![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
কবির বিরুদ্ধে কবি, মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ
ফকির ইলিয়াস
=======================================
শিরোনামটি ধার নিয়েছি কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতা থেকে। কৃতজ্ঞতা কবির কাছে। হ্যাঁ, আমাদের চারপাশে এখন অনেক প্রতিচ্ছায়া। এ ছায়াগুলো কার? এরা কারা? কোথায় ছিলেন তারা এতদিন?
একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করি। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র শাখা গঠনের জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমরা সেই কমিটি গঠন করেছি। আজ মনে পড়ছে অনেক স্মৃতি। শহীদ জননীর নেতৃত্বে এই কমিটি গঠিত হয়েছিল দুটি পৃথক কমিটির সমন্বয়ে। একটি ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ’ আর অন্যটি ছিল ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। এই দুটি কমিটি একত্র করে গঠিত হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’। এর আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় শহীদ রুমীর আম্মা বেগম জাহানারা ইমামকে।
কমিটি যাত্রা শুরুর পরই, তৎকালীন সাপ্তাহিক বিচিত্রায় একটি আহ্বান ছাপা হয়। তাতে শহীদ জননী বহির্বিশ্বে এই কমিটির শাখা গঠনের আহ্বান জানান। ছিল ফোন নম্বরও। আমি সে সপ্তাহেই নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফোন করি। কথা হয় শহীদ জননীর সঙ্গে। তার ‘একাত্তরের দিনগুলি’ পাঠ করে আমিও হয়ে পড়েছিলাম তার সন্তান। শহীদ জননী আমাকে দিকনির্দেশনা দিলেন। বলে দিলেন কীভাবে কী করতে হবে। আমি তখন টগবগে তরুণ। নিউইয়র্কে সংগঠন গড়ার কাজ আমার রপ্ত ছিল ভালোই। কাজে লেগে গেলাম। ফোনে কথা হলো অনেকের সঙ্গে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আহ্বান জানালাম। আমরা ক’জন তরুণ মিলে আহ্বান করলাম সভা। আব্দুর রউফ খান মিষ্টু, দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, নাজমুল হক হেলাল, চন্দন দত্ত, আবু তালেব, সালেহ আহমদ মনিয়া, … আমার পাশে একঝাঁক তরুণ। আমরা পর পর ক’টি সভা করলাম। প্রায় প্রতিদিনই কথা বলে নির্দেশনা নিলাম শহীদ জননীর। এলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকরা। ডা. নুরুন নবী ও কাজী জাকারিয়াকে যৌথ আহ্বায়ক করে গঠিত হলো কমিটির যুক্তরাষ্ট্র শাখা। সদস্য সচিব করার জন্য আমার নাম প্রস্তাব করা হলো। আমি সবিনয়ে বললাম, আমি তরুণ। সিনিয়র কাউকে সে দায়িত্ব দেয়া হোক। সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হলো বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফরাসত আলীকে। আমাকে দেয়া হলো সহকারী সদস্য সচিবের দায়িত্ব। আমরা কাজে নেমে পড়লাম। শুরু হলো নানা লবিং। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় গণআদালত বসল। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একজন বিশিষ্ট আইনজীবী পাঠালাম। তার নাম টমাস কে কিটিং। তিনি গণআদালত প্রত্যক্ষ করার জন্য ঢাকায় গেলেন। আমেরিকায় ফিরে কাজ করলেন আমাদের পক্ষে, বিভিন্নভাবে।
এক অসম সাহসের অধিকারিণী ছিলেন মা, জাহানারা ইমাম। তাকে আমি ‘মা’ ডাকতাম। তার সঙ্গে কাজ করার স্মৃতি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রেরণা। এই সেই জাহানারা ইমাম, যাকে ১৯৮১ সালে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তার কেবিনেটে মহিলা বিষয়ক উপদেষ্টা বানানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই সময় অনেক বাম-ডানপন্থীরা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে যোগ দিলেও শহীদ জননী তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন দৃঢ়তার সঙ্গে। এই সেই জাহানারা ইমাম, যাকে দেশের মফস্বল এলাকার তরুণরা চিঠি লিখে বলেছে, ‘মা আপনি হুকুম দিন। নরঘাতক গোলাম আযমকে হত্যা করে আমি ক্ষুদিরামের মতো হাসিমুখে ফাঁসিতে ঝুলব।’ এমন চিঠিপত্র সে সময় জাতীয় দৈনিকেও ছাপা হয়েছে। গণআদালত বসার এক সপ্তাহ আগে নির্মূল কমিটির ঢাকা মহানগর শাখা ঘোষণা দিয়েছিল, গণআদালতের কর্মসূচি সফল করার জন্য মৃত্যুঞ্জয় স্কোয়াড গঠন করা হবে। যারা নিজের জীবন দিয়ে হলেও এই কর্মসূচি সফল করবে। এই ঘোষণা পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর প্রতিদিন শত শত তরুণ নির্মূল কমিটির অফিসে এসে নাম লিখিয়েছে। অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছে। মনে পড়ছে, সেই বছরই জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদ জিয়া নিউইয়র্কে এলে, আমরা হাজারো প্রবাসীরা প্লাজা হোটেলের সামনে থমকে দিয়েছিলাম তার গাড়ির বহর। তীব্র প্রতিক‚লতা ডিঙিয়ে ছুটে এসেছিলেন বাঙালিরা আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে। এই সময়গুলোতে শহীদ জননীর সঙ্গে আমার প্রায়ই ফোনে কথা হয়। ঢাকায় গণআদালত গঠিত হবে। সেই কমিটিতে কিছু ‘এজেন্ট’ ঢুকে পড়েছে- এমন তথ্য আমাদের কাছে ছিল। আমি এই বিষয়ে তার কাছে নাম ধরে ধরে জানতে চাই। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমিও সজাগ। আমি বিষয়টি দেখছি।
মজার বিষয় হচ্ছে, সেই সময়ে বিএনপি সরকার দ্বৈত ভূমিকা নিয়েছিল। তৎকালীন বিএনপি সরকার একদিকে গোলাম আযমের প্রতি, আরেক দিকে গণআদালত গঠনের উদ্যোক্তাদের- উভয়ের প্রতি কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করে। গোলাম আযমের প্রতি কারণ দর্শাও নোটিশে বলা হয়, ‘কেন তিনি একজন বিদেশি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে তার অবস্থানের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন না এবং বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধি লঙ্ঘন করে জামায়াতে ইসলামীর আমির (দলপ্রধান) হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।’ অপরদিকে সরকার গণআদালত গঠনের উদ্যোক্তাদের প্রতি নোটিশ জারি করে বলে, তারা সংবিধান ও আইনের শাসন অবজ্ঞা করে গণআদালত গঠনের আয়োজন করেছেন। নোটিশের জবাবও দেন গোলাম আযম। কিন্তু সরকার নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ২৪ মার্চ গোলাম আযমকে গ্রেপ্তার করে। মূলত গোলাম আযমকে বাঁচাতেই এই খেলা পাতানো হয়।
অন্যদিকে, জাহানারা ইমামকে চেয়ারপারসন করে বিচারকমণ্ডলী গঠন করা হয়। বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, কলিম শরাফী, মাওলানা আবদুল আউয়াল, সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) কাজী নুরুজ্জামান, আবু ওসমান চৌধুরী, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, এডভোকেট গাজীউল হক, ড. আহমদ শরীফ, স্থপতি মাযহারুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, ব্যারিস্টার শওকত আলী খান। গণআদালতে অভিযোগকারীদের পক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন এডভোকেট জেড আই পান্না, এডভোকেট শামছুদ্দীন বাবলু ও এডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা। গণআদালতে বিচারে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অনুপস্থিত থাকায় ন্যায়বিচারের জন্য গণআদালত ড. নজরুল ইসলামকে (আসিফ নজরুল) গোলাম আযমের কৌঁসুলি নিযুক্ত করেন। তাকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো পাঠ করে শোনানো হয়। ফরিয়াদির পক্ষে ২১২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। তাদের মাঝে অন্যতম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দীন খান জাহাঙ্গীর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, লেখিকা মুশতারী শফি, প্রখ্যাত নাট্যকার সৈয়দ শামসুল হক, শহীদ প্রকৌশলী ফজলুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান, শহীদ সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের ছেলে অমিতাভ কায়সার, ড. হামিদা বানু, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, আলী যাকের ও ড. মুশতাক হোসেন।
রায়ের দুদিনের মাঝেই ২৮ মার্চ গণআদালতের ১২ সদস্যের বিচারকমণ্ডলী, ৮ কৌঁসুলি এবং ১২ জন সাক্ষীর ৭ জন ও সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুল হক ভুঁইয়া। তাদের নামগুলো আমি বিস্মৃতি হয়ে গিয়েছিলাম। নামগুলো এই লেখার প্রয়োজনে আমাকে টাইপ করে পাঠিয়েছেন বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে নির্বাসিত বিশিষ্ট লেখক-গবেষক অমি রহমান পিয়াল। তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকছি। প্রিয় পাঠক, প্রিয় আজকের প্রজন্ম, আমি মনে করি এই ২৪ জনের নাম আপনাদের জানা দরকার। তারা হলেন- জাহানারা ইমাম, গাজীউল হক, ড. আহমদ শরীফ, স্থপতি মাযহারুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমদ, ফয়েজ আহমদ, কবীর চৌধুরী, কলিম শরাফী, মাওলানা আবদুল আউয়াল, লে. ক. (অব.) কাজী নুরুজ্জামান, লে. ক. (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, ব্যারিস্টার শওকত আলী খান, এড. জেড আই পান্না, এড. শামসুদ্দিন বাবুল, এড. উম্মে কুলসুম রেখা, এড. নজরুল ইসলাম (আসিফ নজরুল), ড. আনিসুজ্জামান, ড. বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, সৈয়দ শামসুল হক, শাহরিয়ার কবির, মাওলানা ইয়াহিয়া মাহমুদ, আলী যাকের, ডা. মোশতাক হোসেন ও অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী।
দুই.
প্রিয় পাঠক, আগেই বলেছি- এই নির্মূল কমিটিতে যারা এসেছিলেন তাদের কয়েকজনের পরবর্তী সময়ের ভূমিকা দেখে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে তারা না বুঝেশুনে অথবা অন্য কারো এজেন্ট হিসেবে এসেছিলেন। আমাদের মনে আছে, কবি আল মাহমুদ ‘দৈনিক গণকণ্ঠে’র সম্পাদক ছিলেন। তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ঝাণ্ডাধারী ছিলেন। তার শেষ পরিণতি দেখেছেন? তিনি জামায়াত-শিবিরের মেহমান হয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন এমন ভিডিও আপনারা অনেকেই ইউটিউবে দেখেছেন। পেয়েছেন বড় মাসোহারাও মৌলবাদী রাজাকারদের কাছ থেকে। যে কথাটি আমরা বারবার দেখছি, তা হলো- ‘রাজাকার সবসময়ই রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধা সবসময় মুক্তিযোদ্ধা নয়।’ আচ্ছা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে কেউ যদি নাৎসিবাদকে মদদ দেয় তা আমেরিকা মানবে কি? না- মানবে না। কেউই মানবে না। তাহলে আজো যারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে আলবদর রাজাকার ও তাদের পুনর্বাসনকারী জিয়াউর রহমানকে ‘বিশেষ মর্যাদা’ দেন তারা কি না বুঝেশুনে সেদিন নির্মূল কমিটিতে গিয়েছিলেন, নাকি বিশেষ কোনো এজেন্ডা নিয়ে? গোলাম আযমের কৌঁসুলি হয়েছিলেন গণআদালতে? হ্যাঁ, প্রিয় পাঠক, আমি আজকের ড. আসিফ নজরুলের কথা বলছি। শাহাদত চৌধুরীর হাত ধরে যিনি ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’র প্রতিবেদক হিসেবে শহীদ জননীর নজরে এসেছিলেন। আমরা তো সেই জাতি, যাদের অনেকে ‘কমান্ডার ইন চিফ’ আর ‘প্রধান সেনাপতি’র পার্থক্যই বুঝি না। জে. ওসমানীকে যারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক’ বলেন তারা কি ভেবে দেখেছেন কিংবা দেখেন বিষয়টি? মতপ্রকাশের অনেক তরিকা আছে। কিন্তু যারা পাকহানাদের সঙ্গে রাজাকার সেজে এই দেশে জুলুম-হত্যা করেছিল, তাদের বাঁচিয়ে কিসের মতপ্রকাশ?
রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে কথা বলার আগে, এজেন্ট হিসেবে নয়- মুক্তিযুদ্ধের তিরিশ লাখ শহীদকে সম্মান করে কথা বলতে হবে। আমরা দেখেছি, এই দেশে অনেকেই আদর্শ ত্যাগ করে বোল পাল্টেছেন। আতাউস সামাদ, সিরাজুর রহমান, মাহমুদুর রহমান, কিংবা আজকের শফিক রেহমান-ফরহাদ মজহাররা কোন বিপ্লব চেয়েছেন কিংবা চান- তা তো আমরা কম জানি না। না- এমন কবির বিরুদ্ধে কবি, মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ বাংলাদেশ চায়নি। বাংলাদেশ চেয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমাজ। আড়ালে আবডালে যারা সরকারের সমালোচনার নামে মহান মুক্তিযুদ্ধকে হেয়প্রতিপন্ন করে খলনায়কদের কাতারে দাঁড়ান, তাদের তো বিশ্বস্ত দেশপ্রেমিক বলা যায় না। আর মধ্যপন্থা অবলম্বন করে তো এই দেশ, এই দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তাই সেই পথ তো বাতিল বলেই মনে করেন বাংলাদেশের আপামর মানুষ।
---------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা॥ শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৬
©somewhere in net ltd.