নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ

এরিক ফ্লেমিং

ভালোবাসি বাংলাদেশ

এরিক ফ্লেমিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময় এবং কাজের সমষ্টি জীবন !

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮

সময় এবং কাজের যোগফলই জীবন। জীবন সম্পর্কে সুন্দর একটি উপমা দিয়েছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ- ''গারো পাহাড়ের মতো বিশাল একটা রাজভোগ, রসে টইটম্বুর। তার মধ্যে একটা পিঁপড়া ছেড়ে দিলে তার কাছে যেমন এটা অসম্ভব আনন্দের মনে হয়, আমার কাছেও জীবনটা তা-ই। এই জীবনকে এক সেকেন্ডের জন্যেও নষ্ট করা পাপ। এক সেকেন্ডের জন্যে বিষণ্ন হওয়া, নিজেকে দুঃখী মনে করা অপরাধ।''

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন- "জ্ঞানী লোকেরা আমাকে এই বলে সতর্ক করে যে জীবন হচ্ছে পদ্মপাতার জলের মতো।"

বিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়েন বলেছিলেন- "জীবনকে এমনভাবে পরিচালিত করো যেন তোমার মৃত্যুর পর ভৃত্যটি অশ্রু বর্ষণ করে।"

মানুষের মধ্যে দুই শ্রেণির লোক রয়েছে। একদল হচ্ছে কর্মবিমুখ তারা অপেক্ষাকৃত আরাম আয়েশকে প্রাধান্য দেন এবং আরেক দল হচ্ছে কর্মমুখী। কল্পনা করুন, এক ব্যক্তি গ্রামে থেকে তেমন কিছুই করছে না শুধু তার সম্পত্তি পাহাড়া দিচ্ছে এবং আরেকজন দেশ-বিদেশে ঘুরে উপার্জন করছে, নতুন কিছু জানছে। জীবনকে সাজিয়ে নিচ্ছে। দুজনের জীবনের মান কি এক হবে? গতিশীল মানুষ সবসময় গতিহীন মানুষের চেয়ে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে।

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে সময় সীমিত। এই সীমিত সময়ে আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। সময়কে যত কাজে লাগাতে পারব যত কাজে গতি থাকবে তত পৃথিবীতে আমাদের অবদান রেখে যেতে পারব। আর প্রতিটি জিনিসেরই একটি নির্দিষ্ট সময়কাল রয়েছে। ঐ সময়কালের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হয়। আর কাজে গতি না থাকলে তা সম্পন্ন করা কষ্টকর হয়ে উঠে। খেলাধুলায়ও দেখবেন, যারা দ্রুত এবং যাদের খেলায় গতি রয়েছে তারা অপেক্ষাকৃত ভালো করে। গতির সাথে সাথে কাজের নৈপুণ্যও বাড়ানো প্রয়োজন।

গতির সাথে সাথে আমাদের বিবেচনা করা প্রয়োজন কোনদিকে আমাদের জীবন ধাবিত হচ্ছে। পাশ্চাত্যে বৈষয়িক অর্জনের জন্যে সবাই শুধু ছুটছে। পণ্যদাসত্ব, আরাম ও ভোগ বিলাসে জীবন কাটানোর জন্যে তারা ক্রমাগত ছুটে চলছে। আমরাও এখন পাশ্চাত্যকে অনুকরন করছি। সার্থক সেই পথচলা যা বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের জন্যে, সমাজে কিছু অবদান রাখার জন্যে এবং মানুষের জন্যে কিছু করার জন্যে ছুটে চলে।

কেউ কেউ ৬০ বা ৭০ বছর বেঁচে থাকে। বেঁচে থাকার সময়টাকে ধরা যেতে পারে জীবনের দৈর্ঘ্য হিসেবে। এই সময়ের মধ্যে সে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে তা হচ্ছে তার প্রস্থ। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের গুণিতক হচ্ছে আয়তক্ষেত্র বা জীবনের প্রাপ্তি। শুধু দীর্ঘ জীবন পেলেই জীবন সফল হয় না। যদি না সে জীবনে অভিজ্ঞতা না থাকে। আর অভিজ্ঞতা অর্জিত হয় গতির মধ্য দিয়ে। জীবনকে আমরা বলছি, সময় এবং কাজের সমষ্টি। যে নির্ধারিত সময় পাচ্ছি সে সময়টুকুকে কত ভালো কাজে বিনিয়োগ করতে পারি তার ওপরে নির্ভর করছে আমার জীবনের সাফল্য।

সূরা জুমআ-এর ১০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, "নামাজ শেষ হলে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সম্পদ অনুসন্ধান করো। আর বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করো, তাহলেই তোমরা সফল হবে।"

স্রষ্টা গতিকে পছন্দ করেন। এজন্যে তিনি ছড়িয়ে পড়তে বলেছেন।

শুধু ছুটলেই হবে না। গতির সাথে চাই মুক্তমন। সূরা মুলকের ২২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, "একটু ভেবে দেখ, একজন ঘাড় নিচু করে পা বরাবর মাটিতে চোখ মেলে হাঁটছে আর একজন সোজা হয়ে সামনে দৃষ্টি মেলে মুক্তমনে পথ চলছে, এদের মধ্যে কে সরল পথের সন্ধান পাবে।" গতি আসলে জীবনে তখনই থাকবে যখন আমরা মুক্তমনে ভাবতে পারব, মুক্তমনে চলতে পারব।



(অনেক দিন আগে একটা অনুষ্ঠানে শোনা আলোচনার কিছু অংশ এটি, আমার ভাল লেগেছিল তাই শেয়ার করার প্রচেষ্টা)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০১

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:










+++++++++++++++


১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২১

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: ধন্যবাদ কসমিক- ট্রাভেলার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.