমির মালিক বীর কুমার চাকমার তত্ত্বাবধানে বালি বহন করিতেছিল এবং ঘটনাস্থলের পার্শ্বেই বেলা অনুমান ১২টার দিকে ওই ট্রাক্টরটি নষ্ট হইলে ওই ট্রাক্টরের চালক মো. নিজাম (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং গঞ্জপাড়া, থানা সদর- জেলা-খাগড়াছড়ি ট্রাক্টরটি মেরামত শেষে বিকাল অনুমান ৪টার সময় ট্রাক্টরটি চলিয়া যায়। ওই ট্রাক্টর চালক, বালুমহলের মালিক তথা তত্ত্বাবধানকারী বীর কুমার চাকমা এবং ট্রাক্টরে থাকা শ্রমিকগণ ওই মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকিলেও থাকিতে পারে বলিয়া আমার সন্দেহ হয়।’ এভাবে দেব রতন চাকমার সরলতা ও অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে সুকৌশলে বালুমহলের মালিক বীর কুমার চাকমাকে জড়িত করে পুলিশ দুর্বল ও বিকৃতভাবে মামলার এজাহারটি তৈরি করে দেয়।’
২। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর মামলা পাঠায় না সাত জেলা। অথচ ১৩৫ দিনে ৬৫ শতাংশ চাঞ্চল্যকর মামলা নিষ্পত্তির নজির থাকলেও এসব জেলা থেকে মামলা আসে না। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ মামলায় সাজা পেয়েছে আসামিরা। রাষ্ট্রপক্ষ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় খালাস পেয়েছে ২৪ শতাংশ আসামি। আর নির্দিষ্ট ১৩৫ দিনে নিষ্পত্তি করতে না পারায় আগের দায়রা জজ আদালতে ফেরত যাওয়া ৩৫ শতাংশ মামলার অধিকাংশই রায় ঘোষণার পর্যায়ে রয়েছে। গত ১২ বছরে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা থেকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানো ৩৬৬টি চাঞ্চল্যকর হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরক, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং অস্ত্র মামলার রেকর্ড বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৯৫টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ফেরত গেছে ১৩৭টি মামলা। নিষ্পত্তির মধ্যে ১২৩টি মামলায় দণ্ডিত হয়েছে আসামিরা। খালাস পেয়েছে ৭২ মামলার আসামি। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নজির থাকলেও গত ১২ বছরে রাঙামাটি জেলা থেকে চাঞ্চল্যকর কোনো মামলা পাঠানো হয়নি ট্রাইব্যুনালে। ২০০৬ সালে ফেনী জেলা থেকে সর্বশেষ মাত্র একবার পাঠানো হয়েছিল চারটি মামলা। ২০১১ সালে নোয়াখালী জেলা থেকে মাত্র একবার আটটি মামলা পাঠানো হয়েছিল। টানা সাত বছর চাঞ্চল্যকর কোনো মামলা পাঠায়নি লক্ষীপুর জেলা। সংখ্যায় কম হলেও নিয়মিত মামলা পাঠাচ্ছে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলা। চট্টগ্রামের অধিক মামলা থাকায় সচল থাকছে ট্রাইব্যুনালটি। অথচ ১৩৫ দিনের মধ্যে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ থাকলেও এ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাত জেলার ভিকটিম পরিবারের স্বজনরা। উল্টো জেলাগুলোর দায়রা জজ আদালতে বছরের পর বছর ঝুলে থাকছে চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর বিচারিক প্রক্রিয়া। সমকালের অনুসন্ধানে সাত জেলা থেকে ট্রাইব্যুনালে মামলা না আসার পেছনে খুঁজে পাওয়া গেছে প্রধানত চারটি কারণ। এগুলো হচ্ছে, জেলার চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দিলে জেলা পিপিদের কর্তৃত্ব হাতছাড়া হয়ে যায়। সে সঙ্গে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, মামলার শুনানিতে পেশাগত দক্ষতা দেখানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং মিডিয়ায় প্রচার না পাওয়া। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ুব খান বলেন, ‘বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে দু-তিনটি ছাড়া অন্য জেলাগুলো থেকে ট্রাইব্যুনালে কালেভদ্রে মামলা পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট জেলার পিপিরা তাদের কর্তৃত্ব হাতছাড়া হয়ে যাওয়া, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নানা কারণে জেলার চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো ট্রাইব্যুনালে পাঠাতে আগ্রহ দেখান না।’
বিভাগীয় মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান বলেন, ট্রাইব্যুনালে যেসব জেলা থেকে মামলা পাঠানো হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভিকটিমদের স্বজনদের ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, এক যুগ ধরে ট্রাইব্যুনালে মামলা পাঠানো হচ্ছে না- এ বিষয়টি জানা নেই। ৭ জেলায় ঝুলে আছে ৬৭টি মামলা। মামলা না পাঠালেও বিভাগের সাত জেলায় ঝুলে আছে চাঞ্চল্যকর ৬৭টি হত্যা, ধর্ষণ ও বিস্ফোরক মামলা। এর মধ্যে রয়েছে ২০১১ সালে রাঙামাটির স্কুল শিক্ষার্থী বিশাকা চাকমা হত্যা ও ধর্ষণ মামলা, শিক্ষার্থী সুজাতা চাকমা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় বিচারাধীন আটটি মামলা, খাগড়াছড়ির মহালছড়ির রূপন মহাজন হত্যা মামলা, বান্দরবানের লামায় চাঞ্চল্যকর ত্রিপল মার্ডার হত্যা মামলাসহ কক্সবাজারের ১৩টি, চাঁদপুরে ১৩টি, নোয়াখালীতে ১২টি, লক্ষীপুরে ১০টি, রাঙামাটিতে ৬টি, বান্দরবানে ৭টি ও খাগড়াছড়ির ৫টি চাঞ্চল্যকর মামলা।
৩। টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় দুলাল (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বুধবার (৩০ মার্চ ২০১৬) দুপুরে শহরের শহীদনগর আলআমিন রোড ডিয়ারা সুকুমপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুলাল হোসেন ওই এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাশের বাড়ির এক মেয়ের সঙ্গে খেলছিল শিশুটি। এক ঘণ্টা পরেও বাসায় ফিরে না আসায় মেয়েকে খুঁজতে বের হন তিনি। শিশুটির বান্ধবী জানায়, সে দুলালের ঘরে আছে। দুলালের ঘরের বাসায় গিয়ে তিনি তার মেয়েকে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পান। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির বাবা জানান, টাকার প্রলোভন দেখিয়ে দুলাল তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে যায় বলেছে শিশুটি। এসব কি হচ্ছে। দেশের ভেতরে আজ গড়ে উঠেছে এক একটি সিন্ডিকেট। এরা যা ইচ্ছে তাই করছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ আজ এগিয়ে যাচ্ছে অসহায়ত্বের দিকে। অনেক প্রশ্ন গোটা দেশজুড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের সুরাহা হয়নি। এখন খুব নগ্নভাবে দেশে ধর্ষণ খুন বেড়েছে। এর দায় কার? কেউ কি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন? আমরা দেখছি মন্ত্রী ও সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতারা স্ববিরোধী কথা বলছেন। সরকার পক্ষের নেতাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মীরা খুন হচ্ছে। বড় দুঃখ ও বেদনাদায়ক এসব ঘটনা।
রাজনীতি বলে, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোই শ্রেয়। যারা ক্ষমতায় আছেন তারা জানেন তাদের প্রতিপক্ষ কে? তাই সেটা জেনেই তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উদ্যোগী হতে হবে। এমনভাবে কোনো রাষ্ট্র চলতে পারে না।
মানুষ দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়লে রুখে দাঁড়ায়। বাংলাদেশে যদি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এর দায় নেবে কে?
-------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২০
বিজন রয় বলেছেন: অবশ্যই ব্যর্থ।