নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ

এরিক ফ্লেমিং

ভালোবাসি বাংলাদেশ

এরিক ফ্লেমিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকাই ছিল তাঁর মনছবি !

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৭





দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের অবিস্মরণীয় নেতা ও দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হলো আজ।

দেশের স্বাধীনতার বীরসন্তানদের স্মরণে প্রিটোরিয়ার ফ্রিডম পার্ক ভবনে আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনা সভার মধ্য দিয়ে এই মহান নেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।

পাঁচ মিটার উঁচু ম্যান্ডেলার হাস্যোজ্জ্বল ভাস্কর্যের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের বীরসেনানীরা আংশ নেন।

গত বছরের এই দিনে জোহানেসবার্গের বাড়িতে ৯৫ বছর বয়সে আজীবন সংগ্রামী ও শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটির জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন শেষে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর নিজ গ্রাম কুনুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দক্ষিণ আফ্রিকা চিরবিদায় জানায় তাকে।

১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার উমতাতু প্রদেশের এমভাজো গ্রামে জন্ম নেন নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকানদের কাছে তিনি মাদিবা নামেই বেশি পরিচিত। মাদিবা তার গোত্রীয় নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ই আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন যুবলীগের। ১৯৪৮ সালে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সামনের সারিতে আসেন নেলসন ম্যান্ডেলা।

১৯৬২ সালে অন্তর্ঘাতসহ নানা অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদ-হয় তার। বোরেন দ্বীপের ২৭ বছর কারাগারে থেকে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। ১৯৯১ থেকে ‘৯৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন আফ্রিকার ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট।

১৯৯৪ সালে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে নির্বাচনে জয়লাভ করে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হন নেলসন ম্যান্ডেলা। তারপরের ইতিহাস আরও উজ্জ্বল। সারাটা জীবন যাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন, যাদের বর্ণবাদী আক্রমণে রক্তাক্ত হয়েছে দেশ, সেই বর্ণবাদী আফ্রিকান ন্যাশনাল পার্টিকে নিয়ে গঠন করেন জাতীয় ঐক্যের সরকার। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি জোরালো করতে গঠন করেন ট্রুুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন।

সারা জীবনে নেলসন ম্যান্ডেলা প্রচুর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে পান শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার তাকে ভারতরতেœ ভূষিত করে। ১৯৯৯ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সবচেয়ে সাহসী এই নেতা গঠন করেন নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন। ২০০১ সালে তার জন্মদিন ১৮ জুলাইকে প্রতি বছর ম্যান্ডেলা দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।

২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলার সময় শেষবারের মতো জনসম্মক্ষে আসেন নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েটোর সেই স্টেডিয়ামে ৯০ হাজার দর্শক দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে সেদিন তাকে স্বাগত জানায়। সোয়েটোতেই সংগ্রামী নেতা হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার।

বোরেন দ্বীপের নোংরা কারা প্রকোষ্ঠে থাকার সময় সেই ষাটের দশকেই ম্যান্ডেলার শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি যক্ষ্মা। শেষ বয়সে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। বছরজুড়ে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শেষ দফা দীর্ঘ তিন মাস হাসপাতালে থাকার পর জোহানেসবার্গের বাড়িতে চলছিল চিকিৎসা। দিনকে দিন অবনতি ঘটতে থাকে তার শারীরিক অবস্থার। অবশেষে গত বছরের এই দিনে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে মারা যান তিনি।



(ইন্টারনেট নিউজ থেকে সংগৃহিত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.