![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় পানীয় কোকা-কোলা স্থুলতার মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্যে দায়ী বলে বহু গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে।
‘গ্লোবাল এনার্জি ব্যালেন্স নেটওয়ার্ক (জিইবিএন)’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্যে ব্যায়াম এবং ক্ষতিকর খাদ্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়। গোটা বিশ্বে মানুষের স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের পেছনে কোকা-কোলার মতো চিনিপূর্ণ পানীয়ের দায় রয়েছে বলেও মনে করে তারা। সম্প্রকি গোপনে এই বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অর্থদাতা হিসেব কোকা-কোলার নাম উঠে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোকা-কোলা কম্পানি তার পণ্য থেকে স্বাস্থ্যহানিকর পরিচয়টা মুছে ফেলতেই ওই প্রতিষ্ঠানের পেছনে অর্থ ঢালছে।
জিইবিএন-এর ওয়েবসাইটটি রেজিস্টার করা কোকা-কোলার নামে। এমনকি এ সাইটের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কোকা-কোলার হাতে। নিউ ইয়র্ক টাইমস এ তথ্য প্রকাশ করে। এ প্রসঙ্গে জিইবিএন-এর প্রেসিডেন্ট জেমস ও হিল জানান, কোকা-কোলার নামে ওয়েবসাইটটি রেজিস্টার করা। তবে আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ওই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘শক্তির ভারসাম্য’ তত্ত্বের মাধ্যমে বলা হয়, সুস্বাস্থ্যের জন্যে খাবার এবং ব্যায়াম উভয়ই দরকার এবং এর মাধ্যমে মানব সভ্যতা এক পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যকর জীবন পেতে পারে যা অর্থনীতিকেও এগিয়ে নেবে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে কোকা-কোলা গবেষণা প্রতিষ্ঠানটিকে দেড় মিলিয়ন ডলার অর্থ প্রদান করেছে। ২০০৮ সাল থেকে দেওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার। জিইবিএন যখন থেকে মানুষের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় চিনিপূর্ণ পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাতে শুরু করে, কোকা-কোলা তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ বছরের জুলাইয়ে ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) দাবি তোলে, স্থূলতার জন্যে দায়ী পানীয়ের ঘাড়ে ট্যাক্স চাপানো হলে ব্রিটেনের স্থুলতা সমস্যা কমে যাবে। এসব পানীয় উৎপাদন নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয় নিউ ইয়র্কে যা মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ ব্যাপকভাবে সমর্থন করেন। তবে ২০১৩ সালে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা আর এগোয়নি। ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যায়ামের অভাব অপেক্ষা অস্বাস্থ্যকর খাবার স্থূলতার জন্যে অনেক বেশি দায়ী। কিন্তু কোকা-কোলার মতো পানীয় উৎপাদন প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান স্থূলতার পেছনে ব্যায়াম বা দৈহিক পরিশ্রমের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসে যা সঠিক নয়।তাই স্থূলতার জন্যে কায়িকশ্রমের অভাব কতটা দায়ী আর কোকা-কোলার মতো ক্ষতিকর খাবার-পানীয় কতটা দায়ী, সে সত্যটা মানুষের কাছে পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য সূত্র: অনলাইন পত্রিকা
http://www.bdmorning.com/business/22668
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: মূলতো: সব ড্রিংক্সই ক্ষতিকর কিডনী পাকস্থলী অগ্নাশয়ের জন্য।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
গোধুলী রঙ বলেছেন: আমি ছেড়েছি অনেকদিন হলো, আমার পরিবারে কেউ খায়না, যখন সুযোগ পাই অন্যদেরও একই জ্ঞ্যান দিতে ভুলি না। শুধু কোমল পানীয় নয়, সাথে সহজলভ্য খাবারের ভিতর আইসক্রিম, কেক সবই মারাত্মক সাস্থ্যঝুকি তৈরী করার মত খাবার, তবে সবচে ভয়ংকর এই কোক/কোমল পানীয়।
অনেক মানুষই এখন যে লজিকে সিগারেট খায়, একই লজিকে কোক খায়।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৪
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: ফাস্টফুডও যত কম খাওয়া যায় ততো ভাল। প্রচুর চিনি তেল অার টেস্টিং সল্ট থাকে ফাস্টফুডে। অার টেস্টিং সল্ট ক্যান্সারের কারন।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এগুলো স্বস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জানি । তবু এটা বলতে পারি কোক আমার ফাস্ট চয়েস ।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: পত্রিকায় পড়েছিলাম- ইন্ডিয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশে কোকাকোলা কীটনাশক হিসেবে ফসলের জমিতে ব্যবহার করা হয়।
৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কোক আসলেই খুব ক্ষতিকর।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪০
প্রামানিক বলেছেন: ভয়াবহ ব্যাপার