![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সার্টিিফিকেট নয় শিক্ষিত মানুষ চাই
.........................
প্রতি বছর লক্ষ-লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে, পাশ করছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে হুমড়ী খেয়ে পড়ছে চাকরীর বাজারে। কিন্তু একবারও কি
ভেবে দেখেছেন এই লক্ষ লক্ষ সার্টিফিকেটধারীর মধ্যে আমরা শিক্ষিত মানুষ কয়জন
পেয়েছি? যদি বলেন সকলেই শিক্ষিত, শিক্ষিত হওয়ার প্রমানসরূপ এই
সার্টিফিকেট। তাহলে ২য় আরো একটি প্রশ্ন, শিক্ষিত বলতে আপনি কি বোঝেন? ছোট
বেলায় দেখতাম বই এর মলাটে একটা মোমবাতি আঁকা। সেখানে লেখা থাকতো "শিক্ষাই
আলো"। যদি তাই হয়, তাহলে এই সার্টিফিকেটধারীর প্রত্যেকের হাতে রয়েছে একটা
করে আলোর মশাল। যেখানে আলো থাকবে সেখানে অন্ধকার থাকতে পারে না। অালো
প্রজ্জলিত হলেই অন্ধকার দৌড়ে পালায়। আলো হাতে যাত্রী সব সময়ই অগ্রপথিক।
অন্ধকারের যাত্রীদের পথ দেখানোই অগ্রপথিকের দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের শিক্ষিত
সমাজ কি কোন ভাবে সে দায়িত্ব পালন করছে? সমাজের হাজারো অন্ধকার, কুসঙ্কার,
দূর্নীতি, হত্যা, ধর্ষন,লুট-পাট কোন কিছুইকি তারা বন্ধ করতে পেরেছে? না কি
তারাই প্রবলবেগে গোটা সমাজকে আরো গহীন অন্ধকারের দিকে নিয়ে যা্চেছে।
বাংলাদেশ সারা বিশ্বের পর-পর পাচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে, এখোনো
সর্বাধিক দুর্নিতিগ্রস্তদের মধ্যে অন্যতম। আমার প্রশ্ন এ দূনীৃতি আসলে কারা
করছে? সেগুলো কি আমারেদ দেশের কৃষক, শ্রমিক সমাজের খেটে খাওযা নিচু
শ্রেনীর মানুষেরা ? নাকি শিক্ষিত সার্টিফিকেটধারী সুট,টাই,পরা সমাজের উচু
শ্রেনীর মানুষেরা?সোনালী ব্যাংকের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা,বেসিক ব্যাংকের
টাকা, ডেসটিনির টাকা, শেযার মার্কেটের টাকা, সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের
টাকা কারা নিয়েছে? সারাদেশে টেন্ডারবাজী, চাদাবাজী, জালিয়াতি, চাকরী
পাইযেদেওয়ার নেওয়ার নামে হাজার হাজর কোটি টাকা কারা আত্বসাত করছে? শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বানিজ্য, হল দখলের নামে রামদা, বল্লম নিয়ে খুনো খুনিতে
কারা মেতে উঠছে?কাদের কর্ম প্রকৃয়ার ফল দেশ আজকে দূর্নীতি গ্রস্থ দেশ
হিসাবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হচ্ছে? নিশ্বয়ই ঐ তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেনীর।
তাহলে কি বলতে পারেন এই সার্টিফিকেটধারীরা আসলে শিক্ষিত কি না? আমরা বছর
শেষে হয়তো লক্ষ লক্ষ সার্টিফিকেট পাচ্ছি কিন্তু শিক্ষিত মানুষ আদৌ পাচ্ছি
কি না।
ধরুন কোন এক মাজারে হাজারো মোমবাতি জ্বলছে। কিন্তু দুরেই এক দল
লোক অন্ধকার পথে যাত্রা শুরু করেছে। তাদের নিকট কোন আলো নেই। অন্ধকারে
যাত্রা করার কারনে তারা ভুল করে কোন দস্যুর আস্তানায় গিয়ে পড়লো, এবং দস্যু
হাতে তাদের সর্বস্ব হারাতে হলো। তাহলে ঐ মাজারের প্রজ্বলিত বাতি গুলো
সম্পর্কে আপনি কি মূল্যায়ন করবেন? যে আলো থাকার প্রয়োজন ছিলো যাত্রীদের
হাতে, যে আলো তাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারতো।
সে আলো সেখানে না থেকে মাজারকে আলোকিত করছে, যেখানে আসলে আলো থাকার কোন
প্রযোজনই পড়ে না। তাহলে কি আপনি বলবেন না যে মাজারে প্রজ্জলিত ঐ মোমবাতির
কোন স্বার্থকতা নেই। যে উদ্দেশ্যে মোমবাতিগুলো তৈরী করা হয়েছিলো এ মোমবাতি
গুলো সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সম্পূর্ন ব্যার্থ। ঠিক তেমনি শিক্ষার যে মূল উদ্দেশ্য শিক্ষিত মানুষ গড়ার মাধ্যমে সকল অন্যায়, কুসঙ্কারের আধার দুর করে আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, তা সম্পূর্নরূপে ব্যার্থ হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিবছর আমরা লক্ষ লক্ষ সার্টিফিকেটই পাচ্ছি ঠিকই কিন্তু এই সার্টিফিকেটধারীরা সমাজকে আলোকিত করার পরিবর্তে করছে অন্ধকার আচ্ছন্ন। এমনকি বেশিরবাগ ক্ষেত্রে একজন অশিক্ষিত মানুষের চেয়েও বেশি দূর্নীতি পরায়ন। কিন্তু এমন কি হাবার কথা ছিলো? এ জন্য কি সরকার প্রতিবছর শিক্ষা ক্ষাতে কোটি কোটি টাকা বাজেট বরাদ্ধ করছে? সমস্যাটা আসলে কোথায় সেটা নিয়ে এখনই ভাবতে হবে।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
ফাহিম আবু বলেছেন: চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী ! ঠিক তাই এই তথাকথিত শিক্ষিত নামধারি বর্বর জাতীর কোন পরিবর্তন দেখছিনা !!
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: একদম উপযুক্ত সত্যবাস্তব তুলে ধরেছেন ভাই । কি আর বলি আমরা সবাই জানি সমাজের এই সব দুর্নীতিবাজরা সবাই কথিত শিক্ষিত ।