নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘পলিটিকস ইজ দ্য ব্যাটেলস অব আইডিয়াস’

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৩




‘পলিটিকস ইজ দ্য ব্যাটেলস অব আইডিয়াস’
ফকির ইলিয়াস
==========================================
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পলিটিকস ইজ দ্য ব্যাটেলস অব আইডিয়াস’। রাজনীতি মানেই ধ্যান-ধারণা বিকাশের যুদ্ধ। যা মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে। শিকাগোতে দেয়া প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রায় ৫৫ মিনিটের শেষ ভাষণ মনোযোগ দিয়ে শোনলাম। তিনি বর্ণবাদ নিয়ে কথা বলেছেন প্রায় ৮ মিনিট। বলেছেন, ২০ বছর আগে এই আমেরিকায় যেমন বর্ণবাদ ছিল, এখন আর তা নেই। কিন্তু আমরা আরো উন্নতি চেয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমরা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিচার করেছি। কিউবার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়েছি। পরমাণু বোমার প্ল্যান্ট বন্ধ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা অনেক জব ক্রিয়েট করেছি। বলতে পারি, একটি আশাবাদী আমেরিকা রেখে যাচ্ছি। ওবামা বলেছেন, আর মাত্র ১০ দিন বাকি। দশ দিনের মাঝেই বিশ্ব দেখবে পরিবর্তন। নতুন প্রেসিডেন্ট আসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তনে বিশ্বাসী। সেটাই হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি একটি সম্মানিত, ধনবান, শক্তিশালী আমেরিকা রেখে যাচ্ছি আমার প্রজন্মের জন্য। আমরা একসঙ্গে দাঁড়াই। সুখে-দুঃখে গলাগলি করে থাকি। এটাই আমাদের সংস্কৃতি।

ওবামা বলেন, আমি আপনাদের গর্বিত কমান্ডার ইন চিফ। নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতেও সেই দায়িত্ব পালন করে যাব। আমি জানিয়ে রাখি, আইসিস এই বিশ্ব থেকে নিশ্চিহ্ন হবেই। তিনি বলেন, আমি আমার কন্যাদের গর্বিত পিতা। আমি মিশেলের কাছে ঋণী। কারণ তিনিই আমাকে সাহস দিয়ে এখানে নিয়ে এসেছেন। ওবামা চলে যাচ্ছেন। তিনি অবসরে গিয়েও হয়তো অনেক অজানা কথা নিয়ে আত্মজীবনী লিখবেন। এভাবে বুশও লিখেছিলেন। ইরাকে কোনো আণবিক বোমা পাওয়া যায়নি- এই ঘোষণা খোদ বুশই দিয়েছিলেন তার বইয়ে। জর্জ বুশের বই ‘ডিসিশনস পয়েন্ট’ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়েছে মার্কিন মুলুকে। দুঃখ প্রকাশ করে ইরাক সম্পর্কে বুশ লিখেছেন, ‘সাদ্দামের পতনের পর যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল তখন আমাদের উচিত ছিল খুব দ্রুত এবং আক্রমণাত্মকভাবে বিষয়টিকে মোকাবেলা করার।’ তার মতে, ‘দ্রুত সৈন্যসংখ্যা কমিয়ে নেয়াটাই ছিল যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।’

তবে ইরাকে যে গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি সে বিষয়ে তার মনের ভেতর সব সময় একটা ‘বিরক্তিকর অনুভূতি’ কাজ করছে। তিনি এখনো বিশ্বাস করেন যে, সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করাটা যুক্তিযুক্ত ছিল। ‘আমেরিকা এখন নিরাপদ। সাদ্দাম ছিল একজন বিপজ্জনক স্বৈরাচার, যে গণবিধ্বংসী অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছিল এবং মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগাচ্ছিল।’ অথচ এটা সবার জানা, গাদ্দাফি কিংবা সাদ্দাম এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের খুব পেয়ারা ছিলেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে যুদ্ধ কি সঠিক ছিল, তা জানতে ও জানাতে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, জন চিলকোটকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেন এবং ইরাক যুদ্ধ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সেই প্রতিবেদন আমাদের জানাচ্ছে, গোয়েন্দা তথ্যের পর্যাপ্ত মূল্যায়ন ছাড়াই ইরাক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন টনি বেøয়ার। ওই প্রতিবেদনে বেøয়ার প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘শান্তিপূর্ণ আরো পথ থাকতেও যুক্তরাজ্য ওই যুদ্ধে জড়িয়েছিল’।

জবাবে বেøয়ার বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ‘সরল বিশ্বাসে’ তিনি যুদ্ধে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি এখনো বিশ্বাস করেন, ওই সময়ে সাদ্দামকে উৎখাত করাই ছিল সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। তবে বেøয়ারের সিদ্ধান্তের অনেক সমালোচনা করা হলেও তদন্ত প্রতিবেদনে ইরাক অভিযানের বৈধতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের অবসান হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর চিলকোট বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, ইরাকে সামরিক অভিযানের একটি আইনি ভিত্তি ছিল। যদিও সেটি সন্তোষজনক পর্যায় থেকে অনেকটাই দূরে।’

এগুলো সবই হলো আসলে মার্কিনি চাপিয়ে দেয়া গণতন্ত্রের চেহারা। সেই মার্কিন মুলুকের ভেতরের গণতন্ত্রের চেহারা কেমন? তা একটু খতিয়ে দেখা যাক। খবর বেরিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাড়তি সুবিধা দিতে প্রভাব খাটিয়েছিলেন খোদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। আমেরিকার তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে। প্রাক্তন বিদেশ সচিব হিলারি কিনটন যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় না পান, সে জন্য পুতিনের নির্দেশেই হ্যাক করা হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘জানতে পেরেছি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নির্দেশেই প্রভাবিত হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষ যেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে কোনোভাবেই বিশ্বাস না করে। আর নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েন প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পই রুশ সরকারের প্রথম পছন্দ ছিল।’ গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট মানতে চাননি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রথমে তিনি হ্যাকিংয়ের কথা মেনে নিলেও পরে টুইট করেন, ‘হ্যাকিং হলেও সেটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলেনি। ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট দেয়ার মেশিনেও কোনো কারচুপি করা হয়নি।’

মার্কিন গোয়েন্দারা যে প্রতিবেদন দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে রাশিয়ান হ্যাকারদের মূল লক্ষ্য ছিল, ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি এবং শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্রেট নেতাদের ই-মেইল হ্যাক করা। এসব হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যেসব তথ্য পাওয়া যাবে সেগুলো উইকিলিকসের মতো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া। এসব করতে রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচ করা এবং সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের নোংরা মন্তব্যের সুযোগ করে দেয়া। যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট করা। প্রতিদ্ব›দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নামে কুৎসা রটানো, যাতে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারান। রাশিয়ার কোন কোন গোয়েন্দা এই হ্যাকিংয়ে কাজ করেছে, তাদের পরিচয় যুক্তরাষ্ট্র জানে। তবে তাদের পরিচয় প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি। ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকনি ও সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্রোয়েডার নাম উল্লেখ রয়েছে। তাদের সঙ্গে পুতিনের ব্যবসায়িক স্বার্থ ও কাজের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই বিষয়েও প্রতিবেদনে বিশেষ ইঙ্গিত রয়েছে।

অতীত ইতিহাস বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এই প্রথম নয়। তবে ২০০৮ এবং ২০১২ সালের তুলনায় এবারের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ প্রবল ছিল। প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কবে থেকে রুশ হ্যাকাররা নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে- তা স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলছেন না। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল থেকেই ডেমোক্রেট দলের সদস্যদের কম্পিউটারে ঢোকে রুশ হ্যাকাররা। ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত ওই কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করেছে তারা। আমেরিকার তরফ থেকে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ এবং এফএসবিকে এই হ্যাকিংয়ের জন্য দায়ী করা হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে তথ্য সংগ্রহের পর গত মার্চ থেকে সেই তথ্যগুলো জনসমক্ষে আনা শুরু করে তারা। এই কাজে উইকিলিকসসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ব্যবহার করা হয়। যার জ্বলন্ত উদাহরণ হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল ফাঁস। তাকে বিপাকে ফেলতেই এই কারসাজি করা হয়েছিল। সব কিছু জেনেও রুশ সরকারের যোগ্য জবাব দেননি বারাক ওবামা। যার জন্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ওবামাকে। এদিকে ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকতে বলেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি সাইবার আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলেছেন।

কিন্তু কথা হলো- তিনি তো পাস করেই ফেলেছেন। ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়েই মসনদে বসবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টিম নির্বাচন করছেন। তিনি তার মেয়ে-জামাই জেরাড কুশনারকে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার পদে বসাচ্ছেন। ট্রাম্প-কন্যা ইভাঙ্কার স্বামী কুশনার গত নির্বাচনের সাফল্যে দৃশ্যপটের বাইরে থেকে বড় ভূমিকা রেখেছেন এমনটাই বলা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তারই পুরস্কার দিচ্ছেন শ্বশুর ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘোষণায় বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ভেতরের লোক হিসেবে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিবাস ও চিফ স্ট্রাটেজিস্ট স্টিভ ব্যানোনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন কুশনার। ট্রাম্প নিজেও এক বিবৃতিতে জেরাড কুশনারের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, জেরাড পুরো ক্যাম্পেইনে আস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন। আমার প্রশাসনের নেতৃত্ব পর্যায়ে তাকে পেয়ে আমি গর্বিত।

ট্রাম্প আরো বলেন, জেরাড ব্যবসায় যেমন তেমনই রাজনীতিতে অবিশ্বাস্য রকমের সফল একজন। আমার যেসব উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে তিনি অমূল্য একজন সদস্য হবেন। অন্যদিকে কুশনার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও আমেরিকার জনগণের ভালোবাসায় আমি বাড়তি শক্তি পাচ্ছি। ট্রাম্পের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হতে যাচ্ছেন অ্যালাবামার রিপাবলিকান সিনেটর জেফ সেশনস। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এক বিবৃতিতে সেশনসকে বর্ণনা করেছেন একজন বিশ্বমানের আইনজ্ঞ হিসেবে। সাবেক কৌঁসুলি সেশনস ১৯৯৬ সালে সিনেটর নির্বাচিত হন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের গোটা সময়টাই তিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তার ফেডারেল জজ হওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগের কারণে। এক বিবৃতিতে ৬৯ বছর বয়সী সেশনস বলেছেন, ট্রাম্প এক আমেরিকা ও সবার জন্য সমান বিচারের যে দর্শন নিয়ে সামনে এসেছেন, তা অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে চান। এই কয়েক দিন সেশনস মার্কিন সিনেট কমিটির মুখোমুখি হয়েছেন। নানা প্রশ্ন করা হয়েছে তাকে। সিনেট ও কংগ্রেস অনুমোদন দিলেই তিনি এই পদ পাবেন। মার্কিন ক্ষমতা বদলের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শিকাগোতে জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস, সিনেট, প্রতিনিধি পরিষদ সব জায়গায় প্রতিক‚ল অবস্থায় পড়া ডেমোক্রেটরা এখন সংগ্রাম করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় আছে। এ পরিস্থিতিতে মেয়াদের শেষ সময়ে প্রায় ৫৫ শতাংশ জনসমর্থন ধরে রাখতে সক্ষম হওয়া ওবামা তার শেষ ভাষণে তাদের সামনের দিনগুলোতে নতুন লড়াইয়ের জন্য মনোবল জুগিয়েছেন। ওবামা চলে যাচ্ছেন। ট্রাম্প আসছেন। আমেরিকা তথা বিশ্বের সামনে এখন নতুন স্বপ্ন। কেমন হবে এই স্বপ্ন? কেমন হবে দ্য নিউ ব্যাটেলস অব আইডিয়াস? আমরা তা দেখার প্রতীক্ষায়ই আছি কেবল।
------------------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

সামছুল ইসলাম মালয়েশিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: ট্রাম্পকে নিয়ে বড় ভয়, সে কোন সমালোচনার তোয়াক্কা করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.