নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফালতু কথা

অালমগীর ৮৫

অতি সাধারণ এক মানুষ অামি । সাদা চোখে সব দেখতে ভালোবাসি।

অালমগীর ৮৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফালতু কথা -১২

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

ইদানিং আর খুব একটা গ্রামে যাওয়া হয়না আমার। তবুও ছুটে যাই কিঞ্চিত অবসরে, নাড়ির টানে।
নাড়ি কখনো ওভাবে টানে কিনা জানিনা, কিন্তু দক্ষিণের মাঠ, নিজামউদ্দিন হাই স্কুলের শীতল বট গাছ,
নারকেল পাতায় পিছলে যাওয়া বৃষ্টিস্নাত সোনালী রোদ আমায় এখনো টানে।
তালের ডগায় বসে থাকা ক্লান্ত শালিক, বাবরাতলার মার্বেল, ওলি সরদারের মাইক আমাকে এখনো টানে।

মনে পড়ে তোমার?
মোল্লানী ভিটার আমের কথা? কলা পাতায়, সে আম মেখে মুখে পুরতাম আর জিভে টা-টা শব্দ তুলতাম আমরা।
সে শব্দ এখনো আমার কানে বাজে, মোহনীয় বাশির সূর হয়ে।

প্রাইমারিতে একটা গল্পছিলো, হেমেলিওনের বাশিওয়ালা।
কাধে ঝোলানো ব্যাগ, গায়ে আলখাল্লা, হাতে কালো কুচকুচে বাকা বাশি।
ওলি ভাইকেই আমার মনেহতো সেই বাশিওয়ালা, যখন তিনি বাশি বাজিয়ে ছুটে চলতেন স্কুল থেকে দক্ষিণের মাঠে,
পেছনে তার ফুটফুটে কচিকাচার দল।
সারা বছর অপেক্ষায় থাকতাম, যতটা না ঈদের তার চেয়েও বেশি ঐ বাশির।
মুলত; ঐ দিনই আমার ঈদ পূর্ণতা পেতো, সাতার কাটতো ঢোল সমুদ্রের জলে।
নিলুফা খালার হারমোনিয়াম, নাজমা আপার চিকন সুর ঢেউ তুলে যেতো আমার শীতল অস্তিত্তে।
সেলিম মামা যখন,"ভালো আছি ভালো থেকো" গানের সাথে কোমর দুলিয়ে নাচতেন,
আমার মনে হয় কোমরের চেয়ে তার পেটটাই নাচতো বেশি।
আর ভাগ্য পরীক্ষারতো কোন কথাই হবে না।
সন্ধ্যেয় পুরষ্কারের চকচকে জগ হাতে বাড়ি ফিরতাম, নাচতে নাচতে।

কিন্তু এখন আর সে বাশি বাজে না। সুর তোলে না বোয়ালিয়ার বাতাসে। হৈ-হৈ রব ওঠেনা ছেলে বুড়োর কন্ঠে।
সবই শূণ্য, একদম ফাকা।
ইদুরের প্রকপ বাড়ছে আজকাল গ্রামে, ধেড়ে ইদুর,বুড়ো ইদুর, গোফওয়ালা ইদুর।
বাশিওয়ালা গ্রাম ছেড়েছে অযত্নে অভিমানে।
শুনেছি যেদিন সে চলেগিয়েছিলো, তার পিছু নিয়েছিলো এ গায়ের সেই ফুটফুটে কচিকাচারা,সাথে হাসি আর আনন্দ।
সেদিন আমার প্রচন্ড জ্বর হয়েছিলো?যেতে পারিনি আমি।
আজও বসে থাকি আমি নিজামউদ্দিনের ফাকা বারান্দায়, একলা একা, বাশিওয়ালার প্রতিক্ষায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.