নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মৌসুমী আক্তার

মৌসুমী আক্তার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বেশ্যারা ও কিছু স্যুট পড়া ভদ্রলোক

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

আমরা যাদের ভদ্রমহিলা বা সম্ভ্রান্ত নারী বলে চিনি,তাদের সম্মান করি।তাদের ভদ্রমহিলা বা মহীয়সী পর্যায়ে যাওয়ার পেছনে কারন হলো, এরা পুরুষের গড়া ননির পুতুল।এরা পুরুষদের সকল আদেশ নির্দেশ আজ্ঞাবহ দাসীর ন্যায় পালন করে।এরা গায়ে রোদ লাগতে দেয়না, পুরুষের ছায়ার নিচে থাকা এদের অভ্যাস।এরা নির্দিষ্ট পুরুষকে মন-মস্তিষ্ক-বদন সম্মানী রুপে হস্তগত করে মন ও মস্তিষ্কের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং বদনের দরজা কেবল ঐ নির্দিষ্ট পুরুষের জন্য খোলা রাখে।এই নারীরা সেচ্ছায়, আবার কখনো অনিচ্ছায় হলেও ওই নির্দিষ্ট পুরুষকে নিজের দ্বিতীয় ঈশ্বর মেনে নেয়।

আমাদের সমাজে কেবল এই রক্ষনশীল নারীদেরই বাস নয়।এমনও একটি সমুদয় আছে, যারা সম্ভ্রান্ত নারীদের মতো মন বিলিয়ে দেয় না,মস্তিষ্ক শূন্য করে না।এরা কবল বদন বেঁচে খায়।তবে এদের পুরুষ নির্দিষ্ট নয়।এদের ঈশ্বরও নেই,থাকলেও বলতে নেই।এই সমুদয়কে সমাজ দিনের আলোতে ঘেন্না করে,দূর দূর করে।কিন্তু রাতে অন্ধকারে এই বেশ্যাদের ছাড়া সমাজ কর্তাদের চলেনা।এই নোংরা নারীদের আলিঙ্গনই তখন মধুর লাগে।

ভাববার বিষয় হলো,এই বেশ্যাদের বাস কি কেবল বেশ্যাপল্লীতেই? না! বেশ্যা হতে হলে বেশ্যালয়ে বাস করতে হয় না।বেশ্যার সৃষ্টি সমাজকর্তা ধর্তাদের মস্তিষ্কে।মূলত পুরুষের মস্তিষ্ক বেশ্যা উৎপাদনের কারখানা।যখনই প্রথম শ্রেনীর সম্ভ্রান্ত,রক্ষনশীল নারীরা নিজের মন ও মস্তিষ্কের ঘরের তালা খোলে, তখনই ওই কারখানায় নতুন বেশ্যা উৎপাদিত হয়। বলাই বাহুল্য যে, এই ভদ্রা নারী এবং বেশ্যাদের মাঝে খুব বেশি তফাৎ নেই আমাদের সমাজের নজরে।

আমাদের স্যুট পড়া ভদ্দরলোকদের কাপড় টানিয়া কেউ দেখতে যায় না।সে কোন গৃহে কি করে,কোথায় চরিত্র খোলে কেউ তাদের খবর নেয় না।আর খবর নিলেও কি?তাতে কি আসে যায়? পুরুষ পাথরের মতো ঘষলেও ক্ষয় হয় না।অথচ এই লোকেরাই চরিত্রের স্যুট পড়লে কি ভদ্রলোকটি।ভিতরে কি কালো সাপটাই না ফনফনায়! ................।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.