![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর ফতোয়া অনুযায়ী মহররম ও আশুরার শোক পালনের ক্ষেত্রে শরীর রক্তাক্ত করা হারাম। এমনকি গোপনে এ কাজ করতেও নিষেধ করেছেন তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, এ ধরনের কাজ শোক-প্রকাশ নয় বরং শোক-প্রকাশের ধ্বংস সাধন। এ ছাড়া তিনি পোশাক খুলে বা খালি গা হয়ে শোক প্রকাশ করারও বিরোধিতা করেছেন। বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলে আশুরা ও মহররমের শোক প্রকাশের নামে অনেকেই নানা পন্থায় শরীরকে রক্তাক্ত করেন। আর এ বিষয়টি মহররমের পবিত্রতা ও শোক-প্রকাশকারীদের সম্পর্কে নানা নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করছে অনেকের মধ্যেই। এ ধরনের তৎপরতার ফলে ইসলামের শত্রুরা এই মহান ধর্ম সম্পর্কে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানোর সুযোগ নিচ্ছে বলে ইরানের শীর্ষস্থানীয় অন্য অনেক আলেমও মনে করেন এবং তাই তারা শোক-প্রকাশের ক্ষেত্রে এসব বাড়াবাড়ি পরিহার করতে মুসলমানদের সতর্ক করে আসছেন। ইসলামের বিধান অনুযায়ী ইবাদতের জন্য পোশাক, শরীর ও স্থান পবিত্র হওয়া জরুরি। কিন্তু রক্ত অপবিত্র হওয়ায় এর স্পর্শে স্থান, দেহ ও পোশাক অপবিত্র হয়ে যায়। তাই ইবাদতের স্বার্থে মসজিদ ও ইমামবাড়ার মত পবিত্র স্থানকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের রক্ত দিয়ে অপবিত্র করা নিষিদ্ধ বলে ইরানের আলেম সমাজ ফতোয়া দিয়ে এসেছেন। যারা কারবালার শোকাবহ ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করতে চান তারা অপাত্রে রক্ত অপচয় না করে রোগিদের জন্য হাসপাতালে রক্ত দান করলে অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবেন বলেও ইরানি আলেম সমাজ মনে করেন।
বি: দ্র:- সম্পূর্ন লেখাটি সংগৃহীত। আমার নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই।
তথ্য সূত্র: Click This Link
ছবির ধারাক্রম আমার নিজস্ব চিন্তাধারা।
ছবি উৎস: ইন্টারনেট
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: ইসলাম হলো লেটেস্ট তথা আধুনিক ধর্ম। এর ধর্মাচারও আধুনিক এবং পরিশীলিত। নবীজী (সা), খলিফাগন, সাহাবীগন, হযরত আলী (রা), ঈমাম হাসান (রা), ঈমাম হুসাইন (রা) সবাই ছিলেন মধ্যপন্থী পরিশীলিত উন্নত জীবনাচারের অধিকারী। আমাদের প্রাকটিস তেমনি হওয়া উচিত।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: যুক্তিমূলক কথা বলেছেন উনি ।ধন্যবাদ ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: শুধু যুক্তিমূলক নয় বস্তুনিষ্ঠও বটে। ইসলামের ধর্মাচার সবসময় পরিচ্ছন্ন ও পরিমিত, যা অন্যদের আকৃষ্ট করে, ভীত করে না।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: বিশ্বের একটা বড় অংশের অমুসলিম ও নন-প্র্যাক্টিসিং মুসলিমের ধারণা ইসলাম মানে মাজারে চাদর দেয়া আর মহররমের সময় পিটিয়ে নিজেকে আহত করা । দুঃখজনক ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মাজারে চাদর দেয়া গান গাওয়া আর মহররমের কিছু দৃশ্য দিয়েই অধিকাংশ সময় ইসলাম ধর্মকে প্রকাশ করা হয়। বিশেষত দেশী বিদেশী সিনেমায়।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ফাইনালি........
বেটার লেট দ্নে নেভার
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: ভাবনার বিষয় হলো এই ফতোয়া সবার পছন্দ হবে কিনা। যানতে পারবেই বা কতজন। পছন্দ না হলে ফতোয়ার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়ার মতো পন্ডিতের অভাব নেই এদেশে।
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: "যারা কারবালার শোকাবহ ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করতে চান তারা অপাত্রে রক্ত অপচয় না করে রোগিদের জন্য হাসপাতালে রক্ত দান করলে অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবেন বলেও ইরানি আলেম সমাজ মনে করেন"- এটা অসাধারন একটি বক্তব্য। এটাই ইসলামের মহত্ত্ব। সবসময় মানুষের কল্যাণ চিন্তা করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করা। আমরা সবাই এটা করতে পারি। কারবালার শহীদদের জন্য দোয়া এবং তাদের স্মরনে মানুষের কল্যাণে রক্তদান।
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪২
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আমার জানা মতে শিয়া সুন্নির উৎপত্তি নবীজির মৃত্যুর পর খলিকা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে , বিস্তারিত আলোচনায় যচ্ছি না ।
আমি আয়াতুল্লাহ্ খমেনীর ফতওয়ায় ও যেতে চাই না , কুরআন বা হাদিসের কোথাও যে কাজের কথা উল্লেখ নেই সেটা ধর্মীয় আচরণ হয় কিভাবে সেটাই আমার মাথায় আসে না ........................।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: ঠিক বলেছেন তবে এতটা মোটা দাগে চিন্তা করলে আবার হয় না। কিছু বিষয় থাকে যা বিবেচনা করতে কল্যান-অকল্যান, ভাল-খারাপের মাপকাঠিতে। কুরআন অথবা হাদিসে সরাসরি উল্লেখ নেই আবার কুরআন বা হাদিসের কোন বিধিনিষেধকে লঙ্ঘনও করে না এমন অনেক কাজ কিন্তু ধর্ম স্বীকৃত হতে পারে। তবে এই পোস্টের আলোচ্য বিষয়টি একেবারেই সেরকম নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
ব্ললিগং অার্ন বলেছেন: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ্ খমেনীর বক্তব্যের অংশ বিশেষ পড়লাম । আমার মতে এটি একটি চমৎকার মন্তব্য, যেটি আরও আগে করা হলে বেশি ভাল হত । তারপরও বলব, দেরিতে হলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতার যুগান্তকারী বক্তব্যটি সিয়া মুসলমানদের দীর্ঘদিনের ভুল আমল থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে..সামহয়ার ব্লগকে বক্তব্যটি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইল ।
অনলাইনে ইনকাম করুন, ভাল থাকুন