![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
আলো ও আঁধারে ঘেরা ২০১৬
ফকির ইলিয়াস
==========================
আরো একটি বছর আমাদের জীবন থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো। ২০১৬ খুব স্মরণীয় হয়েই থেকে যাবে আমাদের কাছে। ইতিহাস হয়ে থাকবে কালের প্রজন্মের কাছে। বলা দরকার, বিশ্ব একটি নতুন যাত্রার দিকে এগিয়েছে এ বছরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাশ করে এসেছেন একজন ধনকুবের মি. ডোনাল্ড ট্রাম্প।
না- তিনি রাজনীতিক নন। তিনি ব্যবসায়ী। কিন্তু ‘অর্থ কামানো’র নিরিখে কি রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায়? প্রশ্নটি উঠছে বিভিন্ন মহলে। ফলে উদ্বিগ্ন রাজনীতিকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজ জানাচ্ছে- ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ওবামা প্রশাসন দ্রুত কয়েকটি বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতা ছাড়ার আগে তার গোপন ইচ্ছেমতো রাতারাতি নির্বাহী নির্দেশে কী কী পদক্ষেপ কার্যকর করতে চান, তা নিয়ে রিপাবলিকানদের উদ্বেগ নতুন করে জেগে ওঠেছে।
ইতোমধ্যেই ওবামা প্রশাসন আর্কটিক ও আটলান্টিক মহাসাগরে ভবিষ্যতে তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের ইজারা দান নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি এক দিনেই রেকর্ড সংখ্যক ব্যক্তির শাস্তি মওকুফ ও হ্রাস করেছেন। তিনি মুসলিম প্রধান দেশগুলো থেকে আগত পুরুষ অভিবাসীদের প্রচ্ছন্ন তালিকা বাতিল করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘গুয়ানতানামো বে’ কারাগার থেকে আরো ২২ বন্দিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর জাতিসংঘে নিযুক্ত ওবামার রাষ্ট্রদূত ইহুদি বসতি নির্মাণের নিন্দা করে নিরাপত্তা পরিষদে আনীত এক প্রস্তাব প্রসঙ্গে ভোটদান করা থেকে বিরত থেকে ইসরাইলকে তাক করে দিয়েছেন ওবামা। এতে প্রস্তাবটি পাস হয়। ওবামার ক্ষমতা ছাড়ার আরো এক মাস বাকি আছে। ফার্স্ট ফ্যামিলি যখন হাওয়াইতে অবকাশ কাটান, তখন সাম্প্রতিক ঘোষণাগুলো প্রচার করা হয়। কিন্তু এতেও ওবামা ওয়াশিংটনে ফিরে এসে কী করবেন তা অস্পষ্ট রয়ে যায়। যে কোনো পদক্ষেপ প্রসঙ্গেই এ সম্ভাবনা রয়েছে, ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব পদক্ষেপের অনেক বাতিল করে দেবেন। ওবামা সম্পর্কে প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার নিউট গিনগ্রিচ ফক্স নিউজ সানডেকে বলেছেন, তিনি চলতি সপ্তাহে যে কাজগুলো করেছেন, সেগুলো বাতিল করে দেওয়া হবে। ওবামা মরিয়া হয়ে ওঠেছেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানাচ্ছেন।
প্রতিনিধি পরিষদের ৬৪ জন ডেমোক্র্যাট সম্প্রতি ওবামাকে তার ডেফারড এ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড এ্যারাইভ্যালস নির্দেশ রক্ষার জন্য তার ক্ষমা করার ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর অনুরোধ করেছেন। এ নির্দেশ শিশু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল এমন লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কৃত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিল। ওই নির্দেশ রক্ষার লক্ষ্য হলো তাদের বহিষ্কার করা ট্রাম্পের পক্ষে আরো কঠিন করে তোলা। হোয়াইট হাউস অসহিংস মাদক অপরাধী ও অন্যদের আরো বেশি সংখ্যায় ক্ষমা করার সম্ভাবনা তুলে ধরেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে আরো পদক্ষেপ নিতে এবং ক্ষমতা ছাড়ার আগেই এক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ওবামার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জোশ আর্নেস্টও সম্প্রতি বলেন, প্রেসিডেন্ট এ পর্যায়ে গ্রহণ করবেন এমন নির্বাহী পদক্ষেপের প্রক্রিয়া সম্ভবত নভেম্বরের নির্বাচনের পূর্বেই শুরু হয়েছিল। কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরা নতুন নতুন নির্দেশ থামাতে বা পাল্টে দিতে প্রতিজ্ঞ। ৫ ডিসেম্বর লেখা এক চিঠিতে ১০ রিপাবলিকান সিনেটর ওবামাকে আর বাকি সময় দায়িত্ব পালনকালে আমেরিকান জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে এবং কোন নতুন অজরুরি বিধি জারি করা থেকে বিরত থাকতে আহবান জানান। কিন্তু তারপরও ওবামা আর কী কী করে যাবেন তা দেখার অপেক্ষায় আছেন ট্রাম্পের নীতি নির্ধারকরা। তিনি ক্ষমতা পাবেন ২০ জানুয়ারি।
২০১৬ বছরটি বাংলাদেশের জন্যও ছিল আলো ও আঁধারে ঘেরা। এ বছরে গুলশানে হলি আর্টিজান হত্যাকাণ্ড কাঁপিয়েছে গোটা বিশ্বকে। ১ জুলাই শুক্রবার ছিল পবিত্র রমজানের সময়। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান ২-এর ৭৯ নম্বর রোডের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান দখলে নেয় জঙ্গিরা। পরদিন সকাল পর্যন্ত তারা জিম্মি করে ১৩ জন বিদেশিসহ প্রায় ৫০ জনকে। এ দিন ইতালীয়, জাপানি ও ভারতীয় ১৭ নাগরিকসহ মোট ২০ জন নিরীহ মানুষ জঙ্গিদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন। জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রথম দিনই মারা যান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খান। জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় আহত হন র্যাব, ডিবি, সোয়াট ও পুলিশের বেশ কয়েক সদস্য। পরদিন শনিবার সকালে জিম্মি উদ্ধারে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামে কমান্ডো অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন। ঘটনার ১১ ঘণ্টা পর মাত্র ১২-১৩ মিনিটের ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে ১৩ জিম্মিকে মুক্ত করা হয়। অভিযানে ৫ জঙ্গিসহ নিহত হয় ৬ জন।
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের হামলার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এক সপ্তাহের মাথায় ৭ জুলাই পবিত্র ঈদের দিন দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে জঙ্গিরা হামলা করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শোলাকিয়া মাঠের পাশে শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে মুফতি মোহাম্মদ আলী জামে মসজিদের মোড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম ও আনছারুল ইসলাম নামে ২ পুলিশ সদস্য, ১ হামলাকারী ও এক নারী নিহত হন। আরো ৬ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
এরপরই বাংলাদেশে শুরু হয় জঙ্গি ধরতে বিশেষ অভিযান। রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের গার্লস হাইস্কুলের পাশে ‘জাহাজ বাড়ি’ খ্যাত তাজ মঞ্জিল নামের ছয়তলা ভবনের পাঁচতলায় ঘাঁটি বানিয়েছিল জঙ্গিরা। শোলাকিয়ায় গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিদের দেওয়া তথ্যে, ২৬ জুলাই ভোরে ‘জাহাজ বাড়ি’ ঘিরে ফেলে পুলিশের বিশেষ ইউনিট সোয়াট। তাদের সহায়তা করে ডিবি ও থানা পুলিশ। সোয়াটের ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন স্টর্ম ২৬’। অভিযানের সময় গোলাগুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৯ জঙ্গি।
২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থানের কাছে ‘দেওয়ান বাড়ি’তে সোয়াট, সিটি ইউনিট, র্যাব ও পুলিশের ‘অপারেশন হিট স্ট্রম ২৭’ নামে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কানাডাপ্রবাসী তামিম চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়। এরপরে আরেকটি বড় অপারেশনে ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনায় সূর্য ভিলা নামে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটি) ইউনিট। প্রায় ১৭ ঘণ্টার অভিযানে এক নারী জঙ্গি সুইসাইডাল ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়। সে জঙ্গিনেতা সুমনের স্ত্রী। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ১৪ বছরের আফিফ কাদেরি আদর নামে এক কিশোর। সে পূর্বে পুলিশি অভিযানে নিহত জঙ্গি তানভির কাদেরির ছেলে। গুরুতর আহত এক শিশুসহ ৫ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
বাংলাদেশের জঙ্গি তৎপরতা আলোচনায় ছিল বিশ্বজুড়ে। এছাড়াও রিজার্ভ চুরি ও এটিএম জালিয়াতি, ব্লগার নাজিম উদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ড, সোহাগী জাহান তনু হত্যা, রাবি শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা, বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতুকে হত্যা, সুরাইয়া আক্তার রিশাকে হত্যা, হামলার শিকার খাদিজা, নারী নির্যাতন ও শিশু হত্যার ঘটনা বাংলাদেশকে বিভিন্ন সময় বিশ্বমিডিয়ায় নিয়ে আসে। এসব অনেক ঘটনার বিচার এখনো হয়নি।
রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ সাফল্যও দেখিয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ যুক্তরাষ্টের খ্যাতনামা ফরচুন ম্যাগাজিনের বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের তালিকায় দশম স্থানে উঠে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফরচুন ম্যাগাজিন তাকে ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে।
মার্কিন অপর খ্যাতনামা সাময়িকী ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৬ সালের ৬ জুন প্রকাশিত বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৩৬ নম্বরে উঠে আসেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এ তালিকায় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, যুক্তরাষ্টের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের পাশে অবস্থান করেন তিনি। নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ইউএন উইমেন-এর প্ল্যানেট ফিফটি-ফিফটি চ্যাম্পিয়ন সম্মাননা এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামের এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
বাংলাদেশ থেকে ২০১৬ সালে অভিবাসন প্রবাহ আগের বছরের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬-এর জানুয়ারি থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত লাখ ৪৯ হাজার ২৪৯ জন বাংলাদেশি কর্মী উপসাগরীয় ও অন্যান্য আরব দেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করেছেন। ২০১৫ সালে মোট পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮১ জন কর্মী বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অভিবাসী হয়েছেন। ২০১৩ সালে মোট চার লাখ নয় হাজার ২৫৩ জন কর্মী কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যান। ২০১৪ সালে মোট চার লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন কর্মী কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে গেছেন। সে ক্ষেত্রে সাত লক্ষাধিক কর্মীর অভিবাসন সত্যিই বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে একটি বড় সাফল্য।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেশ সাফল্য লাভ করেছে। ইতোমধ্যে দারিদ্র্যের হার কমানো, দারিদ্র্য অনুপাত হ্রাস, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, টিকাদান উন্নতি এবং সংক্রামক রোগের প্রকোপ হ্রাস প্রভৃতিতে অগ্রগতি লাভ করেছে বাংলাদেশ।
শঙ্কার বিষয় হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) তথ্যমতে, গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ৩১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এ টাকার অঙ্ক বাংলাদেশের অর্থবছরের বাজেটের প্রায় ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ গড়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ১৩২ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো পাচার হচ্ছে। জিএফআই প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের বেশিরভাগই পাচার হচ্ছে আমদানি-রপ্তানির সময় পণ্যের মূল্য বেশি বা কম দেখিয়ে। অর্থাৎ কম দামে বিদেশ থেকে পণ্য কিনে বেশি দাম দেখিয়ে (ওভার ইনভয়েসিং) অর্থ পাচার করা এবং বেশি মূল্যে রপ্তানি করে কম মূল্য দেখিয়ে (আন্ডার ইনভয়েসিং) বাড়তি টাকা বিদেশেই রেখে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। গত দশকের প্রথম দিকে বেশিরভাগ অর্থই পাচার হয়েছে আমদানি-রপ্তানির সময়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নগদ অর্থ পাচারের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল খুবই ভয়াবহ।
সব মিলিয়ে ২০১৬ সালটি ছিল গোটা বিশ্বের কাছেই একটি দোলাচলের বছর। কিউবার ফিদেল কাস্ত্রোর মতো নেতার চিরবিদায় ছিল অত্যন্ত বেদনাবহ।
শুরুতেই বলেছি, বিশ্ব এখন ট্রাম্প যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। রাশিয়ার সাথে কেমন হবে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক? মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ দমনে কেমন হবে তাদের যৌথ ভূমিকা?
বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কী ভূমিকা রাখবেন ট্রাম্প-পুতিন? তারা কি আরো কারো কারো হাতে পরমাণু অস্ত্র বানাবার রসদ তুলে দিয়ে বিশ্বে সমতা আনার চেষ্টা করবেন? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা হয়তো ২০১৭ সালে পেয়ে যাবো। তারপরও আমরা পুরাতনের সকল আঁধার ভুলে যেতে চাই। চাই শান্তির আলোয় উদ্ভাসিত হোক ২০১৭। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
-------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক খোলাকাগজ ॥ ঢাকা ॥ ১ জানুয়ারি ২০১৭ রোববার
©somewhere in net ltd.