![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা ও আগামী দিনের বিশ্ব
ফকির ইলিয়াস
---------------------------------------------------------------------------------
কারো মনে ভয়। কারো মনে নতুন আনন্দের ঝিলিক। নতুন প্রেসিডেন্ট আসছেন। কেউ কেউ বলছেন- ‘ট্রাম্প আমার প্রেসিডেন্ট নয়’। কেন নয়? কারণ আমি ভোট দিইনি তাঁকে! তাতে কী? তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। পাশ করেছেন। এটাই শেষ কথা। রাজপথ দখল করে তো আর মার্কিন রাজনীতির পট বদলানো যাবে না। এখন বাংলাদেশেই যাচ্ছে না। আর এটা তো আমেরিকা।
না- ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইমিগ্রেশন বিষয়ে আপাতত ‘ধর-পাকড়’ কিছুই নেই! তিনি যা বলছেন, তা ডলার আর বাণিজ্য নিয়ে। তিনি আমেরিকার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চান। ব্যবসা বাড়াতে চান। মানুষের চাকরি দিতে চান। বেকারত্ব দূর করতে চান।
ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনে প্রচারের সময় মানুষের কাছে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা অবশ্যই পূরণ করা হবে। পরিকল্পনাগুলো নিয়ে তিনি আলোচনা করছেন তার সম্ভাব্য সেক্রেটারি (মন্ত্রী)দের সঙ্গে। এসব প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্যই কাজ করবে ট্রাম্প প্রশাসন। আর ওই শক্তি, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা দিয়েই দল গঠন করবেন ট্রাম্প। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি নিয়েই কাজ শুরু করবে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন চুক্তি হবে অন্য দেশের সঙ্গে তবে এতে প্রাধান্য পাবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো। যাই হবে তা হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে।
যে পাঁচটি পরিকল্পনাকে ট্রাম্প প্রায়োরিটি দিচ্ছেন, তা হলো উত্তর আমেরিকান মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে (নাফটা) থাকা বা না থাকা, ট্রান্স-প্যাসিফিক অংশীদারিত্বের চুক্তি, ‘অনৈতিক আমদানি’ বন্ধ করা, ‘অনৈতিক বাণিজ্য’ বন্ধ করা এবং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির দিকে জোর দেওয়া। সাধারণ আমেরিকানের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কর্মসংস্থানের প্রাধান্য পাবে। আর এ ক্ষেত্রে আলোচিত হবে ব্যবসা সংক্রান্ত কর কমানো, ব্যবসায় শর্ত কমানো। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ শক্তিসম্পদে নিয়ন্ত্রণ রাখবে ট্রাম্প প্রশাসন।
নতুন এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্য দুই দেশের সঙ্গে ‘ক্ষতিকর’ কিছু হয় কিনা, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে তাঁর সরকার। বাণিজ্যের কারণে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নজর রাখার নির্দেশ দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে তার টিমের। আন্তর্জাতিক কর্পোরেট আদান-প্রদানের বিষয়ের ক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশও আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকে ঝুঁকবেন ট্রাম্প। আর এ ব্যাপারে কংগ্রেসও এগিয়ে আসবে প্রেসিডেন্টকে সাহায্য করার জন্য। এখন প্রেসিডেন্ট খুব সহজে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস এ সুবিধা দিয়ে রেখেছে। সেটা হয়তো বেড়ে ২০২১ পর্যন্ত যাবে।
একটি বিষয় খুব জোর দিয়ে বলা দরকার, ট্রাম্প নিয়ে প্যানিক যারা তৈরি করতে চাইছেন এরা মূলত কারা? কী মতলব তাদের? যারা বলছেন, ট্রাম্প ঘোর মুসলিমবিরোধী, সেটাই বা কতটুকু সত্য? না- ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে এমন কিছুই আমেরিকায় ঘটেনি, যা মুসলিমদের জন্য শংকার কারণ হয়েছে। যারা আটক হয়েছে- এরা বিভিন্নভাবে ক্রিমিনাল। তাদের অপরাধই তাদের জন্য কাল হয়েছে। এরা সহিংস কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে আইনের হাতে ধরা পড়েছে, কিংবা পড়ছে। ট্রাম্প প্রায় তিরিশ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করার কথা তার নির্বাচনী অঙ্গীকারে বলেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ কাজ করা ট্রাম্পের জন্য সত্যিই খুব কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার অবৈধ অভিবাসীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড আছে। অথচ প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বের করে দেওয়াটা সহজ কাজ নয়। এর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নতুন কয়েক হাজার সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। সিনেট কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। আর এর জন্য বিলিয়ন ডলারের রাষ্ট্রীয় বাজেট লাগবে ট্রাম্প প্রশাসনের।
ট্রাম্প সাধারণ মানুষকে যে বিষয়টি বুঝিয়েছেন- তা হলো, সাধারণের ট্যাক্সের ডলারেই অবৈধরা এখানে নানা সুবিধা নেয় কিংবা নিচ্ছে। যেমন ধরা যাক- যুক্তরাষ্ট্র মানবিক কারণে এখানে ভিজিট ভিসায় আগত কোনো নারীর সন্তান প্রসবকালীন সকল খরচ বহন করে। তা হতে হয় অপরিকল্পিত। কিন্তু কেউ যদি পরিকল্পিতভাবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে যুক্তরাষ্ট্রে এসে এখানে সন্তান প্রসব করে সেই সন্তানের জন্য আমেরিকার জন্মসনদ-পাসপোর্ট বানাতে চান, সেটা এক ধরনের অনৈতিক কাজ। দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে এরকম অনাহুত ‘অতিথি’র সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ছে। বলে নেওয়া দরকার, একজন নারীর প্রসূতিকালীন খরচ বাবদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার ডলার খরচ হয়। এ ডলারের যোগান আসে, জনগণের ট্যাক্সের ডলার থেকে। ট্রাম্প সেই জায়গাটায় আলো ফেলতে চেয়েছেন। এটা একটা উদাহরণ মাত্র। এরকম ফাঁক-ফোকর অনেক আছে। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে যত দ্রুত সম্ভব তিনি একটি শক্ত দেয়াল তৈরি করবেন। বাস্তবে তা কতোটা সম্ভব হবে তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাহী আদেশ বাতিলের যে শপথ ট্রাম্প নিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরই তা করতে পারবেন ট্রাম্প। ওবামা তার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে ৩২টি নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি হলো মিয়ানমারের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া। তবে তার সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী ও বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ ছিল, লাখো অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়নের হুমকি থেকে রক্ষা করা ও তাদেরকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।
কারা আসছেন ট্রাম্পের কেবিনেটে- সেটাই এখন আমেরিকায় প্রধান আলোচনার বিষয়। কারণ এসব নেতারাই নির্ধারণ করবেন আগামী বিশ্বের রাজনীতির ভবিষ্যৎ। সেক্রেটারি অর্থাৎ মন্ত্রিসভার সদস্য এবং উপদেষ্টা হিসেবে সম্ভাব্য যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডি জুলিয়ানি, সাবেক স্পিকার নিউট গিংরিচ, আলাবামার সিনেটর জেফ সেশনস, ট্রাম্পের ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ারম্যান স্টিভেন নুচিন, নিউ জার্সির গর্ভনর ক্রিস ক্রিস্টি। সিনেটর জেফ সেশনস-কে এটর্নি জেনারেল করতে পারেন ট্রাম্প। এছাড়াও সিআইএ প্রধান হিসেবে ক্যানসাস এর কংগ্রেসম্যান মাইক পম্পিও, ন্যাশনাল সিক্যুরিটি এডভাইজার হিসেবে (অব.) লে. জেনারেল মাইক ফ্লিন, কে নিয়োগ দিতে পারেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাজনীতিবিদ মিট রমনিকে নিয়োগ দিলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
ট্রেজারি সেক্রেটারি হতে পারেন স্টিভেন নুচিন। ডিফেন্স সেক্রেটারি হিসেবে পদের জন্য এগিয়ে আছেন, ম্যারিন কোরের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জেমস ম্যাটিস। সিড মিলার হতে পারেন কৃষি বিভাগীয় সেক্রেটারি। উইলবার রসকে বাণিজ্য সেক্রেটারি হিসেবে পছন্দ তালিকার শীর্ষে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এন্ড্রু পুজডার-কে শ্রম সেক্রেটারি করা হতে পারে।
হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি পদে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর টম প্রাইস-কে আনা হতে পারে। তাছাড়াও হাউজিং সেক্রেটারি পদে রবার্ট উডসন, ট্রান্সপোর্টেশন সেক্রেটারি পদে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জন মিকা, এনার্জি সেক্রেটারি পদে হেরল্ড হাম, এডুকেশন সেক্রেটারি পদে রাজনীতিক লিউক মেসার, হোমল্যান্ড সিক্যুরিটি সেক্রেটারি পদে মাইক ম্যাকাল, এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন সেক্রেটারি পদে লিসলে রুটলেজ, এবং ডিরেক্টর অব অফিস ম্যানেজম্যান্ট এন্ড বাজেট পদে, এরিক উলেন্ড-কে নিয়োগ দেওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। যে বিষয়টি এখানে লক্ষণীয়, তা হলো যারা সেক্রেটারি অর্থাৎ মন্ত্রিত্বের পদে আসীন হচ্ছেন এরা সকলেই ঝানু রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ। যারা এর আগেও মার্কিনি নীতি নির্ধারণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। ট্রাম্পের সময়ে কেমন হবে বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে আমেরিকার আচরণ? এ প্রশ্নটিও আসছে- নানাভাবে ঘুরে-ফিরে।
রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন, টেলিফোন আলাপে ট্রাম্পের সঙ্গে একমত হয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বর্তমান সম্পর্ক একেবারেই অসন্তোষজনক। এ সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজও করতে হবে। তাদের আলোচনায় সিরিয়া ইস্যুও স্থান পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন ট্রাম্প-পুতিন। আমরা দেখেছি- কয়েক বছর ধরে বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ওবামার যুক্তরাষ্ট্র আর পুতিনের রাশিয়া। যার সর্বশেষ প্রকাশ ঘটেছে সিরিয়ায়। মস্কো সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর ওয়াশিংটন সমর্থন দিচ্ছে বাশার বিদ্রোহীদের। তবে মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্ক উন্নয়নের আভাস মিলছে। যা বিশ্বের জন্য একটি আশার বাণী। আমার কাছে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প নির্বাচনের আগে মুখে না না ধরনের অশ্লীল শব্দাবলি উচ্চারণ করলেও পাশ করার পর তিনি বেশ সংযত হয়েই এগোচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট নেতার সঙ্গেও রাষ্ট্রক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে কথা বলেছেন। এর মাঝে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের, প্রথম হিন্দু ধর্মাবলম্বী কংগ্রেসওম্যান তুলসি গাববার্ড।
পেরুর রাজধানী লিমায় এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে সহযোগিতা করতে চান এবং তার দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা ঠিক করার জন্য সময় দিতে চান। তিনি খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন- ‘কোনো ইস্যুতে যদি মার্কিন মূল্যবোধ ও আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং ওই আদর্শ রক্ষায় আমার ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে মনে করি, তাহলে তখন তা বিবেচনা করে দেখবো।’
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লাতিন আমেরিকা ও বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সময় দিন। ওবামা বলেন, ‘আপনাদের উদ্দেশে আমার মূল বার্তা হচ্ছে, যে বার্তা আমি ইউরোপেও দিয়েছি- অত্যন্ত বাজে কিছু ঘটবে এমন ধারণা করে নেবেন না’। পেরুতে তরুণদের সঙ্গে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে ওবামা এ কথা বলেন।
ওবামা বলেছেন- ‘প্রশাসন দাঁড়িয়ে যাওয়া এবং তাদের নীতিগুলো একসঙ্গে কার্যকর করা শুরু না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তখন আপনারা বিচার করতে পারবেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থের সঙ্গে এবং শান্তি ও সমৃদ্ধিতে বাস করার সঙ্গে সেগুলো সঙ্গতিপূর্ণ কি-না।’
‘তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি বিচার না করাটাই এখন সবার জন্য ভালো হবে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে তার দলবল নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। ইস্যুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিতে হবে, তাদেরকে তাদের নীতি নির্ধারণ করতে দিয়ে দেখতে হবে। কারণ, আমি সব সময়ই বলি, একজন যেভাবে নির্বাচনী প্রচার চালান, সেভাবে শাসন না-ও চালাতে পারেন।’ যোগ করেন বারাক ওবামা।
ট্রাম্পের প্রশাসন ‘মেক আমেরিকা বেটার’ স্লোগান দিয়ে কাটাবে আগামী দুই বছর। কারণ তাদের হাতে অনেক কাজ। তাই বিশ্বের জন্য আমেরিকা যুদ্ধংদেহী হবে- এমনটি আপাতত ভাবার দরকার নেই। বরং ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি আলোকিত বিশ্ব, আলোকিত প্রজন্ম গঠনের জন্য কাজ করে যাবেন- সেই প্রত্যাশাই আমরা করতে পারি।
----------------------------------------------------------------------------
দৈনিক খোলাকাগজ ॥ ঢাকা ॥ ২৫ নভেম্বর ২০১৬ শুক্রবার
©somewhere in net ltd.