নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফালতু কথা

অালমগীর ৮৫

অতি সাধারণ এক মানুষ অামি । সাদা চোখে সব দেখতে ভালোবাসি।

অালমগীর ৮৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেমুর ডায়েরি

১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৮


ইদানিং একটা বদ-অভ্যাস হয়েছে আমার, ঘুম থেকে উঠেই আয়নায় মত্ত হই।
যে আয়নায় নিজের নয়, খুজি অন্যের প্রতিচ্ছবি। বরাবরের মতো আজও তা-ই।
ঘুম থেকে উঠে চোখ রগড়াতে- রগড়াতে নিজেকে দাড় করাই ১৯ ইঞ্চি গ্লাসে।
কিন্তু একি!
চোখের জায়গায় চোখ নেই, উঠেগেছে কপালে!

টেবিলের উপর উল্টো হয়ে পড়ে থাকা রিন্দুর ডায়েরি, আমায় দেখে দাত কেলিয়ে হাসে।
আমি পাতা উল্টাই, ধুলো জমে থাকা ২১ বছরের প্রতিটি বাকে হাত বুলাই, মাথা চুলকাই,
কপাল কুচকে পায়চারী করি, উত্তর থেকে দক্ষিণে। হিসাব মেলে না।

পাড়ার ছেলেরা মুখভার করে বসে থাকে বাবরা তলায়, মার্বেলগুলো গড়াগড়ি খায়। হিসাব মেলে না।

গায়ের মেয়ে-ছেলেরা গোল হয় উঠোনে। কারো হাত গালে, কারো মাথার উপরে, কারো বা দুই হাত কেচকি দিয়ে বগলে।
সবার চোখ জল- চোকিতে বসেথাকা দফাদারের দিকে।
দফাদার একটার পর একটা বিড়ি ধরায়, মুখে কোন কথা বলে না।
হাতের কঞ্চি দিয়ে মাটিতে কি যেন আকিবুকি করে - আর মোছে। হিসাব মেলে না।

আমি কপালের ভাজগুলোকে গুটিয়ে রাখি, স্ব-যত্নে তুলে রাখি রিন্দুর নতুন ছিকেয়।
যেখানে তৃতীয় নয় থাকে ওর চতুর্থ আঙুল।

পাড়ার ছেলেরা ধুলো ঝেড়ে উঠে যায়, মার্বেলগুলো পড়ে থাকে অ-যত্নে, অভিমানে।

দফাদার মুখের বিড়ি পিষ্ট করে জুতোর তলায়। বিড়বিড় করে, অষ্ফুট-স্বরে:
এ হিসাব মিলবার নয়, মিলবার নয় পান্তা পিয়াজে।

মার্বেল গুনে বড়জোর একে- একে দুয়ের হিসাব মিলানো যায়,
কিন্তু একে- একে আটের হিসাব মিলাতে, চাই ব্যাগেল আর ক্রিম চিজ।

বিশ্বাসের আফিম গিলিয়ে মানুষকে দিয়ে যা খুশি তাই বলিয়ে নেয়, করিয়ে নেয় চতুর লোকেরা।
রিন্দুরা হয় নাচের পুতুল, যার সুতো থাকে অদৃশ্য হাতে।

হ্যা ঠিকইতো, অবেলায় এসেছে, তাতে ক্ষতি কী?
তবুওতো এসেছে। ভাগ্যিস সাদা ফুল আর নিষিক্ত হতে চায়নি পুষ্পিত এ পবনে।
ওরতো আহ্লাদে আটখানা হওয়াই উচিত।
ইয়া হু........!
এইতো মিলেছে, "আটখানা," হিসাবতো মিলানোই আছে।
তবে কেনো এতো ছুতোর লেজ ধরে টানাটানি?
বিশ্বাসের যে আফিম ও গিলেছে, না জানি তা গ্রামের ছোট্ট ডোবা থেকে তুলো কোন সমুদ্রে ওকে ডুবায়।
ওরকমটি যেন কখনো না হয়। রিন্দু উড়ে চলে পূর্ব থেকে পশ্চিমে।
আমি হেটে চলি দক্ষিণ থেকে উত্তরে, বাজার, মরগাঙ্গী, কুমার নদী পার হয়ে।
বুক পকেটে আমার নিশাম অপটিকসের স্লিপ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: প্যাকেজ নাটক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.