![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা জীবন শুধু পথের সন্ধানে ছুটে চলেছি আমি, সত্যের সন্ধান আর মেলেনা। পথ অনেক দূরের। মানুষের দেয়া কষ্টগুলো জমিয়ে এখন ভীষণ একলা চলি আমি। অন্যের কাছে আশা করি না। শুধু বিশ্বাস করি নিজের বাবা-মাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু কষ্ট দেয় আমায়। তাই এখন আর অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে চলা। আসলেই কি যোগ্য আমি। কোথাও কোন বন্ধু নেই। সহযোগীর চেয়ে শত্রু বেশী। যেখানে যাই শত্রু কুড়াই। কর্মক্ষেত্রে, নিজ জীবনে সব জায়গায়। মানুষের মুখ দেখে মানুষ সত্যি চেনা দায়। মানুষ ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমি মানুষকে সত্যি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করা বড়ো দায় হয়ে দাড়ায়। পিছন থেকে ছুরি মারা সদা প্রস্তুত মানুষগুলো বড়ো ভাবায়। একটু আগের সবচেয়ে বড় বন্ধু ক্ষণিকের মাঝে অচেনা হয়ে যায়। সবাই যার যার মতো আখের গোছায়। আর আমি চেয়ে থাকি। নাকি ওরাই ঠিক। আর আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না। চোখের পলকে নিজের চেহারা পাল্টাতে পারি না। আমি আসলে বোকার দলে। সময় থেকে পিছিয়ে পড়েছি। আমার মধ্যে আজকাল অবিশ্বাস গুলো আনাগোনা করে। অথচ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।তারপরও মনে হয় আলোর সন্ধান আমি পাবোই।ফারজানা
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, খ্রীষ্ট ধর্মের কিছু শাখা প্রশাখা গোষ্ঠী আছে যারা মনে করে ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন নয়, যেমন যিহোবার সাক্ষি (Jehovah’s Witnesses); তাদের মতে যীশুর জন্ম ও মৃত্যু দিবস ২৫শে ডিসেম্বর নয়। যিহোবার সাক্ষিরা বলেন, যীশুর জন্ম হয়েছিল সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের কোন এক সময়ে। আর মৃত্যু এপ্রিলের দিকে। তারা ক্যাথিলিক ও প্রোটেষ্টাইনদের মতো ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন পালন করে না। বড়দিন বলে, যিহোবার সাক্ষিদের কাছে কোন ধর্মীয় উৎসব বা প্রথা নেই। তারা প্রতি বছরে একবার, বিশ্বব্যাপী ২০০টিরও বেশি দেশে হাজার হাজার জায়গায় যিশুর মৃত্যু দিবস উদ্যাপন করে থাকে। যেমন তারা ২০১৪ সালে এপ্রিলের ১৪ তারিখে যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু দিবস পালন করবে।যিহোবার সাক্ষিদের মতে, ''আমরা তা করি কারণ তিনি তাঁর শিষ্যদের আদেশ দিয়েছিলেন: “ইহা আমার স্মরণার্থে করিও।” (লূক ২২:১৯)
প্রসঙ্গত যিহোবার সাক্ষিদের আধুনিক দিনের সংগঠন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে শুরু হয়েছে। সেই সময়ে, বাইবেল ছাত্রদের (Bible students) একটা ছোটো ধর্মীয় দল, যারা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটস্বার্গের কাছাকাছি বাস করতো। তারা বাইবেল নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছিল। তারা গির্জার শিক্ষা দেওয়া বিভিন্ন মতবাদ এবং বাইবেল প্রকৃতপক্ষে যা শিক্ষা দেয়, সেগুলো তুলনা করেছিল। তারা যা যা শিখেছিল, সেগুলো বিভিন্ন বই, খবরের কাগজ এবং একটি পত্রিকায় প্রকাশ করতে শুরু করেছিল, যেটিকে এখন বলা হয় প্রহরীদুর্গ—যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে।
সেই আন্তরিক বাইবেল ছাত্রদের (Bible students) দলের মধ্যে চার্লস টেজ রাসেল নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। যদিও রাসেল সেই সময়ে বাইবেল শিক্ষা কাজের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন এবং প্রহরীদুর্গ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন, কিন্তু তিনি এক নতুন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। রাসেল এবং অন্যান্য বাইবেল ছাত্রদের, যারা তখন এই নামেই পরিচিত ছিল, তাদের লক্ষ্য ছিল যিশু খ্রিস্টের শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর কাজগুলো অনুসরণ করা। যেহেতু যিশু হলেন খ্রিস্ট ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, তাই তারা তাঁকে তাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করে।—কলসীয় ১:১৮-২০.
যিহোবার সাক্ষিরা মনে করে তারাই একমাত্র দল যারা সঠিক ভাবে খ্রীষ্টধর্ম পালন করে। আর সেই কারনেই ক্যাথিলিক ও প্রোটেষ্টাইনদের মতো দল গুলো যিহোবার সাক্ষিদের অস্বীকার করে এবং খ্রীষ্টধর্মের বিকৃতিকারী হিসেবে আখ্যা দেয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৬
ফারজানা৯৯ বলেছেন: আমার আসলে কোন বিরোধ নেই। আমি একই ধর্মের আরেকটি শাখার ধ্যান ধারনার কথা জানানোর চেষ্টা করলাম মাত্র। শুভ রাত্রি।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৫
আগুন পাখী১৩ বলেছেন: আমার মনে হয় এ নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত নয় কারণ বাংলাদেশে অনেক মুসলমান সৈাদীআরবের সাথে ঈদ করে তাই বলে এটাই ঠিক নয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৫
ফারজানা৯৯ বলেছেন: আমি কোন বিতর্ক করছি না। আমি আরেকটি মতবাদের দল বড়দিন সম্পর্কে কী ভাবে সেটাই লিখেছি। এখানে আমার ব্যাক্তিগত কোন বিরোধ বা ব্যাখ্যা নেই
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: যিহোবা'রা কিিছুদিন পরপর বাসায় এসে ওদের কিছু বইপত্র দিয়ে যায়। বেশ ইন্টারেস্টিং।
"কামিং টু আমেরিকা" মুভিতে ওদের নিয়ে মজার একটা কৌতুক আছে।
দরজায় একজন নক করছে, ভিতর থেকে একজন দরজা খুলার জন্য যাচ্ছে।
তখন,ঘরের ভিতর থেকে আরেকজন বললো- দরজা খুলার দরকার নাই, নিশ্চয়ই যিহোবাদের কেউ এই অসময়ে দরজায় নক করছে।"
ভালো পোস্ট।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪
ফারজানা৯৯ বলেছেন: হ্যা, এরা অনেকটা কাঠালের আঠার মতো। সহজে পেছন ছাড়ে না। এদের নিয়ে ইউরোপেও অনেক জোকস বিদ্যমান। সাধারন মানুষ জন এদের উপর বিরক্ত।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এইসব বিতর্কই বুঝায়ে দেয় মানুষের শঠকারিতার কথা।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫
ফারজানা৯৯ বলেছেন: খ্রীষ্টান ধর্মের মধ্যে প্রধান দল ৪টা হলেও আসলে এই ধর্মের মধ্যে শাখা আছে হাজার হাজার। অবস্থাটা এমন যেন প্রতিদিনই খ্রীষ্টান ধর্মে একটি করে নতুন শাখা তৈরী হচ্ছে। হাস্যকর ব্যপার হচ্ছে- এদের কোনো দলই ঈশ্বরের অস্তিত্বের একটা প্রমাণও হাজির করতে পারেনি অথচ নিজেদেরকেই একমাত্র সত্য বা আসল খ্রীষ্টান বলে দাবী করে। যে ধর্মের গ্রন্থের লেখক ৪০ জন আর লিখে শেষ করতে সময় লেগেছে ১৬০০ বছরেরও বেশী, সেই ধর্ম কি আর মানব জাতিকে এক করতে পারবে? তাও আবার যিশু খ্রীষ্টের জন্মের ইতিহাসই যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রুপকথার গল্প আর অবৈজ্ঞানিক। খ্রীষ্টান পরিবারের বিজ্ঞানমনস্ক তরুনরা চার্চ ছেড়েছে বহু আগেই। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ধর্মীয় সংগঠন ক্যাথলিক চার্চ ইউরোপে বিক্রি করতে শুরু করেছে তাদের অনেক দামী ও ঐতিহ্যবাহী চার্চ।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আসলে মানুষ এইসব বিতর্ক ইচ্ছা করেই করে। জগতর সকল মহান কারুকে কেহ বিতর্কের উর্দ্বে ছাড়েনি।আপনার সত্যপ্রকাশ আমার ভাল লাগল। কারন আমরা ইতিহাস খেকেই তথ্য নেই তাইনা? ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬
ফারজানা৯৯ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯
অকপট পোলা বলেছেন: মন্টি পাইথনের কমেডী মনে পড়ে গেলো। জিহোভার নাম নিলেই ফাঁসি!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: শুভ বড়দিন। কি দরকার দিদি ঐ মত বিরোধে যাওয়ার তার চাইতে এই গানটি দেখুন ভাল লাগবে। শুভ রাত্রী।